
মাত্র ৫ মাসেই পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে ১০ বছরের মো. শহিদুল ইসলাম। সে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ধলির বাড়ি এলাকার কৃষক আলমগীর সিকদারের ছেলে। পুরানগড় দারুল কোরআন নূরানী মাদরাসা হেফজখানা ও এতিমখানা থেকে কোরআন হেফজ সম্পন্ন করেছে সে।
জানা গেছে, শহিদুলের বাবা আলমগীর কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ৬ বছর বয়সে ছেলেকে পার্শ্ববর্তী একটি মাদরাসায় নুরানী বিভাগে ভর্তি করান তিনি। শহিদুলের মা নূর বেগমের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে কোরআনের হাফেজ বানাবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের মাঝামাঝিতে পুরানগড় দারুল কোরআন নূরানী মাদরাসা হেফজখানা ও এতিমখানায় ভর্তি করানো হয় তাকে। সেখানে ২ মাস নাজেরা বিভাগে পড়ার পর কোরআন সবক নেয় সে। এরপর মাত্র ৫ মাসেই পবিত্র কোরআন শরীফ হিফজ করে শহিদুল।
শহিদুল খবরের কাগজকে বলে, আমি প্রথমে ভেবেছিলাম পুরো কোরআন শরীফ হিফজ করা আমার জন্য অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আমার মা-বাবার দোয়া, শিক্ষকদের সহায়তা ও আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি অল্প সময়ের মধ্যে কোরআন শরীফ হিফজ করতে পেরেছি। আমার মায়ের স্বপ্নপূরণ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। এ ছাড়া আমার শিক্ষকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। শিক্ষকরা আমাকে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন।
কথা হয় শহিদুলের বাবা আলমগীরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি কৃষিকাজ করে পরিবারের ভরণপোষণ চালায়। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হলেও ছেলেকে কোনোকিছুতে কমতি রাখিনি। তার মায়ের ইচ্ছা ছিল তাকে কোরআনের হাফেজ বানানো। সে তার মায়ের স্বপ্নপূরণ করেছে। এতে আমাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন সবাই আনন্দিত। আমার ছেলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করছি।’
পুরানগড় দারুল কোরআন নূরানী মাদরাসা হেফজখানা ও এতিমখানার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, ‘শহিদুল অত্যন্ত মেধাবী একজন ছাত্র। আমার শিক্ষকতা জীবনে এমন মেধাধী ছাত্র খুবই কম দেখেছি। মাত্র ৫ মাসে সে কোরআন শরীফ মুখস্থ করেছে। এটি আমাদের মাদরাসা ও এলাকাবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। তাকে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরাও ব্যাপক উৎসাহ পাচ্ছে। আমরা আশা করছি, এ প্রতিভা কাজে লাগিয়ে সে একদিন বড় আলেম হবে।’
সালমান/