ঢাকা ১৩ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১

সাকিবের মুক্তির দাবিতে ৩ পার্বত্য জেলা অচলের হুঁশিয়ারি

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
সাকিবের মুক্তির দাবিতে ৩ পার্বত্য জেলা অচলের হুঁশিয়ারি
রাঙ্গামাটি শহরের সাকিবের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ‘রাঙ্গামাটির সচেতন ছাত্র-সমাজ’। ছবি: খবরের কাগজ

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাহাদাত ফরাজি সাকিবের মুক্তির দাবিতে তিন পার্বত্য জেলা অচল করে দেওয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সচেতন ছাত্র সমাজ’। আন্দোলনকারীরা বলছেন- ‘সাকিব ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন’। তাকে মুক্তি দিতে গড়িমসি করলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিন জেলা অচল করে দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাঙ্গামাটি শহরের সাকিবের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সংগঠনটি। বিকেলে রাঙ্গামাটি শহরের পৌরপ্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলকারীরা শহরের প্রধান সড়ক হয়ে বনরূপা আলিফ মার্কেটের সামনে এসে সমাবেশ করে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সচেতন ছাত্র সমাজের নেতা ইমাম হোসেন ইমু, মো. পারভেজ মোশাররফ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম রনি প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো দেশের বামধারার সংগঠনগুলোর সঙ্গে আতাত করে সাহাদাত ফরাজি সাকিবের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। সাকিব গত ১৫ জানুয়ারি স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির সার্বভৌমত্ব বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগদান এবং বিতর্কিত আদিবাসী শব্দ পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেয়ার দাবিতে সোচ্চার থাকায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।

গেল ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে মতিঝিল থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন সাহাদাত ফরাজি সাকিব। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। সাহাদাত ফরাজি সাকিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের অন্যতম মুখপাত্র ছিলেন।

জিয়াউর রহমান জুয়েল/মাহফুজ

 

জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হট্টগোল

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৫১ পিএম
জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হট্টগোল
ছবি: খবরের কাগজ

পাবনায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলায় ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়েছেন আওয়ামী লীগপন্থি মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় চরম হট্টগোল দেখা দেয়।

পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে পাবনা শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকারের বক্তব্যের সময় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য শুরু করেন অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার। শুরুতেই তিনি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ আওয়ামীপন্থি মুক্তিযোদ্ধা প্রতিবাদ করেন এবং ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে বক্তব্য শেষ না করেই চলে আসেন। এসময় অনুষ্ঠানে চরম হট্টগোল দেখা দেয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পাবনা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খানসহ‌ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, ওখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার একটি অনুষ্ঠান চলছিল। এসময় পতিত সরকারের কিছু দোসর ও অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছিল। ঢুকে তারা প্রোগ্রামটা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছিল। পরে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তক্ষেপে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায় এবং প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে শেষ হয়।

বিতর্কের বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে ক্লিয়ার ভাবে বলতে পারছি না। তবে বিএনপির কোনো একজন নেতা বক্তব্য দিচ্ছিলেন, এসময় তার বক্তব্যের একটা অংশে কয়েকজন লোক তাকে বলেন যে আপনি এই বক্তব্য দিতে পারেন না। পরে অনুষ্ঠান স্বাভাবিক ভাবে শেষ হয়েছে।

পার্থ হাসান/মাহফুজ

 

বোয়ালমারীতে ইজিবাইকের চাপায় দাদি-নাতি নিহত

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম
বোয়ালমারীতে ইজিবাইকের চাপায় দাদি-নাতি নিহত
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নে ইজিবাইকের চাপায় দাদি ও নাতি নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও ৩ জন। আতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন- ময়না ইউনিয়নের হাট ময়না গ্রামের আমিনুল রহমান মোল্লার স্ত্রী পারভিন বেগম (৪০) ও তার ৪ মাসের চাচতো নাতি। 

জানা যায়, বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কামারখালীর থেকে একটি ইজিবাইক বোয়ালমারী আসার পথে রাস্তার পাশে বসে থাকা পারভিন বেগম, ছোট্ট নাতি ও জুনু বেগমকে (৫০) চাপা দেয়। এ সময় ইজিবাইক উল্টে পড়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। ইজিবাইকে থাকা চালক ও চালকের স্ত্রীও গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহত সকলকে প্রথমে বোয়ালমারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ সময় গুরুতর আহত পারভিন বেগম ও তার শিশু নাতিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বোয়ালমারী কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের সামনে গেলে পারভিন বেগম মারা যায়। শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করে। অপর আহতরা বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। 

এ বিষয়ে ময়না গ্রামের প্রফেসর মজিবর রহমান জানান, ইজি বাইক চালকের বাড়ি কামারখালী এলাকায়। সে বোয়ালমারী আসার পথে রাস্তার পাশে বসে থাকা পারভিন বেগম, জুনু বেগম ও তাদের কোলে থাকা নাতিকে চাপা দিলে ইজিবাইকটি উল্টে যায়। চাপা দেওয়ার ঘটনায় পারভিন বেগম ও তার চাচতো নাতি মারা যায়। বাকি তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান জানান, পরিবারের তরফ থেকে কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে করেনি। তারপরেও আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি যে দাদি এবং নাতি মারা গেছে। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

সঞ্জিব দাস/মাহফুজ

 

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্থা

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্থা
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফার তোপের মুখে পড়েছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত হেসেন। 

বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে উপজেলা স্বরূপকাঠি সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

২৫ মার্চ মঙ্গলবার গণহত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক এক আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে বক্তব্য শেষ করেন। তখন সেখানে উপস্থিত কিছু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা তার বক্তব্যের বিরোধীতা করলে তখনই ক্ষমা চেয়ে নেন সাখাওয়াত হোসেন।

আজ ২৬ মার্চ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ওই মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা মিলে উপজেলার নবাগত ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলামকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা ২৫ মার্চের আলোচনা সভায় বলা কাজী সাখাওয়াত হোসেনের জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে উত্তেজিত হয়ে কাজী সাখাওয়াত হোসেনের ওপর তেড়ে আসেন এবং তাকে নাজেহাল করেন। পরে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধাদের পুরস্কার দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সহ মাঠে উপস্থিত উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সামনে এ নিয়ে উত্তেজনা ও বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে ওই সংবাদকর্মীকে নিবৃত্ত করেন প্রশাসন।
 
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় আমি ‘জয় বাংলা’ বলেছিলাম, এটি মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বলে যাব। তাহলে জয় বাংলা স্লোগান বলা কি অপরাধ? 
তিনি আরও বলেন, আমি আগের দিন জয় বাংলা বলার কারণে বুধবার (২৬ মার্চ) স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা আমার ওপর চড়াও হন।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কেউ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়নি। মূলত ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা অডিটরিয়ামে একটি আলোচনা সভার অনুষ্ঠানে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ‘জয় বাংলা’ বলেছিলেন বলে শুনেছি। ওই সভায় আমি অনুপস্থিত ছিলাম। আমি যা শুনেছি তা হলো, ওই মুক্তিযোদ্ধা জয় বাংলা বলার পরে আবার তিনি তার ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সংবাদকর্মী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ বললে আমি সহ্য করতে পারি না। প্রশাসন তাকে কিছু না বলায় আমি ক্ষিপ্ত হয়েছি তার প্রতি।

মো. হাসিবুল ইসলাম হাসান/মাহফুজ

 

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে নতুন ৮ জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু, কমবে ভোগান্তি

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:২০ পিএম
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে নতুন ৮ জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু, কমবে ভোগান্তি
চালু হওয়া নতুন ট্রেন সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসনক জাহিদুল ইসলাম মিঞা। ছবি: খবরের কাগজ

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রুটে নতুন করে আট জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেলের আদলে তৈরি হওয়া এ ট্রেন চালু হওয়ায় প্রতিদিন এর সুফল পাবে এ পথে চলাচল করা প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এমনকি এবারের ঈদ যাত্রায় এ পথে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারবে ঘরমুখো মানুষ। 

বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের তত্ত্বাবধানে চালু হওয়া এই ট্রেন সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসনক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

এর আগে সকাল ১১ টায় ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে ১১টা ৫০মিনিটে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া রেল স্টেশনে পৌঁছায় মেট্রোরেলের আদলে তৈরি আধুনিক নতুন এ কমিউটার ট্রেন। এসময় জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক, সংস্কৃতিক ও নাগরিক নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিত হয়ে ট্রেন চলাচল কার্যক্রমকে স্বাগত জানায়।

উদ্বোধনী আনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনক জাহিদুল ইসলাম মিঞা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ পথে আট জোড়া ট্রেন চলাচল করতো। ফলে যাত্রীরা দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পরপর ট্রেনে চড়তেন। গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হতো যাত্রীদের। ভোগান্তি নিয়েই যাত্রীরা চলাচল করে আসছে। অনেক পরে হলেও এই ভোগান্তি অবসান ঘটলো।

ছবি: খবরের কাগজ

ডিসি জানান, নতুন এই ট্রেন চলাচল করবে এক ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে। আগের ট্টেনের ৮টি বগি থাকলে নতুন এ ট্রেনে থাকছে ১১টি। প্রতিটি বগিতে ৯২ জন যাত্রী নিতে পারবে। ফলে এই ট্রেনটি একসঙ্গে ১১৭৬ জন যাত্রী বহন করবে। ট্রেনে বসার ব্যবস্থাসহ থাকছে নানা সুবিধা। যাত্রীরা এখন দ্রুত গতিতে নিরাপদ ও আরামদায়কভাবে চলাচল করতে পারবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, জামায়াত ইসলামের সাবেক আমীর মাওলানা মাইনুদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনসহ অন্যান্যরা।

এদিকে স্থানীয়রা জানায়, নতুন এই ট্রেন সার্ভিসটি চাল হওয়াতে ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষসহ এ পথের নিয়মিত যাত্রী সঠিক সময়ে তাদের গন্তব্যে যেতে পারবে। কমবে আগের তুলনায় ভোগান্তিও। ট্রেন চালুর খবরে ইতোমধ্যে স্টেশনগুলোতে যাত্রীর চাপও বাড়তে শুরু করেছে। রেল কর্তৃপক্ষ তাদের সেবার মান বজায় রাখবে এই সেই প্রত্যাশা যাত্রীদের।

জেলার যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেন, মাত্র ২০ টাকা ভাড়ায় ১৬ কিলোমিটারের ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রেল পথে প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি মানুষের যাতায়াত। মেট্রোরেলের আদলে তৈরি হওয়া এ আট জোড়া ট্রেন চালু করায় এ পথে ভোগান্তি কম আসবে। রেল যদি তাদের এই সেবাটি বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পথের পরিবহন সিন্ডিকেট ধ্বংষ হবে। আর সুফল পাবে স্থানীয়রা।

বিল্লাল হোসাইন/মাহফুজ

 

ঈদের পোশাক পেয়ে খুশিতে মাতল অর্ধশতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশু

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
ঈদের পোশাক পেয়ে খুশিতে মাতল অর্ধশতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশু
ছবি: সংগৃহীত

ঈদের নতুন পোশাক পেয়ে খুশিতে মাতল অর্ধশতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশু। বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জ পুলবাজারে এই পোশাক বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশন’। 

সংগঠনটির ঈদ পোশাক বিতরণ কর্মসূচি ‘আনন্দ ঝিলিক-১’ এর আওতায় সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার ও মিজমিজি এলাকার অর্ধশতাধিক মেয়ে শিশুকে ফ্রক-পায়জামা এবং ছেলেদের শার্ট-গেঞ্জি-প্যান্ট দেওয়া হয়।
 
পোশাক বিতরণের মাধ্যমে শিশুদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এসময় পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশনের সদস্যরা জানান, সংগঠনের সকল সদস্যদের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়েছে পুরো আয়োজন। অতীতের মত ভবিষ্যতেও সমাজে সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাবে পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশন।

আয়োজনে পিস ফর পিপলের প্রেসিডেন্ট মো. তোফায়েল আহমেদ, সেক্রেটারি মো. আশিকুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি মামুন প্রধান, ফান্ড রাইজিং সেক্রেটারি সোলাইমান আসিফ, প্রোগ্রাম সেক্রেটারি মো. আল-আমিন, অফিস সেক্রেটারি মাজহার ইমন, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুর রহমান ও শুভাকাঙ্ক্ষী সদস্য মো. সজীব উপস্থিত হয়ে শিশুদের মাঝে এই পোশাক বিতরণ করেন। 

২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশন।

মাহফুজ/