ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

অপারেশন ডেভিল হান্ট: হাতিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ আ.লীগ নেতা আটক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৬ পিএম
অপারেশন ডেভিল হান্ট: হাতিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ আ.লীগ নেতা আটক
ছবি: খবরের কাগজ

অপারেশন ‘ডেভিল হান্টের’ প্রথম দিনে নোয়াখালীর হাতিয়ায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ সাতজনকে আটক করেছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে হাতিয়ার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 

আটকরা হলেন- হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আজাদ (৬৪), হাতিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাদ্দাম হোসেন (২৬), ৩নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম বিটু (৪৪), নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের আজিম উদ্দিন (৩১), তমরুদ্দি ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ রাকছান (২৪), আবদুল মাজেদ পলাশ (৪৩) ও আব্দুল জাহের (৩৯)।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও পুলিশের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে ৫নং চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজাদকে ওছখালী পুরাতন বাজারের ২নং ওয়ার্ড থেকে আটক করে। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ৬ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী। অভিযানে একটি প্লাস্টিকের হাতলযুক্ত ধারালো ছুরি, একটি ধারালো কুড়াল, দুটি কাঠের হাতলযুক্ত ধারালো ছুরি এবং তিনটি লম্বা তলোয়ার উদ্ধার করা হয়। 

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ঘোষণার পর হাতিয়া থানার এটি প্রথম অভিযান ছিল। আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একই সঙ্গে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও পুলিশের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


মেহেদী/

পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে মামলার হুমকি সমন্বয়কের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে মামলার হুমকি সমন্বয়কের
পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে হুমকি দেওয়া সমন্বয়ক মিজান রহমান। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরে নার্সিং পরীক্ষায় ফেল করায় পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জের নামে মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ থেকে ভোল পাল্টে সমন্বয়ক হওয়া মিজান রহমান নামের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে এক বিষয় অকৃতকার্য হওয়ার পর ইনচার্জ বেবী রায়ের নামে মামলার হুমকিসহ ওই ইন্সটিটিউটের অনেক ইনস্ট্রাক্টরকে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠছে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত মিজান রহমাস সিরাজগঞ্জ জেলার তারাস উপজেলার আবু তালেবের পুত্র এবং পিরোজপুর নার্সিং ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউে ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায় জানান,  মিজান ৫ আগস্টের পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে চলেছে। এখনো প্রভাব খাটাচ্ছে। কোনো এক অদৃশ্য হাত তার পিছনে কাজ করছে। পরীক্ষার আগে মিজান দলবলসহ এসে পরীক্ষার হল ছেড়ে দেওয়াসহ তাকে পাশ করাতে হুমকি দেন। পরে পরীক্ষায় ফেল করলে আমার নামে মিথ্যাচার ও মামলাসহ বিভিন্ন রকম হুমকি দিচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।

নার্সিং ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা  যায়, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রকাশিত হয়। তাতে সমন্বয়ক মিজান এক বিষয় অকৃতকার্য হন। পরে তিনি প্রভাবশালী নার্স নেতা, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষকে ফোন দিয়ে পাশ করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাতেও কাজ না হলে প্রতিষ্ঠানের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায়ের নামে মামলা করার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটটির ইনস্ট্রাকটর প্রভা রানী বড়াল বলেন, ‘মিজানুর রহমান আমাদের নার্সিং ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষার্থী। গত ১১ মার্চ বিএনএমসির রেজাল্ট দেওয়ার পর থেকে সে বিভিন্নভাবে সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের দিয়ে ফোন দিয়ে পাশ করানোর ব্যাপারে হুমকি দেয়। সে যে বিষয়ে ফেল করেছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো টিচার পরীক্ষা নেয়নি। সাধারণ ঐ বিষয়ে বাইরের টিচার নিয়োগ দেওয়া হয়। আমরা টিচার হিসেবে কখনও কোনো শিক্ষার্থী ফেল করুক সেটা চাইনা।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মিজান সব সময় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের প্রভাব দেখাতো। সে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতো। গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ তিনি সমন্বয়ক বনে যান। তিনি পরীক্ষায় ফেল করে আমাদের ইনস্ট্রাক্টরদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। পড়ালেখায় পাশ-ফেল তো থাকবেই এটা কেন মানতে পারবেনা, এখানে কেন প্রভাব দেখাতে হবে। অবিলম্বে তাকে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা উচিত এবং তার ছাত্রত্ব বাতিল করা উচিত।’

অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘তারা আমার শিক্ষক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা তো দূরের কথা কোনো খারাপ কথাও আমি বলিনি। তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু ফোনে বলবেন না বলে কল কেটে দেন।’

হাসিবুল ইসলাম/সুমন/

বালতিতে মেপে সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে, কারচুপির অভিযোগ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
বালতিতে মেপে সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে, কারচুপির অভিযোগ
বাউফলে মিটারের পরিবর্তে বালতিতে মেপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

পটুয়াখালীর বাউফলে মিটারের পরিবর্তে বালতিতে মেপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ফেয়ার প্রাইস ডিলার লিটন মৃধার বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়ের বাজার এলাকার সুবিধাভোগীরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় ডিলার চাল বিক্রি বন্ধ করে দেন। 

জানা গেছে, কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়ের বাজারে ডিলার লিটন মৃধা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল মিটারের পরিবর্তে বালতি দিয়ে মেপে বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে কেউ পাচ্ছেন ২৮ কেজি, আবার কেউ ২৯ কেজি। এ অনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হলে সুবিধাভোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে লিটন চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন। 

পাকডাল গ্রামের সুবিধাভোগী রাজ্জাক মৃধা বলেন, ‘সকাল থেকে লিটন মৃধা বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছেন। এতে মাপে কম হচ্ছে। কেউ ২৮ কেজি, কেউ ২৯ কেজি পাচ্ছেন। চাল বিতরণের সময় কোনো ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন না।’ 

তবে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিলার লিটন। 

তিনি বলেন, ‘সুবিধাভোগীদের সম্মতিতে দ্রুত বিতরণের জন্য বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছি। এতে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।’  

দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মশিউর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ডিলারকে চাল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। আগামী বৃহস্পতিবার মিটার ব্যবহার করে সঠিক ওজনে চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।’ 

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিলন/পপি/

মুন্সীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবির ৩ পুলিশ সদস্য আহত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
মুন্সীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবির ৩ পুলিশ সদস্য আহত
ছবি : খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় গোয়েন্দা শাখা তথা ডিবি পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে জেলার লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা বাজারে মাদক বিরোধী অভিযানে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ডিবির কনষ্টেবল আসিফউদ্দিনকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জেলা গোয়েন্দা শাখা তথা ডিবির ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল জানান, ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান আসছে গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার রাত ৮ টার দিকে লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা বাজারে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের ১০ সদস্যের একটি টিম। এ সময় সেখানে অবস্থান করছিলো উপজেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাহমুদসহ একটি চক্র। উপস্থিতি টের পেয়েই ওই মাদক ব্যবসায়ী চক্রের লোকজন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের ওপর হামলা করে। এ সময় ডিবির ৩ সদস্যকে মারধর করে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান ও হামলার ঘটনায় লৌহজং থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, 'মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে ডিবি পুলিশের সদস্যদের উপর অতর্কিতে ওই হামলা করে। আহতদের মধ্যে একজন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জোবাইদা/

ভালুকায় মসজিদে ইফতারে প্রতিদিনই বিরিয়ানি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
ভালুকায় মসজিদে ইফতারে প্রতিদিনই বিরিয়ানি
মোহাম্মদ আলী মণ্ডল বাইতুন নূর জামে মসজিদে ইফতার করার জন্য সারি বেঁধে বসেছেন রোজাদাররা। ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের আমতলী এলাকার মোহাম্মদ আলী মণ্ডল বাইতুন নূর জামে মসজিদ। প্রতিদিন ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে আসতে থাকেন বিভিন্ন বয়সী শত শত রোজাদার। আসে শিশুরাও। সবাই বসেন পাশাপাশি। সৃষ্টি হয় সম্প্রীতির এক পরিবেশ। মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে সবাই একসঙ্গে খাওয়া শুরু করেন। তবে ইফতারে ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি দেওয়া হয় না। এগুলোর পরিবর্তে দেওয়া হয় বিরিয়ানি। কোনোদিন গরুর, কোনোদিন খাসির ও কোনোদিন মুরগির বিরিয়ানি দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে সালাদ। আর শুরুতে শরবত তো থাকেই।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করতেই এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। এলাকার লোকজন নিজ উদ্যোগে সামর্থ্য অনুযায়ী মসজিদে টাকা দেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা ইফতার আয়োজনের জন্য টাকা পাঠান। সবার এমন সাহায্য-সহযোগিতায় ইফতারের সময়টুকু মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে।

আমতলী এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘ইফতারে সাধারণত ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু , বেগুনি, চপ ইত্যাদি দেওয়া হয়। তবে অনেকে এগুলো খেতে চান না। তাই ইফতারে এগুলোর পরিবর্তে রোজাদারদের বিনামূল্যে বিরিয়ানি দেওয়া হচ্ছে।’

জাহিদুর রহমান নামে আরেকজন বলেন, ‘ইফতারের আগ মুহূর্তে প্রতিদিন দুই শতাধিক মানুষ মসজিদে আসেন। সবাই এক কাতারে বসে খাওয়া-দাওয়া করেন। মসজিদে জায়গা না পেলে সামনের মাঠে বসে ইফতার করেন। অনেকে সঙ্গে শিশু নিয়ে আসেন।’

মসজিদে প্রতিদিন ইফতার করেন রিকশাচালক আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘রিকশা চালিয়ে ঠিকমতো পরিবারের ভরণপোষণ করতে পারি না। ইচ্ছে থাকলেও মাসে একবার বিরিয়ানি খাওয়া হয় না। এই মসজিদে বিনামূল্যে প্রতিদিন বিরিয়ানি দেওয়া হয়। তাই সারা দিন রোজা রেখে মসজিদে চলে আসি।’

মসজিদের ইমাম মুফতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখানে ধনী-গরিবের কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই একসঙ্গে ইফতার করেন। এমন দৃশ্য দেখতেও ভালো লাগে। প্রতিবছর রমজানে এভাবেই ইফতার আয়োজন করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলী মণ্ডল বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অপরিচিত বহু মানুষ মসজিদে ইফতার করতে বসেন। এ ছাড়া ইফতারের সময় হলে মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়া লোকজনকে ডেকে এনে খাওয়ানো হয়। কেউ কাউকে চেনেন না। অথচ পাশাপাশি বসে ইফতার করছেন। সবার পরিচয় একটাই, তারা সবাই রোজাদার মুসল্লি। প্রতিবছর এরকম ইফতার আয়োজন করা হবে।’

আখাউড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
আখাউড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল
ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

ভিডিওর সূত্র ধরে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গেছে, ঘটনাটি উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের। বেশ কিছুদিন আগে স্বামীর সঙ্গে ওই কিশোরীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। প্রতিবেশি ও সম্পর্কে দাদা ফজলুল হক বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।

ফেসবুকে ভিডিও দেখে ও কথা হলে অনেকে জানান, ধরণ দেখে মনে হচ্ছে স্বেচ্ছায় শারিরিক সম্পর্ক করা হয়েছে। তবে যেহেতু কিশোরীর সঙ্গে এটা করা হয়েছে সেটা আইনগতভাবে ধর্ষণের ঘটনা। কে বা কারা কিংবা কি উদ্দেশ্যে এর ভিডিও করেছে এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেন অনেকে।

এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দীন জানান, ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসবে বলে একটি পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জুটন/মেহেদী/