ঢাকা ৬ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
কিশোরগঞ্জে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা
ছবি: খবরের কাগজ

কিশোরগঞ্জের মারিয়া এলাকার বিসিক শিল্প নগরীতে অভিযান চালিয়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে আট লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে কিশোরগঞ্জ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তিন প্রতিষ্ঠানের কারখানায় এ অভিযান চালায়।

এ সময় কারখানা তিনটিতে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং খাদ্যপণ্যের মোড়কে মিথ্যা তথ্য থাকায় বিভিন্ন পণ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। 

দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এম এম খান ফুডসকে (ম্যাক) তিন লাখ, সুগন্ধা ফুড প্রোডাক্টসকে তিন লাখ এবং আজহার ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানা পরিশোধ করায় প্রতিষ্ঠান তিনটির মালিককে সাজা না দিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়। 

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, কারখানা তিনটি পরিদর্শনকালে অত্যন্ত নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় মিষ্টি ও বিভিন্ন প্রকারের খাদ্যপণ্য প্রস্তুত করতে দেখা যায়। এ ছাড়াও বিপুল পরিমাণ মোড়কে মিথ্যা তথ্য পাওয়া যায়। অভিযানে এসব ধ্বংসের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য আইনের ৩৩ ধারা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থদণ্ড করা হয়। 

এ সময় প্রতিষ্ঠান তিনটিকে  খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষণ ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার দেওয়া হয়। পরে প্রতিষ্ঠান তিনটি নিরাপদ খাদ্য আইন ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালন করবে মর্মে মুচলেকা দেয়। 

অভিযানে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কিশোরগঞ্জ জেলার কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম তালুকদার ও জেলাস সেনেটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পাল উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বগুড়ার র‍্যাব সদস্যরা। 

অভিযানের সহায়তা করেছেন পুলিশ, র‍‍্যাব ও আনসার ব্যাটালিয়নের একটি চৌকস দল।

মিতু/মেহেদী/ 

রাজশাহীতে শাশুড়িকে হত্যা মামলায় জামাই গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম
রাজশাহীতে শাশুড়িকে হত্যা মামলায় জামাই গ্রেপ্তার
শাকিল আহমেদ ওরফে তছিকুল। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বাঘায় শাশুড়িকে হত্যা মামলার আসামি মেয়ের জামাই শাকিল আহমেদ ওরফে তছিকুলকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে বাঘা উপজেলার হেদাতিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাকিলের বাড়ি বাঘার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব এসব তথ্য জানিয়েছে। 

র‌্যাব জানায়, গত বছরের ২৭ এপ্রিল শ্বাসরোধ করে ও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে শাকিল তার শাশুড়ি রেহেনা খাতুনকে (৫০) হত্যা করেন। এরপর লাশ ফেলে দিয়েছিলেন পুকুরে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। আর ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন শাকিল। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব এই ঘটনার ছায়া তদন্ত করছিল।

র‌্যাব জানায়, ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট রেহেনা খাতুনের মেয়ে মনিকা খাতুনের (২৫) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শাকিলের। বিয়ের পর থেকেই মনিকাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন শাকিল। একপর্যায়ে মনিকা মায়ের বাড়ি চলে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শাকিল। ২০২৪ সালের ২৭ এপ্রিল শাকিল মনিকার মায়ের বাড়িতে গিয়ে তার শাশুড়িকে মাথায় আঘাত করে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করেন মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।

বুধবার রাতে এলাকায় ফেরার খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাকে বাঘা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এনায়েত করিম/মাহফুজ 

 

ঝালমুড়ি বিক্রেতা শহিদ জসিমের পরিবারের জন্য তারেক রহমানের ঈদ উপহার

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
ঝালমুড়ি বিক্রেতা শহিদ জসিমের পরিবারের জন্য তারেক রহমানের ঈদ উপহার
নিহত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী শাহানা বেগমের হাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন ফাউন্ডেশনের সদস্য ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা খন্দকার। ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ঝালমুড়ি বিক্রেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জসিম উদ্দিনের পরিবারের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সভাপতি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামে নিহত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী শাহানা বেগমের হাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন ফাউন্ডেশনের সদস্য ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা খন্দকার।

ঝালমুড়ি বিক্রেতা জসিম উদ্দিন গত বছরের ২ আগস্ট ঢাকার বনশ্রী এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে বিজিবি ও পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার চাচা কালা মিয়া শনাক্ত করেন। সেদিন রাতেই ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

ঈদ উপহার পেয়ে নিহত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী শাহানা বেগম বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তার মৃত্যুর পর আমাদের পরিবারের উপার্জনক্ষম কেউ নেই। ৫ সন্তান নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার পাশপাশি স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেছেন তিনি।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য প্রকৌশলী নাজমুল হুদা খন্দকার বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত হন জসিম। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জসিমসহ গণঅভ্যুত্থানে সকল হতাহতদের পরিবারের মাঝে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন থেকে ঈদ উপহার প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া হতাহতদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে শহিদদের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এর অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিহত ৮ জনের পরিবারের মাঝে এসব উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

জুয়েল রহমান/মাহফুজ

 

কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
ছবি : খবরের কাগজ

কুষ্টিয়ায় সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক সমকাল এবং এনটিভি অনলাইনের কুমারখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমান নয়নের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে প্রেস ক্লাবের সামনে এন এস রোডে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে কুষ্টিয়া সাংবাদিক অধিকার পরিষদ।
 
মানববন্ধনে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি লিটনউজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আল মামুন সাগর, কুমারখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি কে এম আর শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক এম এ উল্লাস, আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ দত্ত, এনটিভির জেলা প্রতিনিধি শ্যামলী ইয়াসমিন, এনটিভি অনলাইন প্রতিনিধি বিদ্যুৎ খন্দকার, খবরওয়ালা পত্রিকার সম্পাদক মুন্সী আহমেদ জুয়েল, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি নাহিদ হাসান তিতাস, নিউজ২৪ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহাতাব উদ্দিন লালন, এশিয়ান টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান রিজু, সময়ের কাগজ পত্রিকার সহ-সম্পাদক খন্দকার টানু, বার্তা সম্পাদক অঞ্জন শুভ, সারা বাংলা কুষ্টিয়া প্রতিনিধি রাব্বি প্রমখ।

বক্তারা বলেন, মিজানুর রহমান নয়ন একজন সৎ, পরিশ্রমী ও কর্মঠ সাংবাদিক। সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ২০১৮ সালের ঘটনায় ২০২৫ সালের ৯ মার্চ মামলা করা হয়েছে। মামলায় হয়রানিমূলকভাবে নয়নকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলাটি পিবিআইয়ের তদন্তাধীন। 

সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে অনতিবিলম্বে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে সাংবাদিক নয়নের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

মামলায় আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিক মিজানুর রহমান নয়ন বলেন, ১ মার্চ মামলার বাদী শেখ রেজাউল করিম মিলনের ভাই শেখ রাসেলের পুলিশবিরোধী বিতর্কিত একটি ভিডিও বক্তব্য সমকাল, এনটিভি অনলাইন ও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এছাড়াও অতীতে মিলনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০১৮ সালের একটি ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের ৯ মার্চ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে আমাকে অব্যাহতি এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তি প্রদান করা হোক।

তবে এবিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী রেজাউল করিম মিলন।

অমিয়/

রসিক কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বেতন-বোনাস আদায় করল কর্মচারীরা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
রসিক কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বেতন-বোনাস আদায় করল কর্মচারীরা
ছবি: খবরের কাগজ

রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) কর্মচারীরা বেতন-বোনাসের দাবিতে প্রধান ফটক বন্ধ করে প্রধান নির্বাহী ও হিসাবরক্ষণ দপ্তর অবরুদ্ধ করে রাখার তিন ঘণ্টা পর দাবি মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের কারণে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে।

বৃহস্পতিবার ( ২০ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রসিকের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয় কর্মচারীরা। এর আগে সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন তারা।  

পরে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী উম্মে ফাতেমা এবং প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের রুমের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ২৩ তারিখের মধ্যে মার্চ মাসের বেতনসহ বোনাস দেওয়ার নির্দেশ দিলেও সিটি প্রশাসক তা দিচ্ছেন না। ঈদের আগে বেতন-বোনাস না পেলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় যাবেন? এ কারণে বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবিতেই তাদের এই আন্দোলন। 

এ সময়  দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

এদিকে কর্মচারীরা কাজে না ফেরায় সকাল থেকে কোনো সেবা পায়নি সেবাপ্রত্যাশীরা। বিশেষ করে বিভিন্ন টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিশুদের নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা।

পরে বেলা ৩টার দিকে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম বেতন বোনাসের ফাইলে সই করেন। পরে তারা আন্দোলন তুলে নেন।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বাজার সহকারী সুজাউদ্দৌলা জানান, ‘বিগত বছরগুলোতে তারা বেতনের সঙ্গে বোনাস পেয়ে আসছিলেন। বিভাগীয় কমিশনার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছেন। সরকার নির্দেশ দিলেও  মার্চ মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস দিতে তিনি টালবাহনা করছিলেন। অবশেষে আমরা আন্দোলনে নামার পর তিনি বেতন-বোনাসের ফাইলে সই করেন।’

মাস্টাররোলের কর্মচারী ফেরদৌসি বলেন, ‘আমরা মুসলিম। আমাদের মুসলিম কান্ট্রি। অথচ আমাদের বেতন-বোনাসের জন্য আন্দোলন করতে হলো। এটা খুব দুঃখের। আমরা প্রায় হাজার খানেক মাস্টাররোল ও ডেইলি পেমেন্টের কর্মচারী আছি।’

সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ‘সরকারের নির্দেশনা ছিল তাদের বেতন-বোনাসে আমি সই করেছি। আগামী রবিবার (২৩ মার্চ) থেকে তারা বেতন বোনাস পেয়ে যাবেন।’

সেলিম/মেহেদী/অমিয়/

বস্তি বেলাল-মাসুদুল হক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
বস্তি বেলাল-মাসুদুল হক গ্রেপ্তার
বস্তি বেলাল ও মাসুদুল হক। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থেকে ডাকাতি এবং অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বেলায়েত হোসেন প্রকাশ বস্তি বেলাল এবং হাটহাজারী থানার অস্ত্র মামলার আসামি মাসুদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ভোরে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বেলায়েত হোসেন চট্টগ্রামের খুলশী থানার ফয়েজ লেক এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ মার্চ ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নোয়াখালীর সুধারামের বাসিন্দা। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ ১৩ বছর চট্টগ্রাম এবং মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করছিলেন।

অপরদিকে হাটহাজারী থানার মামলা নং ২৭(০২)২৪,  ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মো. মাসুদুল হক অলিপুর এলাকায় অবস্থান করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 
 
র‌্যাব জানায়, আসামিদের পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের হাটহাজারী এবং নোয়খালীর সুধারাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পপি/