
মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ নয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মেশকাত চৌধুরী মিশু।
সোমবার (১০ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই তথ্য জানান। তার আইনজীবী এ্যাডভোকেট মো. নাজবুল ইসলামের মাধ্যমে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেশকাত চৌধুরী দাবি করেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি ও কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তবে কিছু গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ও পোস্ট প্রকাশ করেছেন, যা তার সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে।
মেশকাত চৌধুরী এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। আইনি নোটিশ প্রাপ্ত নয় জনের মধ্যে আছেন: ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক ও নির্বাহী লোটন একরাম, ডিবিসির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান সৌরভ হাবিব, মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক (অজ্ঞাত), রাজশাহীর স্টাফ রিপোর্টার গোলাম রাব্বানী, মোহনা টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান মেহেদী হাসান শ্যামল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদ, রাজশাহী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম, প্রিয়জন টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক ডা. নাজিব ওয়াদুদ এবং প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল প্রতিবেদক।
এই নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে মেশকাত চৌধুরী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজে মেশকাত চৌধুরীসহ চারজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। পরে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠলেও তাৎক্ষণিকভাবে মেশকাত এবং পরদিন কলেজের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন। উভয় পক্ষই জানান, সেখানে কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি। তবে কিছু গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেন, যা মেশকাত চৌধুরী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সম্মানহানি করেছে।
সুমন/তাওফিক/