ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ১৩০০ একর জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম
বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ১৩০০ একর জমি দখলের অভিযোগ
বিএনপি নেতারা জমি দখল করার প্রতিবাদে গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে নিরীহ কৃষককদের চর কাছিয়া ও কানিবগার চরের প্রায় ১ হাজার ৩০০ একর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। 

গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে রায়পুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তফা গাজী, মোবারক আলী, বাদশা গাজী ও দক্ষিণ চর বংশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুনুর রশিদ হাওলাদার, বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ, উপজেলা কৃষকদলের সদস্যসচিব জিএম শামিম দলবল নিয়ে কৃষকদের নিযন্ত্রণে থাকা চরের এই খাসজমি জবর দখল করেছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চাষীরা। 

তারা জানান, সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত এই জমিনগুলো তারা লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছেন।

গত আমন মৌসুমে কৃষকেরা তাদের জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। বর্তমানে তারা ওই জমিতে সয়াবিন, ডাল সহ বিভিন্ন ফসল চাষের উদ্যোগ নিলে বিএনপি নেতারা গিয়ে তাদের চাষাবাদে বাধা প্রদান করেছেন।

কৃষক গণি মিয়া বলেন, ‘বিএনপি নেতা বাদশা গাজী, মোবারক আলী, শামীম গাজী, হারুন হাওলাদাররা আমাদের চরের জমি দখলে নিয়েছে। তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।’

কৃষক কাদের আলী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের কারণে জমিতে আমরা চাষাবাদ করতে পারছি না।’

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তফা গাজী বলেন, ‘আমি কারো জমি দখল করিনি। কাউকে মারধর করিনি।’ বিএনপির কেউ দখলকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নেই বলে দাবি করে এ নেতা।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক বাদশা গাজী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুতের পর চরে যেন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এজন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি। বহিষ্কৃত জামায়াত নেতাসহ কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে চরের জমি দখলের সঙ্গে আমার নাম জড়িয়েছেন। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই।’ 

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, ‘দুর্গম চরগুলোতে পেশিশক্তি দিয়ে কৃষকদের হয়রানি করার অভিযোগ পেয়েছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। আমি কৃষকদের প্ল্যাকার্ডে কিছু দখলদার ব্যক্তির নাম দেখেছি। বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।’

রফিকুল/তাওফিক/

অসুস্থ যাত্রীদের জন্য শাহ আমানতে প্রথমবারের মতো অ্যাম্বুলেন্স সেবা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
অসুস্থ যাত্রীদের জন্য শাহ আমানতে প্রথমবারের মতো অ্যাম্বুলেন্স সেবা
সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি প্রয়োজনে এখন থেকে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা পাবেন আগত অসুস্থ প্রবাসী যাত্রীরা। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে এই সেবার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর। 

এ সময় ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল ইসলাম হাসান ও বিমানবন্দরের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন শেষে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, যেহেতু মধ্যপ্রাচ্য থেকে চট্টগ্রামে অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আসে তাই অনেক সময় জরুরিভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবার প্রয়োজন হয়। এই বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য ব্র্যাক কাজ করছে, আমরা তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই। এখন থেকে জরুরি প্রয়োজনে আমরা অসুস্থ প্রবাসীদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিতে পারব। 

এর আগে দুপুরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ অর্থায়নে ইমপ্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্ট্রিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্টস (প্রত্যাশা-২) প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, যেহেতু মধ্যপ্রাচ্য থেকে চট্টগ্রামে অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আসে তাই অনেককেই আমরা দেখি অসহায় হয়ে ফেরত আসে। এই মানুষদের সহায়তা করতেই ব্র্যাক ঢাকার মতো শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ করছে। এখানে মানুষকে কাউন্সিলিং, খাবার, যাতায়াত, চিকিৎসাসহ নানা ধরনের জরুরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গত চার বছরে চার হাজারেরও বেশি মানুষকে এই ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মানবিক এই কাজের জন্য ব্র্যাককে ধন্যবাদ। আমরা সবার সঙ্গে মিলে যৌথভাবে এই কাজগুলো আরও বেশি এগিয়ে নিতে চাই যাতে বিমাবন্দরে প্রবাসীরা জরুরি সব সহায়তা পান। আমরা মনে করি সমন্বিতভাবে কাজ করলে আরও বেশি মানুষকে সহায়তা করা যাবে।

এ সময় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, এয়ারলাইন্স সমূহ ও অন্যান্য অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। 
সমন্বয় সভায় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর শরিফুল ইসলাম হাসান বলেন, বাংলাদেশের যে জেলাগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি লোক বিদেশে যায় চট্টগ্রাম তার শীর্ষে। তবে অনেক মানুষ যেমন বিদেশে যায় তেমনি শূন্য হাতে অনেক দেশে ফিরে। তাদের কল্যাণে আমরা প্রথমে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ শুরু করি। গত পাঁচ বছর ধরে পরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরেও সেই কাজ চলছে। আমরা মনে করি বিমানবন্দরে প্রবাসীদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি কাঠামো থাকা জরুরি। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে কাজ করতে যান তারা অনেক বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নন। তাদের আরও বেশি সচেতন করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টাস্কফোর্সের কমান্ডার উইং কমান্ডার রেজাউল হক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের জিএসও-টু স্কোয়াড্রন লিডার তারিক আজিজ মৃধা, সিভিল অ্যাভিয়েশনের সহকারী পরিচালক (ফায়ার) আবু মোহাম্মদ ওমর শরীফ, বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, চট্টগ্রামের মহিলা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ আশরিফা তানজীম প্রমূখ। 

তারেক মাহমুদ/মাহফুজ

অপারেশন ডেভিল হান্টে সিলেটে গ্রেপ্তার আরও ৬

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম
অপারেশন ডেভিল হান্টে সিলেটে গ্রেপ্তার আরও ৬
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অপারেশন ডেভিল হান্টে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে আরও ৬ জন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে এসএমপির মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- জৈন্তাপুর কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ (৩১), সিলেট নগরীর বাগবাড়ি এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী মো. সোহাগ (২৮), সিলেট জেলার ছাত্রলীগের সদস্য ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস (২৮), হাউজিং স্টেট এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী জুয়েল আহমদ (২৬), ৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সেক্রেটারি মো. খলিলুর রহমান (৫৪), খাদিমনগর ইউপির আওয়ামী লীগ কর্মী বাদশা মিয়া (৫০)

এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি জানান, মঙ্গলবার এদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

 

অস্ত্রের মুখে গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ভাড়াটিয়া

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৭ পিএম
অস্ত্রের মুখে গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ভাড়াটিয়া
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত হৃদয় বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় এক গৃহবধূকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ির ভাড়াটিয়া বলে জানা গেছে। ঘটনার পর ভুক্তভোগীর স্বামী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হৃদয় বিশ্বাসকে (২৭) গ্রেপ্তার করে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার হৃদয় বিশ্বাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তরা এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর জেলার একটি ইটভাটা থেকে হৃদয় বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি ভোরে শিবালয় উপজেলার শাকরাইল মিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ফজরের নামাজ পড়তে গৃহবধূর স্বামী মসজিদে গেলে অভিযুক্ত হৃদয় বিশ্বাস মুখোশ পরে বাড়ির বাউন্ডারি টপকে ঘরে প্রবেশ করে। দরজায় নক করলে গৃহবধূ স্বামী এসেছে ভেবে দরজা খুলে দেন এবং পুনরায় ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় হৃদয় বিশ্বাস ঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে ভয়ভীতি দেখায়। পরে পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

পরে গৃহবধূ তার শাশুড়িকে ঘটনা জানালে তিনি স্বামীকে খবর দেন। স্বামী বাড়ি ফিরে এলে পুরো ঘটনা জানতে পেরে থানায় মামলা করেন।

শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.আর.এম আল-মামুন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলার একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করি। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

আসাদ জামান/মাহফুজ

 

অন্যের স্ত্রীর ঘরে পুলিশ কর্মকর্তা, লাঠিপেটা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
অন্যের স্ত্রীর ঘরে পুলিশ কর্মকর্তা, লাঠিপেটা

রাজশাহীতে অন্যের স্ত্রীর ঘরে সোহেল রানা নামে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) রাত্রীযাপনের খবর পেয়ে লাঠিপেটা করেছেন স্থানীয় লোকজন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর মতিহার থানাধীন সাতবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গভীর রাতে ওই এএসআইকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে।

অন্যের স্ত্রীর ঘরে ধরা পড়া এএসআই সোহেল রানা রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে নগরের সাতবাড়িয়া মহল্লার এক নারীর ঘরে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে লাঠিপেটা করা হয়। মারধর করা হয় ওই নারীকেও। এসময় ওই এএসআই বলেন, তিনি কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন। এর ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে।

ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয়রা ওই নারী এবং এএসআইকে নানা জেরা করছে। জেরার ফাঁকে ফাঁকে লাঠি দিয়ে পেটানোও হচ্ছে। ওই নারীকে এ সময় বলতে শোনা যায়, ‘প্রচুর মেরেছে, প্রচুর।’ আর এএসআই সোহেল রানা বলেন, ‘আমি কালেমা পড়ে বিয়ে করেছি।’

জেরার মুখে তিনি জানান, তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। এই নারীকে তিনি ‘কালেমা পড়ে’ বিয়ে করেছেন। তবে ঘরে উপস্থিত ওই নারীর স্বামী বলতে থাকেন, স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদই হয়নি। এসময় ওই নারী বলেন, স্বামীকে তিনি মুখে মুখে তালাক দিয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এএসআই সোহেল রানা। ফলে মঙ্গলবার রাতে তাকে ওই নারীর ঘরে পেয়ে আটকে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার আগে কয়েকজন লাঠি দিয়ে তাকে পেটায়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, এএসআই সোহেল রানা মঙ্গলবার রাতে ডিউটি থাকায় একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার দায়িত্ব পালন করতে মতিহার থানা এলাকায় গিয়েছিলেন। তারপর রাত ১টার দিকে তিনি মতিহার থানা পুলিশের হাতে আটক হন বলে জানতে পেরেছি। এরচেয়ে বেশি কিছু আমার জানা নেই।

পরে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই নারীর স্বামী মাদক কারবারি। তার বাড়ি নগরের ডাসমারী মধ্যপাড়ায়। তিনি মাদক মামলায় বছর দেড়েক জেলে ছিলেন। এই সময়ে ওই নারী বাবার বাড়ি চলে যান। স্বামী জামিনে বের হলেও তিনি তার বাড়ি আসছিলেন না। তবে ওই নারীর সঙ্গে এএসআইয়ের বিয়ে কিংবা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালানোর বিষয়ে ওসি কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ঘটনাস্থল মতিহার থানা এলাকায় হওয়ায় ওই এএসআইকে সংশ্লিষ্ট থানা হেফাজতেই রাখা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, ওই এএসআই ও নারীর ভাষ্য অনুযায়ী এএসআই সোহেল রানা তাকে (নারীকে) তিনটি অটোরিকশা কিনে দেয়। সোহেল মাঝে মাঝে ওই নারীর কাছ থেকে ভাড়ার টাকা নিতে যেতেন। মঙ্গলবার রাতেও নাকি তিনি ভাড়ার টাকা আনতেই গিয়েছিলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের তদন্ত কাজ চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অপরাধের তথ্য কিংবা কেউ অভিযোগ করেনি। আমাদের ডিপার্টমেন্টাল যে আইন-কানুন রয়েছে সেই অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এনায়েত করিম/মাহফুজ

ফের সড়কে আলু ফেলে কৃষকদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
ফের সড়কে আলু ফেলে কৃষকদের বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

আলু সংরক্ষণের হিমাগারগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহীতে আবারও সড়কে আলু ফেলে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলার পবা উপজেলার বায়া এলাকায় সরকার কোল্ড স্টোরেজের সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে কৃষকরা বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষুব্ধ কৃষকরা জানান, প্রতি কেজি আলু সংক্ষণের জন্য আগে রাজশাহীর হিমাগারগুলোকে চার টাকা ভাড়া দিতে হতো। এবার তা বাড়িয়ে আট টাকা করা হয়েছে। ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় তাদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই তারা দ্রুত আগের ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানান। হিমাগার ভাড়া না কমালে এবার তারা প্রয়োজনে আলু ফেলে দেবেন, কিন্তু হিমাগারে রাখবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে কৃষকরা ওই এলাকায় পথসভাও করেন। এসময় স্থানীয় বিএনপি তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল হক মিলন বলেন, হিমাগার মালিকেরা সিন্ডিকেট করে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বাড়িয়েছেন। এ ভাড়া কার্যকর হলে বাজারে আলুর দাম বাড়বে। এটি হতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে হিমাগার মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হবে।

এদিকে, আগের বছরগুলোতে আলু সংরক্ষণ করা হতো বস্তা হিসেবে। ৫০ কেজির প্রতি বস্তার জন্য ভাড়া নেওয়া হতো ৩৪০ টাকা। হিমাগার মালিকরা ৫০ কেজির বস্তাতেই আলু দেওয়ার কথা বললেও ফড়িয়ারা ৮০ কেজির বস্তাতেও আলু রাখতেন। এতে হিমাগার মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। তাই তারা এবার নতুন নিয়ম করেছেন। এবার কেজি হিসাবে সংরক্ষণ ভাড়া নেওয়া হবে।

হিমাগার মালিকরা জানান, ৫০ কেজির বস্তার জন্য আগে ৩৪০ টাকা নেওয়া হলে ভাড়া পড়তো ৬ টাকা ৮০ পয়সা। কিন্তু ফড়িয়ারা বস্তায় এত বেশি আলু দিতেন যে, ভাড়া পড়ত ৪ টাকা। অথচ বস্তায় ৫০ কেজির বেশি আলু না ঢোকানোর জন্য সরকারের নির্দেশনাও আছে। তা প্রতিপালন না করায় বাধ্য হয়েই তারা কেজি হিসেবে ৮ টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বলেন, ভাড়া কেন্দ্রীয়ভাবেই নির্ধারণ হয়। এবারও সেটাই হয়েছে। ৫০ কেজির বস্তার ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য তারা এবার কেজি হিসেবে গিয়েছেন। কারণ বেশি ওজনের বস্তা টানা হিমাগারের শ্রমিকদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। কেজি হিসাবে গেলেও এটা বলছেন না যে, ৮ টাকাই দিতে হবে। হিমাগার মালিকরা যে যার সক্ষমতা অনুযায়ী এ ব্যাপারে ছাড় দেবে।

এর আগে, গত ২ ফেব্রুয়ারি একই ঘটনায় জেলার মোহনপুর পরিষদ চত্বরে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন কৃষকেরা। এসময় তারা সড়কে আলু ফেলে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এনায়েত/সিফাত/