ঢাকা ১০ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
English

ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান গোপালগঞ্জে মা-বাবার পা ধোয়াল তিন শতাধিক শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ এএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২০ পিএম
গোপালগঞ্জে মা-বাবার পা ধোয়াল তিন শতাধিক শিক্ষার্থী
অভিবাবকের পা ধুয়ে মুছে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সঙ্গে আগরবাতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। ছবি : খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে ব্যতিক্রমী ‘গুরুজনে কর নতি’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মা-বাবার পা ধোয়াল তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। কোটালীপাড়া উপজেলার এসকেএমএইচ উচ্চ বিদ্যালয় এ ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মা-বাবাসহ গুরুজনদের প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা বাড়ার পাশাপাশি আলোকিত জীবন গড়ে উঠবে বলে মনে করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এসকেএমএইচ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলমাঠে চেয়ারে বসে আছেন মা-বাবা আর গুরুজন। তার পাশেই পানি, ফুল, ধুপকাঠি আর মোবমাতি নিয়ে বসে আছে সন্তান। কিছুক্ষণ পরই এক সঙ্গে মা-বাবা আর গুরুজনদের পা ধুয়ে মুছে দিয়ে মোমবাতি আর আগরবাতি জ্বালিয়ে ফুল ছিটিয়ে আশীর্বাদ নিল সন্তানরা। এমন ভক্তি দেখে মা-বাবার দুই চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ল পানি। আর মা-বাবাকে জড়িয়ে আবেআপ্লুত সন্তানও।

এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাবা-মা, শিক্ষক ও গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তির প্রায়োগিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি নিবেদনের শপথ গ্রহণ করে। আর এমন ব্যতিক্রমী ‘গুরুজনে কর নতি’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কোটালীপাড়া উপজেলার এসকেএমএইচ উচ্চ বিদ্যালয়। 

মঙ্গলবার বিকালে এসকেএমএইচ উচ্চ বিদ্যালয় প্রঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘গুরুজনে কর নতি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কোটালীপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিক নুর আলম। এসকেএমএইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমৃত কুমার বাড়ৈর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিদ্যানুরাগী খগেন্দ্রনাথ গাইন, ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ বৈদ্য, ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন সভাপতি যতীন্দ্রনাথ বল্লভ, প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ কুমার বৈদ্য, ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন সভাপতি সুনীল চন্দ্র বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কোয়েল বাইন বলেন, ‘গুরুজনে কর নতি’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয় আমাদের গুরুজনদের শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম জীবনে বড় হতে গেলে গুরুজনদের দোয়া ও আশীর্বাদ প্রয়োজন। তাদের দোয়া ও আশীর্বাদ ছাড়া কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়।

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী গৌরী বল্লভ বলেন, 'এবারই প্রথম এমন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা-বাবা ও শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারলাম। এখন মনে হচ্ছে আমি আমার মা-বাবা ও শিক্ষকদের কতটা ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি।'

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী পূজা বাড়ৈ বলেন, 'শুধু আজ নয়, প্রতিটি দিন মা-বাবা ও গুরুজনদের শ্রদ্ধা জানাতে চাই। এমন আয়োজন করায় আমরা খুশি। আগামীতেও এমন আয়োজন করার দাবি জানাই।'

অভিভাবক দীলিপ কুমার বাইন বলেন, 'গুরুজনদের প্রতি সম্মান দেখাতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নীতি-নৈতিকতা, গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা গড়ে উঠবে। সেই সাথে এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনন ও মেধার উন্নতি হবে।'

অপর অভিভাবক মল্লিকা গাইন বলেন, 'এমন আয়োজনে অংশ নিতে পারায় খুশি। এতে করে শিক্ষার্থীরা মাদক, জঙ্গি তৎপরতা ও ইভটিজিং থেকে দূরে থাকবে।'

এসকেএমএইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমৃত কুমার বাড়ৈ বলেন, 'শিক্ষার্থীদের নীতি-নৈতিকতা শেখাতে এমন আয়োজনের কথা চিন্তা করি। তারই ধারাবাহিকতায় ‘গুরুজনে কর নতি’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের মাঝে নীতি-নৈতিকতা গড়ে তুলতে আগামীতেও এমন আয়োজনের কথা জানান তিনি।'

কোটালীপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিক নুর আলম বলেন, ‘গুরুজনে কর নতি’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থী মানবিক গুণাবলি নিয়ে সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এতে ‍বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখবে না সন্তানরা। শিক্ষার্থীদের মানবিক হিসেবে গড়ে তুলতে উপজেলার প্রতিটি স্কুলে এমন আয়োজন করা হবে।

বাদল সাহা/জোবাইদা/

লালপুরে সন্তানের খেলার সঙ্গীকে ধর্ষণচেষ্টায় যুবক আটক

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
লালপুরে সন্তানের খেলার সঙ্গীকে ধর্ষণচেষ্টায় যুবক আটক
নিজের সন্তানের খেলার সঙ্গীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আটক নয়ন ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

নাটোরের লালপুরের রুইগাড়ী এলাকায় নিজের সন্তানের খেলার সঙ্গীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নয়ন ইসলাম (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে ওই যুবককে আটক করা হয়।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীরা জানান, ওই যুবক দুই সন্তানের বাবা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার শিশু সন্তানের সঙ্গে পাশের বাড়ির আরও তিন শিশু খেলা করছিল। ওই সময় প্রথমে এক শিশুকে ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে নয়ন। তখন শিশুটি নয়নের হাতে কামড় দিয়ে পালায়। এরপর সে ৯ বছর বয়সী অপর একটি শিশুকে গলা ও মুখ চেপে ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শিশুটির চিৎকারে আশেপাশের বাড়ির লোকজন ছুটে আসলে নয়ন জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি ঘটনাটি বিস্তারিত সবাইকে বলে। এরপর ওই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে ওসি নাজমুল হক জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

কামাল মৃধা/সুমন/

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ঘুষ ফেরত দেওয়া সেই এসআই বরখাস্ত

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ঘুষ ফেরত দেওয়া সেই এসআই বরখাস্ত
বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, তদন্তে ঘুষ লেনদেনের সত্যতা পেয়েছি। শনিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী জেলা পুলিশ সুপার বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন।

ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, এসআই মো. নজরুল ইসলামকে সাসপেন্ড করেছি। তিনি এখন পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত রয়েছেন।

জানা যায়, ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর উপজেলার জাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী হিসেবে যোগদান করেন একই এলাকার লোকমান হেকিমের ছেলে আরমান হোসেন। গত বছরের ১ অক্টোবর ভোরে ওই বিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় আরমানকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই নিহতের মা শামসুন্নাহার ঝর্ণা বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার পরপরই প্রধান আসামি গ্রামপুলিশ মাসুদকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কিছুদিন পর মাসুদ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন।

চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরিফ বিল্লাহ বাচ্চু, রিফাতুল ইসলাম শাহীন, বাবুল মিয়া ও রোমান মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাদের মারধর করা হয়। একপর্যায়ে আটকদের ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। অন্যথায় আরমান হত্যা মামলায় তাদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। এমতাবস্থায় বাবুলের বাবা মোনায়েম মিয়া এসআই নজরুলের সঙ্গে ৬০ হাজার টাকায় বিষয়টি রফা করেন।

পরে চারজন এলাকায় এসে সবাইকে ঘুষ লেনদেনের ঘটনাটি জানিয়ে দেন। এতে সমালোচনা শুরু হলে ১২ মার্চ দুপুরে উপজেলার পৌর বাজারে মোনায়েম মিয়ার কাছে ঘুষের ৫৯ হাজার টাকা ফেরত দেন পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। এদিনই পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার তদন্ত শুরু করেন।

কামরুজ্জামান/অমিয়/

টাঙ্গাইলে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
টাঙ্গাইলে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যা
ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের বাসাইলে রঞ্জু খন্দকার (৩৫) নামে এক মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে শনিবার (২২ মার্চ) রাতে উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রঞ্জু খন্দকার জেলার ভূঞাপুর উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের রাজ্জাক খন্দকারের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীর দায়িত্বে ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খান তার ছেলে মাদকাসক্ত ফরিদ খানকে (২৩) টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে রঞ্জুসহ বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয়জন মনির খানের বাড়িতে যান। পরে ফরিদকে ঘর থেকে বের করার সময় তার চিৎকারে পাশের বাড়ির পলাশ, রিপন ও তালেব খানসহ কয়েকজন এগিয়ে এসে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় রঞ্জু খন্দকার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা অপর লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে রঞ্জু খন্দকারের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের আরও চারজন আহত হয়েছেন।

পরে সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে তার মরদেহ বাসাইল থানায় আনা হলে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। 

স্থানীয়দের দাবি অভিযুক্ত ফরিদ ও পলাশ মাদক ব্যবসায়ী।

বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিক খন্দকার মজিবর রহমান তপন বলেন, ‘মাদকাসক্ত ফরিদকে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য তার বাবা মনির খান আমাদের কাছে আবেদন করেন। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয়জন ফরিদকে আনতে তাদের বাড়িতে যায়। সেখানে ফরিদকে আনার জন্য চেষ্টা করলে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রঞ্জুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’  

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘নিহতের মরদেেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’


জুয়েল/মেহেদী/

ইতিকাফ অবস্থায় শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
ইতিকাফ অবস্থায় শিক্ষকের মৃত্যু
স্কুলশিক্ষক জুনেদ আহমদ

সিলেটের জকিগঞ্জে ইতিকাফরত অবস্থায় জুনেদ আহমদ (৬০) নামের এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার গেছুয়া বড় মহল্লা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় মারা যান তিনি। 

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে জামেয়া ইসলামিয়া চারিগ্রাম মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক জুনেদ আহমদ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের গেছুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গনিপুর কামালগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক। গত ২০ রমজান থেকে মসজিদে ১০ দিনের জন্য ইতিকাফ শুরু করেছিলেন। তিনি সুস্থ অবস্থায় ছিলেন। রবিবার বিকেলে হঠাৎ করেই মারা যান। তার আকস্মিক মৃত্যুতে উপজেলার শিক্ষক সমাজ, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ ব্যাপারে ঘেছুয়া গ্রামের বাসিন্দা কেএম মামুন বলেন, শিক্ষক জুনেদ আহমদ খুবই অমায়িক ও ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি ব্লাড প্রেশারের রোগী ছিলেন। তাছাড়া দৃশ্যমান কোনো রোগ ছিল না। তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো অঞ্চলজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

শাকিলা/সালমান/

বাঁশখালীতে দুই ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
বাঁশখালীতে দুই ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল জনতা
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আটক দুই ছিনতাইকারী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে মোবাইল ছিনতাইয়ের সময় দুই ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।

রবিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ দিঘীরপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের এয়ার মোহাম্মদপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আজগর (৪৫) ও বোয়ালখালীর পোপাদিয়ার কায়ছার মোহাম্মদ পাভেল (৩০)।

পুলিশ জানায়, বাঁশখালী-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের কালীপুর মোহাম্মদ দীঘিরপাড় নামক স্থানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ও নগদ ৫ হাজার ৩২০ টাকা ছিনতাই করা হয়। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা ছিনতাইকারীদের আটক করে গণপিটুনি দেয়।

খবর পেয়ে বাঁশখালী থানার এসআই সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুই ছিনতাইকারীকে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা।

পুলিশ আরও জানায়, আটকদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত ১টি সুইচগিয়ার, ১টি ছোরা, ১টি হাতুড়ি ও নগদ ২০০০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। 

বাঁশখালী থানার সেকেন্ড অফিসার কামরুল হাসান কায়কোবাদ জানান, ছিনতাইকারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে। সোমবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

শফকত হোসাইন/সুমন/