ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্ব উদ্বোধন

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ পিএম
আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্ব উদ্বোধন
ছবি: সংগৃহীত

আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্বের খেলার উদ্বোধন হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিলেট নগরীর উপশহর পয়েন্টের সিলেট ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে সিলেট পর্বের খেলা উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় ও জমকালো আয়োজনে অত্যন্ত আনন্দপূর্ণ ও শৃঙ্খলভাবে খেলাটি সম্পন্ন হয়। খেলায় লাল ও সবুজ দলে বিভক্ত হয়ে জাতীয় ফুটবল দলের বর্তমান ও সাবেক তারকা খেলোয়াড়গণ অংশগ্রহণ করে। খেলায় সবুজ দল ১-০ গোলে লালকে পরাজিত করে। খেলায় সবুজ দলের গোলদাতা দিলোয়ার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সিলেট পর্বের সমন্বয়ক মিফতাহ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক, টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ডা. শামীমুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুল করিম ময়ুন, ফয়সল চৌধুরী ও মিজানুর রহমান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, আজকে ক্রিকেটের যে উন্নয়ন তা করেছিলেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো। তিনি রাজনীতির বাইরে থেকে খেলাকে খেলা হিসেবে দেখে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। আজকে যে ক্রিকেট আমরা দেখতে পাই সেই ক্রিকেটের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দায়িত্বে আশার পর তিনি ক্রীড়াঙ্গনকে জাগিয়ে তুলেছিলেন।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও বাংলাদেশে একজন স্বৈরশাসক ক্ষমতায় ছিলেন। আমরা পৃথিবীর বুকে বহু স্বৈরশাসককে চিনি। তাদের ওপর বহু বই আছে। কিন্তু কোনো স্বৈরাচারকে আমরা কখনো বলতে শুনিনি আমার ক্ষমতা দরকার। আমাদের দেশের স্বৈরাচার কখনো বলেনি আমার মানুষের ভালোবাসা দরকার। কখনো তিনি বলেননি মানুষ খেতে পাচ্ছে না, আমি খাবার তুলে দিতে চাই। আমরা শুনেছি তিনি বলেছেন আমার ক্ষমতাটাই দরকার। এমন ক্ষমতালোভী কোনো স্বৈরাচার ছিল না।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

 

সাতকানিয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:০৭ পিএম
সাতকানিয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
নিহত সুবীর চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে এবং তার বড়ভাই আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরখীল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম সুবীর চক্রবর্তী (৩৪)। তার বড়ভাই পল্লী চিকিৎসক প্রবীর চক্রবর্তী। তাদের পিতা মৃত অরুণ চক্রবর্তী। 

অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার মৃত অরুন দাসের পুত্র রূপক দাস (৫০), দীপক দাস (৫২), অলক দাস (৪৫) এবং দীপক দাসের ছেলে অমিত দাস (২০) ও দীপ্ত দাস (১৮)।

জানা যায়, নিহত সুবীর চক্রবর্তীর পরিবারের সঙ্গে রূপক দাসের পরিবারের দীর্ঘ সময় জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল এবং প্রায় দুই বছর আগে এ নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। যার প্রেক্ষিতে একটি মামলা হয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

সর্বশেষ গত শুক্রবার প্রতিপক্ষ রূপক দাস ও তার পরিবারের সদস্যরা নিহত সুবীরের স্ত্রী জয়শ্রী চক্রবর্তী ও প্রবীরের স্ত্রী সোমা ভট্টাচার্যকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পুনরায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। একইদিন রাতে স্থানীয় সমাজপতি সুশীল দাস সুবীর ও তার বড়ভাইকে পূজার বিষয়ে আলাপচারিতার জন্য ডাকেন। সেখানে যাওয়ার পথে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষ গ্রুপ এবং সুবীরকে ছুরিকাঘাত করে। তার বড়ভাই বাঁধা দিতে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।

নিহত সুবীর চক্রবর্তীর স্ত্রী জয়শ্রী চক্রবর্তী খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার স্বামী দোকান থেকে ফিরে সুশীল দাসের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে রূপক দাসের পরিবার তার ওপর হামলা চালায় এবং তাকে হত্যার উদ্দেশে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে শনিবার (২২ মার্চ) প্রবীর চক্রবর্তী বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।  মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে দীপক দাসের স্ত্রী ঝুমুর দাস, রূপক দাসের স্ত্রী স্বপ্না দাস ও মেয়ে অন্তরা দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, রূপক দাস, দীপ্ত দাস, অলক দাস, দীপক দাস, প্রিয়ম দাস কালু ও সুদীপ্ত দাস। 

আরিফুল/তাওফিক/ 

দাউদকান্দি মডেল থানায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার গাড়ি

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
দাউদকান্দি মডেল থানায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার গাড়ি
ছবি : খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানার ভিতরে অযত্ন-অবহেলা আর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামী-দামি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন। রোদবৃষ্টি আর ধুলা-ময়লায় মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার এসব যানবাহন। বিভিন্ন জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় যানবাহনগুলো পড়ে থেকে হারিয়ে ফেলছে চলাচলের ক্ষমতা। 

জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনা, চুরি, চোরাই পণ্য পরিবহন, মাদকদ্রব্য বহনসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের জব্দ করা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, পিকআপ ভ্যান, ট্রাক আটক করার পর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এসব যানবাহন অযত্নে পড়ে থাকছে থানার ভিতরে খোলা আকাশের নিচে। দিনের পর দিন সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে যানবাহনগুলো। একটা সময় পরে এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। 

জানা যায়, মূলত তিনটি কারণে থানায় জব্দ যানবাহন নষ্ট হচ্ছে। গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে মালিকের না আসা, আদালতের নির্দেশনা ছাড়া এসব যানবাহন নিলামে বিক্রি করতে না পারা এবং থানা কর্তৃপক্ষও জব্দ যানবাহন সম্পর্কে আদালতকে অবগত না করায় কোটি টাকার সম্পদ অনায়াসে ধ্বংস স্তুপে পরিণত হচ্ছে। এতে করে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। 

মামলার আলামত হিসেবে এসব যানবাহন জব্দ করা হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খোলা আকাশের নিচে মাসের পর মাস পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। দিনে দিনে যানবাহনগুলো বিকল হয়ে পড়লেও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।  

কবি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক হোসাইন মোহাম্মদ দিদার খবরের কাগজকে বলেন, 'মডেল থানায়  অনেক গাড়ি পড়ে আছে। এসব গাড়ি বিক্রি করে দিলে যেমন থানার পরিবেশ সুন্দর হয়, তেমনি সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। এমন কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। আমি আশা করব দ্রুত কতৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে। 

দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, 'গাড়িগুলো বিভিন্ন মামলার আলামত। আদালত নির্দেশনা না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। কাগজপত্র না থাকলে কিংবা আদালতে মামলা থাকলে নিষ্পত্তির জটিলতায় বেশিরভাগ মালিক যোগাযোগ করেন না। আদালতের নির্দেশনা না আসায় গাড়িগুলো মালিককে ফেরত দেওয়া যাচ্ছে না।'

লিটন সরকার বাদল/জোবাইদা/

সাতক্ষীরায় ছয় হাজার মানুষের সম্মিলন

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
সাতক্ষীরায় ছয় হাজার মানুষের সম্মিলন
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের নলতায় খান বাহাদুর আহ্ছান উল্লাহ (রহ.)-এর রওজা শরিফে ইফতার করছেন রোজাদাররা। ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতায় খান বাহাদুর আহ্ছান উল্লাহ (রহ.)-এর রওজা শরিফে একসঙ্গে ইফতার করেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ। এ ছাড়া আশপাশের এলাকায় আরও চার হাজার মানুষের ইফতারি পাঠানো হয় রওজা শরিফ থেকে। 

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইফতারি প্রস্তুতের বিশাল কর্মযজ্ঞ। কেউ শিঙাড়া ভাজছেন, কেউ ভাজছেন পেঁয়াজু, কেউ  ব্যস্ত প্লেট সাজাতে। শিঙাড়া ভাজতে ব্যস্ত মোক্তার হোসেন জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে নলতা রওজা শরিফের ইফতার আয়োজনে নিয়োজিত রয়েছেন। তার মতোই ২২-২৫ জন ফজরের নামাজের পরপরই ইফতারি তৈরির কাজ শুরু করেন।

প্রায় ছয় হাজার মানুষের ইফতারি তৈরিতে সময় লেগে যায় আসরের নামাজ পর্যন্ত। তারপর শুরু হয় ইফতারি সাজানোর কাজ। দিন গড়িয়ে ইফতারের সময় যতই ঘনিয়ে আসে, ততই ভরতে থাকে ইফতারের জন্য প্যান্ডেল খাটানো বিশাল মাঠ। এই মাঠে বসেই ইফতারে অংশ নেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ।

নলতা রওজা শরিফের ঐতিহ্যবাহী ইফতারে অংশ নিতে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিষখালী থেকে গাড়িভর্তি করে এসেছিলেন অনেকে। এদের মধ্যে মেহেদী হাসান বলেন, ‘খান বাহাদুর আহ্ছান উল্লাহ (রহ.)-এর পাক রওজা শরিফ একটি পবিত্র স্থান হিসেবে সমাদৃত। এখানেই দেশের সবচেয়ে বড় ইফতার মাহফিল বসে। প্রতিবছরের মতো এবারও ইফতার করতে নলতায় এসেছি।’

নলতা রওজা শরিফ সূত্রে জানা যায়, ১৯৫০ সাল থেকে প্রতিবছর রমজানে রওজা চত্বরে বিশাল ছাউনি তৈরি করে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তখন এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করতেন হজরত শাহ্ ছুফী খান বাহাদুর আহ্ছান উল্লাহ (রহ.)। তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, শিক্ষা সংস্কারক ও সমাজহিতৈষী। তার মৃত্যুর পরও এ ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। 

রোজাদারদের জন্য এখানে প্রতিদিন ৬০০ কেজি দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় ফিরনি। সেদ্ধ করা হয় ১০ হাজার ডিম। এ ছাড়া ছোলা ভুনা, কলা, খেজুর, শিঙাড়া ও চিড়ার ব্যবস্থা থাকে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর রমজানে ইফতার, তারাবিহ ও ইতিকাফ উপলক্ষে নলতা রওজা শরিফে ৮ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে বাঁশ-খুঁটি দিয়ে টিনের ছাউনি তৈরি করা হয়। দৈনিক ইফতারিতে খরচ হয় গড়ে প্রায় তিন লাখ টাকা। দিনে দিনে এর ব্যাপ্তি আরও বাড়ছে।

তারা বলেন, আসরের নামাজের পরপরই ইফতারি দিয়ে শুরু হয় প্লেট সাজানোর কাজ। এলাকার ছোট-বড় সব মিলিয়ে ২০০ জন যুবক প্রতিদিন স্বেচ্ছাশ্রমে এসব কাজ করে যাচ্ছেন।

স্বেচ্ছাসেবক রাকিব হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর রমজান মাসে এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে খুবই ভালো লাগে। আমরা রমজান মাসের অপেক্ষায় থাকি। একসঙ্গে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ইফতার করেন। আমাদের সৌভাগ্য যে এতগুলো রোজাদারের খেদমত করতে পারছি।’

এ ব্যাপারে নলতা কেদ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, নলতা পাক রওজা শরিফে প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষের ইফতারের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ৬ হাজার মুসল্লি রওজা শরিফ প্রাঙ্গণে একই ছাউনির নিচে বসে একত্রে ইফতার করেন। আর বাকি ৪ হাজার মানুষের ইফতারি এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, মিশন ও বাড়িতে বাড়িতে পাঠানো হয়।

চড়া দামে পোশাক বিক্রি, তবুও ক্রেতাদের ঢল

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
চড়া দামে পোশাক বিক্রি, তবুও ক্রেতাদের ঢল
ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনারপাড় এলাকায় বাড়িপ্লাজা শপিংমল ও একই এলাকায় ফুটপাতে কেনাবেচাসহ গাঙ্গিনারপাড় সড়কের ছবি ই-মেইলে দেওয়া আছে।

ময়মনসিংহে শপিংমল ও বিপনি-বিতানগুলোতে ঈদের কেনাকাটা জমজমাট হয়ে উঠেছে। ফুটপাতেও ক্রেতাদের কমতি নেই। ফুটপাতে পোশাকের দামে স্বস্তি থাকলেও শপিংমল ও বিপনি-বিতানগুলোতে গত বছরের চেয়ে এবার পোশাকের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এতে উচ্চবিত্তদের কোনো সমস্যা না হলেও বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত আয়ের লোকজন। তবুও বাধ্য হয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দের পোশাক কিনতে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছুটে বেড়াচ্ছেন। দামের সঙ্গে অনেকের সামর্থ্যের হিসেব না মেলায় ফুটপাতকেই ভরসা মনে করছেন।

বিভাগীয় এই শহরের হৃৎপিণ্ড গাঙ্গিনারপাড় এলাকা। এক সময় এই এলাকাতেই গড়ে উঠেছিল শপিংমল। ফুটপাতেও দেদারসে হতো বেচাকেনা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরে বেড়েছে জনসংখ্যার চাপ। বিভাগীয় শহরে উন্নীত হওয়ায় মানুষ বাসাবাড়ির সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষের আনাগোনা বাড়ে। একইসঙ্গে বাড়ে যানবাহনের সংখ্যাও। এই সড়কের পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অসংখ্য শপিংমল, বিপনি-বিতান। কিন্তু সরু সড়কের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে সারা বছরই লেগে থাকে যানজট। ঈদ এলে তা বাড়ে কয়েকগুণ বেশি। প্রশাসন নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করলেও ভোগান্তি শেষ হয় না।

গাঙ্গিনারপাড়ে একচেটিয়া ব্যবসাকে মাথায় রেখে ক্রেতা টানতে সময়ের ব্যবধানে আশপাশের এলাকায় গড়ে উঠেছে বহু শপিংমল, বিপনি-বিতান। সারা বছর এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ক্রেতা ভিড়ছে। ঈদ এলে এসব শপিংমল, বিপনি-বিতানে মানুষের ঢল নামে। তবে এসব এলাকাতেও সমস্যা একটাই, তা হলো যানজট। সারাবছর বিভিন্ন যানবাহনের চাকা থেমে থেমে চললেও ঈদের আগে ক্রেতাদের চাপে যানজট ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করে। এবারও এমন রুপ দেখা যাচ্ছে। যদিও পুলিশ বলছে, ঈদ কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গাঙ্গিনারপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শপিংমল আর বিপনি-বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। অনেক দোকানি বেচাকেনার চাপে দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না।  দোকানে বিক্রেতা পোশাক বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে আরও কয়েকজন ক্রেতা চলে আসছেন। এক রেটের দোকানগুলোতে বিক্রেতাদের তেমন কষ্ট না হলেও বিভিন্ন দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দামাদামিতে দোকান সরগরম। গত বছরের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হওয়ায় মনোক্ষুণ্ণ অনেক ক্রেতা। তবুও পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে কিনছেন পছন্দের পোশাক।

একই অবস্থা স্টেশন রোড, সি.কে ঘোষ রোড, চরপাড়া, রামবাবু রোড ও নতুন বাজার এলাকায়। তবে স্টেশনরোড, গাঙ্গিনারপাড় এলাকার ফুটপাতে পা ফেলানোর জায়গা নেই। ন্যায্য দামের মধ্যে পছন্দের পোশাক পাওয়া যাওয়ায় ভীড় মাত্রা অতিক্রম করেছে। একই অবস্থা বাসাবাড়ি ও হকার্স মার্কেটে। বিভিন্ন শপিংমল ও বিপনি-বিতানের চেয়ে এই দুই মার্কেটে পোশাকের দাম অনেকটাই কম। ফলে একশ্রেণির মানুষের পছন্দ এই মার্কেটগুলো। ক্রেতাদের ঢল নামায় দোকানিরা চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

গাঙ্গিনারপাড়ে ফুটপাত থেকে পছন্দের পোশাক কিনছিলেন জাহানারা খাতুন। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, 'আশপাশে সুন্দর সুন্দর মার্কেট। মন চাই এইনোযায়্যা পছন্দমতো জামা-কাপড় কিনি। তবুও যাই না। গেলেই দোহানদার ট্যাহা (টাকা) বেশি কয়। এত ট্যাহা দিয়্যা কাপড় কনবার সাধ্য নাই। এর লাইগ্যা পছন্দের কাপড় কিনবার ফুটপাতে আইছি। ফুটপাতই ভালা।'

বাড়িপ্লাজা শপিংমল থেকে পরিবারের জন্য কেনাকাটা শেষে চলে যাচ্ছিলেন আকরাম হোসেন। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, 'গত বছরের চেয়ে বেশিরভাগ পোশাকের দাম বেশি। তবুও পরিবারের সবার জন্য বিকও পোশাক কিনেছি।'

গাঙ্গিনারপাড় ফুটপাতে বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি করেন নাজিম উদ্দিন বলেন, 'আমরা যেই পোশাকগুলো বিক্রি করছি, একই পেশাক অনেক দোকানে তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। সেখানে দামও বেশি রাখা হচ্ছে। আমরা ন্যায্য দামে পোশাক বিক্রি করায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকজন ভীড় জমাচ্ছেন, পছন্দের পোশাক কিনে বাড়ি ফিরছেন।'

বাড়িপ্লাজা শপিংমলের বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, 'এবার পাইকারিভাবে পোশাকের দাম বেড়েছে। আমরা আগের চেয়ে বেশি দামে কিনে এনেছি। ফলে ক্রেতা পর্যায়ে দাম বেড়েছে।'

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুমনা আল মজীদ বলেন, 'শহরের সড়কগুলো খুবই পুরাতন। সড়ক ঘেঁষে বহু বছর ধরে অসংখ্য ভবন নির্মাণ হয়েছে। তবে প্রশস্ত হয়নি সড়ক। বিগত সময়ে সড়ক প্রশস্ত করার উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়নি। ফলে যানজট প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। ঈদর কয়েকদিন আগে থেকে যানজটের কারণে ভোগান্তি আরও বাড়ে। তবে এবার সবার প্রচেষ্টায় যানজট সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করছি।'

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, 'ইতোমধ্যে ফুটপাতসহ বিপনি-বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। এ সুযোগে চোর ও ছিনতাইকারীর উৎপাত বাড়তে পারে। সেজন্য পুলিশ সদস্যরা শহরে সারাক্ষণ টহল দিচ্ছে।'

এ বিষয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, 'সরু সড়কে সারাবছর প্রচুর যানবাহন চলাচল করে। ঈদ এলে এই সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। ঈদে এবার যানজট কমানোর লক্ষে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে অটোরিকশা আটকে দেওয়া হচ্ছে। চুরি-ছিনতাই বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ বড় শপিংমলের সামনে পুলিশ সারাক্ষণ সতর্ক রয়েছে। তবে কেনাকাটা করতে আসা লোকজনকেও সতর্ক থাকতে হবে।'

কামরুজ্জামান মিন্টু/জোবাইদা/

সিলেটে ঈদের কেনাকাটা: রাত বাড়লে ক্রেতা বাড়ে

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
সিলেটে ঈদের কেনাকাটা: রাত বাড়লে ক্রেতা বাড়ে
সিলেটের বন্দরবাজার ফুটপাতে গভীর রাতেও ঈদের কেনাকাটা করছেন মানুষজন। ছবি: মামুন হোসেন

আর কয়দিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। সিলেটের মার্কেট, ফ্যাশন হাউস ও  শপিংমলগুলোতে এখন তাই কেনাকাটার উপচে পড়া ভিড়। রাতে কেনাকাটা করাই হলো সিলেটের ঈদবাজারের বিশেষত্ব। রাত যত বাড়ে, ক্রেতা তত বৃদ্ধি পায়। গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করেন মানুষজন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নগরীর অভিজাত শপিংমল হিসেবে পরিচিত জিন্দাবাজার এলাকার ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, কাকলী শপিং সেন্টার, সিটি সেন্টার, আল-হামরা শপিং সেন্টার, সিলেট প্লাজা, জেলরোড, বারুতখানা ও কুমারপাড়ার ফ্যাশন হাউসগুলোর শোরুমে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা কেনাকাটা করছেন। পাশাপাশি বন্দরবাজার ও হকার্স মার্কেটে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-বিত্তদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। বিশেষ করে নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারে ছিল না পা ফেলার জায়গা।

এই সড়কে যেমন যানবাহনে, তেমনি হেঁটেও মানুষজন গেছেন কেনাকাটা করতে।  ফুটপাতে ছিল না পা ফেলার জায়গা। হাতে ব্যাগ নিয়ে একদম গা ঘেঁষে চলাফেরা করতে দেখা গেছে ঈদবাজার করতে আসা মানুষজনকে। দশম রোজা থেকে ইফতারের পর পরই এই চিত্র জিন্দাবাজার এলাকার। 

ঈদের আনন্দকে উৎসবে পরিণত করতে সিলেটের বিভিন্ন বিপণিবিতান, ফ্যাশন হাউসগুলোতে রয়েছে বাহারি পোশাকের সমাহার। অন্য বছরের মতো এ বছরও বাহারি ডিজাইনের নানা ধরনের পোশাকে সাজানো হয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিভিন্ন বিপণিবিতানের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয় ও পাকিস্তানি শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি, ফতুয়া, প্যান্টও বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, এবার চাহিদার ভিত্তিতে নারীদের জন্য পাকিস্তানি ইন্সপায়ার সালোয়ার-কামিজ বেশি আনা হয়েছে। পাশাপাশি গরমের কারণে সুতি পোশাকের চাহিদাও বেশি। জুতা, প্রসাধনী ও জুয়েলারি দোকানেও ভিড় করছেন ক্রেতারা।

জিন্দাবাজারের রিয়েল টাচের পরিচালক উৎপল রায় খবরের কাগজকে বলেন, এখন পর্যন্ত ক্রেতা সমাগম মোটামুটি ভালো। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কম ব্যবসা হচ্ছে। আশা করছি আগামী কয়েক দিন ক্রেতা আরও বাড়বে।

ঈদের পোশাক কিনতে আসা নগরীর জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা শামছুন্নাহার মুক্তা খবরের কাগজকে বলেন, ‘গত ঈদে সারারা ড্রেস কিনেছিলাম, এবার একটি পাকিস্তানি ইন্সপায়ার ড্রেস কিনেছি। কারণ এই ডিজাইনের ড্রেস এখন ট্রেন্ডে আছে।’

নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় ঈদের কেনাকাটা করতে আসা সালওয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘নতুন বিয়ে হয়েছে, এবারের ঈদে তাই একটি কাতান শাড়ি কিনেছি। পাশাপাশি কিছু দেশি সালোয়ার-কামিজও কিনেছি। এখনো জুয়েলারি ও প্রসাধনী কেনা বাকি আছে।’

এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ। সিলেটে ঈদের বাজার রাতে জমজমাট হয়। এই সুযোগে সক্রিয় থাকে অপরাধীরা। পাশাপাশি মার্কেট-শপিংমলগুলোতে বখাটেপনা বা ইভ টিজিং করার চেষ্টা করে একশ্রেণির তরুণ ও যুবক। তবে এখন পর্যন্ত সিলেটের ঈদবাজারে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তার পরও ঈদের বাজারকেন্দ্রিক অপরাধীদের ধরতে ১৫ রমজান থেকে বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে পুলিশ।

ঈদবাজারের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি শপিংমলের দায়িত্বশীলরা বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় মাঝে মাঝে দু-একজন পোশাকধারী পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়। তবে এর পরও ঈদবাজারের বাড়তি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মার্কেট ও শপিংমলের দায়িত্বশীলরা নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী রেখেছেন। এরা মার্কেট ও শপিংমলগুলোর ভেতরে নিরাপত্তা রক্ষার কাজ করেন।

ঈদবাজারের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি মিডিয়া মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘মানুষ যাতে নিরাপদে ঈদের কেনাকাটা করতে পারেন, সে জন্য সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রমজানের প্রথম দিন থেকেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তাব্যবস্থা আমরা রেখেছি। ১৫ রমজান থেকে নগরীর যে এলাকাগুলোতে কেনাকাটা বেশি হয়, সেই এলাকাগুলোতে পুলিশ মোতায়েন আছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। ক্রেতাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে পুলিশের টহল পার্টি, চেকপোস্ট, সাদাপোশাকে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিচ্ছেন।