
পটুয়াখালীতে আজ শেষ হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জুলাই বিপ্লবের চিত্রপ্রদর্শনী। হৃদয়বিদারক চিত্র দেখে স্তব্ধ সর্বস্তরের মানুষ। তিন দিনে হাজার হাজার মানুষের পদচারণয় মুখরিত ছিল প্রদর্শনীস্থল।
তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের ঝাউতলা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছিল এই চিত্রপ্রদর্শনী।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বৈরাচার হাসিনাবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের আলোচিত ছবির পাশাপাশি পটুয়াখালীর আন্দোলন-সংগ্রামের ছবিও স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। অস্থায়ী প্যান্ডেলে শোভা পাচ্ছে আন্দোলন-সংগ্রামের ছবি।
চিত্রপ্রদর্শনীর ৬২টি ছবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ হাজারও ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশী হামলা, ছাত্রলীগের নির্যাতন ফ্যাসিস্ট সরকারের পালিয়ে যাওয়া পরবর্তী উচ্ছ্বাসের ছবি স্থান পেয়েছে।
এ ছাড়া প্যাভিলিয়নের বাইরে প্রজেক্টরে চলছে জুলাই বিপ্লবের বিভিন্ন ভিডিওচিত্র ও ডকুমেন্টারি। এসব ছবি ভিডিও দেখে অনেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের দিনের স্মৃতি তুলে ধরেন।
জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে কারও স্বার্থে বিভক্ত না হয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা জানালেন চিত্রপ্রদর্শনীতে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, 'স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে ইন্টারটে বন্ধ করে গণহত্যা চালানো হয়। এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতেই এ ধরনের আয়োজন।'
হাসিবুর রহমান/জোবাইদা/