
সিলেটে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে মৌসুমের প্রথম শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৮টা থেকে শুরু হয় বৃষ্টি।
শুরুতে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত হয়। কিছুক্ষণ পরই এর সঙ্গে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি।
এর আগে গত বুধবার সিলেটসহ রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাসের তথ্য জানিয়েছিল সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে আজও (শুক্রবার) সিলেটে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় শুক্রবার সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
রোজার শুরু থেকেই বেশ গরম পড়েছিল সিলেটে। তাই ইফতারের পরপর হওয়া এ বৃষ্টিতে নগরজীবনে প্রশান্তি ফিরলেও বিপাকে পড়েন প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষ। বিশেষ করে মৌসুমের প্রথম এই শিলাবৃষ্টিতে জমির ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় শিলাবৃষ্টিতে মানুষের ঘরের টিনের চালা ও ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার শাহ আলম বলেন, ‘আমার ঘরের টিনের চালা শিলাবৃষ্টিকে ফুটো হয়ে গেছে। একই অবস্থা আমার এলাকার অনেকের। অনেকের জমির ফসলও শিলাবৃষ্টির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এ ব্যাপারে সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বলেন, ‘এই বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। আজকেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।’