ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

ইবি থানা স্থানান্তর বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ, যানজটে জনদুর্ভোগ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
ইবি থানা স্থানান্তর বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ, যানজটে জনদুর্ভোগ
ইবি থানা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে মিছিল বের করে ইবির প্রধান ফটকের সামনের সড়কে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। ছবি: খবরের কাগজ

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের এলাকাবাসী এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে সদর উপজেলার মধুপুর বাজার থেকে ইবি থানা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে একটি মিছিল বের করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে জড়ো হয়। এসময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীসহ আশপাশের ৫টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গাছের গুঁড়ি ফেলে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধরা। 

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন গুরুত্বপূর্ণ কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গেট এলাকায় সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

পরে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন, পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।

সড়ক অবরোধের ফলে যানজট। ছবি: খবরের কাগজ

জানা গেছে, সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া এলাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবি এ থানাটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৎসংলগ্ন এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু থানাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঝাউদিয়া এলাকায় স্থানান্তর করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়সহ এ অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে। তারা থানাটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অথবা এর কাছাকাছি কুষ্টিয়া খুলনা মহাসড়কের পাশে স্থানান্তরের দাবি জানান। সরকার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

এবিষয়ে কথা হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তারা বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু মাত্র নারী শিক্ষার্থীই আছে ৪ হাজারের বেশি। মোট শিক্ষার্থী প্রায় ১৪ হাজার। তাই এখানকার নিরাপত্তার জন্য থানাটি থাকা খুবই জরুরি। তাছাড়া এই এলাকার সড়কের নিরাপত্তার বিষয়টিও এই থানার ওপর নির্ভর করে। তাই এটি যেখানে আছে সেখানেই রাখতে হবে। ঝাউদিয়াতে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে সেখানে আরেকটি থানা হোক তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই কিন্তু ইবি থানাকে এখান থেকে অন্য কোথাও সরাতে দেওয়া হবে না।

ইবি থানা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ২৫ বছর ধরে এই এলাকার মানুষের জানমাল রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে এ থানা। সেই সঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক কাজ করে এ থানাটি। তবুও ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই থানাকে সরিয়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে দুর্গম ঝাউদিয়ায় নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। তাদের চেষ্টা আমরা সফল হতে দেব না। ইবি থানা ইবিতেই থাকবে। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলে এর চেয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আসলে এই থানার বিষয়ে আমাদের কাছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে একটি চিঠি এসেছে। যেহেতু এই থানা নিয়ে দুইটি পক্ষ দুই এলাকায় নেওয়ার জন্য আন্দোলন করছে, তাই আমরা একটি প্রতিবেদন আকারে প্রকৃত ঘটনা মন্ত্রনালয়কে জানাব। এর ভিত্তিতে সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটিই বাস্তাবায়ন করা হবে।
 
উল্লেখ্য এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এই ইবি থানাকে ঝাউদিয়াতে নিয়ে উদ্ধোধন করার দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের উজানগ্রাম বাজার এলাকা অবরোধ করে রাখে ঝাউদিয়াসহ এর আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

মিলন উল্লাহ/মাহফুজ

 

ফরিদপুরে পুকুরে ভাসছিল কৃষকের মরদেহ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
ফরিদপুরে পুকুরে ভাসছিল কৃষকের মরদেহ
কৃষক মুক্তার হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুর শহরের কমলাপুরে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মুক্তার হোসেন (৫৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে শহরের ডিআইবি বটতলার সরদারপাড়া সড়কের বদরের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

তিনি একই এলাকার মৃত আব্দুর রাশেদ শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়রা সকালে পুকুরে ভাসতে দেখে মুক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে এবং পুলিশে খবর দেন। 

তবে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, মুক্তার আগে থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং তার হার্টে তিনটি রিং পড়ানো ছিল। সকালে নিজের জমিতে কাজ করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সঞ্জিব/পপি/

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মী খুন, পাহাড়ি তরুণী গুলিবিদ্ধ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মী খুন, পাহাড়ি তরুণী গুলিবিদ্ধ

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পাহাড়ি এক তরুণী।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ইউপিডিএফ কর্মীর নাম, সুবি ত্রিপুরা (৩৫)। তিনি মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা বাসনা ত্রিপুরার ছেলে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ পাহাড়ি নারী নিহত সুবি ত্রিপুরার বোন তারাবতী ত্রিপুরা (২০)। 
 
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সভাপতি সন্তু লারমাকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে ইউপিডিএফ। বুধবার দুপুরে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।

বিবৃতিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, 'বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শক্তি ত্রিপুরা ও কম্বল ত্রিপুরার নেতৃত্বে জেএসএস সন্তু গ্রুপের ১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাইন্দংয়ের হেডম্যান পাড়ায় সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউপিডিএফ সদস্য সুবি ত্রিপুরা নিহত হন। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে তারাবতী ত্রিপুরা কপালে জখম হয়ে আহত হন।'

মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'ঘটনাস্থল অতি দুর্গম হওয়ায় এখনো মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।'

দিদারুল রাজু/জোবাইদা/

পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে মামলার হুমকি সমন্বয়কের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে মামলার হুমকি সমন্বয়কের
পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে হুমকি দেওয়া সমন্বয়ক মিজান রহমান। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরে নার্সিং পরীক্ষায় ফেল করায় পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জের নামে মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ থেকে ভোল পাল্টে সমন্বয়ক হওয়া মিজান রহমান নামের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে এক বিষয় অকৃতকার্য হওয়ার পর ইনচার্জ বেবী রায়ের নামে মামলার হুমকিসহ ওই ইন্সটিটিউটের অনেক ইনস্ট্রাক্টরকে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠছে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত মিজান রহমাস সিরাজগঞ্জ জেলার তারাস উপজেলার আবু তালেবের পুত্র এবং পিরোজপুর নার্সিং ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউে ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায় জানান,  মিজান ৫ আগস্টের পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে চলেছে। এখনো প্রভাব খাটাচ্ছে। কোনো এক অদৃশ্য হাত তার পিছনে কাজ করছে। পরীক্ষার আগে মিজান দলবলসহ এসে পরীক্ষার হল ছেড়ে দেওয়াসহ তাকে পাশ করাতে হুমকি দেন। পরে পরীক্ষায় ফেল করলে আমার নামে মিথ্যাচার ও মামলাসহ বিভিন্ন রকম হুমকি দিচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।

নার্সিং ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা  যায়, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রকাশিত হয়। তাতে সমন্বয়ক মিজান এক বিষয় অকৃতকার্য হন। পরে তিনি প্রভাবশালী নার্স নেতা, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষকে ফোন দিয়ে পাশ করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাতেও কাজ না হলে প্রতিষ্ঠানের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায়ের নামে মামলা করার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটটির ইনস্ট্রাকটর প্রভা রানী বড়াল বলেন, ‘মিজানুর রহমান আমাদের নার্সিং ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষার্থী। গত ১১ মার্চ বিএনএমসির রেজাল্ট দেওয়ার পর থেকে সে বিভিন্নভাবে সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের দিয়ে ফোন দিয়ে পাশ করানোর ব্যাপারে হুমকি দেয়। সে যে বিষয়ে ফেল করেছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো টিচার পরীক্ষা নেয়নি। সাধারণ ঐ বিষয়ে বাইরের টিচার নিয়োগ দেওয়া হয়। আমরা টিচার হিসেবে কখনও কোনো শিক্ষার্থী ফেল করুক সেটা চাইনা।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মিজান সব সময় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের প্রভাব দেখাতো। সে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতো। গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ তিনি সমন্বয়ক বনে যান। তিনি পরীক্ষায় ফেল করে আমাদের ইনস্ট্রাক্টরদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। পড়ালেখায় পাশ-ফেল তো থাকবেই এটা কেন মানতে পারবেনা, এখানে কেন প্রভাব দেখাতে হবে। অবিলম্বে তাকে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা উচিত এবং তার ছাত্রত্ব বাতিল করা উচিত।’

অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘তারা আমার শিক্ষক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা তো দূরের কথা কোনো খারাপ কথাও আমি বলিনি। তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু ফোনে বলবেন না বলে কল কেটে দেন।’

হাসিবুল ইসলাম/সুমন/

বালতিতে মেপে সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে, কারচুপির অভিযোগ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
বালতিতে মেপে সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে, কারচুপির অভিযোগ
বাউফলে মিটারের পরিবর্তে বালতিতে মেপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

পটুয়াখালীর বাউফলে মিটারের পরিবর্তে বালতিতে মেপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ফেয়ার প্রাইস ডিলার লিটন মৃধার বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়ের বাজার এলাকার সুবিধাভোগীরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় ডিলার চাল বিক্রি বন্ধ করে দেন। 

জানা গেছে, কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়ের বাজারে ডিলার লিটন মৃধা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল মিটারের পরিবর্তে বালতি দিয়ে মেপে বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে কেউ পাচ্ছেন ২৮ কেজি, আবার কেউ ২৯ কেজি। এ অনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হলে সুবিধাভোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে লিটন চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন। 

পাকডাল গ্রামের সুবিধাভোগী রাজ্জাক মৃধা বলেন, ‘সকাল থেকে লিটন মৃধা বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছেন। এতে মাপে কম হচ্ছে। কেউ ২৮ কেজি, কেউ ২৯ কেজি পাচ্ছেন। চাল বিতরণের সময় কোনো ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন না।’ 

তবে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিলার লিটন। 

তিনি বলেন, ‘সুবিধাভোগীদের সম্মতিতে দ্রুত বিতরণের জন্য বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছি। এতে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।’  

দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মশিউর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ডিলারকে চাল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। আগামী বৃহস্পতিবার মিটার ব্যবহার করে সঠিক ওজনে চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।’ 

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিলন/পপি/

মুন্সীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবির ৩ পুলিশ সদস্য আহত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
মুন্সীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবির ৩ পুলিশ সদস্য আহত
ছবি : খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় গোয়েন্দা শাখা তথা ডিবি পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে জেলার লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা বাজারে মাদক বিরোধী অভিযানে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ডিবির কনষ্টেবল আসিফউদ্দিনকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জেলা গোয়েন্দা শাখা তথা ডিবির ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল জানান, ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান আসছে গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার রাত ৮ টার দিকে লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা বাজারে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের ১০ সদস্যের একটি টিম। এ সময় সেখানে অবস্থান করছিলো উপজেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাহমুদসহ একটি চক্র। উপস্থিতি টের পেয়েই ওই মাদক ব্যবসায়ী চক্রের লোকজন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের ওপর হামলা করে। এ সময় ডিবির ৩ সদস্যকে মারধর করে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান ও হামলার ঘটনায় লৌহজং থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, 'মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে ডিবি পুলিশের সদস্যদের উপর অতর্কিতে ওই হামলা করে। আহতদের মধ্যে একজন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জোবাইদা/