ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

টেকনাফ স্থলবন্দরে ভিড়েছে আটকে রাখা ২ জাহাজ

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
টেকনাফ স্থলবন্দরে ভিড়েছে আটকে রাখা ২ জাহাজ
টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটি ঘাটে মায়ানমার থেকে আসা পণ্যবাহী জাহাজ। ছবি : খবরের কাগজ

মায়ানমারের আরাকান আর্মি কর্তৃক আটকে রাখা তিনটি পণ্যবাহী জাহাজের মধ্যে দুটি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে নোঙর করেছে। 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ৩০মিনিটে পণ্যবাহী দুটি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দর জেটি ঘাটে নোঙর করে।

চারদিন পর পণ্যবাহী তিনটির মধ্যে দুইটি জাহাজ ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মিরা। ১২ জানুয়ারি মায়ানমার ইয়াঙ্গুন বন্দর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে উদ্দেশ্যে আসেন। গত ১৬ জানুয়ারি সকালে আসার পথে মিয়ানমার মংডু শহরের হাইয়ন খালী নামক এলাকা নাফ নদীতে পণ্যবাহী তিনটি জাহাজ আটকে রাখে। 

জানা যায়, পণ্যবাহী ওই জাহাজে ৫৬ হাজার বস্তা সুপারি, আচার, শুঁটকি, কসমেটিকস, কফিসহ বেশকিছু পণ্য। 

টেকনাফ স্থলবন্দরের ম্যানেজার সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ও স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তারা বলেন, মায়ানমার থেকে পণ্যবাহী তিনটি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে উদ্দেশ্যে আসার পথে আটকে রাখে আরাকান আর্মি। তারা মালামালের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার কথা বলে‌ জাহাজ তিনটি তাদের হেফাজতে রেখে দেয়।পরে সোমবার দুপুরে দুটি জাহাজ বন্দরের জেটি ঘাটে নোঙর করে।

মো. শাহীন/জোবাইদা/ 

গাজীপুরে শ্রমিক আন্দোলনে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, আটক ২৩

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
গাজীপুরে শ্রমিক আন্দোলনে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, আটক ২৩
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় কারখানার শ্রমিকরা। ছবি: খবরের কাগজ

গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর নতুন বাজার এলাকায় জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানায় ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও এপিসি কার ভাঙচুরের ঘটনায় ২৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছে গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, শ্রীপুরের নয়নপুরে শ্রমিক আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হবে।

হামলায় ভাঙচুরের শিকার পুলিশের এপিসি কার। ছবি: খবরের কাগজ

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, আটকদের ১৯ জনকে ইতোমধ্যে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকীদেরও থানায় হস্তান্তরের কথা জানিয়েছেন শিল্প পুলিশ। শিল্প পুলিশের দেওয়া অভিযোগে প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, সোমবার (২ জুন) রাত সাড়ে ৭টার কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে ওই কারখানার শ্রমিক মো. জাকির হোসেন (৩০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর জেরে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মঙ্গলবার (৩ ‍জুন) সকালে কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের এপিসি গাড়ি। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১১ জন পুলিশ সদস্য ও অর্ধশত কারখানার শ্রমিক আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন। ছবি: খবরের কাগজ

কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দাবি, পুলিশ পূর্বপরিকল্পিতভাবে সেখানে অবস্থান নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে।

অপরদিকে পুলিশ জানিয়েছে, শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি ও শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার সময় এই হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে সেখানে কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে হয়েছে।

কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে ওই কারখানার শ্রমিক নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাদেচিরাম গ্রামের মুক্তার উদ্দিনের ছেলে মো. জাকির হোসেন (৩০) নিহত হন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চাইতে গিয়েছিলেন জাকির। কিন্তু ছুটি না দিয়ে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার কারণে তিনি অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন। লাফিয়ে পড়ার পর তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ৯টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কারখানার এজিএম জুবায়ের বাসার বলেন, ওই শ্রমিক ছুটি চাইতে যাননি। বরং তিনি জানতে পেরেছেন পারিবারিক কলহের কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। হতাশা থেকেই তিনি লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

শিল্প পুলিশের গাজীপুরের শ্রীপুর সাবজোনের ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ বলেন, শ্রমিকরা আমাদের একটি এপিসি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ

সাতকানিয়ায় বন্যহাতির তাণ্ডবে অসহায় কৃষক, নীরব বনবিভাগ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
সাতকানিয়ায় বন্যহাতির তাণ্ডবে অসহায় কৃষক, নীরব বনবিভাগ
বন্যহাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত আম বাগান। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মাদার্শা ইউনিয়নে ১২টি বন্যহাতি তাণ্ডব চালাচ্ছে। তাদের তাণ্ডবে কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। এরই মধ্যে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বন্যহাতির ওই পালটি পাহাড় থেকে লোকালয়ে প্রবেশ করে প্রায় দুই একর সবজি খেত ও এক একর আম বাগান নষ্ট করে পুনরায় পাহাড়ে ফিরে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাগান মালিকরা। 

এ ছাড়াও বন্যহাতির পালটি মাদার্শা ইউনিয়নের এয়াজের পাড়া, কামারপাড়া ও বড়ডেবা গ্রামে প্রায় সময় তাণ্ডব চালিয়ে ফসলের ও ফলের বাগানের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এক্ষেত্রে বনবিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি জেনেও এক প্রকার নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।

স্থানীয়রা জানায়, ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে বন্যহাতির পালটি পাহাড় ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এসময় তারা একের পর এক তাণ্ডব চালাচ্ছে। ফসল ও ঘরবাড়ি রক্ষায় পাহারা বসিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সেখানকার কৃষকরা। সোমবার সন্ধার দিকে বন্যহাতির পালটি জাগির হোসেন নামের এক কৃষকের ফসলি জমিতে তাণ্ডব চালায়। পরে তার গোয়ালঘরে আক্রমণেরও চেষ্টা করে।

এসময় বেশ কয়েকজন কৃষকের প্রায় দুই একর সবজি খেতের ফসল নষ্ট করে দেয়। এলাকাবাসী মশাল ও টর্চলাইট জ্বালিয়ে এগিয়ে আসলে বন্যহাতির পালটি পাহাড়ে ফিরে যায়।

মাদার্শা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কামারপাড়ার কৃষক জাগির হোসেন বলেন, ১২টি বন্যহাতি বেশ কিছুদিন ধরে মাদার্শা ইউনিয়নের এয়াজেরপাড়া ও কামারপাড়ার পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে অবস্থান করছে। সোমবার সন্ধ্যায় বন্যহাতির পালটি আমার লাউ, শসা ও কাঁকরোল খেত নষ্ট করে দিয়ে গোয়ালঘর পর্যন্ত চলে আসে। এতে আমার তিন লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। বন্যহাতির বিষয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের জানালেও কোনো কাজ হয় না। 

একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের এয়াজের পাড়ার কৃষক মো. সায়েম বলেন, বন্যহাতির পাল এখন মশাল ও মানুষ দেখে ভয় পায় না। বিভিন্ন কৌশলে ভয় দেখালেও কাজ হয় না। আমরা এখন বন্যহাতির কাছে নিরুপায় হয়ে গিয়েছি। সম্প্রতি আমার এক একর আম বাগান নষ্ট করে দিয়েছে। বনবিভাগ এ বন্যহাতির পালটিকে পাহাড়ে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। যার কারণে আমরা প্রতিবার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন মাদার্শা রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, বন্যহাতি তার নিজের গতিতে পাহাড়ে অবাধ বিচরণ করছে। খাদ্যের সন্ধানে মাঝেমধ্যে লোকালয়ে আসতেই পারে। তবে কৃষকদের ফসলি ক্ষেতে তাণ্ডব চালাচ্ছে এ বিষয়ে কেউ আমাকে জানায়নি। সরকারি বনাঞ্চলের বাইরে লোকালয়ে বন্যহাতির তাণ্ডব কিংবা আক্রমণে কারও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হলে নিয়ম অনুযায়ী বনবিভাগ বরাবর আবেদন করলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

মো. আরিফুল ইসলাম/মাহফুজ

 

দিনাজপুরের মোস্ট ওয়ান্টেড ডাকাত মুসা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
দিনাজপুরের মোস্ট ওয়ান্টেড ডাকাত মুসা গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

দিনাজপুরে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ও হত্যাসহ ২০ মামলার পলাতক আসামি মো. মুসাকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া তার কাছ থেকে একটি চাপাতি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে দিনাজপুর পুলিশ সুপার মারুফাত হোসেন মারুফ লিশ সুপার কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত মো. মুসা এলাকায় মুসা ডাকাত হিসেবে পরিচিত। সে দিনাজপুর সদর উপজেলার বড়ইল (চেহেলগাজী মাজার সংলগ্ন) এলাকার মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ সুপার মারুফাত হোসেন মারুফ বলেন, ‘দিনাজপুর শহরের কলেজমোড় হতে বাঁশের হাট এলাকায় মাদক, চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপকর্ম চালাতেন মুসা। এলাকায় তার কিছু অনুসারীও রয়েছে। বিশেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজ ও হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছিনতাই করতেন মুসা। সম্প্রতি তিনি আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে একটি শক্তিশালী টিম গঠন করেছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে সোমবার (২ জুন) রাত সাড়ে তিনটায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ২০টি মামলা রয়েছে। তাকে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে একইসঙ্গে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, মুসা ডাকাতের অনুসারীসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সমস্ত অপরাধীদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।

মেহেদী/

ঈদে সোনামসজিদ স্থলবন্দর ১০ দিন বন্ধ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
ঈদে সোনামসজিদ স্থলবন্দর ১০ দিন বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর। এ সময় বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে আগামি ১৫ জুন থেকে আবারও সচল হবে। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংকের ব্যবস্থাপক মাঈনুল ইসলাম। তবে স্বাভাবিক থাকবে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার।

ব্যবস্থাপক মাঈনুল ইসলাম বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভারত থেকে আগামী ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত আমদানি বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে কোনোপণ্য রপ্তানি করা হবে না। ফলে ১০ দিন বন্দরটির আমদানি-রপ্তানিসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে আবার ১৫ জুন থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।

পাসপোর্টধারীরা পারাপারের বিষয়ে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন উপপরিদর্শক মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। পাসপোর্টধারীরা নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবেন।


মো. আসাদুল্লাহ/মাহফুজ

 

শাহরাস্তিতে ১০ মাস পর আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উত্তোলন

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
শাহরাস্তিতে ১০ মাস পর আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উত্তোলন
ছবি: খবরের কাগজ

মৃত্যুর ১০ মাস পর চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে আদালতের নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল মজুমদারের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে উপজেলার ওই ইউনিয়নের শোরসাক মজুমদার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার থানা পুলিশের সহযোগিতায় এ মরদেহ উত্তোলন করেন। 

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ গভীর রাতে বাড়ির পাশ্ববর্তী ডোবার পানিতে ডুবে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পরদিন ৬ আগস্ট বাড়ির পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে দাফন করা হয়। মৃত্যুর ৬ মাস পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মোস্তফা কামালের স্ত্রী ফাতেমা কামাল বাদী হয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী ফাতেমা কামালের দাবি, তার স্বামীকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা সংঘবদ্ধভাবে বাড়িতে হামলা করে হত্যা করেছে। দেশের তৎকালীন পরিস্থিতি ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার দাবিতে দেরিতে আইনী পদক্ষেপ নিয়েছেন। 

নিহতের ভাই হুমায়ূন কবির মজুমদার জানান, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই। নিরপরাধ কেউ যেন এ ঘটনায় হয়রানির শিকার না হয়, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার জানান, নিহত চেয়ারম্যানের স্ত্রীর দায়ের করা মামলা ও আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার জানান, আদালতের নির্দেশে সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদারের মরদেহ উত্তোলন করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ/