ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

চসিকের প্রধান সড়কে ময়লা, দুর্ভোগে নগরবাসী

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৪ এএম
চসিকের প্রধান সড়কে ময়লা, দুর্ভোগে নগরবাসী
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা ময়লা ও ময়লা বহনকারী ভ্যান সড়কের উপর রাখা হয়েছে। আর্বজনার দুর্গন্ধের কারণে একজন পথচারী নাক মুখ ঢেকে হেটে যাচ্ছেন। গতকাল নয়াবাজার বিশ্বরোড থেকে তোলা। ছবি: মোহাম্মদ হানিফ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা ময়লা রাখা হয় শহরের প্রধান সড়কের ওপর। এতে আশপাশের এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তখন পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। দুর্গন্ধের কারণে যানবাহনের যাত্রীদের নাক-মুখ চেপে ওই স্থান পার হতে দেখা যায়। চসিকের তথ্যমতে, নগর থেকে প্রতিদিন ২ হাজার ৩০০ টন ময়লা সংগ্রহ করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগরের কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা সড়কের ষোলশহরসহ তিন থেকে চারটি স্থানে ময়লা রাখা হয়। অক্সিজেন মোড় সংলগ্ন হাটহাজারী সড়কের ওপর আবর্জনা রাখতে রাখতে ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে। একই চিত্র দেখা গেছে চকবাজারের কাতালগঞ্জে। 

এদিকে, নিজের আইন নিজেই মেনে চলছে না চসিক। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, ময়লা-আবর্জনার ট্রাক ত্রিপল দিয়ে ঢেকে ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও সংস্থাটি সেই আইন মানছে না। খোলা ট্রাকে করে আবর্জনা নিতে গিয়ে পথে পথে সেগুলো পড়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা রাখার কারণে পথচারীদের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়।  ময়লা বহনকারী ভ্যান ও গাড়ি ফুটপাতের পাশে সারি করে রাখা হয়। 
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের বাংলাবাজার ও বায়জিদের আরেফিন নগরের সিটি করপোরেশনের দুটি ময়লার ডাম্পিং স্টেশন রয়েছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংগ্রহ করা ময়লা-আবর্জনা ওই দুটি ডাম্পিং স্টেশনে ফেলা হয়। কিন্তু এ দুটি স্টেশনে ৩০০ থেকে ৩৫০ ফুট উঁচু আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকে। সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে মেডিকেল, শিল্প-কারখানা ও ই-বর্জ্যের মতো সংক্রামক এবং বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও চলছে সনাতন পদ্ধতিতে।

নগরের নাছিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্র মজুমদারের মা আনিতা দাশ বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। ষোলশহর পার হওয়ার সময় ময়লার দুর্গন্ধে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। মাঝে মাঝে বমি চলে আসে।’

চকবাজার এলাকার পথচারী সাব্বির রহমান বলেন, ‘সড়ক পরিষ্কার রাখা সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। অথচ তারাই সড়ক দখল করে ময়লার ডাম্পিং স্টেশন বানিয়ে রেখেছে। এ কারণে আমরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।’ ষোলশহর এলাকায় বাসিন্দা মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে হেঁটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠাতে যাই। কিন্তু ময়লা রাখার স্থানটি পার হওয়ার সময় মনে হয় নরকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ স্থান দিয়ে যেতে ইচ্ছেই করে না। বাধ্য হয়ে পার হতে হয়।’ 

চসিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মী অসীম দাস বলেন, ‘আমরা ভ্যানগাড়ি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা সংগ্রহ করি। আমরা দূরের ডাম্পিং স্টেশনে ময়লা রেখে আসতে পারি না। তাই আমরা কাছের সড়কের ওপর ময়লা রাখি।’ 

চসিকের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা খবরের কাগজকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে দৈনিক ২ হাজার ৩০০ টন ময়লা-আবর্জনা জমা হয়। চসিক কর্মীরা রাত থেকে সেই ময়লা পরিষ্কার করেন। কিন্তু এরপরও কিছু কিছু ময়লা থেকে যায়। সড়কের ওপর থেকে ময়লার স্তূপ সরানোর জন্য চসিকের পরিকল্পনা রয়েছে। অন্য কোথাও জায়গা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে সড়কের ওপর রাখতে হচ্ছে। তবে সকালের আগেই সড়ক থেকে ময়লা সরানোর জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। এরপরও দিনে কেন সড়কে ময়লা থাকে তা খতিয়ে দেখা হবে।’ 

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভ্যান গাড়ি দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা ময়লা সড়কের ওপর রাখা হয়। মানুষের চলাচলের পথে ময়লার স্তূপ থাকা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আমরা চেষ্টা করব যেন সড়কের ওপর থেকে অস্থায়ী ডাম্পিং স্টেশনগুলো সরানো যায়। প্রতিদিন যে পরিমাণ ময়লা সংগ্রহ হয় তা ভোরে স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া হয়। এর জন্য চসিকের ডাম্পিং গাড়ি কাজ করছে।’

ফরিদপুরে পুকুরে ভাসছিল কৃষকের মরদেহ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
ফরিদপুরে পুকুরে ভাসছিল কৃষকের মরদেহ
কৃষক মুক্তার হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুর শহরের কমলাপুরে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মুক্তার হোসেন (৫৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে শহরের ডিআইবি বটতলার সরদারপাড়া সড়কের বদরের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

তিনি একই এলাকার মৃত আব্দুর রাশেদ শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়রা সকালে পুকুরে ভাসতে দেখে মুক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে এবং পুলিশে খবর দেন। 

তবে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, মুক্তার আগে থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং তার হার্টে তিনটি রিং পড়ানো ছিল। সকালে নিজের জমিতে কাজ করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সঞ্জিব/পপি/

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মী খুন, পাহাড়ি তরুণী গুলিবিদ্ধ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মী খুন, পাহাড়ি তরুণী গুলিবিদ্ধ

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পাহাড়ি এক তরুণী।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ইউপিডিএফ কর্মীর নাম, সুবি ত্রিপুরা (৩৫)। তিনি মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা বাসনা ত্রিপুরার ছেলে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ পাহাড়ি নারী নিহত সুবি ত্রিপুরার বোন তারাবতী ত্রিপুরা (২০)। 
 
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সভাপতি সন্তু লারমাকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে ইউপিডিএফ। বুধবার দুপুরে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।

বিবৃতিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, 'বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শক্তি ত্রিপুরা ও কম্বল ত্রিপুরার নেতৃত্বে জেএসএস সন্তু গ্রুপের ১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাইন্দংয়ের হেডম্যান পাড়ায় সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউপিডিএফ সদস্য সুবি ত্রিপুরা নিহত হন। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে তারাবতী ত্রিপুরা কপালে জখম হয়ে আহত হন।'

মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'ঘটনাস্থল অতি দুর্গম হওয়ায় এখনো মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।'

দিদারুল রাজু/জোবাইদা/

পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে মামলার হুমকি সমন্বয়কের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে মামলার হুমকি সমন্বয়কের
পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে হুমকি দেওয়া সমন্বয়ক মিজান রহমান। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরে নার্সিং পরীক্ষায় ফেল করায় পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জের নামে মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ থেকে ভোল পাল্টে সমন্বয়ক হওয়া মিজান রহমান নামের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে এক বিষয় অকৃতকার্য হওয়ার পর ইনচার্জ বেবী রায়ের নামে মামলার হুমকিসহ ওই ইন্সটিটিউটের অনেক ইনস্ট্রাক্টরকে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠছে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত মিজান রহমাস সিরাজগঞ্জ জেলার তারাস উপজেলার আবু তালেবের পুত্র এবং পিরোজপুর নার্সিং ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউে ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায় জানান,  মিজান ৫ আগস্টের পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে চলেছে। এখনো প্রভাব খাটাচ্ছে। কোনো এক অদৃশ্য হাত তার পিছনে কাজ করছে। পরীক্ষার আগে মিজান দলবলসহ এসে পরীক্ষার হল ছেড়ে দেওয়াসহ তাকে পাশ করাতে হুমকি দেন। পরে পরীক্ষায় ফেল করলে আমার নামে মিথ্যাচার ও মামলাসহ বিভিন্ন রকম হুমকি দিচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।

নার্সিং ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা  যায়, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রকাশিত হয়। তাতে সমন্বয়ক মিজান এক বিষয় অকৃতকার্য হন। পরে তিনি প্রভাবশালী নার্স নেতা, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষকে ফোন দিয়ে পাশ করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাতেও কাজ না হলে প্রতিষ্ঠানের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায়ের নামে মামলা করার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটটির ইনস্ট্রাকটর প্রভা রানী বড়াল বলেন, ‘মিজানুর রহমান আমাদের নার্সিং ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষার্থী। গত ১১ মার্চ বিএনএমসির রেজাল্ট দেওয়ার পর থেকে সে বিভিন্নভাবে সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের দিয়ে ফোন দিয়ে পাশ করানোর ব্যাপারে হুমকি দেয়। সে যে বিষয়ে ফেল করেছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো টিচার পরীক্ষা নেয়নি। সাধারণ ঐ বিষয়ে বাইরের টিচার নিয়োগ দেওয়া হয়। আমরা টিচার হিসেবে কখনও কোনো শিক্ষার্থী ফেল করুক সেটা চাইনা।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মিজান সব সময় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের প্রভাব দেখাতো। সে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতো। গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ তিনি সমন্বয়ক বনে যান। তিনি পরীক্ষায় ফেল করে আমাদের ইনস্ট্রাক্টরদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। পড়ালেখায় পাশ-ফেল তো থাকবেই এটা কেন মানতে পারবেনা, এখানে কেন প্রভাব দেখাতে হবে। অবিলম্বে তাকে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা উচিত এবং তার ছাত্রত্ব বাতিল করা উচিত।’

অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘তারা আমার শিক্ষক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা তো দূরের কথা কোনো খারাপ কথাও আমি বলিনি। তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু ফোনে বলবেন না বলে কল কেটে দেন।’

হাসিবুল ইসলাম/সুমন/

বালতিতে মেপে সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে, কারচুপির অভিযোগ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
বালতিতে মেপে সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে, কারচুপির অভিযোগ
বাউফলে মিটারের পরিবর্তে বালতিতে মেপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

পটুয়াখালীর বাউফলে মিটারের পরিবর্তে বালতিতে মেপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ফেয়ার প্রাইস ডিলার লিটন মৃধার বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়ের বাজার এলাকার সুবিধাভোগীরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় ডিলার চাল বিক্রি বন্ধ করে দেন। 

জানা গেছে, কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়ের বাজারে ডিলার লিটন মৃধা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল মিটারের পরিবর্তে বালতি দিয়ে মেপে বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে কেউ পাচ্ছেন ২৮ কেজি, আবার কেউ ২৯ কেজি। এ অনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হলে সুবিধাভোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে লিটন চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন। 

পাকডাল গ্রামের সুবিধাভোগী রাজ্জাক মৃধা বলেন, ‘সকাল থেকে লিটন মৃধা বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছেন। এতে মাপে কম হচ্ছে। কেউ ২৮ কেজি, কেউ ২৯ কেজি পাচ্ছেন। চাল বিতরণের সময় কোনো ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন না।’ 

তবে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিলার লিটন। 

তিনি বলেন, ‘সুবিধাভোগীদের সম্মতিতে দ্রুত বিতরণের জন্য বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছি। এতে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।’  

দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মশিউর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ডিলারকে চাল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। আগামী বৃহস্পতিবার মিটার ব্যবহার করে সঠিক ওজনে চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।’ 

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিলন/পপি/

মুন্সীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবির ৩ পুলিশ সদস্য আহত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
মুন্সীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবির ৩ পুলিশ সদস্য আহত
ছবি : খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় গোয়েন্দা শাখা তথা ডিবি পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে জেলার লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা বাজারে মাদক বিরোধী অভিযানে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ডিবির কনষ্টেবল আসিফউদ্দিনকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জেলা গোয়েন্দা শাখা তথা ডিবির ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল জানান, ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান আসছে গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার রাত ৮ টার দিকে লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা বাজারে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের ১০ সদস্যের একটি টিম। এ সময় সেখানে অবস্থান করছিলো উপজেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাহমুদসহ একটি চক্র। উপস্থিতি টের পেয়েই ওই মাদক ব্যবসায়ী চক্রের লোকজন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের ওপর হামলা করে। এ সময় ডিবির ৩ সদস্যকে মারধর করে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান ও হামলার ঘটনায় লৌহজং থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, 'মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে ডিবি পুলিশের সদস্যদের উপর অতর্কিতে ওই হামলা করে। আহতদের মধ্যে একজন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জোবাইদা/