ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ কার্তুজসহ ২ গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০১ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ কার্তুজসহ ২ গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শর্টগানের অবৈধ ৬৭টি কার্তুজসহ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের দুই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটার দিকে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার কাউতলীর ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- শাখাওয়াত হোসেন (২৯) ও সোহরাব হোসেন (৩০)। তারা দুজনেই জেলা ডিবি পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে সদর থানায় এই মামলা করেন।

তবে এসব কার্তুজ কোথা থেকে কিংবা কিভাবে তাদের কাছে এলো এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয় বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) মো. ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলামের সঙ্গে পুলিশের অন্য সদস্যরা পৌর এলাকার কাউতলীর নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মো. তাহসিনের বাসার চতুর্থ তলায় অভিযান চালায়। চতুর্থ তলার ডিবির কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন ও সোহরাব হোসেনের ভাড়া বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ১২ বোর শর্টগানের ৬৭টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জব্দ করা মালামাল নিজেদের হেফাজতে রাখার বিষয়ে কোনো যৌক্তিক কারণ ও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি দুই কনস্টেবল। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গোয়েন্দা পুলিশের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আছে বলে জানান তিনি।

গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইকবাল হোসাইন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ডিবি পুলিশ কোনোভাবে ওইসব কার্তুজ তাদের দুই সদস্যের কাছে রয়েছে জানতে পারে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন স্যারকে তারা অবহিত করে ওনার নির্দেশেই গ্রেপ্তার করেন। নিয়মানুসারে তারা চাকরিচ্যুত হবেন এবং ঘটনার তদন্ত হবে।


জুয়েল/মেহেদী/

পিরোজপুরে কেমিক্যাল ও রঙ দিয়ে শিশুদের খাবার তৈরি, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৭ পিএম
পিরোজপুরে কেমিক্যাল ও রঙ দিয়ে শিশুদের খাবার তৈরি, গ্রেপ্তার ২
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

পিরোজপুরের নাজিরপুরে একটি বাড়িতে বিভিন্ন রঙ ও কেমিক্যাল দিয়ে শিশুদের খাবার তৈরি ও বিভিন্ন অনুমোদনবিহীন মোড়কে পণ্য তৈরি করে ডিলারশিপের মাধ্যমে বিক্রি করায় নামবিহীন এক প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও দুই জনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রামান্যমাণ আদালত।

বুধবার (১৯ মার্চ) শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের বন্দর বাজার পাশে একটি বাড়িতে পিরোজপুর জেলা জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা শাখা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কারখানায় অভিযান চালায়। গোয়েন্দা সংস্থা অভিযানে সত্যতা পেলে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিলে প্রশাসন তাদের টিম নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে ভ্রামান্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে।

এ সময় নামবিহীন ওই কারখানাটি সিলগালা করে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই মালিক মো. মিরাজ হাওলাদার (৩৫) ও তার ভাই মো. রাব্বি হাওলাদার (২২) দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আটকরা জেলার নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী গ্রামের মো. জয়নাল হাওলাদারের ছেলে।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি।

অভিযান পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি জানান, এখানে এসে দেখি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যহানীকর, ক্ষতিকর মালামাল তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন মোড়কে। এর অপরাধে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে অবৈধ কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান পরিচালনা করার সময় নাজিরপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মর্কতা মশিউর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, জেলা ভোক্তা অধিদপ্তর পিরোজপুরের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায়সহ জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা পিরোজপুর জেলা শাখার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
মো. হাসিবুল ইসলাম হাসান/মাহফুজ

 

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নাসিমের বিরুদ্ধে সস্ত্রীক দুদকের মামলা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম
আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নাসিমের বিরুদ্ধে সস্ত্রীক দুদকের মামলা
ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজু। ছবি: সংগৃহীত

ফেনী-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম (৬৪) এবং তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর (৪৯) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বাদী হয়ে ফেনীর বিশেষ জজ আদালতে মামলা দুটি দায়ের করেন।

এতে সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ টাকা এবং তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্জনের তথ্য পায় সংস্থাটি।

অভিযুক্ত আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার গুথুমা গ্রামের সালেহ উদ্দিন আহমদের ছেলে। তিনি সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার এক সময়ের প্রোটোকল কর্মকর্তা ছিলেন এবং তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজু একই গ্রামের মো. আবু তাহের চৌধুরীরর মেয়ে। তিনি ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক।

দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের আদালত পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. ইদ্রিস মামলার বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান অনুসন্ধান করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ১৯৮৬ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সরকারি চাকরীতে যোগদান করেন। তিনি ২৩ বছর পর ২০০৯ সালে যুগ্ম-সচিবের পদ থেকে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। পরে ২০২৪ সালে ফেনী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ফেনী, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়  মোট ১২৬টি দলিলের মাধ্যমে পাঁচটি ফ্ল্যাট, দুটি প্লটসহ মোট ৩৯ কোটি আট লাখ ৪৪ হাজার ৬০৫ টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেন।

এ ছাড়া তার নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবে আট কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১০৮ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া যায়। অন্যদিকে ১৫টি কোম্পানিতে ৩৪ কোটি ৬২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৪ টাকার শেয়ার, তার নামে ঢাকা-চট্টগ্রামে ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬ টাকায় ১০টি ক্লাবের সদস্যসহ স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৩ টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয়সহ এ হিসেবের পরিমাণ ১০২ কোটি ৩৮ লাখ সাত হাজার ৪৯১ টাকা।

অপরদিকে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর নামে ফ্ল্যাট, প্লট ও জমিসহ মোট ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

ইকবাল হোসেন মজনু/মাহফুজ

 

হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

ভোকেশনাল ও পলিটেকনিক থেকে পাশ করা প্রকৌশলীদের একই গ্রেডে অন্তর্ভুক্তির হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
 
বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কাজির বাজার এলাকায় অবস্থান নেন তারা। এ সময় রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ৪ বছর ডিপ্লোমা করার পর চাকরিতে দশম গ্রেড পান। অথচ ভোকেশনাল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে এসে তারা দশম গ্রেডে চাকরি পাবে, এটা যৌক্তিক না। হাইকোর্টের আদেশের ফলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি প্রাপ্তি সংকুচিত হবে। তারা অবিলম্বে হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় ক্লাস, পরীক্ষা বর্জনসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

রাজবাড়ী‌তে বলাৎকার চেষ্টার অ‌ভি‌যো‌গে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
রাজবাড়ী‌তে বলাৎকার চেষ্টার অ‌ভি‌যো‌গে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
পুলিশের হাতে আটক অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক

রাজবাড়ীর কালুখালী‌ উপ‌জেলার এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ছাত্রদের বলাৎকা‌রের চেষ্টার অ‌ভি‌যোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে আদাল‌তে পা‌ঠি‌য়ে‌ছে পু‌লিশ। 

গ্রেপ্তার মাদ্রাসার শিক্ষ‌কের নাম আব্দুল্লাহ আল মামু‌ন। তিন‌ি কালুখালী উপ‌জেলার হরিণবাড়িয়া কামিয়া দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি খুলনা পাইকগাছার সোনাতন কাঠি এলাকার বাসিন্দা।
 
একা‌ধিক ছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অ‌ভি‌যো‌গে র‌য়ে‌ছে শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৩)‌ বিরু‌দ্ধে।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকা‌লে কালুখালী থানার ও‌সি মুহাম্মদ জা‌হেদুর রহমান এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে জানান, তাকে আদাল‌তে পাঠা‌নো হ‌য়েছে।

এর আগে বুধবার দুপু‌রে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামু‌নের বিরু‌দ্ধে থানায় এক ছা‌ত্রের মা মামলা ক‌রেন।

মামলা সুত্রে জানা‌ গে‌ছে, দীর্ঘ ক‌য়েক বছর ধ‌রে ওই শিক্ষক মাদ্রাসার ছাত্রদের কৌশলে বলৎকার করার চেষ্টা ক‌রে আস‌ছি‌ল। কিন্তু ছাত্ররা যা‌তে বিষয়‌টি কাউ‌কে না ব‌লে সেজন‌্য নানাভা‌বে ভয় দেখা‌তেন অভিযুক্ত শিক্ষক। প‌রে বিষয়‌টি জানাজা‌নি হ‌লে স্থানীয়রা তাকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রা‌তে আটক ক‌রে কালুখালী থানা পু‌লিশ‌কে খবর দি‌য়ে তা‌দের হা‌তে সোপর্দ ক‌রে।

কালুখালী থানার ও‌সি মুহাম্মদ জা‌হেদুর রহমান জানান, বিষয়‌টি জানাজা‌নি হ‌লে মঙ্গলবার রা‌তে স্থানীয়রা মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামু‌নকে আটক ক‌রে পু‌লি‌শকে খবর দেয়। বুধবার দুপু‌রে মাদ্রাসার এক ছা‌ত্রের মা থানায় মামলা ক‌রে‌ছে। প‌রে গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল মামু‌নকে আদাল‌তে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ও‌সি জানান, গ্রেপ্তার মাদ্রাসার শিক্ষক দীর্ঘদিন ধ‌রেই বেশ ক‌য়েকজন ছাত্রকে বলাৎকা‌রের চেষ্টা ক‌রে আস‌ছিল। আর বিষয়‌টি যেন কাউ‌কে না ব‌লে এজন‌্য ছাত্রদের নানাভা‌বে ভয় দেখা‌তো। এরকম অ‌ভি‌যোগ তিন অ‌ভিবাবক ক‌রে‌ছে।

সুমন বিশ্বাস/মাহফুজ

 

লংগদুতে ৪ সন্তানের জননীকে ধর্ষণচেষ্টা, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
লংগদুতে ৪ সন্তানের জননীকে ধর্ষণচেষ্টা, গ্রেপ্তার ১
প্রতীকী ছবি

রাঙ্গামাটির লংগদুতে রাতের আঁধারে চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. সোহাগ (৩৮) নামের এক মোটরসাইকেল চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোহাগ লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের মুর্শিদাবাদ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘটনা ঘটলেও বুধবার (১৯ মার্চ) তা জানাজানি হয়। লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- এ ব্যাপারে লংগদু থানায় মামলা হয়েছে। আসামি সোহাগকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাইয়ের বাসা থেকে ফেরার পথে বখাটে সোহাগ পিছন থেকে ওই নারীকে মুখ চেপে ধস্তাধস্তি শুরু করে। একপর্যায়ে ধানের জমিতে শুইয়ে ফেলেন। এসময় ওই নারী হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে কল দেওয়ার চেষ্টা করলে সোহাগ মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটির গর্তে ঢুকিয়ে দেন। পরে ওড়না কেড়ে নিয়ে তার মুখ বাঁধার চেষ্টা করলে ওই নারী চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।

নির্যাতিতার স্বামী জানান, ঘটনার সময় তিনি বাজারে ছিলেন। খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে দেখেন তার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ। সারাদিন রোজা রেখেছে। এ ঘটনায় সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। পরে তাকে স্থানীয় ফার্মেসিতে নিলে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য লংগদু সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিম ও তার পরিবারের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে লংগদু থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে বুধবার গ্রেপ্তার করে রাঙ্গামাটির আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জিয়াউর রহমান জুয়েল/মাহফুজ