
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। এদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নগর পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় নগরীর ১৬ থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তার ৪০ আসামির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা আছে।
গ্রেপ্তার ৪০ জনের মধ্যে- মো. শাহফাজ মিয়া (৩৪), মো. আবুল কালাম (৫৮), কাজী সালাউদ্দিন লাভলু ওরফে সালাউদ্দিন (২৯), ইসতেশাম আলম দোভাষ ইশরাক (২১), মো. হাবিব উল্লাহ (২৮), মো. রফিকুল ইসলাম (৫৫), ও মো. শাহাদাত হোসেন জুয়েল (৩২) কে কোতোয়ালী থানা পুলিশ, তৌহিদুজ্জামান জয় (৩২), মো. ফারুক (৩৫) কে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ, মো. রবিউল হোসেন (২৬) কে চকবাজার থানা পুলিশ, হারুনুর রশিদ (৪৫), মো. টিটু মাঝী (৪০), তোফাইল আজম তাশকার ওরফে আবিদ (২৪) ও মো. রফিক (৩৫) কে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে ফয়সাল (২১), মো. শাকিল (২২), মো. রুবেল (২০) ও মো. ইব্রাহিম (২০) কে আকবরশাহ থানা পুলিশ, মো. হাবিবুর রহমান মুন্না (৩৮) কে সদরঘাট থানা পুলিশ, মো. হৃদয় (২২), মো. রাব্বি (২৮), বিজ্ঞান কুমার নাথ (৫৬) ও মফিজ (৩২) কে হালিশহর থানা পুলিশ, মো. জাবেদ উদ্দিন (২১) ও মো. রেজাউল করিম (৩১) কে খুলশী থানা পুলিশ এবং আরমান মিয়া (২৭) ও লালন ফকির (২৮) কে ইপিজেড থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
তাছাড়া মো. রবিউল হাসান (১৭), পারভেজ (১৭), মো. ইউসুফ শান্ত (২৫) ও মো. সাদেক (৩৪) কে ডবলমুরিং মডেল থানা পুলিশ, মো. মুন্না (২০ কে পতেঙ্গা মডেল থানা পুলিশ, মো. নুর উদ্দিন (৪০) কে বন্দর থানা পুলিশ। আব্দুল মালেক বাবুল (৬৪), ও গোলজার বেগম রুবি (৫৫) কে পাহাড়তলী থানা পুলিশ, মো. নাছির উদ্দিন (৪০) কে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। মো. ইমরান হোসেন ইমন (২৮), সালাউদ্দিন রায়হান (২৫) ও মো. জুয়েল রানা (৩৪) কে বাকলিয়া থানা পুলিশ এবং সরোয়ার আলম বাপ্পি(৩৭) কে কর্ণফুলী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মাহফুজ