ঢাকা ১০ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
English

ভাঙা হলো দেশের সবচেয়ে বড় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
ভাঙা হলো দেশের সবচেয়ে বড় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল
যশোরে দেশের সবচেয়ে বড় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙা হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

যশোরে দেশের সবচেয়ে বড় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে এটি ভাঙা শুরু হয়।

যশোর শহরের কালেক্টরেট ভবনের কাছে বকুলতলা মোড়ে ১৬ ফুট উচ্চতার শেখ মুজিবের এই ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এক্সকেভেটর, হাতুড়ি, শাবল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে জড়ো হন যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানার বকুলতলায়। তারপর তারা গান বাজিয়ে ও স্লোগানের তালে তালে ভাঙতে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি।

বিক্ষুব্ধকারীরা জানান, নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে পতিত ও পলাতক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার মধ্যে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে তার অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটিও ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

এর আগে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা যশোরের যেসব স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল তার মধ্যে বকুলতলার ম্যুরালটিও ছিল।

২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ম্যুরালটি উদ্বোধন করেছিলেন। এর নাম ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল’।

এইচ আর তুহিন/সুমন/

সিলেটে পাথর উত্তোলন বন্ধে বেলার আইনি নোটিশ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম
সিলেটে পাথর উত্তোলন বন্ধে বেলার আইনি নোটিশ
সিলেটের জাফলং। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটে নদীতে বিদ্যমান পাথর কোয়ারিসমূহকে বিলুপ্ত ঘোষণাপূর্বক স্থায়ীভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

রবিবার (২৪ মার্চ) ৮টি মন্ত্রণালয়, ৩টি অধিদপ্তরসহ ১৬ জন সরকারি কর্মকর্তাকে এই নোটিশ পাঠানো হয়। 

রবিবার বেলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না তাদের নোটিশ অব ডিমান্ড ফর জাস্টিস পাঠান। নোটিশে স্থায়ীভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ইতোমধ্যে পাথর উত্তোলনে আহত ও নিহত শ্রমিকের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুতপূর্বক যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও সিলেটের সব নদীর ঐতিহাসিক ঐতিহ্য বজায় রেখে নদীকেন্দ্রীক টেকসই পর্যটন গড়ার রুপরেখা প্রণয়ন ও তা অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

নোটিশে জানানো হয়, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ যা সমগ্র দেশের পর্যটকদের একটি আকর্ষণীয় স্থান। সিলেটের জাফলং নামে খ্যাত পিয়াইন ও ডাউকী নদীসহ ধলাই, বিছানাকান্দি, উৎমাছড়া, লোভাছড়া ও ভোলাগঞ্জ পাথরের ওপর প্রবাহিত স্ফটিক পানির জন্য অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান যা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত পর্যটনস্থল।

নোটিসে আরও জানানো হয়, তবে উল্লেখিত পর্যটন এলাকাসমূহ থেকে যান্ত্রিকভাবে বোমা মেশিনের মাধ্যমে নির্বিচারে পাথর উত্তোলনের ফলে সিলেটের উল্লিখিত এলাকাসমূহ সৌন্দর্য হারিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। অনিয়ন্ত্রিত ও পরিবেশ বিধ্বংসী পাথর উত্তোলনের ফলে সমগ্র নদী ব্যবস্থা, বন, কৃষিজমি ও আবাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পিয়াইন ও ডাউকী তীরবর্তী সংগ্রামপুঞ্জি ও লামাপুঞ্জির অংশবিশেষ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।’

নোটিশে বেলা জানায়, ‘জেলায় বিলুপ্তির পথে এখানকার অতি মূল্যবান সুপারি বাগান। ধ্বংসের পথে ঐতিহ্যবাহী জাফলং চা বাগান। পরিবেশগত ক্ষতি ছাড়াও পাথর উত্তোলনকালে বিগত সময়ে প্রাণ হারিয়েছে ১০৯ জন শ্রমিক।’

নোটিশে আরও জানানো হয়, ‘ উত্তোলিত পাথর পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক চলাচলের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ব্রিজ এবং কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী এ এলাকায় আনুমানিক ১৫০০ পাথরবাহী ট্রাক প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। শুধু ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত পাথরবাহী যানবাহন কর্তৃক সৃষ্ট ২৮টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন প্রাণ হারায়।

নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে বেলাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং একইসঙ্গে এর অন্যথায় আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সুমন/

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ঘুষ ফেরত দেওয়া সেই এসআই বরখাস্ত

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ঘুষ ফেরত দেওয়া সেই এসআই বরখাস্ত
বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, তদন্তে ঘুষ লেনদেনের সত্যতা পেয়েছি। শনিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী জেলা পুলিশ সুপার বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন।

ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, এসআই মো. নজরুল ইসলামকে সাসপেন্ড করেছি। তিনি এখন পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত রয়েছেন।

জানা যায়, ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর উপজেলার জাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী হিসেবে যোগদান করেন একই এলাকার লোকমান হেকিমের ছেলে আরমান হোসেন। গত বছরের ১ অক্টোবর ভোরে ওই বিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় আরমানকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই নিহতের মা শামসুন্নাহার ঝর্ণা বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার পরপরই প্রধান আসামি গ্রামপুলিশ মাসুদকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কিছুদিন পর মাসুদ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন।

চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরিফ বিল্লাহ বাচ্চু, রিফাতুল ইসলাম শাহীন, বাবুল মিয়া ও রোমান মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাদের মারধর করা হয়। একপর্যায়ে আটকদের ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। অন্যথায় আরমান হত্যা মামলায় তাদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। এমতাবস্থায় বাবুলের বাবা মোনায়েম মিয়া এসআই নজরুলের সঙ্গে ৬০ হাজার টাকায় বিষয়টি রফা করেন।

পরে চারজন এলাকায় এসে সবাইকে ঘুষ লেনদেনের ঘটনাটি জানিয়ে দেন। এতে সমালোচনা শুরু হলে ১২ মার্চ দুপুরে উপজেলার পৌর বাজারে মোনায়েম মিয়ার কাছে ঘুষের ৫৯ হাজার টাকা ফেরত দেন পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। এদিনই পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার তদন্ত শুরু করেন।

কামরুজ্জামান/অমিয়/

টাঙ্গাইলে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
টাঙ্গাইলে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যা
ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের বাসাইলে রঞ্জু খন্দকার (৩৫) নামে এক মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে শনিবার (২২ মার্চ) রাতে উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রঞ্জু খন্দকার জেলার ভূঞাপুর উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের রাজ্জাক খন্দকারের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীর দায়িত্বে ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খান তার ছেলে মাদকাসক্ত ফরিদ খানকে (২৩) টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে রঞ্জুসহ বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয়জন মনির খানের বাড়িতে যান। পরে ফরিদকে ঘর থেকে বের করার সময় তার চিৎকারে পাশের বাড়ির পলাশ, রিপন ও তালেব খানসহ কয়েকজন এগিয়ে এসে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় রঞ্জু খন্দকার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা অপর লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে রঞ্জু খন্দকারের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের আরও চারজন আহত হয়েছেন।

পরে সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে তার মরদেহ বাসাইল থানায় আনা হলে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। 

স্থানীয়দের দাবি অভিযুক্ত ফরিদ ও পলাশ মাদক ব্যবসায়ী।

বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিক খন্দকার মজিবর রহমান তপন বলেন, ‘মাদকাসক্ত ফরিদকে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য তার বাবা মনির খান আমাদের কাছে আবেদন করেন। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয়জন ফরিদকে আনতে তাদের বাড়িতে যায়। সেখানে ফরিদকে আনার জন্য চেষ্টা করলে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রঞ্জুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’  

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘নিহতের মরদেেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’


জুয়েল/মেহেদী/

ইতিকাফ অবস্থায় শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
ইতিকাফ অবস্থায় শিক্ষকের মৃত্যু
স্কুলশিক্ষক জুনেদ আহমদ

সিলেটের জকিগঞ্জে ইতিকাফরত অবস্থায় জুনেদ আহমদ (৬০) নামের এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার গেছুয়া বড় মহল্লা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় মারা যান তিনি। 

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে জামেয়া ইসলামিয়া চারিগ্রাম মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক জুনেদ আহমদ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের গেছুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গনিপুর কামালগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক। গত ২০ রমজান থেকে মসজিদে ১০ দিনের জন্য ইতিকাফ শুরু করেছিলেন। তিনি সুস্থ অবস্থায় ছিলেন। রবিবার বিকেলে হঠাৎ করেই মারা যান। তার আকস্মিক মৃত্যুতে উপজেলার শিক্ষক সমাজ, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ ব্যাপারে ঘেছুয়া গ্রামের বাসিন্দা কেএম মামুন বলেন, শিক্ষক জুনেদ আহমদ খুবই অমায়িক ও ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি ব্লাড প্রেশারের রোগী ছিলেন। তাছাড়া দৃশ্যমান কোনো রোগ ছিল না। তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো অঞ্চলজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

শাকিলা/সালমান/

বাঁশখালীতে দুই ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
বাঁশখালীতে দুই ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আটক দুই ছিনতাইকারী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে মোবাইল ছিনতাইয়ের সময় দুই ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।

রবিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ দিঘীরপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের এয়ার মোহাম্মদপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আজগর (৪৫) ও বোয়ালখালীর পোপাদিয়ার কায়ছার মোহাম্মদ পাভেল (৩০)।

পুলিশ জানায়, বাঁশখালী-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের কালীপুর মোহাম্মদ দীঘিরপাড় নামক স্থানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ও নগদ ৫ হাজার ৩২০ টাকা ছিনতাই করা হয়। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা ছিনতাইকারীদের আটক করে গণপিটুনি দেয়।

খবর পেয়ে বাঁশখালী থানার এসআই সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুই ছিনতাইকারীকে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা।

পুলিশ আরও জানায়, আটকদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত ১টি সুইচগিয়ার, ১টি ছোরা, ১টি হাতুড়ি ও নগদ ২০০০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। 

বাঁশখালী থানার সেকেন্ড অফিসার কামরুল হাসান কায়কোবাদ জানান, ছিনতাইকারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে। সোমবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

শফকত হোসাইন/সুমন/