ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

খুমেকে দালালচক্র বেপরোয়া

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩১ এএম
খুমেকে দালালচক্র বেপরোয়া
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীদের ভিড়। ছবি: খবরের কাগজ

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সারি সারি মোটরসাইকেল দেখা যায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের (প্রেসক্রিপশন) ছবি তোলেন।

চিকিৎসক নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখেছেন কি না তা তারা যাচাই করেন। আগে থেকেই তারা চিকিৎসককে ওই কোম্পানির ওষুধ লিখতে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে থাকেন। একইভাবে বহির্বিভাগে রয়েছে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কমিশন এজেন্ট ও দালালের উৎপাত। 

সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও কমিশনের বিনিময়ে সাধারণ রোগীদের ওইসব ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানো হয়। অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে বাইরের ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে রোগীদের রীতিমতো ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নির্দিষ্ট প্যাথলজি ক্লিনিকের সঙ্গে কমিশন বাণিজ্যে জড়িয়েছেন হাসপাতালের কিছু চিকিৎসকও। এভাবে খোলামেলা কমিশন বাণিজ্যের কারণে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয় রোগীদের। গত দুই দিন সরেজমিনে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে এসব চিত্র দেখা যায়।  
   
রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বহির্বিভাগে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীর ভিড় বাড়লেও দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আসেন ১১টা-১২টার পর। তাদের অধিকাংশই রোগীর ব্যবস্থাপত্রে কোনো ধরনের ওষুধ লেখা ছাড়াই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট বেসরকারি প্যাথলজিতে পাঠিয়ে দেন। পরীক্ষার পর ওই রিপোর্ট পেতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। কিন্তু দুপুরের পর ওই চিকিৎসক চেম্বারেও থাকেন না। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীসহ তার স্বজনদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে কেন্দ্র করে এর আশপাশে গড়ে উঠেছে শতাধিক বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই দালালদের মাধ্যমে রোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে এনে এসব প্রতিষ্ঠানে চলছে টেস্ট বাণিজ্য। এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন প্যাথলজি বিভাগ, ডিপ্লোমাধারী প্যাথলজিস্ট নেই। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।

অভিযোগ রয়েছে, গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের টার্গেট করে চক্রটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে প্রতারণা করছে। ছোটখাটো জিনিস বিক্রি করে অনেকে চিকিৎসা নিতে এখানে আসেন। কিন্তু সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যান। হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় জরুরি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্যাথলজিতে ‘ইভিনিং সিফট’ চালু করা হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত সেখানে স্যাম্পল নেওয়া হবে এবং রাত ৯টার মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হবে। এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না তা নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।  

হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বামী খলিলুর রহমান জানান, তার স্ত্রী এক সপ্তাহ ধরে পেটের ব্যথায় ছটফট করছেন। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট দিয়েছেন। যার মধ্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়সহ সব পরীক্ষা দালালের মাধ্যমে বাইরের সুগন্ধা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করতে হয়েছে। নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক ছাড়া অন্য কোথাও থেকে পরীক্ষা করালে সেই রিপোর্ট চিকিৎসকরা দেখতে চান না। অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আবার মনগড়া রিপোর্টও দিয়ে থাকে।

খুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি হাসপাতালে প্যাথলজি সুবিধা থাকলেও কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্লিপ দিয়ে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে। যদি বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে হয়, তা হলে হাসপাতালের নার্স রক্ত সংগ্রহ করে দেবেন।

তার পর রোগীর স্বজনরা পছন্দমতো প্যাথলজিতে নিয়ে তা পরীক্ষা করবেন। কিন্তু কোনো চিকিৎসক তার পছন্দমতো ল্যাবে রোগী পাঠাবেন না। বাইরে থেকে কেউ হাসপাতালে এসে রোগীর রক্ত সংগ্রহ করতে পারবেন না। অপরাধ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিনি আরও বলেন, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের যখন-তখন হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। তারা হাসপাতালে ঢুকলে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়। নির্দেশনা না মানলে চিরদিনের জন্য তাদেরকে হাসপাতাল চত্বরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। 

খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহাসিন আলী ফরাজী বলেন, প্রতিদিন প্রায় ৫শ-৭শ রোগী বহির্বিভাগে আসেন। তাদের অধিকাংশই কোনো না কোনোভাবে ভোগান্তির শিকার হন। টিকিটের জন্য লাইনে থাকা অবস্থায় সেখান থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়া হয়। আমরা এই সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। বহির্বিভাগে চিকিৎসকের ব্যক্তিগত নামে কোনো কক্ষ থাকবে না। ফটকের বাইরে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধীনে মেডিকেল অফিসার পদবি লেখা থাকবে।

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ গোলাগুলি

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০২ পিএম
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ গোলাগুলি
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত এবং ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত এবং ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রাম ও সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্য এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এর আগে দুপুর ২টায় জগদীশপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ ও মোহাম্মদগঞ্জ বাজার মসজিদে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হন দুই গ্রামের বাসিন্দারা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সাদিপুর গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে প্রাইভেটকার ড্রাইভার লিকছন ও জগদীশপুর গ্রামের মৃত মনাফ মিয়ার ছেলে মিসুক ড্রাইভার বুতু মিয়ার মধ্যে টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে জগদীশপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, মোহাম্মদগঞ্জ বাজার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী দেশীয় অস্ত্রসহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গুলিবিদ্ধ ৬ জনকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- রুমান আহমেদ (২২), সোহাগ মিয়া (১৪), গফ্ফার হোসেন (২৫), ইমন মিয়া (২২), দুদু হোসেন (৪০) ও মাফুজ আহমেদ (২৫)।

জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, গুলিবিদ্ধ ৬ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তবে পুলিশ এখনো এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথপুর থানার ওসি মাহফুজ ইমতিয়াজ চৌধুরী।

সিফাত/

নারায়ণগঞ্জে মা-মামার সামনে আগুনে পুড়ে শিশু নিহত

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৯ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
নারায়ণগঞ্জে মা-মামার সামনে আগুনে পুড়ে শিশু নিহত
গ্যাস নেওয়ার সময় আগুন ধরে যাওয়া গাড়িটি। এই গাড়ির ভিতরেই ছিল শিশু জিহান। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মা ও মামার সামনেই জিহান নামের চার বছরের এক শিশু প্রাইভেটকারের ভিতরে আগুনে পুড়ে মারা গেছে। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রংধনু সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনে গাড়িতে গ্যাস নেওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত জিহান রূপগঞ্জের রূপসী এলাকার শরীফের ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, বিকেলে নিজবাড়ি রূপসী থেকে শিশু জিহান তার মা ও মামার সঙ্গে প্রাইভেটকারে খালারবাড়ি নরসিংদীতে যাচ্ছিল। পথে গ্যাস নিতে গাড়ি থামানো হয়। গ্যাস নেওয়ার সময় শিশু জিহানকে প্রাইভেটকারের ভিতরে রেখে তার মা ও মামা গাড়ির বাইরে আসলে হঠাৎ গাড়িতে আগুন জ্বলে ওঠে।  কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় গাড়ির ভিতরে থাকা শিশু জিহান পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এ দিকে আগুনে শিশু জিহাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজনরা ফিলিং ষ্টেশনে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ফিলিং ষ্টেশনের দায়িত্বরত কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

নিহত শিশুর স্বজনদের অভিযোগ, গ্যাস পাইপ লিকেজের বিষয়টি কর্মচারীদের জানানোর পরও তারা অবহেলা করে। ফলে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। শিশু জিহানের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তারা।

পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, নিহতের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিল্লাল হোসাইন/সুমন/

ফুলবাড়ীতে ৫ কৃষককে পেটালো বিএসএফ

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
ফুলবাড়ীতে ৫ কৃষককে পেটালো বিএসএফ
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালাতারী সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বাংলাদেশের পাঁচ কৃষককে পিটিয়ে আহত করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের বালাতারী আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার নং- ৯৩০ এস-এর কাছে এ ঘটনা ঘটে।

এতে শামছুল হক, জাবেদ আলী, তাজুল ইসলাম,কাশেম আলী ও রিপন আহত হন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএসএফের লাঠিচার্জে পাঁচ বাংলাদেশি কৃষক আহত হওয়ার ঘটনায় সীমান্তবাসীরা তীব্র প্রতিবাদ জানালেও উপস্থিত বিজিবি সদস্যরা তেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। এ সময় বিজিবির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন সীমান্তবাসীরা।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ভারতের নারায়ণগঞ্জ ১৩৮ ব্যাটালিয়নের ১২ থেকে ১৩ জন বিএসএফ সদস্য কাঁটাতার পার হয়ে সীমান্তের শূণ্য রেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের প্রায় ৫০০ গজ অভ্যান্তরে প্রবেশ করেন।

এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের কথা কাটাকাটি হলে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে বিএসএফ সদস্যরা।

ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় আরও লোকজন লাঠি হাতে সীমান্তে আসলে উত্তেজনা শুরু হয়।  পরে বিএসএফ সদস্যরা ভারতের অভ্যান্তরে ফিরে যায়। 

এ প্রসঙ্গে গোরকমন্ডল বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার দেলবর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বর্তমানে সীমান্তে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।’

অন্যদিকে এ বিষয়ে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাকিল আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে বাংলাদেশিদের মারধর করবে এটা এতো সহজ নয়। তবে বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।’

সিরাজ/সুমন/

নড়াইলের শেখ রাসেল সেতুর নতুন নাম শহিদ সালাউদ্দিন সেতু

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
নড়াইলের শেখ রাসেল সেতুর নতুন নাম শহিদ সালাউদ্দিন সেতু
সেতুটির নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘শহিদ সালাউদ্দিন সেতু’। ছবি: ইউএনবি

নড়াইল শহরের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় চিত্রা নদীর ওপর নির্মিত শেখ রাসেল সেতুর নামফলকের মূল অংশ ভেঙে সেতুটির নতুন নামকরণ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। সেতুটির নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘শহিদ সালাউদ্দিন সেতু’।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াইল জেলার সদস্যসচিব শাফায়াত উল্লাহর নেতৃত্বে সেতুর পূর্ব পাশে থাকা নামফলক ভেঙে ফেলা হয় ও নাম পরিবর্তন করে সেতুর দুই পাশে বড় করে দুটি ব্যানার টাঙানো হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সদস্যসচিব আমিরুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান, মুখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমানসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বলেন, দেশের কোনো স্থাপনায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পরিবারসহ কারও নাম রাখা হবে না। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নড়াইলের শহিদ সালাউদ্দিন সুমনের নামে সেতুটির নাম পরিবর্তন করে ‘শহিদ সালাউদ্দিন সেতু’ নাম দিয়েছি।

সদস্যসচিব শাফায়াত উল্লাহ বলেন, ‘নড়াইলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু, যার নাম ছিল শেখ রাসেল সেতু। আজ সেটির নাম পরিবর্তন করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ সালাউদ্দিন ভাইয়ের নামে নামকরণ করে দিলাম। এরপর খাতা-কলমে সেতুটির নাম পরিবর্তনের জন্য আমরা আবেদন করব।’

তিনি বলেন, ‘নড়াইলসহ সারা দেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের নামে কোনো স্থাপনা থাকবে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সব সময় রাজপথে থাকবে।’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৯ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেলের নামে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র: ইউএনবি

সিফাত/

আগস্টে লুট হওয়া অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
আগস্টে লুট হওয়া অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
থানা থেকে অস্ত্র লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবক ইউসুফ শান্ত (২৪) যুবক। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রসহ ইউসুফ শান্ত (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি থানা থেকে অস্ত্র লুট করা ওই যুবক নগরীর চৌমুহনী চারিয়াপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। এরপর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে আরও দুজন জড়িত ছিল বলে জানতে পেরেছি। তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’ 

এ ছাড়া পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তি গত ৫ আগস্টে থানা ভাঙচুরের সময় অস্ত্র লুটের কথা স্বীকার করেছে। 

সুমন/