
মৌলভীবাজারে দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে প্রকৃতি। একই সঙ্গে বাতাস ও কনকনে শীতের কারণে মাঠে যেতে পারছেন না চাষিরা। দিনমজুররা ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন না। এমন আবহাওয়ায় জীবিকার তাগিদে অনেকে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হলেও তাদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।
শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান।
এদিকে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে কনকনে শীত ও রাতে ঘন কুয়াশার কারণে বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা বাগানের চা শ্রমিক পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাওরাঞ্চল খোলামেলা থাকায় হিমেল হাওয়ায় বেশি কষ্ট হচ্ছে হাওরপাড়ের মানুষের। পাশাপাশি শহর এলাকায় নিম্নআয়ের মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। শীত উপেক্ষা করে ভোরে কাজে বের হতে হয় তাদের।
সদরের চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের সবজি বিক্রেতা সোহান আহমেদ বলেন, দুই দিন ধরে খুবই কুয়াশা পড়ছে। সকাল ৯টা বাজলেও সূর্যের দেখা নেই। ক্রেতা না এলে বেচাকেনা তেমন হয় না।
রিকশাচালক হাছন আলী বলেন, এই শীতেও রিকশা নিয়ে বেড়িয়েছি, রুজি তো করতে হবে।
মৌলভীবাজারের চা বাগানের চা শ্রমিক সুমন কুর্মি বলেন, আমরা তো গরিব মানুষ। আমাদের শীতে, রোদে, বৃষ্টিতে ভিজেও কাজ করতে হয়। নইলে খাব কি?
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দুদিন ধরে রোদের দেখা মেলেনি। তাপমাত্রা নিচে নামলেও রোদ না থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
পুলক পুরকায়স্থ/জোবাইদা/