ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

ঝিনাইদহে শয্যার দ্বিগুণ রোগী

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
ঝিনাইদহে শয্যার দ্বিগুণ রোগী
ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। ছবি : খবরের কাগজ

ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। জনবল সংকটে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটিতে চাহিদার তুলনায় চিকিৎসক, নার্স ও সহায়ক জনবল নেই। তীব্র সংকটের মাঝে প্রতিদিন এই হাসপাতালে প্রায় ৫০০ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সীমিত শয্যার কারণে ভর্তি হওয়া রোগীদের সেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখানে ৬৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৪১ জন কর্মরত রয়েছেন, বাকি ২৩টি পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ১৩টি, মিডওয়াইফ পদে ৬টি, স্টাফ নার্স পদে ২টি এবং অকুপেশনাল থেরাপিস্ট পদে একটিসহ হাসপাতালে মোট ৭৭টি শূন্যপদ রয়েছে। শূন্যপদ পূরণের পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন পদে ২৬৮টি পদের চাহিদা জানানো হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পূরণ করা হয়েছে ১৯১টি পদ।

হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা কম আছে। অর্গানোগ্রাম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী চাহিদা তুলনায় যে জনবল থাকার কথা, তা ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেই। এই হাসপাতাল থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার মানুষ আউটডোর থেকে সেবা নিয়ে থাকেন। 

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ছয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত ঝিনাইদহ জেলা। ঝিনাইদহ জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। সদর উপজেলা ছাড়া হরিণাকুণ্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জসহ পাঁচটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসাসেবা অপ্রতুল। এ কারণে রোগীরা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও সহায়ক জনবল চাহিদার তুলনায় সংকট থাকায় সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালটির আট তলাবিশিষ্ট নতুন ভবন চালু হলেও জটিলতা যেন কাটছেই না। নতুন ভবনের দুটি লিফট মাঝে মধ্যেই বিকল হয়ে পড়ে। নতুন ভবনের দেয়ালে লাগানো টাইলস উঠে গেছে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় নতুন ভবনের অবকাঠামো, পানির ট্যাপ, বেসিন, কমোড ও আসবাবপত্র অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে গেছে। 

হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও হাসপাতালটিতে নিয়মিত ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক। এত রোগীর চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। গত ডিসেম্বর মাসে সদর হাসপাতাল থেকে আউটডোরে ৪৪ হাজার ৫৬৯ জন স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে নারী, শিশু, সিজারিয়ান ও প্রসূতি, ডায়রিয়া এবং সার্জারি রোগী রয়েছেন। 

চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীর স্বজন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া গ্রামের রাসেল আহমেদ বলেন, ‘আউটডোরে রোগীর চাপ অনেক বেশি। রোগী বেশি হওয়ার কারণে চিকিৎসকরা চাইলেও সময় নিয়ে রোগী দেখতে পারেন না। এ ছাড়া চিকিৎসকরা যে ওষুধ লেখেন, তার সব ওষুধ হাসপাতাল থেকে পাওয়া যায় না।’ 

সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়ন থেকে আসা রোগী মালতি রানী অভিযোগ করেন, ভর্তি হয়েও শয্যা পাওয়া যায় না। রোগী অনেক, যে কারণে হাসপাতালের মেঝেতে কাঁথা, পাটি বিছিয়ে থাকতে হচ্ছে। 

সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া থেকে আসা ঝন্টু মিয়া জানান, হাসপাতালে খাবারের মান আগের তুলনায় কিছুটা উন্নত হয়েছে। ওয়ার্ডগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। কিন্তু টয়লেট ও বাথরুমগুলোর পরিবেশ আগের মতোই নোংরা। 

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নতুন দায়িত্ব নিয়ে ২৫০ শয্যা হাসপাতালটিকে সেবামুখী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রোগীদের খাবারের মান উন্নত করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্য বর্ধন, ওষুধ কেনা ও বিতরণে যেসব অনিয়ম ছিল না দূর করে নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। চিকিৎসক-নার্স ও জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার মধ্যেই ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি রোগীদের কাছে সেবাবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা।’

পুলিশ সদস্যকে অটোরিকশায় ঝুলিয়ে এক কিলোমিটার নিল চালক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০২ পিএম
পুলিশ সদস্যকে অটোরিকশায় ঝুলিয়ে এক কিলোমিটার নিল চালক
ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশ সদস্যকে অটোরিকশায় ঝুলিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এক কিলোমিটার এলাকা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মাওনা হাইওয়ে থানার কনস্টেবল কমল দাস এ ঘটনার শিকার। এ ঘটনায় পুলিশ চালকসহ অটোরিকশা আটক করেছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।

আটক অটোরিকশা চালক জনি আহমেদ (২৪) ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের মো. আহমেদ আলীর ছেলে। 

পুলিশ কন্সস্টেবল কমল দাস বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিয়মিত অবৈধ অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিচালনার অংশ হিসেবে বিকেলে উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় অভিযান চলাকালে একটি অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে আসে। থামানোর জন্য অটোরিকশাকে সিগন্যাল দেওয়া হয়। রিকশা থামানোর পর চাবি নেওয়ার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে অটোরিকশা চালাতে শুরু করে। আমি অটোরিকশায় উঠার চেষ্টা করি, কিন্তু চালক রিকশার গতি আরোও বাড়িয়ে দেয়। এরপর আমি অটোরিকশায় ডান পাশে ঝুলে যেই। অটোরিকশা চালককে অনুরোধ করলেও গতি আরোও বাড়িয়ে আমাকে মহাসড়কে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমাকে ঝুলিয়ে কমপক্ষে এক কিলোমিটার নিয়ে যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ সদস্য ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় চলন্ত অটোরিকশার রড ধরে ঝুলে আছে। পেছনে কয়েকজন যাত্রী চালককে অনুরোধ করছেন অটোরিকশা থামানোর জন্য কিন্তু অটোরিকশা চালক থামাচ্ছে না। অটোরিকশার পাশ দিয়ে বিভিন্ন পরিবহন যাচ্ছে। পরবর্তীতে একটি স্থানে পৌঁছালে জ্যামে উপস্থিত স্থানীয় ও পুলিশ সদস্য মিলে চালককে আটক করে।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পাশ্ববর্তী ভালুকা উপজেলা জামিরদিয়া এলাকার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে অভিযুক্ত চালককে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে অটোরিকশা। এবিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

পলাশ প্রধান/এমএ/

অসুস্থ যাত্রীদের জন্য শাহ আমানতে প্রথমবারের মতো অ্যাম্বুলেন্স সেবা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
অসুস্থ যাত্রীদের জন্য শাহ আমানতে প্রথমবারের মতো অ্যাম্বুলেন্স সেবা
সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি প্রয়োজনে এখন থেকে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা পাবেন আগত অসুস্থ প্রবাসী যাত্রীরা। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে এই সেবার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর। 

এ সময় ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল ইসলাম হাসান ও বিমানবন্দরের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন শেষে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, যেহেতু মধ্যপ্রাচ্য থেকে চট্টগ্রামে অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আসে তাই অনেক সময় জরুরিভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবার প্রয়োজন হয়। এই বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য ব্র্যাক কাজ করছে, আমরা তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই। এখন থেকে জরুরি প্রয়োজনে আমরা অসুস্থ প্রবাসীদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিতে পারব। 

এর আগে দুপুরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ অর্থায়নে ইমপ্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্ট্রিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্টস (প্রত্যাশা-২) প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, যেহেতু মধ্যপ্রাচ্য থেকে চট্টগ্রামে অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আসে তাই অনেককেই আমরা দেখি অসহায় হয়ে ফেরত আসে। এই মানুষদের সহায়তা করতেই ব্র্যাক ঢাকার মতো শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ করছে। এখানে মানুষকে কাউন্সিলিং, খাবার, যাতায়াত, চিকিৎসাসহ নানা ধরনের জরুরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গত চার বছরে চার হাজারেরও বেশি মানুষকে এই ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মানবিক এই কাজের জন্য ব্র্যাককে ধন্যবাদ। আমরা সবার সঙ্গে মিলে যৌথভাবে এই কাজগুলো আরও বেশি এগিয়ে নিতে চাই যাতে বিমাবন্দরে প্রবাসীরা জরুরি সব সহায়তা পান। আমরা মনে করি সমন্বিতভাবে কাজ করলে আরও বেশি মানুষকে সহায়তা করা যাবে।

এ সময় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, এয়ারলাইন্স সমূহ ও অন্যান্য অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। 
সমন্বয় সভায় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর শরিফুল ইসলাম হাসান বলেন, বাংলাদেশের যে জেলাগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি লোক বিদেশে যায় চট্টগ্রাম তার শীর্ষে। তবে অনেক মানুষ যেমন বিদেশে যায় তেমনি শূন্য হাতে অনেক দেশে ফিরে। তাদের কল্যাণে আমরা প্রথমে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ শুরু করি। গত পাঁচ বছর ধরে পরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরেও সেই কাজ চলছে। আমরা মনে করি বিমানবন্দরে প্রবাসীদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি কাঠামো থাকা জরুরি। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে কাজ করতে যান তারা অনেক বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নন। তাদের আরও বেশি সচেতন করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টাস্কফোর্সের কমান্ডার উইং কমান্ডার রেজাউল হক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের জিএসও-টু স্কোয়াড্রন লিডার তারিক আজিজ মৃধা, সিভিল অ্যাভিয়েশনের সহকারী পরিচালক (ফায়ার) আবু মোহাম্মদ ওমর শরীফ, বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, চট্টগ্রামের মহিলা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ আশরিফা তানজীম প্রমূখ। 

তারেক মাহমুদ/মাহফুজ

অপারেশন ডেভিল হান্টে সিলেটে গ্রেপ্তার আরও ৬

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম
অপারেশন ডেভিল হান্টে সিলেটে গ্রেপ্তার আরও ৬
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অপারেশন ডেভিল হান্টে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে আরও ৬ জন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে এসএমপির মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- জৈন্তাপুর কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ (৩১), সিলেট নগরীর বাগবাড়ি এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী মো. সোহাগ (২৮), সিলেট জেলার ছাত্রলীগের সদস্য ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস (২৮), হাউজিং স্টেট এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী জুয়েল আহমদ (২৬), ৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সেক্রেটারি মো. খলিলুর রহমান (৫৪), খাদিমনগর ইউপির আওয়ামী লীগ কর্মী বাদশা মিয়া (৫০)

এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি জানান, মঙ্গলবার এদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

 

অস্ত্রের মুখে গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ভাড়াটিয়া

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৭ পিএম
অস্ত্রের মুখে গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ভাড়াটিয়া
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত হৃদয় বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় এক গৃহবধূকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ির ভাড়াটিয়া বলে জানা গেছে। ঘটনার পর ভুক্তভোগীর স্বামী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হৃদয় বিশ্বাসকে (২৭) গ্রেপ্তার করে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার হৃদয় বিশ্বাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তরা এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর জেলার একটি ইটভাটা থেকে হৃদয় বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি ভোরে শিবালয় উপজেলার শাকরাইল মিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ফজরের নামাজ পড়তে গৃহবধূর স্বামী মসজিদে গেলে অভিযুক্ত হৃদয় বিশ্বাস মুখোশ পরে বাড়ির বাউন্ডারি টপকে ঘরে প্রবেশ করে। দরজায় নক করলে গৃহবধূ স্বামী এসেছে ভেবে দরজা খুলে দেন এবং পুনরায় ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় হৃদয় বিশ্বাস ঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে ভয়ভীতি দেখায়। পরে পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

পরে গৃহবধূ তার শাশুড়িকে ঘটনা জানালে তিনি স্বামীকে খবর দেন। স্বামী বাড়ি ফিরে এলে পুরো ঘটনা জানতে পেরে থানায় মামলা করেন।

শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.আর.এম আল-মামুন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলার একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করি। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

আসাদ জামান/মাহফুজ

 

অন্যের স্ত্রীর ঘরে পুলিশ কর্মকর্তা, লাঠিপেটা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
অন্যের স্ত্রীর ঘরে পুলিশ কর্মকর্তা, লাঠিপেটা

রাজশাহীতে অন্যের স্ত্রীর ঘরে সোহেল রানা নামে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) রাত্রীযাপনের খবর পেয়ে লাঠিপেটা করেছেন স্থানীয় লোকজন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর মতিহার থানাধীন সাতবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গভীর রাতে ওই এএসআইকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে।

অন্যের স্ত্রীর ঘরে ধরা পড়া এএসআই সোহেল রানা রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে নগরের সাতবাড়িয়া মহল্লার এক নারীর ঘরে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে লাঠিপেটা করা হয়। মারধর করা হয় ওই নারীকেও। এসময় ওই এএসআই বলেন, তিনি কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন। এর ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে।

ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয়রা ওই নারী এবং এএসআইকে নানা জেরা করছে। জেরার ফাঁকে ফাঁকে লাঠি দিয়ে পেটানোও হচ্ছে। ওই নারীকে এ সময় বলতে শোনা যায়, ‘প্রচুর মেরেছে, প্রচুর।’ আর এএসআই সোহেল রানা বলেন, ‘আমি কালেমা পড়ে বিয়ে করেছি।’

জেরার মুখে তিনি জানান, তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। এই নারীকে তিনি ‘কালেমা পড়ে’ বিয়ে করেছেন। তবে ঘরে উপস্থিত ওই নারীর স্বামী বলতে থাকেন, স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদই হয়নি। এসময় ওই নারী বলেন, স্বামীকে তিনি মুখে মুখে তালাক দিয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এএসআই সোহেল রানা। ফলে মঙ্গলবার রাতে তাকে ওই নারীর ঘরে পেয়ে আটকে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার আগে কয়েকজন লাঠি দিয়ে তাকে পেটায়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, এএসআই সোহেল রানা মঙ্গলবার রাতে ডিউটি থাকায় একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার দায়িত্ব পালন করতে মতিহার থানা এলাকায় গিয়েছিলেন। তারপর রাত ১টার দিকে তিনি মতিহার থানা পুলিশের হাতে আটক হন বলে জানতে পেরেছি। এরচেয়ে বেশি কিছু আমার জানা নেই।

পরে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই নারীর স্বামী মাদক কারবারি। তার বাড়ি নগরের ডাসমারী মধ্যপাড়ায়। তিনি মাদক মামলায় বছর দেড়েক জেলে ছিলেন। এই সময়ে ওই নারী বাবার বাড়ি চলে যান। স্বামী জামিনে বের হলেও তিনি তার বাড়ি আসছিলেন না। তবে ওই নারীর সঙ্গে এএসআইয়ের বিয়ে কিংবা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালানোর বিষয়ে ওসি কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ঘটনাস্থল মতিহার থানা এলাকায় হওয়ায় ওই এএসআইকে সংশ্লিষ্ট থানা হেফাজতেই রাখা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, ওই এএসআই ও নারীর ভাষ্য অনুযায়ী এএসআই সোহেল রানা তাকে (নারীকে) তিনটি অটোরিকশা কিনে দেয়। সোহেল মাঝে মাঝে ওই নারীর কাছ থেকে ভাড়ার টাকা নিতে যেতেন। মঙ্গলবার রাতেও নাকি তিনি ভাড়ার টাকা আনতেই গিয়েছিলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের তদন্ত কাজ চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অপরাধের তথ্য কিংবা কেউ অভিযোগ করেনি। আমাদের ডিপার্টমেন্টাল যে আইন-কানুন রয়েছে সেই অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এনায়েত করিম/মাহফুজ