ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

ডোমারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
ডোমারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি:

নীলফামারীর জেলার ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ডোমার উপজেলা পরিষদ চত্বরে গনতন্ত্রকামী, ফ্যাসিস্ট বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা অবৈধ সরকারের সুবিধাভোগী, ফ্যাসিস্ট, গণহত্যাকারী, এমপিও সিন্ডিকেট ও নিয়োগ বাণিজ্যের হোতা, দুর্নীতিবাজ ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাকেরিনা বেগমের অপসারণের দাবি জানাই।’ 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নানাভাবে অবৈধ সুবিধা ভোগ করেছে। নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে। ডোমারে একক সাম্রাজ্য তৈরী করে রেখেছে সাকেরিণা বেগম।’

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ডোমার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ বিন আমিন সুমন, ডোমার পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর আলী, তালতলি বিজনেস ম্যানজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গোলাপ হোসেন, সাহেবপারা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শফিউল বারী বুলবুল, মহিলা দলের সভাপতি আসমত আরা লাকী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা শরিফ হোসেন, বামুনিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনছুর আলী প্রমূখ।

মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলমের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেন। এসময় তিনি শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন ।

এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাকেরিনা বেগম সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে এসব মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমি এসবের কিছু জানি না।’ 

মমিনুর আজাদ/মাহফুজ

 

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন আদিবাসী শব্দ অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে পিসিসিপির নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
আদিবাসী শব্দ অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে পিসিসিপির নিন্দা ও প্রতিবাদ
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ‘আদিবাসী’ শব্দের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)।

রবিবার (২৩ মার্চ) সকালে পিসিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ২৩ক অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ বা ‘উপজাতি’ হিসেবে উল্লেখ করতে হবে, ‘আদিবাসী’ নয়। ২০১১ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত প্রস্তাবেও ‘আদিবাসী’ শব্দের ব্যবহার সংবিধানবিরোধী বলে স্বীকৃত হয়েছে। তা সত্ত্বেও এই শব্দ ব্যবহারের সুপারিশ করা দেশের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর তৎকালীন পার্বত্য চুক্তিতে উপজাতিরা ‘আদিবাসী’ হিসেবে দাবি না করে বরঞ্চ নিজেদের উপজাতি হিসেবে উল্লেখ করে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। তাহলে- চুক্তির এত বছর পরে তারা ও কিছু কুচক্রী মহল আবার এখন নিজেদেরকে ‘আদিবাসী’ দাবি করে কেন? কুচক্রী মহলের এই দাবি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস। পার্বত্য চুক্তির সম্পাদিত হওয়ার ফলে উপজাতি কোটায় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, উপজাতি কোটায় শিক্ষা-দীক্ষা-চাকরি ও অন্যান্য সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পরে এখন উপজাতি ও কিছু ষড়যন্ত্রকারী নতুন করে ‘আদিবাসী’ দাবি করার মাধ্যমে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার ভয়াবহ ষড়যন্ত্র। 

পিসিসিপি বিবৃতিতে বলছে-

১. গণমাধ্যম নীতিমালায় ‘আদিবাসী’ শব্দ যুক্ত করার সুপারিশ একটি ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের বাস্তবতায় কোনো জনগোষ্ঠী আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো ভারত, মায়ানমার ও তিব্বতের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে। সুতরাং তাদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে পরিচিত করা ইতিহাস বিকৃতির শামিল।

২. আন্তর্জাতিক মহলে বিচ্ছিন্নতাবাদী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। ‘আদিবাসী’ শব্দটি স্বীকৃতি পেলে পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু চরমপন্থি গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়ার সুযোগ পাবে, যা দেশের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

৩. বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা চলছে। কিছু বিদেশি সংস্থা ও এনজিও দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। কামাল আহমেদ ও তার মতো ব্যক্তিরা এই চক্রান্তের অংশীদার কি না, তা তদন্ত করা প্রয়োজন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পিসিসিপির আহ্বান-

গণমাধ্যম নীতিমালায় ‘আদিবাসী’ শব্দ সংযোজনের সুপারিশ দ্রুত প্রত্যাখান করতে হবে। অন্যথায় পিসিসিপি দুর্বার আন্দোলনের ডাক দিবে।

রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার চালানো ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের মূলধারার গণমাধ্যম যেন কোনো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।  মাতৃভূমির অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য পিসিসিপি সর্বদা প্রস্তুত।

জিয়াউর রহমান/সুমন/

নাটোরে মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় দাফন!

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৩ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০০ পিএম
নাটোরে মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় দাফন!
ছবি: খবরের কাগজ

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাঁচশিশা গ্রামের 'কৃষ্ণ রাজার পুকুর পাড়ে' পাওয়া একটি অজ্ঞাত মরদেহ ১২ ঘণ্টায়ও শনাক্ত না করতে পেরে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে।

শনিবার (২২ মার্চ) সকালে ওই মরদেহটি উদ্ধারের পর প্রায় ১২ ঘণ্টায়ও নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

গুরুদাসপুর পুলিশ ও স্থানীয়দের দাবি, এই অজ্ঞাত ব্যক্তি পাগল প্রকৃতির ছিলেন। তিনি গত ৪-৫ দিন থেকে ওই পুকুরপাড়ে অবস্থান করছিলেন। পরে শনিবার সকালে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন শনিবার সন্ধ্যায় জানান, নিহতর পরিচয় জানতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে ছবি দিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। তবে পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় তাকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দাফনের প্রক্রিয়া চলছে।

কামাল/মেহেদী/

ফতুল্লায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৬ পিএম
ফতুল্লায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে জমে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাসে আগুন লেগে বিস্ফোরণে নারীসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।

শনিবার (২২ মার্চ) রাতে তল্লা এলাকার মামুন মিয়ার বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- হারুন অর রশিদ, তার স্ত্রী রুনা আক্তার ও মেয়ে মিম আক্তার। তাদের বাড়ি বরগুনার আমতলী উপজেলা চাউরা গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তল্লা এলাকায় মামুন মিয়ার বাড়িতে রাতে সাহরির রান্না করার জন্য রুনা চুলা জ্বালাতে গেলে শরীরে আগুন ধরে যায়। এ সময় তার স্বামী ও মেয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে তারাও দগ্ধ হন। পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে রাজধানীর জাতীয় বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।

হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, রুনা আক্তারের শরীরের ৬২ শতাংশ, হারুন অর রশিদের ১ শতাংশ ও মেয়ে মিমের শরীরের ১ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ধারণা করা হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

বিল্লাল/মেহেদী/

চট্টগ্রামে কোটি টাকার ভারতীয় সিগারেট জব্দ, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
চট্টগ্রামে কোটি টাকার ভারতীয় সিগারেট জব্দ, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রামে কোটি টাকার ভারতীয় সিগারেট জব্দ এবং এর সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিশেষ অভিযানে ৬ হাজার ৩৮০ কার্টন ভারতীয় সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক এক কোটি টাকা। এ সময় একটি পিকআপসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের আমান বাজার এলাকায় চট্টগ্রামগামী আঞ্চলিক মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে এসব সিগারেট জব্দ করা হয়। উদ্ধার সিগারেটগুলো ওরিস ও মন্ড ব্র্যান্ডের ছিল এবং এতে মোট ৬৩ হাজার ৮০০ প্যাকেট সিগারেট রয়েছে।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন হলেন মো. শওকত আকবর (৩৪) এবং অপরজন পিকআপ চালক মো. বাদশা (২৬)। তারা দুজনেই রাঙ্গামাটি জেলার কোতোয়ালী থানার বাসিন্দা।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মো. রাসেল জানিয়েছেন, বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই সিগারেট ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার সিগারেট ও পিকআপ হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তাওফিক/ 

সাতকানিয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:০৭ পিএম
সাতকানিয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
নিহত সুবীর চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে এবং তার বড়ভাই আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরখীল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম সুবীর চক্রবর্তী (৩৪)। তার বড়ভাই পল্লী চিকিৎসক প্রবীর চক্রবর্তী। তাদের পিতা মৃত অরুণ চক্রবর্তী। 

অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার মৃত অরুন দাসের পুত্র রূপক দাস (৫০), দীপক দাস (৫২), অলক দাস (৪৫) এবং দীপক দাসের ছেলে অমিত দাস (২০) ও দীপ্ত দাস (১৮)।

জানা যায়, নিহত সুবীর চক্রবর্তীর পরিবারের সঙ্গে রূপক দাসের পরিবারের দীর্ঘ সময় জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল এবং প্রায় দুই বছর আগে এ নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। যার প্রেক্ষিতে একটি মামলা হয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

সর্বশেষ গত শুক্রবার প্রতিপক্ষ রূপক দাস ও তার পরিবারের সদস্যরা নিহত সুবীরের স্ত্রী জয়শ্রী চক্রবর্তী ও প্রবীরের স্ত্রী সোমা ভট্টাচার্যকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পুনরায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। একইদিন রাতে স্থানীয় সমাজপতি সুশীল দাস সুবীর ও তার বড়ভাইকে পূজার বিষয়ে আলাপচারিতার জন্য ডাকেন। সেখানে যাওয়ার পথে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষ গ্রুপ এবং সুবীরকে ছুরিকাঘাত করে। তার বড়ভাই বাঁধা দিতে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।

নিহত সুবীর চক্রবর্তীর স্ত্রী জয়শ্রী চক্রবর্তী খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার স্বামী দোকান থেকে ফিরে সুশীল দাসের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে রূপক দাসের পরিবার তার ওপর হামলা চালায় এবং তাকে হত্যার উদ্দেশে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে শনিবার (২২ মার্চ) প্রবীর চক্রবর্তী বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।  মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে দীপক দাসের স্ত্রী ঝুমুর দাস, রূপক দাসের স্ত্রী স্বপ্না দাস ও মেয়ে অন্তরা দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, রূপক দাস, দীপ্ত দাস, অলক দাস, দীপক দাস, প্রিয়ম দাস কালু ও সুদীপ্ত দাস। 

আরিফুল/তাওফিক/