
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে নিরীহ কৃষককদের চর কাছিয়া ও কানিবগার চরের প্রায় ১ হাজার ৩০০ একর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে রায়পুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তফা গাজী, মোবারক আলী, বাদশা গাজী ও দক্ষিণ চর বংশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুনুর রশিদ হাওলাদার, বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ, উপজেলা কৃষকদলের সদস্যসচিব জিএম শামিম দলবল নিয়ে কৃষকদের নিযন্ত্রণে থাকা চরের এই খাসজমি জবর দখল করেছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চাষীরা।
তারা জানান, সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত এই জমিনগুলো তারা লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছেন।
গত আমন মৌসুমে কৃষকেরা তাদের জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। বর্তমানে তারা ওই জমিতে সয়াবিন, ডাল সহ বিভিন্ন ফসল চাষের উদ্যোগ নিলে বিএনপি নেতারা গিয়ে তাদের চাষাবাদে বাধা প্রদান করেছেন।
কৃষক গণি মিয়া বলেন, ‘বিএনপি নেতা বাদশা গাজী, মোবারক আলী, শামীম গাজী, হারুন হাওলাদাররা আমাদের চরের জমি দখলে নিয়েছে। তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।’
কৃষক কাদের আলী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের কারণে জমিতে আমরা চাষাবাদ করতে পারছি না।’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তফা গাজী বলেন, ‘আমি কারো জমি দখল করিনি। কাউকে মারধর করিনি।’ বিএনপির কেউ দখলকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নেই বলে দাবি করে এ নেতা।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক বাদশা গাজী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুতের পর চরে যেন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এজন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি। বহিষ্কৃত জামায়াত নেতাসহ কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে চরের জমি দখলের সঙ্গে আমার নাম জড়িয়েছেন। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই।’
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, ‘দুর্গম চরগুলোতে পেশিশক্তি দিয়ে কৃষকদের হয়রানি করার অভিযোগ পেয়েছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। আমি কৃষকদের প্ল্যাকার্ডে কিছু দখলদার ব্যক্তির নাম দেখেছি। বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।’
রফিকুল/তাওফিক/