
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়া পাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ১০ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
গত বছরের ২৭ জুন ওই শিশুর খালা তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে অভিযুক্ত মারুফকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ভূক্তভোগী পরিবারকে সহযোগিতা করা ইউপি সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠেছে। তবে ওই শিশুর মা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বাবা পুলিশের সোর্স মাসুম মিয়া হত্যার হুমকি দিয়ে তার মেয়েকে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে বাধ্য করে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উদ্ভবগঞ্জ এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগীর মা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় মামলার বাদী তানিয়া আক্তার ও ভূক্তভোগী শিশুসহ আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়া পাড়া গ্রামে তার মেয়ের মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত বছরের ২৫ জুন মঙ্গলবার রাত ১০টায় পাশ্ববর্তী মুদি দোকানে খাবার কিনতে যাওয়ার পথে ওই এলাকার মাসুম মিয়ার ছেলে মারুফ (১৮) ওই শিশুর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক পাশ্ববর্তী একটি গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে বিচার দাবি করে না পেয়ে দু’দিন পর ২৭ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ভূক্তভোগী শিশুর খালা তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে অভিযুক্ত মারুফকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই শিশুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ৮ মাস পর গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ওই শিশুর ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট সোনারগাঁ থানায় আসে। ওই রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
এদিকে ভূক্তভোগী শিশুকে সহযোগিতার করায় অভিযুক্তের বাবা মাসুম মিয়া আদালতে শিশুকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বৈদ্যোরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মাসুম মিয়া, সাতভাইয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবু মিয়া ও বিল্লাল হোসেন শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে বাধ্য করে। পরে আদালতে ২২ধারা জবানবন্দি রেকর্ড করে। গত ৩০ জুন রবিবার নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
মামলার বাদী ভূক্তভোগী ওই শিশুর খালা তানিয়া আক্তার জানান, তার ভাগ্নিকে হত্যার হুমকি দিয়ে নিরপরাধ তিনজনকে ফাঁসিয়েছে। মারুফ অপরাধী। তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, পুলিশের তদন্ত ও ডাক্তারী পরীক্ষার আলমতের ভিত্তিতে প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হবে। কেউ অপরাধ ঢাকতে পারবে না।
ইমরান হোসেন/মাহফুজ