ঢাকা ২৯ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

দেশজুড়ে কদর ভান্ডারি মুলার

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৬ এএম
আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
দেশজুড়ে কদর ভান্ডারি মুলার
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ভান্ডারি মুলা হাতে এক কৃষক। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বিখ্যাত ‘ভান্ডারি মুলা’র জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। দেশজুড়ে রয়েছে এ মুলার চাহিদা। প্রতিটি মুলার ওজন হয় ৫ থেকে ১৪ কেজি পর্যন্ত। আকারে বিশাল এবং স্বাদে অসাধারণ। স্থানীয়ভাবে এটি ‘ভান্ডারি মুলা’ নামে পরিচিত হলেও এর জাত আসলে জাপানের। 

ফটিকছড়িতে অবস্থিত মাইজভান্ডার দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা হজরত আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারি রাহমাতুল্লাহি আলাইহির ওরশ ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি) উপলক্ষে আগত আশেকভক্ত জায়েরনি ও দর্শনার্থীদের কাছে এই মুলার চাহিদা অত্যন্ত বেশি। এ সময় স্থানীয় কৃষকরাও মুলা বিক্রির জন্য অপেক্ষা করেন। দরবারে আগত ভক্ত-অনুরক্তরা এ মুলা রোদে শুকিয়ে দীর্ঘদিন রেখে তবারুক হিসেবেও খান বলে প্রবাদ আছে। ফটিকছড়ির হালদার চরে জমে থাকা পলি-বালি মিশ্রিত জমিতে বিশাল আকারের এ মুলার উৎপাদন হয়। 

এদিকে এ কৃষি ফসল নিয়ে রীতিমতো শুরু হয়েছে গবেষণা। মুলা কেন এ বিশাল আকারের হয়? অন্য কোনো উপজেলায় হয় না কেন? দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর চাষাবাদ কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, এর জন্য গবেষণা চালানো হচ্ছে।

ভান্ডারি মুলার খেত ঘুরে দেখা গেছে, এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। শুক্রবার মাইজভান্ডার দরবারের ওরশ। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে বিক্রি শুরু হবে এটি। চলবে শনিবার পর্যন্ত। তাই বুধবার সকালে খেত থেকে তোলা হচ্ছে মুলা। খেতে দেখা যায়, কৃষকদের মধ্যে কেউ মুলার ঝুঁটিতে সুতা বাঁধছেন, কেউ পানিতে মুলাকে ধুয়ে পরিষ্কার করছেন। আর কেউ মুলাকে সড়কের পাশে নিয়ে স্তূপ করে রাখছেন। প্রতিটি মুলার ওজন ২ থেকে ১২ কেজি পর্যন্ত হয়। 

নাজিরহাট পৌরসভা, সুন্দরপুর, সুয়াবিল ইউনিয়নসহ হালদা নদীর অববাহিকায় চাষিরা এই মুলা উৎপাদন করেছেন। তাদের খেতগুলো দেখে মুগ্ধতা জাগে। খেতের মুলা তোলার জন্য শ্রমিকদের পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনও যোগ দিয়েছেন। খেত থেকে তুলে নিয়ে মুলা নাজিরহাট ঝংকার মোড় থেকে মাইজভান্ডার দরবার শরিফ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে পসরা সাজিয়ে বিক্রি করা হয়।

একেকটি মুলা ৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। তবে চাষিরা জানান, উৎপাদন খরচ বাড়ার কারণে মুনাফা আগের মতো হচ্ছে না। অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে মুলার আকার ও চাহিদার কারণে কৃষকরা আশাবাদী, ওরশে ভালো দাম পাবেন।

কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলাল হোসেন জানান, এ মুলার সর্বোচ্চ ওজন ১২ থেকে ১৫ কেজি হয়ে থাকে। বর্তমানে ২ থেকে ১০ কেজি ওজন পর্যন্ত মুলা হয়েছে। সাধারণত এত বড় মুলা দেশের আর কোথাও উৎপাদন হয় না। এই মুলার নাম ‘জাপানি হাইব্রিড তাসাকিসান’ মুলা।

ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারে বিক্রি হয় বলে স্থানীয়রা নাম দিয়েছেন ‘ভান্ডারি মুলা’। হাইব্রিড জাতের এই মুলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদী, ধুরুং ও সর্তাখালের বিস্তীর্ণ চরে উৎপাদিত হয়। বিশেষ করে নাজিরহাট পৌরসভা, সুয়াবিল, সুন্দরপুর, বৃহৎ কাঞ্চননগর দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা, ধুরুংখাল এবং খিরাম দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তাখালের চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে কৃষিকাজ। এসব এলাকায় ভান্ডারি মুলার চাষ হয়ে থাকে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এবার হালদার চরে ৫০ হেক্টর জমিতে মুলার চাষ হয়েছে। প্রতিবছরের অক্টোবর থেকে ভান্ডারি মুলা রোপণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। উৎপাদনে বিভিন্ন দেশীয় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এই মুলার চাষাবাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। এক অজ্ঞাত রোগের কারণে উৎপাদিত অনেক মুলা নষ্ট হচ্ছে। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন অনেক চাষি। কৃষিসংশ্লিষ্টদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন চাষিরা।

এর আগে রহস্য উন্মোচনে ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি হাটহাজারীর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের একদল বিজ্ঞানী ফটিকছড়ির সুয়াবিল ও সুন্দরপুর ইউনিয়নের হালদার চর পরিদর্শন করেছিলেন। ওই কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম হারুনর রশীদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘মুলার জাত ও মাটির গুণাগুণের কারণে হালদার চরে বৃহৎ আকারের মুলা উৎপাদন হয়। কৃষকদের কাঠোর পরিশ্রম, যথা সময়ে সার-কীটনাশকের সঠিক ব্যবহারে এই মুলার আকৃতি বড় হচ্ছে। মাঘ মাসের ওরশকে কেন্দ্র করে আয়ের লক্ষ্য স্থির করে চাষিরা ওই মুলার পেছনে সময় দিচ্ছেন বলেই উৎপাদন আশানুরূপ হচ্ছে। তবে এ মুলা নিয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে।

নাজিরহাট পৌরসভার সুয়াবিলের নাইচ্চ্যরঘাটের হালদা চরের কৃষক মুহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি তিন কানি (১২০ শতাংশ) জমিতে ভান্ডারি মুলা চাষ করেছি। এবার খেতে পাঁচ হাজার পিস মুলা উৎপাদন হয়েছে। লক্ষ্য হচ্ছে, সব খরচ বাদ দিয়ে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা লাভ হবে। প্রবাস ছেড়ে এসে মুলার চাষ করছি।’

ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, ‘চরের মাটি খুবই উর্বর এবং উৎপাদিত ফসল অত্যন্ত পুষ্টিকর। চলতি বছর ভান্ডারি মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। এটি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এবার কৃষকরা ভালো দাম পাবেন এই মুলা বিক্রি করে।’

জয়িতা সম্মাননা পেলেন রাজশাহী বিভাগের অদম্য ৫ নারী

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১০ পিএম
জয়িতা সম্মাননা পেলেন রাজশাহী বিভাগের অদম্য ৫ নারী
ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহী বিভাগের পাঁচ অদম্য নারীকে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। অদম্য নারী পুরস্কার-২০২৪ কার্যক্রমের আওতায় মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে তাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়। তৃণমূল পর্যায়ের সংগ্রামী নারীদের আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা থেকে নির্বাচিত ৩৯ জন নারীর মধ্য থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে পাঁচটি বিভাগে পাঁচজন অদম্য নারীকে শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী হিসাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ বছর অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে নওগাঁর সাপাহারের সেফালী খাতুন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জের চৌহালীর আয়শা সিদ্দিকা, সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের লাইলী বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী ক্যাটাগরিতে নওগাঁ সদরের শাবানা বানু এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ক্যাটাগরিতে রাজশাহীর পবা উপজেলার বিলকিস বেগম শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী নির্বাচিত হন। অনুষ্ঠানের শুরুতে অদম্য নারীদের ফুলের মালা ও উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও সনদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান। তিনি বলেন, ‘অদম্যদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না। পুরস্কারে ভূষিত হন বা না হন নারীরা সবাই অদম্য।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ২০১৩ সাল থেকে অদম্য নারী পুরস্কার ধারাবাহিকভাবে দিয়ে আসছি। পুরস্কারটি মূলত নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরকেও অনুপ্রাণিত করতে প্রদান করা হচ্ছে। নারীরা পুরুষদেরই অংশ। নারীর উন্নয়ন পুরুষদের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়।  আমরা সেই সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে চাই যেখানে নারীদের সুবিধা বঞ্চিত অবস্থান থেকে উঠে আসার গল্প শোনাতে হবে না। কোনো নারীর জীবনে নির্যাতন যেন আর না হয়। আমরা সবাই যেন সমভাবে এগিয়ে যেতে পারি। সে উদ্দেশে আমরা সবাই কাজ করতে চাই।’

বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি দ্বীন মোহাম্মদ, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মনির হোসেন ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তরফদার মো. আক্তার জামীল। এছাড়াও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক শবনম শিরিন বক্তব্য রাখেন।

মাহফুজ

আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্ব উদ্বোধন

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ পিএম
আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্ব উদ্বোধন
ছবি: সংগৃহীত

আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্বের খেলার উদ্বোধন হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিলেট নগরীর উপশহর পয়েন্টের সিলেট ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে সিলেট পর্বের খেলা উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় ও জমকালো আয়োজনে অত্যন্ত আনন্দপূর্ণ ও শৃঙ্খলভাবে খেলাটি সম্পন্ন হয়। খেলায় লাল ও সবুজ দলে বিভক্ত হয়ে জাতীয় ফুটবল দলের বর্তমান ও সাবেক তারকা খেলোয়াড়গণ অংশগ্রহণ করে। খেলায় সবুজ দল ১-০ গোলে লালকে পরাজিত করে। খেলায় সবুজ দলের গোলদাতা দিলোয়ার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্বের সমন্বয়ক মিফতাহ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক, টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ডা. শামীমুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুল করিম ময়ুন, ফয়সল চৌধুরী ও মিজানুর রহমান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, আজকে ক্রিকেটের যে উন্নয়ন তা করেছিলেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো। তিনি রাজনীতির বাইরে থেকে খেলাকে খেলা হিসেবে দেখে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। আজকে যে ক্রিকেট আমরা দেখতে পাই সেই ক্রিকেটের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দায়িত্বে আশার পর তিনি ক্রীড়াঙ্গনকে জাগিয়ে তুলেছিলেন।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও বাংলাদেশে একজন স্বৈরশাসক ক্ষমতায় ছিলেন। আমরা পৃথিবীর বুকে বহু স্বৈরশাসককে চিনি। তাদের ওপর বহু বই আছে। কিন্তু কোনো স্বৈরাচারকে আমরা কখনো বলতে শুনিনি আমার ক্ষমতা দরকার। আমাদের দেশের স্বৈরাচার কখনো বলেনি আমার মানুষের ভালোবাসা দরকার। কখনো তিনি বলেননি মানুষ খেতে পাচ্ছে না, আমি খাবার তুলে দিতে চাই। আমরা শুনেছি তিনি বলেছেন আমার ক্ষমতাটাই দরকার। এমন ক্ষমতালোভী কোনো স্বৈরাচার ছিল না।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

 

গাজীপুর জেলা কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
গাজীপুর জেলা কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, তদন্ত কমিটি গঠন
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

গাজীপুর জেলা কারাগারের ভেতর দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ওমর ফারুক (৩৩) গলায় কম্বল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এঘটনায় জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে গাজীপুর জেলা কারাগারের ভেতর গলায় কম্বল পেঁচিয়ে কয়েদী ওমর ফারুক আত্মহত্যা করেন বলে জানান কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের।

জেল সুপার জানান, সোমবার রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে দক্ষিণ পাশে ১নং সেলের গরাদের সঙ্গে কম্বল পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। কর্তব্যরত কারাগারের কর্মচারীরা ঘটনাটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে সেলের তালা খুলে তাকে গলার ফাঁস মুক্ত করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্মাসিস্টকে খবর দেয়। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসার জন্য শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কয়েদি ওমর ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে।’ 

তিনি জানান, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ওমর ফারুককে এ কারাগারে আনা হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি তাকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশের আদেশ দেন গাজীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গত ২৯ জানুয়ারি কয়েদি ওমর ফারুক গাজীপুর জেলা কারাগারের সার্জেন্ট ইন্সট্রাকটর মো. ফয়েজ উদ্দিনকে কেইস টেবিলে মারধর করে রক্তাক্ত করে। পরে তার বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ সদর মেট্টো থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কারা উপমহাপরিদর্শক মো: জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত এক পত্রে তথ্য জানা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার আল মামুন, কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার সর্বোত্তম দেওয়ান ও কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ ইব্রাহীম। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ

 

ডোমারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
ডোমারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি:

নীলফামারীর জেলার ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ডোমার উপজেলা পরিষদ চত্বরে গনতন্ত্রকামী, ফ্যাসিস্ট বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা অবৈধ সরকারের সুবিধাভোগী, ফ্যাসিস্ট, গণহত্যাকারী, এমপিও সিন্ডিকেট ও নিয়োগ বাণিজ্যের হোতা, দুর্নীতিবাজ ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাকেরিনা বেগমের অপসারণের দাবি জানাই।’ 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নানাভাবে অবৈধ সুবিধা ভোগ করেছে। নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে। ডোমারে একক সাম্রাজ্য তৈরী করে রেখেছে সাকেরিণা বেগম।’

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ডোমার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ বিন আমিন সুমন, ডোমার পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর আলী, তালতলি বিজনেস ম্যানজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গোলাপ হোসেন, সাহেবপারা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শফিউল বারী বুলবুল, মহিলা দলের সভাপতি আসমত আরা লাকী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা শরিফ হোসেন, বামুনিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনছুর আলী প্রমূখ।

মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলমের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেন। এসময় তিনি শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন ।

এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাকেরিনা বেগম সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে এসব মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমি এসবের কিছু জানি না।’ 

মমিনুর আজাদ/মাহফুজ

 

মৌলভীবাজারে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার ৪৪

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
মৌলভীবাজারে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার ৪৪

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সারাদেশে একযোগে পরিচালিত হচ্ছে অপারেশন ডেভিল হান্ট। বিশেষ এই অভিযানের অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারে গত দুইদিনে জেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৪৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।

পুলিশ জানায়, গত দুইদিনে জেলার বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৪৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি করুণাময় দেব এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালেক, বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর আওয়ামী লীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ফয়জুর রহমান, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাধাকান্ত দাস, কুলাউড়া উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ, জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুন নূর ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কালাপুর ইউনিয়নের সহসভাপতি নাসিমুর রহমান মাশরাফি। এ ছাড়াও গ্রেপ্তার বাকিরা জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মী।

পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পুলক পুরকায়স্থ/মাহফুজ