ঢাকা ৮ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
English

বরিশালে আমু, সাদিক ও সবুর খানের বাড়ি ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম
বরিশালে আমু, সাদিক ও সবুর খানের বাড়ি ভাঙচুর
ভাঙচুর দেখেতে মানুষের ভিড়। ছবি: খবরের কাগজ

বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ  ছাত্র-জনতা। তারা বাড়ি দুইটির সীমানা প্রাচীর, প্রধান ফটক ও বাড়ির সামনের অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।  পাশাপাশি আসবাবপত্রে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ওই দুই বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একইসঙ্গে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠান অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড চেয়ারম্যান আবদুস সবুর খানের বাসভবন।

নগরীর কালিবাড়ি রোডের ‘সেরনিয়বাত ভবন’টি শেখ হাসিনার ফুপা সাবেক মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাড়ি। ওই বাড়িতে বসবাস করতেন রব সেরনিয়াবাতের দৌহিত্র ও আওয়ামী লীগের প্রভাশালী নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লার বড় ছেলে সাবেক মেয়র সেরনিয়বাত সাদিক আবদুল্লাহ। নগরীর বগুড়া রোডে একই কম্পাউন্ডে আমির হোসেন আমু ও আবদুস সবুর খানের বাড়ি। সম্পর্কে তারা দুইজন আপন মামাতো-ফুপাতো ভাই।

ছবি: খবরের কাগজ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল অধিবেশনকে কেন্দ্র করে ‘দেশব্যাপী বুলডোজার-৩২ কর্মসূচি’র ঘোষণার পর বরিশালেও উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১১টার দিকেই নগরীর কালিবাড়ি রোডের সেরনিয়াবাত ভবনটি পুলিশ ঘিরে রাখে। ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কালিবাড়ি রোডে আসেন। প্রায় একই সময়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে কালিবাড়ি রোডের সেরনিয়াবাত ভবনমুখী হন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সড়কের দুইপাশ থেকেই প্রবেশে বাধা দিলেও ছাত্র-জনতা তা উপেক্ষা করে সেরনিয়াবাত ভবনের ভেতর ঢুকে যান। এসময় তারা পরিত্যক্ত বাড়ির বিভিন্ন তলায় গিয়ে পড়ে থাকা ভাঙা আসবাবপত্র ও গ্লাস ভাঙচুর করে।

পরে রাত ১টার দিকে এক্সকেভেটর এনে বাড়ি ভাঙার জন্য ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাতে বাধা দেন। কিন্তু শিক্ষর্থীরা সেই বাধা উপেক্ষা করে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবনের সীমানাপ্রাচীর গুঁড়িয়ে দেয়। পরে তারা ভেতরে প্রবেশ করে ভবনের সামনের অংশ, গাড়ির গেরেজ ও টিনসেডের অংশবিশেষ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। পরে তারা নগরীর বগুড়া রোডের আমির হোসেন আমুর বাসভবন ভাঙচুর চালায়। সেখানে একতলা ভবনের সামনের অংশ, একটি দ্বিতল ভবনের সামনের অংশ এবং সীমানা প্রাচীর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় তারা।

পরে রাত আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা এক্সকেভেটর দিয়ে আমির হোসেন আমুর বাসভবনের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশে করে ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি ভেতরে থাকা বিভিন্ন মালামাল বাড়ির সামনে জড়ো করে তাতে অগ্নিসংযোগ করে। ওই সময়ে কিছু মানুষ বিভিন্ন মালামাল লুট করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তাতে বাধা দেয়। 

ছবি: খবরের কাগজ

এদিকে সরেজমিনের ওই দুই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সের ও নানা শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ ওই বাড়ির সামনে ভিড় করছেন। তারা কেউ কেউ ভিডিও করছেন, কেউ কেউ ছবি তুলছে। আবার বাড়ির ভেতরের বিভিন্ন কক্ষে বারান্দায় বসে সেলফি তুলছেন।  

সেরনিয়াবাত ভবনে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১১টা পর্যন্ত দুই তলা বিশিষ্ট ভবনের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। সকাল থেকে শত শত মানুষ বাড়ির সামেনে ভিড় করেছে পোড়া বাড়ি দেখার জন্য। এতে দুপুর ৩টা পর্যন্ত কালী বাড়ির রোডে যানজটের সৃষ্টি হয়। 

এদিকে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে নগরীর বগুড়া রোডের আমির হোসেন আমুর বাড়ির প্রধান ফটক ও সীমানা প্রাচীর এক্সকেভেটর দিয়ে ভেঙে ফেলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ সময়ে কিশোর বয়সের কয়েকজন হাতুড়ি, লোহার রড ও বিভিন্ন সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বাড়িরটি দুইতলা ও নিচতলায় দরজা জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করছে। পাশাপাশি গত ৫ আগস্ট বিকেল লুটের পরে বাড়িতে থাকা অবশিষ্ট ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র অটোরিকশাযোগে এবং হাতে করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এদিকে ওই কম্পাউন্ডে থাকা অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড চেয়ারম্যান আবদুস সবুর খানের বাড়িতে ওই কিশোররা প্রবেশ করে তিনতলার বাড়ির প্রায় ২০টি কক্ষে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরে করে। 

স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্ট আমির হোসেন আমুর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হলেও সবুর খানের বাড়ির কাছে কেউ আসেনি। কিন্তু গতকাল রাত ১১টার পরে তিন চারজন কিশোর ওই ভবনের ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় নানা বয়সের নারী ও বেশ কিছু শিক্ষার্থীরা।

তারা বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে আলমিরা, ওয়ারড্রব, শোকেস, বুক সেলফ, শিশুদের বিভিন্ন প্রকার খেলনা, রান্না ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময়ে নারী ও কিশোরদের বিভিন্ন জিনিসপত্র ব্যাগ ও বস্তা ভরতে দেখা যায়। বিভিন্ন কক্ষে থাকা এসি, ফ্যান, বই, রানা ঘরের বিভিন্ন উপকরণ, লেপ-তোশক, কাঁথা-বালিশসহ বিভিন্ন মামলামাল লুট করা হয়।

বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের বাহিরে থেকে পালাতক, খুনি, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসররা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। দেশের ভেতরে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার পায়তারা করছে। ফ্যাসিস্টদের মূল উৎপাটনে জনগণের টাকায় বানানো বাড়িঘরে আজকের এ প্রোগ্রাম।

নাঈম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কালিবাড়ি রোড ও বগুড়া রোডের এ ভবনগুলোতে ফ্যাসিবাদের আস্তানা। আমরা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো আস্তানা রাখতে চাই না। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মানুষের কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন আজকের কর্মকাণ্ড। তাই বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্যাসিবাদের দোসরদের আস্তানা ভেঙে দিচ্ছে।

তবে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ কোনো বক্তব্য দিতে কেউ রাজি হননি।   

উল্লেখ্য ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবরের পর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর কালিবাড়ি রোডের বাসভবন এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর বগুড়া রোডের বাসভবনে আগুন দিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। যে ঘটনায় সাদিক আব্দুল্লাহর বাসা থেকে বিসিসির সাবেক প্যানেল মেয়র গাজি নইমুল ইসলাম লিটুসহ তিন আওয়ামী লীগ কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। 

মঈনুল ইসলাম সবুজ/মাহফুজ

 

সংস্কারের সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: শামা ওবায়েদ

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:০১ পিএম
সংস্কারের সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: শামা ওবায়েদ
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু অন্তবর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা এদেশের একটি ক্রান্তিকালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের আপনাদের ওপর ভরসা রয়েছে। আমরা সকলেই চাই আপনারা সফল হন। কিন্তু আপনাদের সফলতা তখনই হবে, যখন সংস্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার এম এন একাডেমী স্কুল মাঠে নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শামা ওবায়েদ বলেন, সংস্কারের অংশকে শেখ হাসিনা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। এখন সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের যে প্রধান মৌলিক অধিকার, মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার, সেটি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলেই আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত সংসদ পাব। আর সেই সংসদ সদস্যরা সংসদে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কথা বলবে, দেশের জন্য কথা বলবে। 

তিনি বলেন, যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। সংস্কারের নামে যারা কালক্ষেপণ করতে চায় তারা কেউ দেশের ভালো চায় না। তারা দেশের শত্রু, তারা গণতন্ত্রের শত্রু। 

নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী শরীফ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহিন, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ সভাপতি কে এম জাফর প্রমুখ।  

পরে মহুরমের রুহের মাগফিরাত কামনা, দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। 
 
সঞ্জিব দাস/মাহফুজ

 

গোরস্থানের জমির দখল দ্বন্দ্বে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা নিহত

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:২০ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:২১ পিএম
গোরস্থানের জমির দখল দ্বন্দ্বে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা নিহত
নিহত নজিম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে গোরস্থানের জমির দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচার মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩ জন। আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

নিহত ওই ব্যক্তির নাম নজিম উদ্দিন (৫০) ওরফে নজি। তিনি নওপাড়া গ্রামে আলাউদ্দিনের ছেলে।

আহতরা হলেন একই এলাকার বন্দে আলীর ছেলে ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), সিরাজ উদ্দিনের ছেলে ও ছাত্রদল কর্মী আরিফুল ইসলাম (৩৮) এবং বাবু মিয়া (৪৫)।

স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, স্থানীয় সামাদ মৌলভী ১৯৯১ সালে তার প্রায় ১১ শতক জমি নওপাড়া গেরস্থানে দান করেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ২০০৮ সালে সামাদের ছেলে গণি ও মেয়েরা ওই জমি ওয়ারিশমূলে মালিক দেখিয়ে মহারাজপুরের আজিমের কাছে বিক্রি করে। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে গ্রাম প্রধান ও গণির চাচাত ভাই জাহাঙ্গীর আলম, আরিফুল, দুলাল ও নজিসহ ১০-১৫ জনকে আসামি করে গণি, আজম ও গণির ছেলে ফারুক এবং সবুজ বিভিন্ন মিথ্যা দাবিতে ১১টি মামলা করে। 

অপরদিকে ওই গোরস্থানের জমিটি আদালতের মাধ্যমে ডিক্রি পায় গোরস্থান। কিন্তু নানা অজুহাতে ওই জমির দখল দেয়নি গণি ও তার শরিকরা। ওই জমি সংলগ্ন পাশের জমিটিও বিক্রি করে গণিরা। ওই পাশের জমির বর্তমান ক্রেতার লিজ গ্রহিতা জমিটিতে কাজ শুরু করলে গোরস্থান কমিটি ও গ্রাম প্রধানরা বাধা দিয়ে বলে, গোরস্থানের জমির দখল বুঝিয়ে দিলে তখন কাজ করতে তাদের বাধা নেই। 

বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গণির ছেলে ফারুক ও সবুজের সঙ্গে চাচা নজুর তর্কাতর্কির জেরে তাকে চর থাপ্পর দেয় চাচা নজু। বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে গ্রাম প্রধান দুলাল ওই নজুসহ অন্যদের নিয়ে বিস্তারিত জানতে ফারুককে জিজ্ঞেস করে। ওই নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ফারুক চাকু নিয়ে হামলা করলে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের স্বজন রতন জানান, নজির বুকে ছুরিকাঘাত করায় হাসপাতাল নেওয়ার পথেই মারা যায়। আহত তিনজনেরও অনেক রক্ষক্ষরণ হয়েছে।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি মাহাবুর রহমান জানান, ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা দায়ের শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কামাল মৃধা/মাহফুজ

 

হত্যাসহ ২৪ মামলার আসামি ‘ভাইপো রাকিব’ আটক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
হত্যাসহ ২৪ মামলার আসামি ‘ভাইপো রাকিব’ আটক
ছবি: সংগৃহীত

যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ ২৪ মামলার আসামি ‘ভাইপো রাকিবকে’ আটক করেছে ডিবি পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে ডিবির ওসি মঞ্জুরুল হক ভুঞার নেতৃত্বে একটি দল শহরের বেজপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে। কাজী রাকিব ওরফে ভাইপো রাকিব শংকরপুর এলাকার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে।

ডিবির অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভুঞা জানান, ভাইপো রাকিব যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যা, সাতটি অস্ত্র, চারটি বিস্ফোরক ও চাঁদাবাজিসহ ২৪ টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি মামলায় সে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। ২০১৫ সালের একটি মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে।

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে কাজ করেছে রাকিব। যখনই যার সার্পোট পেতেন তার হয়েই অপরাধসহ নানা কর্মকাণ্ড তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। রাকিবকে এর আগে একাধিকবার পুলিশ আটক করেছে। পরে জামিনে বের হয়ে ফের একই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ঢাকাতে নেওয়া হয়। যশোরে ফিরে তিনি ফের অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।

এইচ আর তুহিন/মাহফুজ

 

বানিয়াচংয়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
বানিয়াচংয়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে উপজেলার গুণই গ্রামে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতিতা কিশোরীর ভাষ্য অনুযায়ী, ওই দিন রাত ৯টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে ওতপেতে থাকা একই গ্রামের ইকবাল, কামরুল ও হুমায়ুন তার মুখ চেপে তুলে নিয়ে যায়। পরে গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে অন্য দুইজনের সহযোগিতায় ইকবাল তাকে ধর্ষণ করে।

এদিকে কিশোরীকে অনেকক্ষণ ধরে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চারদিকে সন্ধান করতে থাকেন। অবশেষে রাত ৩টার দিকে বাড়ির পাশে নির্যাতিতা কিশোরীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কিশোরীর চাচা জানান, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা খুবই প্রভাবশালী। এ ঘটনায় যেন মামলা না করা হয় ও কাউকে জানানো না হয়, সে জন্য আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করার পর সদর থানা পুলিশ ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, ‘পুলিশ ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলেছে। পরে আমরা বিষয়টি বানিয়াচং থানাকে জানিয়েছি।’

সড়ক দুর্ঘটনায় সেনাসদস্য নিহত

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় সেনাসদস্য নিহত
প্রতীকী ছবি

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।এ ঘটনায় আল-মামুন (২৬) নামের এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাছিকাটা টোল প্লাজা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আল-মামুন নাটোর সদর উপজেলার বড়বাড়িয়া লক্ষ্মীপুর গ্রামের ওছিম উদ্দিনের ছেলে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গতকাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী আরপি স্পেশাল পরিবহনের একটি বাস কাছিকাটা ১০ নম্বর সেতু এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বাসের যাত্রী মামুন ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতর পরিচয়পত্র পেয়ে স্বজনদের খবর দেওয়া হয়।