
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাহাদাত ফরাজি সাকিবের মুক্তির দাবিতে তিন পার্বত্য জেলা অচল করে দেওয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সচেতন ছাত্র সমাজ’। আন্দোলনকারীরা বলছেন- ‘সাকিব ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন’। তাকে মুক্তি দিতে গড়িমসি করলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিন জেলা অচল করে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাঙ্গামাটি শহরের সাকিবের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সংগঠনটি। বিকেলে রাঙ্গামাটি শহরের পৌরপ্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলকারীরা শহরের প্রধান সড়ক হয়ে বনরূপা আলিফ মার্কেটের সামনে এসে সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সচেতন ছাত্র সমাজের নেতা ইমাম হোসেন ইমু, মো. পারভেজ মোশাররফ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম রনি প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো দেশের বামধারার সংগঠনগুলোর সঙ্গে আতাত করে সাহাদাত ফরাজি সাকিবের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। সাকিব গত ১৫ জানুয়ারি স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির সার্বভৌমত্ব বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগদান এবং বিতর্কিত আদিবাসী শব্দ পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেয়ার দাবিতে সোচ্চার থাকায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
গেল ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে মতিঝিল থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন সাহাদাত ফরাজি সাকিব। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। সাহাদাত ফরাজি সাকিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের অন্যতম মুখপাত্র ছিলেন।
জিয়াউর রহমান জুয়েল/মাহফুজ