ঢাকা ৬ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা, অনিয়ম তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা, অনিয়ম তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা
টেকনাফ স্থলবন্দরে নৌ পরিবহণ উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন নৌ পরিবহণ উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর ঘুরে দেখেছি এবং এই বন্দরকে নৌ পরিবহন, সমুদ্রবন্দর নাকি স্থলবন্দর থাকবে সেটি আমরা বিবেচনা করে দেখছি। এছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের শ্রমিকের মজুরি কম দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি, সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। 

তিনি বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর পর্যন্ত বাণিজ্য কীভাবে সচল রাখা যায়, সেই চেষ্টা চলছে। আমি এখানে এসেছি, দেখছি এ সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা হবে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল্লাহ ইয়ামিন, ইউনাইটেড গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খন্দকার জায়েদ আহসান, টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী, টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের মহাব্যবস্থাপক জসীম উদ্দিন চৌধুরি প্রমুখ।

এদিকে টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসা নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে সমস্যাসহ বন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের বিভিন্ন অনিয়ম-অভিযোগের কথা তুলে ধরেন সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক বাহাদুর, সাদ্দাম হোসেন ও মো. হাসেমসহ অনেকে। 

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. হাসেম বলেন, বন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে পণ্য প্রতি টন ৬৯২ টাকা আদায় করলেও শ্রমিকদের মজুরি দেয় মাত্র ১০০ টাকা। বাকি প্রায় ৬০০ টাকা আত্মসাৎ করে। যার কারণে শ্রমিকরা আমাদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে ৭-৯ হাজার টাকা নিয়ে থাকে। না হলে আমাদের মালামাল ট্রলার থেকে লোড আনলোড বন্ধ রাখে। শ্রমিকদের মাধ্যমে ইউনাইটেড ল্যান্ড গ্রুপ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, দেশের অন্যান্য বন্দরগুলোর বিল এবং টেকনাফ বন্দরের বিল নিয়ে অনেক তফাত রয়েছে। মূলত দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে রেখেছে তারা। যার কারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এছাড়া বন্দরে শ্রমিকের মজুরিসহ নানা অনিয়ম রয়েছে, সেই বিষয় উপদেষ্টার কাছে উত্থাপন করেছি।
 
মো. শাহীন/মাহফুজ

 

রাজশাহীতে শাশুড়িকে হত্যা মামলায় জামাই গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম
রাজশাহীতে শাশুড়িকে হত্যা মামলায় জামাই গ্রেপ্তার
শাকিল আহমেদ ওরফে তছিকুল। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বাঘায় শাশুড়িকে হত্যা মামলার আসামি মেয়ের জামাই শাকিল আহমেদ ওরফে তছিকুলকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে বাঘা উপজেলার হেদাতিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাকিলের বাড়ি বাঘার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব এসব তথ্য জানিয়েছে। 

র‌্যাব জানায়, গত বছরের ২৭ এপ্রিল শ্বাসরোধ করে ও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে শাকিল তার শাশুড়ি রেহেনা খাতুনকে (৫০) হত্যা করেন। এরপর লাশ ফেলে দিয়েছিলেন পুকুরে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। আর ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন শাকিল। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব এই ঘটনার ছায়া তদন্ত করছিল।

র‌্যাব জানায়, ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট রেহেনা খাতুনের মেয়ে মনিকা খাতুনের (২৫) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শাকিলের। বিয়ের পর থেকেই মনিকাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন শাকিল। একপর্যায়ে মনিকা মায়ের বাড়ি চলে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শাকিল। ২০২৪ সালের ২৭ এপ্রিল শাকিল মনিকার মায়ের বাড়িতে গিয়ে তার শাশুড়িকে মাথায় আঘাত করে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করেন মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।

বুধবার রাতে এলাকায় ফেরার খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাকে বাঘা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এনায়েত করিম/মাহফুজ 

 

ঝালমুড়ি বিক্রেতা শহিদ জসিমের পরিবারের জন্য তারেক রহমানের ঈদ উপহার

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
ঝালমুড়ি বিক্রেতা শহিদ জসিমের পরিবারের জন্য তারেক রহমানের ঈদ উপহার
নিহত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী শাহানা বেগমের হাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন ফাউন্ডেশনের সদস্য ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা খন্দকার। ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ঝালমুড়ি বিক্রেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জসিম উদ্দিনের পরিবারের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সভাপতি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামে নিহত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী শাহানা বেগমের হাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন ফাউন্ডেশনের সদস্য ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা খন্দকার।

ঝালমুড়ি বিক্রেতা জসিম উদ্দিন গত বছরের ২ আগস্ট ঢাকার বনশ্রী এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে বিজিবি ও পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার চাচা কালা মিয়া শনাক্ত করেন। সেদিন রাতেই ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

ঈদ উপহার পেয়ে নিহত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী শাহানা বেগম বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তার মৃত্যুর পর আমাদের পরিবারের উপার্জনক্ষম কেউ নেই। ৫ সন্তান নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার পাশপাশি স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেছেন তিনি।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য প্রকৌশলী নাজমুল হুদা খন্দকার বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত হন জসিম। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জসিমসহ গণঅভ্যুত্থানে সকল হতাহতদের পরিবারের মাঝে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন থেকে ঈদ উপহার প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া হতাহতদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে শহিদদের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এর অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিহত ৮ জনের পরিবারের মাঝে এসব উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

জুয়েল রহমান/মাহফুজ

 

কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
ছবি : খবরের কাগজ

কুষ্টিয়ায় সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক সমকাল এবং এনটিভি অনলাইনের কুমারখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমান নয়নের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে প্রেস ক্লাবের সামনে এন এস রোডে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে কুষ্টিয়া সাংবাদিক অধিকার পরিষদ।
 
মানববন্ধনে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি লিটনউজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আল মামুন সাগর, কুমারখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি কে এম আর শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক এম এ উল্লাস, আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ দত্ত, এনটিভির জেলা প্রতিনিধি শ্যামলী ইয়াসমিন, এনটিভি অনলাইন প্রতিনিধি বিদ্যুৎ খন্দকার, খবরওয়ালা পত্রিকার সম্পাদক মুন্সী আহমেদ জুয়েল, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি নাহিদ হাসান তিতাস, নিউজ২৪ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহাতাব উদ্দিন লালন, এশিয়ান টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান রিজু, সময়ের কাগজ পত্রিকার সহ-সম্পাদক খন্দকার টানু, বার্তা সম্পাদক অঞ্জন শুভ, সারা বাংলা কুষ্টিয়া প্রতিনিধি রাব্বি প্রমখ।

বক্তারা বলেন, মিজানুর রহমান নয়ন একজন সৎ, পরিশ্রমী ও কর্মঠ সাংবাদিক। সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ২০১৮ সালের ঘটনায় ২০২৫ সালের ৯ মার্চ মামলা করা হয়েছে। মামলায় হয়রানিমূলকভাবে নয়নকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলাটি পিবিআইয়ের তদন্তাধীন। 

সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে অনতিবিলম্বে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে সাংবাদিক নয়নের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

মামলায় আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিক মিজানুর রহমান নয়ন বলেন, ১ মার্চ মামলার বাদী শেখ রেজাউল করিম মিলনের ভাই শেখ রাসেলের পুলিশবিরোধী বিতর্কিত একটি ভিডিও বক্তব্য সমকাল, এনটিভি অনলাইন ও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এছাড়াও অতীতে মিলনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০১৮ সালের একটি ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের ৯ মার্চ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে আমাকে অব্যাহতি এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তি প্রদান করা হোক।

তবে এবিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী রেজাউল করিম মিলন।

অমিয়/

রসিক কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বেতন-বোনাস আদায় করল কর্মচারীরা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
রসিক কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বেতন-বোনাস আদায় করল কর্মচারীরা
ছবি: খবরের কাগজ

রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) কর্মচারীরা বেতন-বোনাসের দাবিতে প্রধান ফটক বন্ধ করে প্রধান নির্বাহী ও হিসাবরক্ষণ দপ্তর অবরুদ্ধ করে রাখার তিন ঘণ্টা পর দাবি মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের কারণে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে।

বৃহস্পতিবার ( ২০ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রসিকের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয় কর্মচারীরা। এর আগে সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন তারা।  

পরে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী উম্মে ফাতেমা এবং প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের রুমের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ২৩ তারিখের মধ্যে মার্চ মাসের বেতনসহ বোনাস দেওয়ার নির্দেশ দিলেও সিটি প্রশাসক তা দিচ্ছেন না। ঈদের আগে বেতন-বোনাস না পেলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় যাবেন? এ কারণে বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবিতেই তাদের এই আন্দোলন। 

এ সময়  দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

এদিকে কর্মচারীরা কাজে না ফেরায় সকাল থেকে কোনো সেবা পায়নি সেবাপ্রত্যাশীরা। বিশেষ করে বিভিন্ন টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিশুদের নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা।

পরে বেলা ৩টার দিকে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম বেতন বোনাসের ফাইলে সই করেন। পরে তারা আন্দোলন তুলে নেন।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বাজার সহকারী সুজাউদ্দৌলা জানান, ‘বিগত বছরগুলোতে তারা বেতনের সঙ্গে বোনাস পেয়ে আসছিলেন। বিভাগীয় কমিশনার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছেন। সরকার নির্দেশ দিলেও  মার্চ মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস দিতে তিনি টালবাহনা করছিলেন। অবশেষে আমরা আন্দোলনে নামার পর তিনি বেতন-বোনাসের ফাইলে সই করেন।’

মাস্টাররোলের কর্মচারী ফেরদৌসি বলেন, ‘আমরা মুসলিম। আমাদের মুসলিম কান্ট্রি। অথচ আমাদের বেতন-বোনাসের জন্য আন্দোলন করতে হলো। এটা খুব দুঃখের। আমরা প্রায় হাজার খানেক মাস্টাররোল ও ডেইলি পেমেন্টের কর্মচারী আছি।’

সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ‘সরকারের নির্দেশনা ছিল তাদের বেতন-বোনাসে আমি সই করেছি। আগামী রবিবার (২৩ মার্চ) থেকে তারা বেতন বোনাস পেয়ে যাবেন।’

সেলিম/মেহেদী/অমিয়/

বস্তি বেলাল-মাসুদুল হক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
বস্তি বেলাল-মাসুদুল হক গ্রেপ্তার
বস্তি বেলাল ও মাসুদুল হক। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থেকে ডাকাতি এবং অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বেলায়েত হোসেন প্রকাশ বস্তি বেলাল এবং হাটহাজারী থানার অস্ত্র মামলার আসামি মাসুদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ভোরে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বেলায়েত হোসেন চট্টগ্রামের খুলশী থানার ফয়েজ লেক এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ মার্চ ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নোয়াখালীর সুধারামের বাসিন্দা। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ ১৩ বছর চট্টগ্রাম এবং মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করছিলেন।

অপরদিকে হাটহাজারী থানার মামলা নং ২৭(০২)২৪,  ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মো. মাসুদুল হক অলিপুর এলাকায় অবস্থান করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 
 
র‌্যাব জানায়, আসামিদের পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের হাটহাজারী এবং নোয়খালীর সুধারাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পপি/