ঢাকা ৩ ফাল্গুন ১৪৩১, রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

আধুনিক সদর হাসপাতাল নেত্রকোনায় অব্যবস্থাপনায় সেবাবঞ্চিত রোগীরা

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫২ এএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ পিএম
নেত্রকোনায় অব্যবস্থাপনায় সেবাবঞ্চিত রোগীরা
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল। ছবি : খবরের কাগজ

হাওর জনপদ নেত্রকোনা জেলার ১০টি উপজেলার চিকিৎসার ভরসাস্থল নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচার, জরুরি রোগীসহ দুর্ঘটনায় আহতদের বাধ্য হয়ে জেলা শহরের আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসতে হয়। একদিকে অ্যাম্বুলেন্সের অব্যবস্থাপনা, অপরদিকে ডাক্তার ও জনবলের অভাবে উপজেলা থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসাবঞ্চিত হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। 

১৯৯২ সালে জেলা শহরের জয়নগরে প্রতিষ্ঠিত হয় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতাল। ২০০৪ সালে সেটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ইতোমধ্যে এটি কাগজেপত্রে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীতকরণ হয়েছে। তবে নতুন ছয়তলা ভবনে এখনো চিকিৎসাসেবা প্রদান শুরু করা হয়নি। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অস্ত্রোপচার, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়ার রোগীসহ দুর্ঘটনায় আহতদের আধুনিক সদর হাসপাতালে আসতে হয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা সীমান্তে দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালে চালকের অভাবে এক মাসের বেশি সময় ধরে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে। আধুনিক সদর হাসপাতালে যে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আছে, সেগুলোও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সদর হাসপাতালের জরুরি রোগীদের জেলার বাইরে চিকিৎসা নিতে হয়। 

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি রোগীদের বিভাগীয় হাসপাতালসহ ঢাকার হাসপাতালে রোগী পরিবহনে কাজ করছে ১৯টি অ্যাম্বুলেন্স। আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া ৯৫০ টাকা। অপরদিকে একই দূরত্বে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে যেতে ভাড়া লাগে ২ হাজার টাকার চেয়ে বেশি।

দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আসা অসুস্থ জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছি। শীতকাল এলেই যন্ত্রণা বাড়ে, তাই দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকায় প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আড়াই হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে এসেছি। অথচ সরকারনির্ধারিত ভাড়া এর অর্ধেক।’

এ ছাড়া হাসপাতালের পয়োনিষ্কাশনেও ব্যাপক অব্যবস্থাপনা। চিকিৎসাধীন রোগীদের হিমশিম খেতে হয়। টয়লেটগুলো উপচে থাকে নোংরা ময়লা দিয়ে। দুর্গন্ধে ভেতরে ঢোকার উপায় নেই। ঠিকমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় এই নোংরা অবস্থাতেও রোগীদের এসব টয়লেট ব্যবহার করতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত জনবলের অভাব থাকায় এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
 
জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে নিচতলায় বিভিন্ন তলার মেঝে ও দেয়ালে ধুলোর পাশাপাশি ময়লা ও হলুদ দাগ লেগে থাকতে দেখা গেছে। দুর্গন্ধের পাশাপাশি ড্রেনগুলো আবর্জনায় ভর্তি হয়ে থাকে। চারদিকে উড়তে দেখা গেছে মশা-মাছি। 

এদিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসকদের নির্ধারিত সময়ে আসা-যাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে স্থানীয় রোগীদের দাবি, হাসপাতালের প্রবেশ পথে কোন রুমে কোন ধরনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কোন সময় পর্যন্ত চেম্বারে বসেন, তাদের মোবাইল ফোন নম্বরসহ নির্দিষ্ট বোর্ড টাঙানো থাকলে রোগীদের চিকিৎসা পেতে সুবিধা হতো।

দাঁতের ব্যথার রোগী মোহনগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা কাজল সাহা বলেন, ‘এই হাসপাতালে অনেক রোগের চিকিৎসক নেই। দাঁত দেখাতে এসে দেখি, যিনি আছেন, তিনি পূর্ণাঙ্গ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নন। তাই হয় ময়মনসিংহ হাসপাতালে যেতে হবে, না হলে নেত্রকোনায় বাইরে থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে হবে। কিন্তু হাসপাতালে দন্ত চিকিৎসক না থাকায় অতিরিক্ত ফি গুনতে হবে।’ 

জরুরি শিশুর চিকিৎসা নিতে অক্সিজেন সরবরাহের যে কয়টি বক্স আছে, তাতে শিশুর চিকিৎসাসেবা প্রদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বারহাট্টা থেকে আসা সজল মিয়ার ছেলের জন্ম প্রাইভেট ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারে। সমস্যা হওয়ায় ডাক্তার সদর হাসপাতালে কাচের বক্সে (ইনকিউবিটর) রাখতে পরামর্শ দেন। তিনি তৎক্ষণাৎ এখানে এসে দেখেন কোন বক্স খালি নেই। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হন।
 
হাসপাতালে কর্মরত প্রধান সহকারী নিতাই চন্দ্র দাস জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ৪৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ২৪ জন। এর মধ্যে কার্ডিওলজি, ইএনটি, শিশু, প্যাথলজি, গাইনি, অ্যানেসথেশিয়া বিভাগে সিনিয়র কনসালট্যান্ট এবং প্যাথলজি, চর্ম ও যৌন বিভাগে জুনিয়র কনসালট্যান্টের পদ শূন্য। এ ছাড়া  চক্ষু, মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র, জুনিয়র দুই কনসালট্যান্টেরই পদ শূন্য। একই সঙ্গে পদ শূন্য রয়েছে ডেন্টাল সার্জন, মেডিকেল অফিসার হোমে একজন করে ও সহকারী সার্জন। পাশাপাশি তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও অনেক পদ শূন্য রয়েছে।

নিচতলায় রক্ত পরীক্ষা করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে না পেরে চলে যাচ্ছিলেন সাতপাই কলেজ রোডের বাসিন্দা অসুস্থ ফারুক মিয়া। তিনি বলেন, ‘আর কত দাঁড়িয়ে থাকব? সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আছি, খাওয়া-দাওয়া করি নাই। তাই বাসায় চলে যাচ্ছি। প্রাইভেট ক্লিনিকে পরীক্ষা করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। তর্ক করে লাভ নেই এখানে। কে শুনবে কথা? প্রাইভেট ক্লিনিকে পরীক্ষা করাতে সরকারি হাসপাতালের চেয়ে টাকা বেশি খরচ হবে, কিন্তু দ্রুত কাজ হবে।’

এ বিষয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালটি ১০০ থেকে ইতোমধ্যে ২৫০ সিটে রূপান্তর করা হয়েছে। তবে নতুন ছয়তলা ভবনে এখনো চিকিৎসাসেবা প্রদান শুরু করা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎকের পদের অর্ধেকেই শূন্য রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অন্যান্য পদেও লোকবল নেই। রোগীর সংখ্যাও অতীতের তুলনায় বেড়েছে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সেবা প্রদান করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।’

ফরিদপুরে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম
ফরিদপুরে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ
অভিযুুক্ত সুুজন। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এক যুবকের বিরুদ্ধে কুকুর জবাই করে মাংস বিক্রি অভিযোগ উঠেছে। 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা বুড়াইচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামে সুজন (২৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে কুকুর জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা দুইটার দিকে তাকে হেলেঞ্চা বাজারের পাশে ঘাসখেতে বসে কুকুরের মাংস কাটতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। 

অভিযুক্ত সুজন হেলেঞ্চা গ্রামের পূর্বপাড়া আবু বক্কর শেখের ছেলে।

ওই এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, সুজন এর আগেও কুকুর জবাই করে অন্য এলাকায় মাংস বিক্রি করেছে। তিনি একজন মাদকাসক্ত ও মাদক বিক্রিতা। বিগত সরকারের আমলে পুলিশের সোর্স হয়ে বহু নিরীহ যুবকদের পকেটে মাদক ঢুকিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

এলাকায় মোবাইল, টিউবওয়েলের মাথা, ছাগল, বাড়িঘরের আসবাবপত্র চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল এমন অভিযোগও তুলছে স্থানীয়রা।

পোল্ট্রি ব্যবসায়ী লাভলু মিয়া বলেন, মুরগির নাড়ি-ভূড়ি নিয়মিত কয়েকটি কুকুরকে খেতে দেই কিন্তু কয়েকদিন হলো এদের মধ্যে একটি কুকুরকে দেখতে পাইনা। ধারণা করা হচ্ছে সুজন হয়তো ওই কুকুরটি জবাই করেছে।
 
এ বিষয়ে সুজন শেখের বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং প্রতিবেশীরা মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাসার বলেন, 'ঘটনাটি সত্যি' আমি মাঠে গেলে শব্দ শুনতে পাই। খোঁজ করে দূর থেকে দেখতে পাই সুজন ধারালো ছুরি দিয়ে মাংস কাটছে। সে মাদকাসক্ত হওয়ায় হাফিজুর গাজিকে ফোন করে আসতে বলি। সে টের পেয়ে পালিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে কুকুরের মাংস, মাথা, পা দেখতে পাই। পরে তার স্ত্রীকে খবর দিয়ে নাড়ি-ভুড়ি সরাতে বলি।

এ বিষয়ে বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বাজারেও এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সুজন গাঁজা খায়, বাড়ির কাউকে মানে না, কথাও শুনে না। পুলিশ ওকে একবার ধরেছিল। আমাদের সামনে আসে না আর দেখতেই তো মাদকাসক্ত লাগে।

সঞ্জিব/মেহেদী/ 

ভারতের জনগণ নয়, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান: মাহমুদুর রহমান

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম
ভারতের জনগণ নয়, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান: মাহমুদুর রহমান
সিলেট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ড. মাহমুদুর রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, একুশে পদক অর্জন আমার একার নয়, দৈনিক আমার দেশের সকল সাংবাদিকের এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছিলেন তাদের সকলের। সিলেটের প্রতি আমার দুর্বলতা রয়েছে। কারণ, সিলেটের মানুষ সবসময়ই আমার দেশ পত্রিকাকে ভালবেসেছেন। সিলেটবাসীর এ সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, দৈনিক আমার দেশের লড়াই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে। আমাদের ঘাড়ের ওপর যে ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছিল এবং ভারতের পুতুল সরকারের ভূমিকা পালন করেছিল তাদের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং এদেশে থাকা তাদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে। 

তিনি আরও বলেন, ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু ভারত সরকারের আধিপত্যবাদী পলিসির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। ১৯৪৭ সালে এই সিলেটবাসীই গণভোট দিয়ে পাকিস্তানের অংশ হয়েছিল। কাজেই স্বাধীনতার জন্য সিলেটবাসীর ঐতিহাসিক যে ভূমিকা এটি রক্ষা করে যেতে হবে। 

জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ সাংবাদিক এটিএম তুরাবকে স্মরণ করে তিনি বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ার পেছনে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। 

সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি খালেদ আহমদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক সহসভাপতি এনামুল হক জুবের, মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বদর, মুহাম্মদ আমজাদ হোসাইন, আবদুল কাদের তাপাদার, হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী ও এম এ হান্নান, সহসাধারণ সম্পাদক শুয়াইবুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আনিস রহমান, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শেখ আব্দুল মজিদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল রাজ্জাক, সদস্য কামকামুর রাজ্জাক রুনু, জিয়াউস-শামস-শাহীন, চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, মো. ফয়ছল আলম, মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, আনাস হাবিব কলিন্স, এম এ মতিন, ফয়সাল আমীন, নাজমুল কবীর পাভেল, সজল ছত্রী, দিগেন সিংহ, সিন্টু রঞ্জন চন্দ, গোলজার আহমেদ, খালেদ আহমদ, মো. দুলাল হোসেন, মো. মারুফ হাসান, শফিক আহমদ শফি প্রমূখ। 
   
শাকিলা ববি/মাহফুজ

 

বাংলাদেশি ৫ কৃষককে মারধরের ঘটনায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
বাংলাদেশি ৫ কৃষককে মারধরের ঘটনায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ
বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ৫ বাংলাদেশি কৃষককে মারধরের ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। 

বিজিবির প্রতিবাদের পর শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে বিএসএফ। 

পতাকা বৈঠক ও দুঃখ প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে তথ্য দিয়েছেন লালমনিরহাট বিজিবি ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. শাকিল আলম।

বিজিবি তথ্য বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙা ইউনিয়নের গোরকমন্ডপ সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯২৯-এর সাব পিলার ৪ এসের কাছে বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির উঠানে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ্ মো. শাকিল আলম। ভারতের বিএসএফর পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ এর ৩ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার অমিত কুমার। 

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার দুপুরে ফুলবাড়ীর নাওডাঙা ইউনিয়নের পশ্চিম বালাতারী সীমান্তের সীমান্ত পিলার ৯৩০-এর ৮ এস পিলারের কাছ দিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য। বারোমাসিয়া নদীর ধারে বাংলাদেশের পশ্চিম বালাতারী গ্রামে প্রবেশ করে পাঁচ বাংলাদেশিকে মারধর করে। একজনের হাতে জখম হয়। এ ঘটনায় সীমান্তবাসীরা উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানালে তোপের মুখে তারা ফিরে যায় বিএসএফ সদস্যরা। এরপরও ওই সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল। পরে বিজিবির টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এরপরের দিন (আজ) বিকেলে বৈঠকটি হলো।

বিজিবি জানায়, বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে সার্বিক ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিএসএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশে প্রবেশ করা বিএসএফ জওয়ানরা কাশ্মির ফ্রন্ট থেকে এ অঞ্চলে নতুন যোগ দিয়েছে। তারা সীমান্ত এলাকা দেখতে বের হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এ বিষয়টি তারা বুঝতে পারেননি। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে নিজস্ব আইনে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেয় বিএসএফ। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে। 

মওলা সিরাজ/মাহফুজ

 

পঞ্চগড়ে ভারতীয় নারী আটক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম
পঞ্চগড়ে ভারতীয় নারী আটক
ছবি: খবরের কাগজ

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় বাংলাদেশ সীমান্তে ঢোকার দায়ে এক ভারতীয় নারীকে (৪২) আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ভারতীয় নারী হিন্দিতে কথা বলছিলেন। নিজের নাম  কখনো শান্তি আবার কখনও বাসন্তী এবং ঠিকানা দিল্লী ও শ্বশুর বাড়ি বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় বলে জানান। তবে তার আচার-আচরণ মানসিক ভারসম্যহীনের মত বলে জানিয়েছে বিজিবি।

শনিবার সন্ধ্যায় নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬০ এর ৬০ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে ওই নারীকে বাংলাদেশের ১৫০ গজ ভিতরে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের টহল দল বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে। পরে বিজিবি বিষয়টি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৯৩ ব্যাটালিয়নের শ্যাম ক্যাম্পের কমান্ডারকে জানায়। এর পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএস ওই নারী ভারতীয় মর্মে নিশ্চিত হয়ে ফেরত নিতে চায়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিএসএফের কাছে ওই ভারতীয় নারীকে হস্তান্তর করে বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা। 

ভারতীয় নাগরিককে ফেরত দেওয়ায় বিজিবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় বিএসএফ।

বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় এক নারীকে বাংলাদেশে ঢোকার পর আমাদের টহল দল আটক করে। নারীকে মানসিক ভারসমস্যহীন বলে মনে হয়েছে। পরে আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। এরই প্রেক্ষিতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তারা পতাকা বৈঠকে এসে ভারতীয় নাগরিক নিশ্চিত করেন। পরে তাকে ফেরত নিতে চাইলে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করেছি।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, বিজিবি সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সদা তৎপর। বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির অভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শবর্তী দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। যে কোন মূল্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ৫৬ বিজিবি কঠোর নজরদারি নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুপ্রবেশ বন্ধে সদা প্রস্তুত।

রনি/মেহেদী/

এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে সবাই ধর্ম পালন করতে পারবেন: হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম
এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে সবাই ধর্ম পালন করতে পারবেন: হাসনাত আবদুল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা এমন বাংলাদেশ আর চাই না, যে বাংলাদেশে আলেম-ওলামাদের সামনে থেকে মাইক কেড়ে নেওয়া হয়, দাড়ি ধরে ধরে জেলে ঢুকানো হয়। আমরা এমন বাংলাদেশ আর চাই না, যে বাংলাদেশে কোরআন-হাদিস থেকে বয়ান করলে সে মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যে বাংলাদেশে দুর্নীতি, রাহাজানি, হানাহানি, গুম এবং হত্যা থাকবে না। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যে বাংলাদেশে প্রত্যেক মানুষ তার ধর্মকে স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবেন।’

গত শুক্রবার রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার দুই দিনব্যাপী ৭৭তম বার্ষিক ইছালে ছাওয়াবের মাহফিলের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মাহফিলে হাজার হাজার মুসল্লির সমাগম হয়।

ধামতী দরবার শরিফের পীর মাওলানা বাহাউদ্দীন আহমাদের সভাপতিত্বে মাহফিলে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র, প্রশাসন, পুলিশ কখনোই আমাদের ঠিক করতে পারবে না, যদি না আমরা নিজেরা নিজ থেকে ঠিক না হই। আমি ইসলাম নিয়ে বেশি কিছু জানি না, এখানে যারা উপস্থিত রয়েছেন তারা বেশি জানেন। তবে বাস্তবিক অভিজ্ঞতা থেকে বলব, আপনারা ঘুষ থেকে দূরে থাকুন, কাউকে ঘুষ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তদবির করা ভালো না। আপনার যদি মনে হয় আপনার পরিচিত একজন ক্ষমতাধর রয়েছেন তার থেকে আপনি বিশেষ সুবিধা নেবেন, এটাও এক ধরনের অপরাধ। ঘুষ ও সুদ এগুলো থেকে দূরে থাকুন।’

তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে আপনাদের যারা প্রতিনিধিত্ব করছে তারা আপনাদের কর্মচারী। এই কর্মচারীদের কাছে যদি আপনারা বিশেষ একটি দিনে (ভোটের দিন) দুই হাজার এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে যান, তাহলে এই আমানতের খেয়ানত আপনারা করবেন। আমরা পাঁচ বছর, দশ বছর নেতাকে গালাগাল করতে পারব কিন্তু আপনার হাতে যে এক দিনের ক্ষমতা ছিল ওই এক দিনের ক্ষমতা যদি আপনি অপব্যবহার করে থাকেন তাহলে ওই পাঁচ বছরের অপশাসনের দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে। নেতাকে দোষ দেওয়ার আগে নিজের কাছে আগে দায়বদ্ধ হবেন। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, আপনারা কর্মচারীর কাছে কখনই বিক্রি হবেন না। অত্যাচারী শাসক, সুদ ও ঘুষের কাছে কখনই মাথা নত করবেন না।’ 

মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাসার, ব্যারিস্টার রেজভি-উল আহসান মুন্সি, সাইফুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ।

জহির শান্ত/এমএ/