
বগুড়ায় পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠন নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত স্থানীয় যুবদল নেতা রাশেদ মাহমুদ চিকিসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মারা গেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে শনাক্ত করা হলেও শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। রাশেদ হাসান সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিলাদুন-নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই স্কুলের কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই উপজেলা বিএনপি সভাপতি পল্লী চিকিৎসক এমএ হান্নান বাটালুর সঙ্গে বিরোধ চলছিল আরেক বিএনপি নেতা নেতা মাজেদুর রহমানে জুয়েলের সমর্থকদের। এ বিরোধের জেরে ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পাকুল্লা এলাকায় রাশেদ হাসানের ওপর ১৫/২০ জন হামলা করে। গুরুতর আহত রাশেদ হাসানকে বগুড়ায় শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার তিনি মারা যান।
সোনাতলা উপজেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক মো. জিয়াউল হক লিপ্পন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কয়েকজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার জন্য মামলা দায়ের করা হবে। রাশেদকে হত্যার ঘটনায় পাকুল্লা ইউনিয়নে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা ও কর্মীরা অভিযোগ করে কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার বিষয়টি আগেই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবিহিত করা হয় কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বিএনপি এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা দাবি করেন রাশেদ হাসানের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার কোনো অভিযোগ নেই।
হাসিবুর রহমান বিলু/মাহফুজ