
শেরপুরে বনভোজনের বাসে থাকা এক তরুণীকে উত্ত্যক্তের জেরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ও শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কান্দাশেরীরচর এলাকায় শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে একটি সূর্যমুখীর বাগানে দর্শনার্থীদের ভিড়ের কারণে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় যানজটে আটকে থাকা বনভোজনের বাসে থাকা এক তরুণীকে সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের এক যুবক উত্ত্যক্ত করেন। সে জন্য কান্দাশেরীরচর গ্রামের কয়েকজন যুবক ওই উত্ত্যক্তকারীকে মারধর করেন।
এ ঘটনার জেরে কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা দল বেঁধে কান্দাশেরীরচর গ্রামে হামলা চালালে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় কুসুমহাটি বাজারের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চলানো হয়। একটি মোবাইলের দোকানে লুটপাট করা হয়।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে কান্দাশেরীরচর ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের দুই পক্ষ কুসুমহাটি বাজারে শেরপুর-জামালপুর সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেওয়া শুরু করলে আবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সদর থানার ওসি জুবায়দুল আলম বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আমরা কঠোর হব। কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে দেব না।’