
প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। তবে এ ক্ষেত্রে মানতে হবে পাঁচটি শর্ত।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের সিভিল স্যুট শাখা থেকে জারি করা এক পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। দীর্ঘদিন পর মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি স্থানীয় জেলেরা।
জেলা প্রশাসনের পত্রে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্টের জারি করা রুলনিশিতে নাফ নদীতে জেলেদের বৈধভাবে মাছ ধরার কার্যক্রম চালু করতে জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরোপিত শর্তগুলো হলো- সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানার অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ হতে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবে। জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির পাঁচটি নির্ধারিত চেকপোস্টে টোকেন/পরিচয়পত্র দেখাবে এবং মাছ ধরা শেষে ফেরত আসার পর বিজিবির পোস্টে তল্লাশী করার ব্যাপারে বিজিবি সদস্যকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে। কোনো জেলে চেকপোস্টে না জানিয়ে মাছ ধরতে পারবে না।
কোনোক্রমে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। মৎস্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রদান করা যেতে পারে। যাতে কোনোক্রমে নিবন্ধিত জেলে ব্যতীত কেউ নাফ নদীতে মাছ ধরতে না পারে। এই অনুমোদন সম্পূর্ণ সাময়িক। তিন মাস পর সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ অনুমতি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে বিভক্ত করেছে নাফ নদী। মাদকের চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট থেকে নাফ নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।
মো. শাহীন/মাহফুজ