ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

বরগুনার সেই আ. লীগ কার্যালয় ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
বরগুনার সেই আ. লীগ কার্যালয় ভাঙচুর
ছবি : খবরের কাগজ

বরগুনায় ১৬ বছর ধরে ভাড়া বাকি থাকা সেই জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় বরগুনা শহরের ফার্মেসিপট্টিতে অবস্থিত ওই কার্যালয়টিতে ভাঙচুর করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও জনতা তালাবদ্ধ জেলা আওয়ামী লীগের ওই কার্যালয়টিতে লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর চালান। এ সময় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগানও দিতে থাকেন। 

এ বিষয় বরগুনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের মধ্যে মুঈদ হাসান নিলয় বলেন, এটি ছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের আঁতুড়ঘর। ক্ষমতায় থাকা অস্থায় এখান থেকে জেলাভিত্তিক নির্দেশনা দেওয়া হতো কার কার বাসায় হামলা হবে এবং কাকে কাকে গুম করা হবে। তাই মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদকে কবর দেওয়ার জন্য এ মুখ্য ঘরগুলোকে আগে ধ্বংস করা হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা যেভাবে নেমেছিল, আজও ঠিক একইভাবে একত্রিত হয়ে সবাই নেমে এসেছে।

ববরগুনা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আরেক নেতা মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, '৫ আগস্টের আগে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসররা ছাত্রদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। এখনো তাদের বিচার হয়নি, তার পরও তারা আবারও রাজনৈতিক কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। আমরা এর প্রতিবাদেই মুজিববাদের কবর রচনা করব। সব জায়গা থেকে শেখ মুজিব ও হাসিনাকে বয়কট করা হবে এবং মুজিববাদের কোনো কিছু আর বাংলার মাটিতে রাখা হবে না।'

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ওই কার্যালয়টি ভাড়ার চুক্তিতে ৫৫২ স্কয়ার ফিট আয়তনের সরকারি জমি বরাদ্দ নিয়ে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করা হয় এবং ২০০৯ সালের পর থেকে কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা ওই ঘরের কোনো ভাড়া পরিশোধ করেনি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এতে দীর্ঘ ১৬ বছরের ভাড়া বকেয়া থাকায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা প্রশাসন ভাড়া আদায়ের জন্য একটি নোটিশ দিয়ে ঘরটিকে তালাবদ্ধ করে দেয়।

মহিউদ্দিন অপু/জোবাইদা/

রূপগঞ্জে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩৫

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
রূপগঞ্জে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩৫
যুবদল নেতা হাসিব। ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিব নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

হাসিব চনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় মাদক কারবারি, চাঁদাবাজির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদলের শামীম ও সেচ্ছাসেকদলের রব্বানীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বুধবার সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষই গুলি চালায়। এতে গুলিতে হাসিব নিহত এবং উভয় পক্ষের আরও ৩৫ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চনপাড়া এলাকাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

নিহতের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে মাদক কারবারি রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেকদলের কর্মী রব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা তাদের লোকজন নিয়ে সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ছোট ভাই হাসিব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম বলেন, ‘আমি এলাকায় নেই। শুনেছি, রবিন নামের এক মাদক কারবারীকে আটক করা নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেকদলের কর্মী রব্বানীর লোকজন আমার যুবদল কর্মী হাসিবকে গুলি করে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেবে।’

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেকদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। রব্বানী আমার সঙ্গে সেচ্ছাসেকদল করে। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নারায়ণগঞ্জ সার্কেলের এএসপি মেহেদী হাসান বলেন, ‘চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শামীম ও রব্বানী গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় আমাদের অভিযান চলছে। দোষী যেই হউক না কেনো কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

রুবেল/পপি/

পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে মামলার হুমকি সমন্বয়কের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে মামলার হুমকি সমন্বয়কের
পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে হুমকি দেওয়া সমন্বয়ক মিজান রহমান। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরে নার্সিং পরীক্ষায় ফেল করায় পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জের নামে মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ থেকে ভোল পাল্টে সমন্বয়ক হওয়া মিজান রহমান নামের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে এক বিষয় অকৃতকার্য হওয়ার পর ইনচার্জ বেবী রায়ের নামে মামলার হুমকিসহ ওই ইন্সটিটিউটের অনেক ইনস্ট্রাক্টরকে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠছে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত মিজান রহমাস সিরাজগঞ্জ জেলার তারাস উপজেলার আবু তালেবের পুত্র এবং পিরোজপুর নার্সিং ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউে ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায় জানান,  মিজান ৫ আগস্টের পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে চলেছে। এখনো প্রভাব খাটাচ্ছে। কোনো এক অদৃশ্য হাত তার পিছনে কাজ করছে। পরীক্ষার আগে মিজান দলবলসহ এসে পরীক্ষার হল ছেড়ে দেওয়াসহ তাকে পাশ করাতে হুমকি দেন। পরে পরীক্ষায় ফেল করলে আমার নামে মিথ্যাচার ও মামলাসহ বিভিন্ন রকম হুমকি দিচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।

নার্সিং ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা  যায়, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রকাশিত হয়। তাতে সমন্বয়ক মিজান এক বিষয় অকৃতকার্য হন। পরে তিনি প্রভাবশালী নার্স নেতা, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষকে ফোন দিয়ে পাশ করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাতেও কাজ না হলে প্রতিষ্ঠানের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায়ের নামে মামলা করার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটটির ইনস্ট্রাকটর প্রভা রানী বড়াল বলেন, ‘মিজানুর রহমান আমাদের নার্সিং ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষার্থী। গত ১১ মার্চ বিএনএমসির রেজাল্ট দেওয়ার পর থেকে সে বিভিন্নভাবে সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের দিয়ে ফোন দিয়ে পাশ করানোর ব্যাপারে হুমকি দেয়। সে যে বিষয়ে ফেল করেছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো টিচার পরীক্ষা নেয়নি। সাধারণ ঐ বিষয়ে বাইরের টিচার নিয়োগ দেওয়া হয়। আমরা টিচার হিসেবে কখনও কোনো শিক্ষার্থী ফেল করুক সেটা চাইনা।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মিজান সব সময় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের প্রভাব দেখাতো। সে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতো। গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ তিনি সমন্বয়ক বনে যান। তিনি পরীক্ষায় ফেল করে আমাদের ইনস্ট্রাক্টরদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। পড়ালেখায় পাশ-ফেল তো থাকবেই এটা কেন মানতে পারবেনা, এখানে কেন প্রভাব দেখাতে হবে। অবিলম্বে তাকে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা উচিত এবং তার ছাত্রত্ব বাতিল করা উচিত।’

অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘তারা আমার শিক্ষক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা তো দূরের কথা কোনো খারাপ কথাও আমি বলিনি। তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু ফোনে বলবেন না বলে কল কেটে দেন।’

হাসিবুল ইসলাম/সুমন/

বালতিতে মেপে সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে, কারচুপির অভিযোগ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
বালতিতে মেপে সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে, কারচুপির অভিযোগ
বাউফলে মিটারের পরিবর্তে বালতিতে মেপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

পটুয়াখালীর বাউফলে মিটারের পরিবর্তে বালতিতে মেপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ফেয়ার প্রাইস ডিলার লিটন মৃধার বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়ের বাজার এলাকার সুবিধাভোগীরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় ডিলার চাল বিক্রি বন্ধ করে দেন। 

জানা গেছে, কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়ের বাজারে ডিলার লিটন মৃধা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল মিটারের পরিবর্তে বালতি দিয়ে মেপে বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে কেউ পাচ্ছেন ২৮ কেজি, আবার কেউ ২৯ কেজি। এ অনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হলে সুবিধাভোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে লিটন চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন। 

পাকডাল গ্রামের সুবিধাভোগী রাজ্জাক মৃধা বলেন, ‘সকাল থেকে লিটন মৃধা বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছেন। এতে মাপে কম হচ্ছে। কেউ ২৮ কেজি, কেউ ২৯ কেজি পাচ্ছেন। চাল বিতরণের সময় কোনো ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন না।’ 

তবে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিলার লিটন। 

তিনি বলেন, ‘সুবিধাভোগীদের সম্মতিতে দ্রুত বিতরণের জন্য বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছি। এতে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।’  

দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মশিউর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ডিলারকে চাল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। আগামী বৃহস্পতিবার মিটার ব্যবহার করে সঠিক ওজনে চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।’ 

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিলন/পপি/

মুন্সীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবির ৩ পুলিশ সদস্য আহত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
মুন্সীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবির ৩ পুলিশ সদস্য আহত
ছবি : খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় গোয়েন্দা শাখা তথা ডিবি পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে জেলার লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা বাজারে মাদক বিরোধী অভিযানে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ডিবির কনষ্টেবল আসিফউদ্দিনকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জেলা গোয়েন্দা শাখা তথা ডিবির ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল জানান, ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান আসছে গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার রাত ৮ টার দিকে লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা বাজারে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের ১০ সদস্যের একটি টিম। এ সময় সেখানে অবস্থান করছিলো উপজেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাহমুদসহ একটি চক্র। উপস্থিতি টের পেয়েই ওই মাদক ব্যবসায়ী চক্রের লোকজন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের ওপর হামলা করে। এ সময় ডিবির ৩ সদস্যকে মারধর করে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান ও হামলার ঘটনায় লৌহজং থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, 'মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে ডিবি পুলিশের সদস্যদের উপর অতর্কিতে ওই হামলা করে। আহতদের মধ্যে একজন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জোবাইদা/

ভালুকায় মসজিদে ইফতারে প্রতিদিনই বিরিয়ানি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
ভালুকায় মসজিদে ইফতারে প্রতিদিনই বিরিয়ানি
মোহাম্মদ আলী মণ্ডল বাইতুন নূর জামে মসজিদে ইফতার করার জন্য সারি বেঁধে বসেছেন রোজাদাররা। ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের আমতলী এলাকার মোহাম্মদ আলী মণ্ডল বাইতুন নূর জামে মসজিদ। প্রতিদিন ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে আসতে থাকেন বিভিন্ন বয়সী শত শত রোজাদার। আসে শিশুরাও। সবাই বসেন পাশাপাশি। সৃষ্টি হয় সম্প্রীতির এক পরিবেশ। মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে সবাই একসঙ্গে খাওয়া শুরু করেন। তবে ইফতারে ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি দেওয়া হয় না। এগুলোর পরিবর্তে দেওয়া হয় বিরিয়ানি। কোনোদিন গরুর, কোনোদিন খাসির ও কোনোদিন মুরগির বিরিয়ানি দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে সালাদ। আর শুরুতে শরবত তো থাকেই।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করতেই এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। এলাকার লোকজন নিজ উদ্যোগে সামর্থ্য অনুযায়ী মসজিদে টাকা দেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা ইফতার আয়োজনের জন্য টাকা পাঠান। সবার এমন সাহায্য-সহযোগিতায় ইফতারের সময়টুকু মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে।

আমতলী এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘ইফতারে সাধারণত ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু , বেগুনি, চপ ইত্যাদি দেওয়া হয়। তবে অনেকে এগুলো খেতে চান না। তাই ইফতারে এগুলোর পরিবর্তে রোজাদারদের বিনামূল্যে বিরিয়ানি দেওয়া হচ্ছে।’

জাহিদুর রহমান নামে আরেকজন বলেন, ‘ইফতারের আগ মুহূর্তে প্রতিদিন দুই শতাধিক মানুষ মসজিদে আসেন। সবাই এক কাতারে বসে খাওয়া-দাওয়া করেন। মসজিদে জায়গা না পেলে সামনের মাঠে বসে ইফতার করেন। অনেকে সঙ্গে শিশু নিয়ে আসেন।’

মসজিদে প্রতিদিন ইফতার করেন রিকশাচালক আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘রিকশা চালিয়ে ঠিকমতো পরিবারের ভরণপোষণ করতে পারি না। ইচ্ছে থাকলেও মাসে একবার বিরিয়ানি খাওয়া হয় না। এই মসজিদে বিনামূল্যে প্রতিদিন বিরিয়ানি দেওয়া হয়। তাই সারা দিন রোজা রেখে মসজিদে চলে আসি।’

মসজিদের ইমাম মুফতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখানে ধনী-গরিবের কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই একসঙ্গে ইফতার করেন। এমন দৃশ্য দেখতেও ভালো লাগে। প্রতিবছর রমজানে এভাবেই ইফতার আয়োজন করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলী মণ্ডল বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অপরিচিত বহু মানুষ মসজিদে ইফতার করতে বসেন। এ ছাড়া ইফতারের সময় হলে মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়া লোকজনকে ডেকে এনে খাওয়ানো হয়। কেউ কাউকে চেনেন না। অথচ পাশাপাশি বসে ইফতার করছেন। সবার পরিচয় একটাই, তারা সবাই রোজাদার মুসল্লি। প্রতিবছর এরকম ইফতার আয়োজন করা হবে।’