ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

অসুস্থ যাত্রীদের জন্য শাহ আমানতে প্রথমবারের মতো অ্যাম্বুলেন্স সেবা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
অসুস্থ যাত্রীদের জন্য শাহ আমানতে প্রথমবারের মতো অ্যাম্বুলেন্স সেবা
সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি প্রয়োজনে এখন থেকে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা পাবেন আগত অসুস্থ প্রবাসী যাত্রীরা। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে এই সেবার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর। 

এ সময় ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল ইসলাম হাসান ও বিমানবন্দরের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন শেষে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, যেহেতু মধ্যপ্রাচ্য থেকে চট্টগ্রামে অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আসে তাই অনেক সময় জরুরিভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবার প্রয়োজন হয়। এই বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য ব্র্যাক কাজ করছে, আমরা তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই। এখন থেকে জরুরি প্রয়োজনে আমরা অসুস্থ প্রবাসীদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিতে পারব। 

এর আগে দুপুরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ অর্থায়নে ইমপ্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্ট্রিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্টস (প্রত্যাশা-২) প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, যেহেতু মধ্যপ্রাচ্য থেকে চট্টগ্রামে অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আসে তাই অনেককেই আমরা দেখি অসহায় হয়ে ফেরত আসে। এই মানুষদের সহায়তা করতেই ব্র্যাক ঢাকার মতো শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ করছে। এখানে মানুষকে কাউন্সিলিং, খাবার, যাতায়াত, চিকিৎসাসহ নানা ধরনের জরুরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গত চার বছরে চার হাজারেরও বেশি মানুষকে এই ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মানবিক এই কাজের জন্য ব্র্যাককে ধন্যবাদ। আমরা সবার সঙ্গে মিলে যৌথভাবে এই কাজগুলো আরও বেশি এগিয়ে নিতে চাই যাতে বিমাবন্দরে প্রবাসীরা জরুরি সব সহায়তা পান। আমরা মনে করি সমন্বিতভাবে কাজ করলে আরও বেশি মানুষকে সহায়তা করা যাবে।

এ সময় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, এয়ারলাইন্স সমূহ ও অন্যান্য অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। 
সমন্বয় সভায় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর শরিফুল ইসলাম হাসান বলেন, বাংলাদেশের যে জেলাগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি লোক বিদেশে যায় চট্টগ্রাম তার শীর্ষে। তবে অনেক মানুষ যেমন বিদেশে যায় তেমনি শূন্য হাতে অনেক দেশে ফিরে। তাদের কল্যাণে আমরা প্রথমে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ শুরু করি। গত পাঁচ বছর ধরে পরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরেও সেই কাজ চলছে। আমরা মনে করি বিমানবন্দরে প্রবাসীদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি কাঠামো থাকা জরুরি। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে কাজ করতে যান তারা অনেক বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নন। তাদের আরও বেশি সচেতন করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টাস্কফোর্সের কমান্ডার উইং কমান্ডার রেজাউল হক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের জিএসও-টু স্কোয়াড্রন লিডার তারিক আজিজ মৃধা, সিভিল অ্যাভিয়েশনের সহকারী পরিচালক (ফায়ার) আবু মোহাম্মদ ওমর শরীফ, বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, চট্টগ্রামের মহিলা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ আশরিফা তানজীম প্রমূখ। 

তারেক মাহমুদ/মাহফুজ

উদ্যোক্তা খুশির ঈদ পোশাকে খুশি সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক শিশু

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম
উদ্যোক্তা খুশির ঈদ পোশাকে খুশি সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক শিশু
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদ আসার আগেই শুক্রবার সকালে সিলেট শহরের শিবগঞ্জ লাকড়িপাড়ায় কলোনির শিশুরা ঈদের আনন্দ পায়। কারণ এই কলোনির প্রায় শতাধিক শিশু ঘুম থেকে উঠেই পেয়ে যায় নতুন জামা। ফুলে ফুলে ভরা গোলাপি জামা পেয়ে খুশি ৮ বছর বয়সী লাকি। সে বলে, এরকম ফুলের জামা আমার মামার মোবাইলে দেখেছিলাম কয়েকদিন আগে। আজ এই জামাটাই পেয়েছি তাই অনেক খুশি লাগছে। 

লাকির মতো ঈদের জামা পেয়ে মহা খুশি চার বছর বয়সী নোহা। তাই জামা হাতে পেয়েই সে পড়ার বায়না ধরে মায়ের কাছে। মা জামাটি পড়িয়ে দিলে নোহা আশপাশে দৌড়াদৌড়ি করে আনন্দ উদযাপন করে অন্য শিশুদের সঙ্গে।

সিলেটের শিবগঞ্জ এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে ঈদের পোশাক বিতরণ করেছেন সিলেটের নারী উদ্যোক্তা আমিনা খুশি। খুশির অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘গ্ল্যামডাস্ট’ এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদেরকে পোশাক দেওয়া হয়। তিনি ব্যবসার লাভাংশ, গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং পরিবারের সদস্যদের থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে শতাধিক শিশুর জন্য ঈদের পোশাক ক্রয় করেন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সিলেট শহরের শিবগঞ্জ লাকড়িপাড়ায় শতাধিক শিশুর মধ্যে পোশাক বিতরণ করে নারী উদ্যোক্তা আমিনা খুশি। এতে শিশুদের যেমন হাসি ফুটেছে, শিশুদের অভিভাবকরা বেশ আনন্দিত হয়েছেন।

লাকড়িপাড়ায় কলোনির বাসিন্দা বুশরা আক্তার বলেন, আমি মানুষের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করি। বেতন পেলে ফুটপাত থেকে মেয়েকে একটা জামা কিনে দিতাম। আমার ইচ্ছা থাকলেও এমন জামা আমার মেয়েকে কিনে দিতে পারতাম না। তাই অনেক ভাল লাগছে মেয়ের খুশি দেখে। আমার মেয়ের মুখে হাসিই আমার ঈদের আনন্দ।

অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গ্ল্যামডাস্টের পরিচালক আমিনা খুশি বলেন, ‘ঈদ আমাদের জীবনে একটি বিশেষ মুহূর্ত। কিন্তু অনেকেই অর্থনৈতিক কারণে ঈদের আনন্দ পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেন না। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যেন ঈদে নতুন পোশাক পায় এবং সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে, সে জন্যই গ্লামডাস্টের এই উদ্যোগ আমাদের সম্মিলিত এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা শিশুদের ঈদের আনন্দে একটু হলেও অংশীদার হতে সাহায্য করতে পারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।’

আমিনা খুশি তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, সমাজে ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব। এমন উদ্যোগগুলোই একে অপরকে সহযোগিতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। গ্ল্যামডাস্টের মাধ্যমে এই ধরনের উদ্যোগ আমরা ধারাবাহিকভাবে করব।’

শাকিলা ববি/মাহফুজ

রংপুরে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
রংপুরে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড, তদন্ত কমিটি গঠন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দৈনিক আমার দেশের প্রতিনিধি এম এ সালাম বিশ্বাস। ছবি: খবরের কাগজ

দৈনিক আমার দেশের প্রতিনিধি এম এ সালাম বিশ্বাসকে মারধরের ঘটনায় রংপুরের বদরগঞ্জ থানার এক এসআই ও দুই কনস্টেবলকে ক্লোজড এবং ওসির বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলাসহ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় এই তথ্য জানিয়ে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বদরগঞ্জ থানায় সাংবাদিক এম এ সালাম বিশ্বাসকে মারধরের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় থানার এএসআই রবিউল আলম (এবি-৩৮১), কনস্টেবল আলামিন হোসেন (৯৯৪) ও মজিবুর রহমানকে (৬৩০) পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়াও ওসি আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে উঠা দ্বায়িত্ব অবহেলাসহ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) শরীফুল ইসলামকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে থানা ক্যাম্পাসে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের মধ্যকার হট্রগোলের ছবি তুলতে গেলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা সাংবাদিক এম এ সালাম বিশ্বাসকে মারধর করেন। পরে চ্যাংদোলা করে ওসির সামনে নিয়ে গিয়ে আবারও মারধর করে। ছিৎড়ে ফেলা হয় গায়ে থাকা শার্ট। এরপর তাকে ওসির রুমে নিয়ে গিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এরপর অভিযুক্তদের সঙ্গে মিমাংসা করে দেওয়ার নাটক করেন ওসি। পরে সহকর্মীরা সেখান থেকে তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান।

মারধরের শিকার সাংবাদিক এম এ সালাম জানান, থানার প্রধান ফটকের সামনে শহিদ মেনাজ সংঘ পাঠাগারে বসে আমি নিউজ লিখতেছিলাম। এসময় বাইরে শব্দ শুনি গন্ডগোলের। ক্লাব থেকে থেকে বের হয়ে দেখি পুলিশের পিকআপ ভ্যানে ২ জন পুলিশ এবং বাইকে দুইজন পুলিশ নিজেদের মধ্যে উচ্চবাচ্চ এবং হট্রগলো করছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই আমি আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে থাকি। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা এএসআই রবিউল আমার মোবাইল ফোন এবং ব্যাগ কেড়ে নেয়। আমি এর প্রতিবাদ করলে বাইকে থাকা দুইজনের সঙ্গে পিআপ ভ্যানে থাকা দুইজন নেমে আমাকে ব্যাপক মারধর করে। এসময় সেখানে বহু মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা চারজন মিলে আমাকে চ্যাংদোলা করে থানার ভেতরে নিয়ে গিয়ে ওসির সামনে ফেলে দিয়ে লাথি মারে।

সালাম জানান, আমি রোজা থাকায় শরীর খুব দুর্বল ছিল। আমি পুলিশকে অনুরোধ করি আমার ফোন ফেরত দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি সেটা না করে আমাকে তার রুমে নিয়ে যান এবং প্রায় ৪ ঘণ্টা সেখানে আটকে রাখেন। আমার পরণের ছিন্নভিন্ন শার্ট আমাকে না নিয়ে একটা নতুন শার্ট কিনে এনে আমাকে পড়িয়ে দেন। এক পর্যায়ে আমার কিছু সহকর্মী সেখানে আসলে ওসি সাহেব অভিযুক্তদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দিয়ে মিমাংসার করে দেওয়ার কথা বলেন। এসময় আমি ওসি সাহেবকে বলি আমি আপনাকে একটা চড় মারি এবং পরে আপনার কাছে মাফ চাই তাহলেই কী সব হয়ে যাবে। এরপর সহকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করান।

বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার জানান, তার পায়ে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পায়ের জন্য একটা এক্সরে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত।

বদরগঞ্জ থানার ওসি আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। পরে মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। ‘

রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরপিইউজে) ও রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান জানান, ‘এটি জঘন্যতম অপরাধ করেছে পুলিশ। তারা প্রকাশ্যে হট্টগোলে জড়াবে। আর ছবি তুললে তাদের অসুবিধা হবে। এটা মেনে নেওয়ার মতো বিষয় নয়। এ ব্যপারে তিনজনকে ক্লোজড করা হয়েছে। আমরা চাই দ্রুত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যাতে কখনই কোনো পুলিশ সদস্য এ ধরনের অপরাধে না জড়ান। 

রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের সদস্য সচিব লিয়াকত আলী বাদল জানান, পুলিশ সাংবাদিক সালামকে পিটিয়ে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন এবং এটা খবুই এলার্মিং বিষয়। যা সাংবাদিক সমাজ কখনই কোনোভাবে বরদাশত করবে না। শুধু ক্লোজড করেই যদি পুলিশ মনে করেন ঘটনার সমাধান হয়েছে। সেটা বুমেড়াং হবে। আমরা দেখতে চাই এ ঘটনার যথাযথ আইনানুগ এ্যাকশন। তিনি জানান, পুরো ঘটনার সময় থানার ওসি চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয দিয়েছেন। তার ব্যাপারে এখনও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন।

সেলিম সরকার/মাহফুজ 

 

পিরোজপুরে রিকশাচালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
পিরোজপুরে রিকশাচালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
পিরোজপুরে রিকশাচালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে এই স্থানে ফেলে রাখা হয়। ছবি: খবরের কাগজ

পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের ওদনকাঠী গ্রামে নির্মমভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে সাব্বির সিকদার (২৫) নামে এক রিকশাচালককে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে ওই রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস সোবাহান।

নিহত রিকশাচালক পিরোজপুর পৌরসভার রায়েরকাঠি এলাকার হারুন সিকদারের ছেলে। সাব্বিরের ৫ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে সাব্বিরকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয়। হাতুড়ির আঘাতে তার মাথা পুরোপুরি থেতলে গেছে।

নিহতের পিতা হারুন সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে ঘর থেকে বের হয় সাব্বির। এরপর রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তার মোবাইলে ফোন করে। তবে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন স্থানে সাব্বিরের খোঁজ করেও ব্যর্থ হয়।

এরপর শুক্রবার সকালে সাব্বিরের মৃতদেহ দেখে সেটি সনাক্ত করা হয়। ঘটনাস্থলে তার রিকশাটি পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে রিকশাটি নেওয়ার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খান জানান, এখন পর্যন্ত সাব্বিরকে হত্যার কারণ উদ্‌ঘাটন করা যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আব্দুস সোবাহান জানান, শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা সাব্বিরের মরদেহ নির্জন রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে পিরোজপুর সদর থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাব্বিরের লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

হাসিবুল ইসলাম/সুমন/

চৌদ্দগ্রামে অবৈধ অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
চৌদ্দগ্রামে অবৈধ অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ গ্রেপ্তার ২
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র, গুলি, মাদক ও নগদ অর্থসহ দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় সেনাবাহিনী ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর এলাকায় তিনতলা ভবনে তল্লাশি চালিয়ে দুইজনকে আটক করে। 

গ্রেপ্তাররা হলো- উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামের মৃত মকবুল আমাদের ছেলে লোকমান হোসেন (৪৩), একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন সৈকত (২২)। তল্লাশিকালে লোকমান হোসেনের বাড়ি থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, ৭৫০ মি.লি. সিগনেচার বিদেশি মদ, ৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৩ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ২ হাজার ৭৫৯ পিস ইয়াবা, ৩ বোতল ফেনসিডিল, ১২টি মোবাইল ফোন, ১টি আইপ্যাড, ২৩টি সিম কার্ড, নগদ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা, ৩টি শীশা ফ্লেভার প্যাকেট। 

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের ও উদ্ধারকরা সামগ্রী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বেলাল হোসাইন/মাহফুজ

 

দেলদুয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ১৮ দোকান পুড়ে ছাই

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
দেলদুয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ১৮ দোকান পুড়ে ছাই
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের লাউহাটি বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি দোকান পুড়ে গেছে। ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের লাউহাটি বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি দোকান পুড়ে গেছে।  

শুক্রবার (২১ মার্চ) বেলা ১০ টার দিকে উপজেলার লাউহাটি বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানায়, লাউহাটি বাজারে রফিক মিয়ার পেট্রোলের দোকানে প্রথমে আগুন লাগে পরে সেই দোকানের আগুন পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট এসে ২ ঘণ্টা চেষ্টা করার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

লাউহাটি বাজারের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী জানায়, বাজারের প্রায় ১৮টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়াও ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করার জন্য চেষ্টা করব।’ 

জুয়েল রানা/সুমন/