ঢাকা ১৪ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১

ঢাকার হত্যাকাণ্ডে আসামি হলেন ফরিদপুরের ৫৯ ব্যবসায়ী

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৯ এএম
ঢাকার হত্যাকাণ্ডে আসামি হলেন ফরিদপুরের ৫৯ ব্যবসায়ী
ঢাকার বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সিরাজুল ইসলাম ব্যাপারী। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকার বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফরিদপুর সদর উপজেলার সিরাজুল ইসলাম ব্যাপারী (২৯)। তবে ঢাকায় নিহত হলেও ২৯ আগস্ট ঢাকায় করা মামলায় ফরিদপুরের ৫৯ জনকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, তারা নানা রকমের হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

নিহতের বাবা শফিকুল জানান, লাবলু তার পরিচিত কেউ নয়। লাবলুর বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার খলিশাডুবি গ্রামে। লাবলু তার সঙ্গে কথা না বলেই তিনি বাড্ডা থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য শফিকুল গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।

গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সম্প্রতি ফরিদপুরের সদর উপজেলার শিবরামপুর এলাকার পাট ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ ঘোষ দীপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। পরে জামিন নিয়ে চিকিৎসা করাতে গত ১২ জানুয়ারি কলকাতা যান। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ মামলার অপর আসামি বিশ্বজিৎ ঘোষ দীপুর মেজো ভাই চঞ্চল ঘোষ বলেন, ‘আমরা কখনো কোনো রাজনীতি করিনি। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসা শুরু করি। কিছু লোকজনের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বিরোধ ছিল। তারা বিভিন্ন সময় টাকা-পয়সা চাইত। আমরা না দেওয়ার কারণে বিরোধ তৈরি হয়। আর এ কারণে ঢাকার একটি হত্যা মামলায় আমাদের পরিবারের চার ভাইকেই আসামি করা হয়েছে।’

ফরিদপুরের ব্যবসায়ী রাম দত্ত বলেন, ‘আমি ঘটনার দিন দোকানে ছিলাম। গণ্ডগোলের অবস্থা দেখে বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এই মামলায় আমাকেও আসামি করা হয়েছে। আমাদের ফোন চেক করে ট্র্যাকিং করলে সব বেরিয়ে আসবে।’

এই মামলার অপর আসামি বিধান সাহা বলেন, ‘আমি ঘটনার দিন বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। মামলায় আমাকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার পর দেশে অনেক দিন পলাতক ছিলাম। পরে দেশ ছেড়ে পরিবার-পরিজন ফেলে বিদেশে চলে এসেছি।’ 

ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি গত বছরের ৫ আগস্ট ফরিদপুরে ছিলাম। কিন্তু বাদী আমাকে আসামি করেছেন। আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মামলার সব কাগজপত্র পাঠিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এই মামলাটি বাড্ডা থানায় হয়েছে। বাড্ডা থানা ঘটনার তদন্ত করে দেখবে। আমরা শুধু এখানে মামলার আসামিদের নাম-ঠিকানাসহ সবকিছু অনুসন্ধান করে তাদের রিপোর্ট দেব। এ ছাড়া কোনোকিছুই আমাদের হাতে নেই। তবে এই মামলার আটকসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমার কাছে আপাতত কোনো তথ্য নেই।’

যশোরে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক!

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
যশোরে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক!
ছবি: সংগৃহীত

যশোর সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (বার্ড ফ্লু) সংক্রমণের ঘটনায় খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়। পাশাপাশি খামারে কোনো মুরগি মারা গেলে তা ল্যাব টেস্টে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। 

যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি যশোর সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়। এরপর খামারে মারা যাওয়া মুরগির নমুনা পরীক্ষার জন্য গত ১২ মার্চ ঢাকায় পাঠানো হয়। পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর ১৩ মার্চ খামারের ছয়টি শেডের ২ হাজার ৭৮টি মুরগি মেরে পুঁতে ফেলা হয়। একই সঙ্গে শেড খালি করে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। বর্তমানে খামারে কোনো মুরগি নেই।

এ বিষয়ে যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘খামারিদের আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে কোনো খামারে মুরগি মারা গেলে ল্যাব টেস্ট করে নিশ্চিত হতে হবে তা বার্ড ফ্লু আক্রান্ত কি না।’ 

এদিকে যশোরের কেশবপুর উপজেলার খামারি পরিমল কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আমার খামারে ২ হাজার ৫০০ মুরগি ছিল। ১৫-২০ দিন আগে খামারে প্রায় ৫০০ মুরগি মারা যায়। এর মধ্যে যশোর সরকারি মুরগি খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হওয়ার খবর শোনার পর থেকে আতঙ্কে আছি। কারণ খামারে যদি বার্ড ফ্লু সংক্রমণ হয়, তাহলে আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হবে। এতে আমি নিঃস্ব হয়ে যাব।’ 

এ ব্যাপারে যশোর সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের উপপরিচালক বখতিয়ার হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। 

এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১২ মার্চ যশোরের সরকারি খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়। আমরা যে নমুনা পেয়েছি, তা পরীক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাঠাব। তবে মৃদু আকারের লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি পোলট্রি খামারকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছি। একই সঙ্গে পোলট্রি খামারিদের সংগঠনকেও সতর্ক থাকতে বলেছি। যাতে তারা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, ভ্যাকসিন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিশ্চিত করেন।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘২০০৭ সালের মার্চে বাংলাদেশে প্রথম বার্ড ফ্লু দেখা দেয়। সে বছর যশোর সরকারি মুরগি খামারসহ সারা দেশে ১০ লাখেরও বেশি মুরগি এই ফ্লুয়ের কারণে মেরে ফেলা হয়। ২০০৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ধরা পড়ে। তবে এবার আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ এবারের পরিস্থিতি অন্যবারের মতো না। বার্ড ফ্লু নিয়ে যেন অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল বোঝাবুঝি বা তথ্য না ছড়ায়, সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। খামারি বা ক্রেতার আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ক্রেতাদের অনুরোধ করব, আতঙ্কিত হয়ে আপনারা হাঁস-মুরগি বা ডিম খাওয়া বন্ধ করবেন না।’ 

প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালে যশোর শহরের শংকরপুর এলাকায় ২৭ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠে যশোর সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার। 

হরিণাকুন্ডুতে দিনে দুপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:০২ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
হরিণাকুন্ডুতে দিনে দুপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম
হামলার শিকার গুরুতর আহত সাংবাদিক হারুন অর রশীদ ইমারুল

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে হারুন অর রশীদ ইমারুল (৩০) নামের এক সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল পৌনে ১২ টার দিকে স্থানীয় উপজেলা মোড়ের দোয়েল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহত ইমারুল দৈনিক ভোরের সময় ও দৈনিক একুশের বাণী পত্রিকার হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রতিনিধি। 

আহত সাংবাদিক ইমারুল ইসলাম বলেন, তিনিসহ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব হরিণাকুন্ডু উপজেলা শাখার কয়েকজন সাংবাদিক হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটা তথ্য জানার জন্য ফোন করেন। এসময় ফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বি এম তারিক উজ জামান বলেন, আপনারা একটু অপেক্ষা করেন, না হয় কিছুক্ষণ পরে আসেন। 

এরপর উপজেলা মোড়ের একটি চায়ের দোকানে ইমারুল ও তার সহকর্মীরা বসে অপেক্ষা করেন। এ সময় কিছু বুঝে উঠার আগেই হঠাৎ কয়েকজন যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইমারুলকে কোপাতে থাকে। আর তারা বলতে থাকে, ‘বড় সাংবাদিক হয়েছো, সাংবাদিকতা করা শিখিয়ে দেব।’ এরপর ইমারুলের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সাংবাদিক ইমারুলের মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে সহকর্মীরা তাকে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সাংবাদিক ইমারুল জানান, হামলাকারীদের সঙ্গে তার পূর্বের কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু এরপরেও সন্ত্রাসীরা তাকে ফোনে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বর্তমানে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

সাংবাদিক ইমারুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় ঝিনাইদহ ও হরিণাকুন্ডুতে কর্মরত সাংবাদিকরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

সাংবাদিক নেতারা সাংবাদিক ইমারুলের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, খোঁজ নিয়ে এ বিষয় পরে জানানো যাবে।

এদিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি দেখা দিয়েছে।  

মাহফুজুর রহমান/মাহফুজ 

 

ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নানা-নাতনির মৃত্যু

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম
ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নানা-নাতনির মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রেনের ইঞ্জিনে কাটা পড়ে নানা ও নাতনির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার পাকশী রেলস্টেশনের অদূরে বাঘইল জোড়া সেতুর উপরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি জিয়াউর রহমান। 

ইঞ্জিনে কাটা পড়ে নিহত ব্যক্তি বাঘইল পূর্বপাড়া এলাকার রহমত সরদারের ছেলে বাবুল সরদার (৫৫) ও তার নাতনি সলিমপুর ইউনিয়নের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে ফাতেমা মুনতাহা (৫)।

ওসি জিয়াউর রহমান জানান, নানা বাবুল সরদার নাতনিকে নিয়ে বাঘইলে ট্রেন দেখার উদ্দেশে জোড়া সেতুর উপরে যায়। এ সময় ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা একটি সান্টিং ইঞ্জিন পাকশীর জোড়া সেতুর নিকট এলে আকস্মিকভাবে ইঞ্জিনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি জানান, এ ঘটনায় রেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

জাহাঙ্গীর হোসেন/মাহফুজ 

 

ঈদে ৯ দিন বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধায় আমদানি-রপ্তানি

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
ঈদে ৯ দিন বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধায় আমদানি-রপ্তানি
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। ছবি: খবরের কাগজ

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকবে দেশের একমাত্র চারদেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা। ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আট দিন কোনো প্রকার আমদানি-রপ্তানি হবে না। তবে বন্ধের সময়েও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভিসাধারীরা স্বাভাবিক যাতায়াত করতে পারবেন। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থলবন্দর সূত্র জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে ৫ এপ্রিল (শনিবার) সাত দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ঈদের আগে ও পরে দুই দিন শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি হবে না। বাংলাবান্ধা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ভারতের ফুলবাড়ি এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের পণ্য আনা নেওয়া হয়ে থাকে। আগামী ৬ এপ্রিল রবিবার আবারও সচল হবে বন্দরটি।

স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভারত, নেপাল ও ভুটানের ব্যবসায়ীসহ কয়েকটি সংগঠনের যৌথ আলোচনা সভায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে একটি চিঠিও বাংলাবান্ধা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, কাস্টমস ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। তবে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে অতিরিক্ত আরও দুইদিনসহ আমদানি-রপ্তানি ৯ দিন বন্ধ থাকবে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবির বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভিসাধারীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।

মো. রনি মিয়াজী/মাহফুজ 

 

মাগুরায় বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
মাগুরায় বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ

সরকারি জায়গার গাছ কাটা, গরু চুরি, তেল চুরিসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করায় মাগুরায় বিএনপি ৭ সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত এই কারণ দর্শানোর নোটিশটি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়। 

নোটিশপ্রাপ্ত সাত জন শ্রীপুর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দল শ্রমিক দলসহ মূল দলের নেতা-কর্মী। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তারা হলেন- শ্রীপুর থানা স্বেচ্ছাসেব দলের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা খন্দকার খলিলুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহ্বায়ক রিপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব বদরুল আলম লিটু, শ্রীপুর উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সেলিম মোল্লা, বিএনপি কর্মীর সাচ্চু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রাতুল। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

কারণ দর্শানোর নোটিশে লেখা হয়, এতদ্বারা আপনাদেরকে জানানো যাইতেছে যে, ‘বর্তমানে জেলা বিএনপির শ্রীপুর থানাস্থ সম্মানিত সদস্যবৃন্দ জেলা বিএনপির সম্প্রতি মিটিংয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। যাহার প্রেক্ষিতে আপনাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি ও তাহার কেন্দ্রীয় অঙ্গ সংগঠনের নিকট কেন সুপারিশ করা হইবে না, তাহা আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীদ্বয়ের নিকট লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া গেল।’

সাতজনের নামে যে অভিযোগ নোটিশে আনা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে- শ্রীপুর থানা স্বেচ্ছাসেব দলের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা খন্দকার খলিলুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক রিপন ও শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গায় গাছ কাটা, চাঁদাবাজি, চর দখল, এমনকি ডাকাতি ও মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও সংগঠন পরিপন্থী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ।

এছাড়া বিএনপি নেতা সাচ্চুর বিরুদ্ধে অভিযোগ হিসেবে লেখা হয়েছে গরু চুরি, গাছ কাটা, ভ্যান চুরি, অন্যের গাছ কাটা, অন্যের জমি দখল। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রাতুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ হিসেবে লেখা হয়েছে চর দখল, তেল চুরি, গাছ কাটা, ভ্যান চুরি, অন্যের জমি দখল।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলি আহম্মেদ বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। দুর্নীতিবাজ যেই হোক দলের সে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যেহেতু অভিযোগ এসেছে আমরা তাদেরকে নোটিশ করেছি। কোনো সন্তোষজনক কারণ যদি না দেখা হতে পারে তবে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। 

কারণ দর্শানোর নোটিশ

 

/মো. কাশেমুর রহমান/মাহফুজ