
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন নৌ পরিবহণ উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর ঘুরে দেখেছি এবং এই বন্দরকে নৌ পরিবহন, সমুদ্রবন্দর নাকি স্থলবন্দর থাকবে সেটি আমরা বিবেচনা করে দেখছি। এছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের শ্রমিকের মজুরি কম দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি, সেটি তদন্ত করে দেখা হবে।
তিনি বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর পর্যন্ত বাণিজ্য কীভাবে সচল রাখা যায়, সেই চেষ্টা চলছে। আমি এখানে এসেছি, দেখছি এ সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল্লাহ ইয়ামিন, ইউনাইটেড গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খন্দকার জায়েদ আহসান, টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী, টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের মহাব্যবস্থাপক জসীম উদ্দিন চৌধুরি প্রমুখ।
এদিকে টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসা নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে সমস্যাসহ বন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের বিভিন্ন অনিয়ম-অভিযোগের কথা তুলে ধরেন সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক বাহাদুর, সাদ্দাম হোসেন ও মো. হাসেমসহ অনেকে।
এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. হাসেম বলেন, বন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে পণ্য প্রতি টন ৬৯২ টাকা আদায় করলেও শ্রমিকদের মজুরি দেয় মাত্র ১০০ টাকা। বাকি প্রায় ৬০০ টাকা আত্মসাৎ করে। যার কারণে শ্রমিকরা আমাদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে ৭-৯ হাজার টাকা নিয়ে থাকে। না হলে আমাদের মালামাল ট্রলার থেকে লোড আনলোড বন্ধ রাখে। শ্রমিকদের মাধ্যমে ইউনাইটেড ল্যান্ড গ্রুপ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, দেশের অন্যান্য বন্দরগুলোর বিল এবং টেকনাফ বন্দরের বিল নিয়ে অনেক তফাত রয়েছে। মূলত দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে রেখেছে তারা। যার কারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এছাড়া বন্দরে শ্রমিকের মজুরিসহ নানা অনিয়ম রয়েছে, সেই বিষয় উপদেষ্টার কাছে উত্থাপন করেছি।
মো. শাহীন/মাহফুজ