
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের বরেন্দ্র অঞ্চলের তুলাগাছে ফুটে আছে সাদা ফুল। ছড়াচ্ছে মনজুড়ানো শুভ্রতা। কার্পাস তুলার খেত শুধু আনন্দই দিচ্ছে না, কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসিও ফুটিয়েছে।
ভালো ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা অনেক খুশি। উপজেলার কসবা ইউনিয়নের কাজলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১৪ বছর থেকে তুলা চাষ করে আসছি। কারণ অন্য ফসলের চেয়ে তুলা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি।’
আখিলা গ্রামের বাইরুল ইসলাম বলেন, ‘আমগাছের মধ্যে তুলা চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছি। বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৫ মণ ফলন হয়। এর আনুমানিক মূল্য ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিলেও ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়। এ কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা তুলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি জমিতে বেড়েছে তুলা চাষ।’
রাজশাহী জোনের নাচোল ইউনিটের কটনিউটার অফিসার বিশ্বজিৎ বর্মণ জানান, বরেন্দ্রভূমির উঁচু জমি যেগুলোতে সেচ সুবিধা নেই বা কম ফসল হয়, সেসব জমিই তুলা চাষের উপযোগী। খরাপ্রবণ বরেন্দ্রভূমিতে সেচ ছাড়া বা কম সেচের ফসল চাষের উপযোগী। অন্যদিকে কোনো দুর্যোগের কবলে পড়ে না বললেই চলে। প্রচলিত অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক। তুলা বিক্রির জন্যও ক্রেতা খুঁজতে হয় না। বরং ক্রেতাই আসে চাষিদের দোরগোড়ায়। ফলে তুলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষক। জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তুলা চাষ। তুলা চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বাড়ানো হয়েছে প্রদর্শনী প্লটও।