ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জন্য বৃদ্ধকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জন্য বৃদ্ধকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জেরে একজনকে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধা ৭টায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের তালুকদার বাড়িতে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি গ্রাম্য সালিশের দেড় হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে হাবীব তালুকদার (৬০) নামের একবৃদ্ধকে ওই এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাত ১১ টার দিকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুনায়েত চৌধুরীসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

ওসি জুনায়েত চৌধুরী জানান, ঘটনার দিন রাতে নিহতের স্ত্রী মাকসুদা বেগম মাসু বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে এজহারনামীয় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।  

তিনি আরও বলেন, আজ শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

গ্রেপ্তার এজহারনামীয় ২ নম্বর ও ৯ নম্বর আসামিরা হলেন- উপজেলার নয়ানগর গ্রামের চারু ভূঁইয়ার ছেলে মিজান ফকির (৫০) ও একই এলাকার বাবুল ছয়ালের ছেলে শিপন মিয়া (২৪)।

লিটন সরকার বাদল/মাহফুজ

 

ফরিদপুরে পুকুরে ভাসছিল কৃষকের মরদেহ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
ফরিদপুরে পুকুরে ভাসছিল কৃষকের মরদেহ
কৃষক মুক্তার হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুর শহরের কমলাপুরে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মুক্তার হোসেন (৫৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে শহরের ডিআইবি বটতলার সরদারপাড়া সড়কের বদরের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

তিনি একই এলাকার মৃত আব্দুর রাশেদ শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়রা সকালে পুকুরে ভাসতে দেখে মুক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে এবং পুলিশে খবর দেন। 

তবে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, মুক্তার আগে থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং তার হার্টে তিনটি রিং পড়ানো ছিল। সকালে নিজের জমিতে কাজ করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সঞ্জিব/পপি/

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মী খুন, পাহাড়ি তরুণী গুলিবিদ্ধ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মী খুন, পাহাড়ি তরুণী গুলিবিদ্ধ

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পাহাড়ি এক তরুণী।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ইউপিডিএফ কর্মীর নাম, সুবি ত্রিপুরা (৩৫)। তিনি মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা বাসনা ত্রিপুরার ছেলে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ পাহাড়ি নারী নিহত সুবি ত্রিপুরার বোন তারাবতী ত্রিপুরা (২০)। 
 
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সভাপতি সন্তু লারমাকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে ইউপিডিএফ। বুধবার দুপুরে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।

বিবৃতিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, 'বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শক্তি ত্রিপুরা ও কম্বল ত্রিপুরার নেতৃত্বে জেএসএস সন্তু গ্রুপের ১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাইন্দংয়ের হেডম্যান পাড়ায় সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউপিডিএফ সদস্য সুবি ত্রিপুরা নিহত হন। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে তারাবতী ত্রিপুরা কপালে জখম হয়ে আহত হন।'

মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'ঘটনাস্থল অতি দুর্গম হওয়ায় এখনো মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।'

দিদারুল রাজু/জোবাইদা/

রূপগঞ্জে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩৫

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
রূপগঞ্জে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩৫
যুবদল নেতা হাসিব। ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিব নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

হাসিব চনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় মাদক কারবারি, চাঁদাবাজির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদলের শামীম ও সেচ্ছাসেকদলের রব্বানীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বুধবার সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষই গুলি চালায়। এতে গুলিতে হাসিব নিহত এবং উভয় পক্ষের আরও ৩৫ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চনপাড়া এলাকাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

নিহতের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে মাদক কারবারি রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেকদলের কর্মী রব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা তাদের লোকজন নিয়ে সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ছোট ভাই হাসিব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম বলেন, ‘আমি এলাকায় নেই। শুনেছি, রবিন নামের এক মাদক কারবারীকে আটক করা নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেকদলের কর্মী রব্বানীর লোকজন আমার যুবদল কর্মী হাসিবকে গুলি করে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেবে।’

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেকদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। রব্বানী আমার সঙ্গে সেচ্ছাসেকদল করে। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নারায়ণগঞ্জ সার্কেলের এএসপি মেহেদী হাসান বলেন, ‘চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শামীম ও রব্বানী গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় আমাদের অভিযান চলছে। দোষী যেই হউক না কেনো কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

রুবেল/পপি/

পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে মামলার হুমকি সমন্বয়কের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে মামলার হুমকি সমন্বয়কের
পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে হুমকি দেওয়া সমন্বয়ক মিজান রহমান। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরে নার্সিং পরীক্ষায় ফেল করায় পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জের নামে মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ থেকে ভোল পাল্টে সমন্বয়ক হওয়া মিজান রহমান নামের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে এক বিষয় অকৃতকার্য হওয়ার পর ইনচার্জ বেবী রায়ের নামে মামলার হুমকিসহ ওই ইন্সটিটিউটের অনেক ইনস্ট্রাক্টরকে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠছে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত মিজান রহমাস সিরাজগঞ্জ জেলার তারাস উপজেলার আবু তালেবের পুত্র এবং পিরোজপুর নার্সিং ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউে ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায় জানান,  মিজান ৫ আগস্টের পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে চলেছে। এখনো প্রভাব খাটাচ্ছে। কোনো এক অদৃশ্য হাত তার পিছনে কাজ করছে। পরীক্ষার আগে মিজান দলবলসহ এসে পরীক্ষার হল ছেড়ে দেওয়াসহ তাকে পাশ করাতে হুমকি দেন। পরে পরীক্ষায় ফেল করলে আমার নামে মিথ্যাচার ও মামলাসহ বিভিন্ন রকম হুমকি দিচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।

নার্সিং ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা  যায়, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রকাশিত হয়। তাতে সমন্বয়ক মিজান এক বিষয় অকৃতকার্য হন। পরে তিনি প্রভাবশালী নার্স নেতা, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষকে ফোন দিয়ে পাশ করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাতেও কাজ না হলে প্রতিষ্ঠানের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায়ের নামে মামলা করার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটটির ইনস্ট্রাকটর প্রভা রানী বড়াল বলেন, ‘মিজানুর রহমান আমাদের নার্সিং ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষার্থী। গত ১১ মার্চ বিএনএমসির রেজাল্ট দেওয়ার পর থেকে সে বিভিন্নভাবে সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের দিয়ে ফোন দিয়ে পাশ করানোর ব্যাপারে হুমকি দেয়। সে যে বিষয়ে ফেল করেছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো টিচার পরীক্ষা নেয়নি। সাধারণ ঐ বিষয়ে বাইরের টিচার নিয়োগ দেওয়া হয়। আমরা টিচার হিসেবে কখনও কোনো শিক্ষার্থী ফেল করুক সেটা চাইনা।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মিজান সব সময় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের প্রভাব দেখাতো। সে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতো। গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ তিনি সমন্বয়ক বনে যান। তিনি পরীক্ষায় ফেল করে আমাদের ইনস্ট্রাক্টরদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। পড়ালেখায় পাশ-ফেল তো থাকবেই এটা কেন মানতে পারবেনা, এখানে কেন প্রভাব দেখাতে হবে। অবিলম্বে তাকে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা উচিত এবং তার ছাত্রত্ব বাতিল করা উচিত।’

অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘তারা আমার শিক্ষক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা তো দূরের কথা কোনো খারাপ কথাও আমি বলিনি। তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু ফোনে বলবেন না বলে কল কেটে দেন।’

হাসিবুল ইসলাম/সুমন/

বালতিতে মেপে সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে, কারচুপির অভিযোগ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
বালতিতে মেপে সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে, কারচুপির অভিযোগ
বাউফলে মিটারের পরিবর্তে বালতিতে মেপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

পটুয়াখালীর বাউফলে মিটারের পরিবর্তে বালতিতে মেপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ফেয়ার প্রাইস ডিলার লিটন মৃধার বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়ের বাজার এলাকার সুবিধাভোগীরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় ডিলার চাল বিক্রি বন্ধ করে দেন। 

জানা গেছে, কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়ের বাজারে ডিলার লিটন মৃধা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল মিটারের পরিবর্তে বালতি দিয়ে মেপে বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে কেউ পাচ্ছেন ২৮ কেজি, আবার কেউ ২৯ কেজি। এ অনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হলে সুবিধাভোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে লিটন চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন। 

পাকডাল গ্রামের সুবিধাভোগী রাজ্জাক মৃধা বলেন, ‘সকাল থেকে লিটন মৃধা বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছেন। এতে মাপে কম হচ্ছে। কেউ ২৮ কেজি, কেউ ২৯ কেজি পাচ্ছেন। চাল বিতরণের সময় কোনো ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন না।’ 

তবে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিলার লিটন। 

তিনি বলেন, ‘সুবিধাভোগীদের সম্মতিতে দ্রুত বিতরণের জন্য বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছি। এতে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।’  

দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মশিউর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ডিলারকে চাল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। আগামী বৃহস্পতিবার মিটার ব্যবহার করে সঠিক ওজনে চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।’ 

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিলন/পপি/