ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

লামায় আবারও ২২ শ্রমিক অপহরণ

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১০ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১০ পিএম
লামায় আবারও ২২ শ্রমিক অপহরণ
ছবি: খবরের কাগজ

বান্দরবানের লামায় আবারও ২২ জন রাবার শ্রমিককে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের মুরুং ঝিরি পাড়া থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের মুরুং ঝিরি পাড়া থেকে ২২ জন রাবার শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। তবে কে বা কারা অপহরণ করেছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, উপজাতীয় স্বশস্ত্র গোষ্ঠী তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।

এদিকে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। তবে অপহৃতদের মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, ২২ জন রাবার শ্রমিককে অপহরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার সরই ইউনিয়নের লিংপুং এলাকা থেকে ৭ শ্রমিককে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানের মুখে তাদের ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা।

রিজভী রাহাত/মাহফুজ

 

রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ধর্ষণ মামলার আসামি মো. তুষার। ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীর বেলপুর থানার জামিরা পশ্চিমপাড়া গ্রাম থেকে মো. তুষার (২৪) নামে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) মধ্যরাতে র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার মো. তুষারের বাড়ি বাঘা উপজেলার হাবাসপুর গ্রামে।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, গত ১৪ মার্চ তুষার এলাকার এক নারীর (২৪) বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে ওই নারী গত ১৮ মার্চ বাঘা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন আসামি তুষার।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তুষার ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তুষারকে বাঘা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাবে।

সুমন/

গোয়ালন্দে পদ্মার ১৩ কেজির বোয়াল ৩৪ হাজারে বিক্রি

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম
গোয়ালন্দে পদ্মার ১৩ কেজির বোয়াল ৩৪ হাজারে বিক্রি
ছবি: খবরের কাগজ

রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৩ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ। মাছটি ৩৩ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে দৌলতদিয়ার পদ্মা ও যমুনার নদীর মোহনায় জেলে নিমাই হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। 

জানা গেছে, জেলে নিমাই হালদার পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় সকালে জাল ফেলে। এসময় তাদের জালে ১৩ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়ে। পরে তিনি মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় নিয়ে আসলে চাঁদনি অ্যান্ড আরিফা মৎস্য আড়তের মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেন। 

মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, মাছটি ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে মোট ৩২ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে অনলাইনের মাধ্যমে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে খরচসহ ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে ৩৩ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা জানান, পদ্মা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় এখন জেলেদের জালে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মাছ ধরা পড়ছে। এসব মাছ বিক্রি করে জেলেরা স্বাবলম্বী হতে পারছেন।

মেহেদী হাসান রনি/মাহফুজ

 

উদ্যোক্তা খুশির ঈদ পোশাকে খুশি সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক শিশু

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম
উদ্যোক্তা খুশির ঈদ পোশাকে খুশি সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক শিশু
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদ আসার আগেই শুক্রবার সকালে সিলেট শহরের শিবগঞ্জ লাকড়িপাড়ায় কলোনির শিশুরা ঈদের আনন্দ পায়। কারণ এই কলোনির প্রায় শতাধিক শিশু ঘুম থেকে উঠেই পেয়ে যায় নতুন জামা। ফুলে ফুলে ভরা গোলাপি জামা পেয়ে খুশি ৮ বছর বয়সী লাকি। সে বলে, এরকম ফুলের জামা আমার মামার মোবাইলে দেখেছিলাম কয়েকদিন আগে। আজ এই জামাটাই পেয়েছি তাই অনেক খুশি লাগছে। 

লাকির মতো ঈদের জামা পেয়ে মহা খুশি চার বছর বয়সী নোহা। তাই জামা হাতে পেয়েই সে পড়ার বায়না ধরে মায়ের কাছে। মা জামাটি পড়িয়ে দিলে নোহা আশপাশে দৌড়াদৌড়ি করে আনন্দ উদযাপন করে অন্য শিশুদের সঙ্গে।

সিলেটের শিবগঞ্জ এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে ঈদের পোশাক বিতরণ করেছেন সিলেটের নারী উদ্যোক্তা আমিনা খুশি। খুশির অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘গ্ল্যামডাস্ট’ এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদেরকে পোশাক দেওয়া হয়। তিনি ব্যবসার লাভাংশ, গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং পরিবারের সদস্যদের থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে শতাধিক শিশুর জন্য ঈদের পোশাক ক্রয় করেন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সিলেট শহরের শিবগঞ্জ লাকড়িপাড়ায় শতাধিক শিশুর মধ্যে পোশাক বিতরণ করে নারী উদ্যোক্তা আমিনা খুশি। এতে শিশুদের যেমন হাসি ফুটেছে, শিশুদের অভিভাবকরা বেশ আনন্দিত হয়েছেন।

লাকড়িপাড়ায় কলোনির বাসিন্দা বুশরা আক্তার বলেন, আমি মানুষের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করি। বেতন পেলে ফুটপাত থেকে মেয়েকে একটা জামা কিনে দিতাম। আমার ইচ্ছা থাকলেও এমন জামা আমার মেয়েকে কিনে দিতে পারতাম না। তাই অনেক ভাল লাগছে মেয়ের খুশি দেখে। আমার মেয়ের মুখে হাসিই আমার ঈদের আনন্দ।

অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গ্ল্যামডাস্টের পরিচালক আমিনা খুশি বলেন, ‘ঈদ আমাদের জীবনে একটি বিশেষ মুহূর্ত। কিন্তু অনেকেই অর্থনৈতিক কারণে ঈদের আনন্দ পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেন না। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যেন ঈদে নতুন পোশাক পায় এবং সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে, সে জন্যই গ্লামডাস্টের এই উদ্যোগ আমাদের সম্মিলিত এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা শিশুদের ঈদের আনন্দে একটু হলেও অংশীদার হতে সাহায্য করতে পারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।’

আমিনা খুশি তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, সমাজে ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব। এমন উদ্যোগগুলোই একে অপরকে সহযোগিতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। গ্ল্যামডাস্টের মাধ্যমে এই ধরনের উদ্যোগ আমরা ধারাবাহিকভাবে করব।’

শাকিলা ববি/মাহফুজ

রংপুরে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
রংপুরে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড, তদন্ত কমিটি গঠন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দৈনিক আমার দেশের প্রতিনিধি এম এ সালাম বিশ্বাস। ছবি: খবরের কাগজ

দৈনিক আমার দেশের প্রতিনিধি এম এ সালাম বিশ্বাসকে মারধরের ঘটনায় রংপুরের বদরগঞ্জ থানার এক এসআই ও দুই কনস্টেবলকে ক্লোজড এবং ওসির বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলাসহ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় এই তথ্য জানিয়ে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বদরগঞ্জ থানায় সাংবাদিক এম এ সালাম বিশ্বাসকে মারধরের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় থানার এএসআই রবিউল আলম (এবি-৩৮১), কনস্টেবল আলামিন হোসেন (৯৯৪) ও মজিবুর রহমানকে (৬৩০) পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়াও ওসি আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে উঠা দ্বায়িত্ব অবহেলাসহ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) শরীফুল ইসলামকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে থানা ক্যাম্পাসে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের মধ্যকার হট্রগোলের ছবি তুলতে গেলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা সাংবাদিক এম এ সালাম বিশ্বাসকে মারধর করেন। পরে চ্যাংদোলা করে ওসির সামনে নিয়ে গিয়ে আবারও মারধর করে। ছিৎড়ে ফেলা হয় গায়ে থাকা শার্ট। এরপর তাকে ওসির রুমে নিয়ে গিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এরপর অভিযুক্তদের সঙ্গে মিমাংসা করে দেওয়ার নাটক করেন ওসি। পরে সহকর্মীরা সেখান থেকে তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান।

মারধরের শিকার সাংবাদিক এম এ সালাম জানান, থানার প্রধান ফটকের সামনে শহিদ মেনাজ সংঘ পাঠাগারে বসে আমি নিউজ লিখতেছিলাম। এসময় বাইরে শব্দ শুনি গন্ডগোলের। ক্লাব থেকে থেকে বের হয়ে দেখি পুলিশের পিকআপ ভ্যানে ২ জন পুলিশ এবং বাইকে দুইজন পুলিশ নিজেদের মধ্যে উচ্চবাচ্চ এবং হট্রগলো করছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই আমি আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে থাকি। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা এএসআই রবিউল আমার মোবাইল ফোন এবং ব্যাগ কেড়ে নেয়। আমি এর প্রতিবাদ করলে বাইকে থাকা দুইজনের সঙ্গে পিআপ ভ্যানে থাকা দুইজন নেমে আমাকে ব্যাপক মারধর করে। এসময় সেখানে বহু মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা চারজন মিলে আমাকে চ্যাংদোলা করে থানার ভেতরে নিয়ে গিয়ে ওসির সামনে ফেলে দিয়ে লাথি মারে।

সালাম জানান, আমি রোজা থাকায় শরীর খুব দুর্বল ছিল। আমি পুলিশকে অনুরোধ করি আমার ফোন ফেরত দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি সেটা না করে আমাকে তার রুমে নিয়ে যান এবং প্রায় ৪ ঘণ্টা সেখানে আটকে রাখেন। আমার পরণের ছিন্নভিন্ন শার্ট আমাকে না নিয়ে একটা নতুন শার্ট কিনে এনে আমাকে পড়িয়ে দেন। এক পর্যায়ে আমার কিছু সহকর্মী সেখানে আসলে ওসি সাহেব অভিযুক্তদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দিয়ে মিমাংসার করে দেওয়ার কথা বলেন। এসময় আমি ওসি সাহেবকে বলি আমি আপনাকে একটা চড় মারি এবং পরে আপনার কাছে মাফ চাই তাহলেই কী সব হয়ে যাবে। এরপর সহকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করান।

বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার জানান, তার পায়ে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পায়ের জন্য একটা এক্সরে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত।

বদরগঞ্জ থানার ওসি আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। পরে মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। ‘

রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরপিইউজে) ও রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান জানান, ‘এটি জঘন্যতম অপরাধ করেছে পুলিশ। তারা প্রকাশ্যে হট্টগোলে জড়াবে। আর ছবি তুললে তাদের অসুবিধা হবে। এটা মেনে নেওয়ার মতো বিষয় নয়। এ ব্যপারে তিনজনকে ক্লোজড করা হয়েছে। আমরা চাই দ্রুত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যাতে কখনই কোনো পুলিশ সদস্য এ ধরনের অপরাধে না জড়ান। 

রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের সদস্য সচিব লিয়াকত আলী বাদল জানান, পুলিশ সাংবাদিক সালামকে পিটিয়ে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন এবং এটা খবুই এলার্মিং বিষয়। যা সাংবাদিক সমাজ কখনই কোনোভাবে বরদাশত করবে না। শুধু ক্লোজড করেই যদি পুলিশ মনে করেন ঘটনার সমাধান হয়েছে। সেটা বুমেড়াং হবে। আমরা দেখতে চাই এ ঘটনার যথাযথ আইনানুগ এ্যাকশন। তিনি জানান, পুরো ঘটনার সময় থানার ওসি চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয দিয়েছেন। তার ব্যাপারে এখনও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন।

সেলিম সরকার/মাহফুজ 

 

পিরোজপুরে রিকশাচালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
পিরোজপুরে রিকশাচালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
পিরোজপুরে রিকশাচালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে এই স্থানে ফেলে রাখা হয়। ছবি: খবরের কাগজ

পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের ওদনকাঠী গ্রামে নির্মমভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে সাব্বির সিকদার (২৫) নামে এক রিকশাচালককে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে ওই রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস সোবাহান।

নিহত রিকশাচালক পিরোজপুর পৌরসভার রায়েরকাঠি এলাকার হারুন সিকদারের ছেলে। সাব্বিরের ৫ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে সাব্বিরকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয়। হাতুড়ির আঘাতে তার মাথা পুরোপুরি থেতলে গেছে।

নিহতের পিতা হারুন সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে ঘর থেকে বের হয় সাব্বির। এরপর রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তার মোবাইলে ফোন করে। তবে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন স্থানে সাব্বিরের খোঁজ করেও ব্যর্থ হয়।

এরপর শুক্রবার সকালে সাব্বিরের মৃতদেহ দেখে সেটি সনাক্ত করা হয়। ঘটনাস্থলে তার রিকশাটি পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে রিকশাটি নেওয়ার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খান জানান, এখন পর্যন্ত সাব্বিরকে হত্যার কারণ উদ্‌ঘাটন করা যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আব্দুস সোবাহান জানান, শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা সাব্বিরের মরদেহ নির্জন রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে পিরোজপুর সদর থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাব্বিরের লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

হাসিবুল ইসলাম/সুমন/