
ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু বা শম্ভুগঞ্জ সেতুর টোল বক্সটি এক্সেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত চেষ্টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা টোল বক্সটি গুঁড়িয়ে দেন।
এ ছাড়া ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ছাত্র-জনতা হাতুড়ি দিয়ে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ের ‘জয়বাংলা চত্বরে’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ম্যুরাল দ্বিতীয়বারের মতো ভাঙতে শুরু করে। মধ্যরাতে ম্যুরালটি পুরোপুরি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে শেখ হাসিনার পতনের পর ছাত্র-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে এই সেতুর টোল আদায় বন্ধ করে দেন তারা।
এর আগে ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর চত্বরটির বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর ও শেখ মুজিবুর রহমানের মুখাবয়র কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
জেলার ঈশ্বরগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং বিজয়-৭১ স্তম্ভও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জেলার তারাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টিও ভেঙে ফেলা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্যসচিব মো. আলী হোসেন বলেন, ‘কোনো ফ্যাসিবাদী স্থাপনা থাকতে পারে না। তাই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল টোল বক্সের চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি পাওয়া। ফলে ফ্যাসিবাদী টোল বক্সটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ময়মনসিংহের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটি ১৯৯১ সালে চালু হয়। তখন থেকেই টোল আদায় শুরু হয়। তিন বছর পরপর সেতুটি ইজারা দেওয়া হচ্ছিল। ফলে সরকার পেয়েছে মোটা অংকের রাজস্ব। তবে নির্মাণ ব্যয়ের চেয়ে বেশি টাকা তুলে ফেলায় অনেকে ক্ষুব্ধ ছিল। রাতে টোল বক্স ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জানতে পারি। জনগণের চলাচলে যেন সমস্যা না হয়, সে জন্য ভাঙা অংশ আমরা সকাল থেকে সরানোর কাজ শুরু করেছি।
কামরুজ্জামান মিন্টু/সুমন/