ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

চসিকে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে: মেয়র

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
চসিকে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে: মেয়র
নগরের কাজির দেউরিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

ক্লিন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)-এর সহযোগিতায় নগরের কাজির দেউড়ি কাচাবাজারে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার উদ্ভোধন করা হয়েছে। সামনে চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নগরের কাজির দেউরি কাঁচাবাজারের সামনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ক্লিন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় থাকবে। পাশাপাশি ক্লিন সিটি গ্রিন সিটি হেলদি সিটি বাস্তবয়নে এবং প্লাস্টিক ও পলিথিনের ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবে এই উদ্যোগ। সামনে ক্লিন বাংলাদেশ সংগঠনকে নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এর ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে। 

নগরীর জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে ক্লিন বাংলাদেশ-এই উদ্যোগটি নিয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার’ কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাচাঁবাজারের পর এবার কাজিরদেউড়ি কাচাবাজারে ৪র্থ নতুন বুথ স্থাপন করা হয়েছে। 

এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিয়ে বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী- ছোলা, খেজুর, চিড়া, আলু, পেঁয়াজ, ডিম ইত্যাদি সংগ্রহ করতে পারবেন।

ক্লিন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি বলেন, আমাদের শহরকে প্লাস্টিক ও পলিথিন নিয়ে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ক্লিন বাংলাদেশ এভাবে নগরীর প্রত্যেকটা পয়েন্টে চালু রাখার চেষ্টা থাকবে। আমরা চেয়েছি সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান দিতে যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তা একসঙ্গে করা যায়। তাই, ‘প্লাস্টিক আনুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিন’ এই ধারণা নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটি শুধু প্লাস্টিক দূষণ রোধ করবে না, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রমজানের সময়ে সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।

প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার প্রোগ্রামটি পরিচালনা করছেন ক্লিন বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিসাত। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই পরিবর্তন হবে আমাদের লাল সবুজের বাংলাদেশ। এই প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নারের মাধ্যমে শুরু হোক পরিবর্তন ও সচেতনতা। যত্রতত্র প্লাস্টিক ও পলিথিন না ফেলে জমা দিয়ে নিতে পারছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যা মানুষকে একদিকে যেভাবে সচেতন হচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশকে রক্ষা করতে ভূমিকা করছে। পুরো রমজান মাস জুড়ে প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। 

নগরীর চারটি বুথ পরিচালনা করছে ক্লিন বাংলাদেশ টিম লিডার ফযলে জায়িদ আলভি, ইমন, জাহিদ, প্রমি, তানজিফা, পায়েল, নাজিফা, ইসরাত, আয়শা, সারু ইয়াজ, হাসান, পার্থ প্রমুখ।

ক্লিন বাংলাদেশ সেচ্ছাসেবী সংগঠন আশা করছে, এই উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

তারেক মাহমুদ/মাহফুজ

রংপুরে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
রংপুরে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতি বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতি বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে জড়ো হতে থাকেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বরে গিয়ে জমায়েত হয়।সেখানে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।

এ সময় রংপুরের ইমেজ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রিট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, আইইটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রংপুরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

তাদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো-

হাইকোর্টের রায়ে অবৈধভাবে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি পাওয়া ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের রায় বাতিল করতে হবে। সেইসঙ্গে পদবি পরিবর্তন ও মামলার সংশ্লিষ্টদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে।

ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করে উন্নতমানের চার বছর মেয়াদি কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে তা সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিচু পদে নিয়োগ বন্ধ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবলকে নিষিদ্ধ করে পরিচালক, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন পদে কারিগরি শিক্ষিত জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

পৃথক ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা ও কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

টেকনিকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।

পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রমিজ আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলার আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ ও অন্যান্য সমন্বয়কদের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফারহান নাজিব বলেন, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, না মানলে আমরা পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনে যাব। রংপুরে যত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে সবাই একসঙ্গে এই আন্দোলন গড়ে তুলেছি। এই ক্ষোভ আমাদের দীর্ঘদিনের। 

রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জান্নাতুল বলেন, ‘ যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হয় ততক্ষণ রাজপথে থাকব আমরা।’ 

সেলিম/পপি/

নরসিংদীতে মিলের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
নরসিংদীতে মিলের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র
ছবি: খবরের কাগজ

এককালের প্রমত্ত ব্রহ্মপুত্র নদ আজ দখলে-দূষণে জীর্ণ-সংকীর্ণ। কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য আর মানুষের ব্যবহৃত মলমূত্র দিনের পর দিন একে দূষিত করে চলেছে। অথচ এসব দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুধু দায়সারা ভূমিকা পালন করছে।

পরিবেশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি মিলগুলোর পরিবেশ দূষণের দায়কে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন। তবে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে দূষণকারীদের সম্পর্কে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নরসিংদীতে বয়ে যাওয়া নদ-নদীর মধ্যে সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নদটি যেন এখন দূষণকারীদের জীবিকা নির্বাহের উপায় হয়ে উঠেছে। এই নদের পাড়ে অবস্থিত কারখানাগুলো এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) রাখলেও তারাই আবার মিলের বিষাক্ত তরল বর্জ্য নদে ফেলছে। প্রতিবাদ করেও কোনো ফল হয়নি। এমনটাই জানালেন পাড়ের বাসিন্দারা।

এই জেলায় আছে সুতা প্রসেসিং মিল, ডাইং মিল, কাপড় রঙের কারখানা, জিগার মেশিন, স্পিনিং মিল, গার্মেন্টসসহ বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এসব কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত তরল বর্জ্য পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে পড়ছে। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এই নদের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষজন। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

শিলমান্দী ইউনিয়নের গনেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হাসান শুভ বলেন, ‘নদটির ওই পাড়ে কুড়েরপাড় এলাকা; সেখানে কাপড় রং করায় নদটি মৃতপ্রায়। আমরা ছোটবেলায় এই নদীতে গোসল করতাম, মাছ ধরতাম; এখন দূষণের কারণে এর পাড়ে দাঁড়িয়ে কথা বলা যায় না। আমরা স্থানীয়ভাবে অনেক প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাইনি।’

সরেজমিনে শিলমান্দী ইউনিয়নের কুড়েরপার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইভা ডাইং নামে একটি মিল থেকে বর্জ্য এসে পড়ছে নদের পানিতে। সাংবাদিক হিসেবে ভিডিও করতে দেখে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে দেয়। মিলগেটে গিয়ে খোঁজ করলে ইভা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের ইটিপি ইনচার্জ জানান, তারা নদ দূষণ করেন না। সাংবাদিকরা ভুল দেখছেন।

ইটিপি ইনচার্জ মো. রেজাউল জানালেন, মিল মালিকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তিনি মিলে সপ্তাহে এক দিন আসেন। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সর্ম্পক রেখে তারা এ এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা দূষণ করি না, সামনে গিয়ে দেখেন, সরাসরি বর্জ্য ফেলছে অনেকে। এসময় এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল, ওই এলাকার ফাতেমা ডাইংসহ ব্রহ্মপুত্রের তীরে গড়ে ওঠা মিলগুলো থেকে পানির স্রোতের মতো বর্জ্য এসে নদীতে পড়ছে। কিন্তু এ নিয়ে এসব মিলের কেউ কথা বলতে রাজি হলেন না। 

নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, আমি গত জুলাইয়ে যোগদান করেই পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পরিদর্শন করেছি। নদের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহের কিছুই নেই। নেই স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ। তিনি জানান, তীরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বর্জ্য শোধন করে নদে পানি ছাড়ে।

কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে তার কথার কোনো মিল পাওয়া গেল না। অনেকটা দায়সারা কথা বললেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা। এ সময় তিনি দাবি করেন, নরসিংদীতে ১২৯টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ১১৮টি প্রতিষ্ঠানের পানি শোধন করার ইটিপি রয়েছে। তবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানালেন। কিন্তু এর পরও কী করে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি দূষিত হচ্ছে তার কোনো জবাব তার কথায় পাওয়া গেল না।

সিরাজগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
সিরাজগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণ  করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই কিশোর এবং অজ্ঞাত এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কিশোর পলাতক রয়েছেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের অভিযোগ এনে ছাত্রীর বাবা মামলা করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী সলঙ্গা থানার আলোক দিয়ার গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে পাঁচলিয়া বদরুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। একই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী গত ১৩ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে পাঁচলিয়া বাজার সংলগ্ন জহুরুলের মার্কেটে নিয়ে যায় এবং মার্কেটের ভিতরের একটি কক্ষে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অতিরক্ত রক্ত ক্ষরণে ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 

শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রীর পরিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সুস্থ আছেন।’

সিরাজুল/তাওফিক/ 

টাঙ্গাইলে ১৫তম আর্মি মেডিকেল কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
টাঙ্গাইলে ১৫তম আর্মি মেডিকেল কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠিত
ঘাটাইল শহিদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে আর্মি মেডিকেল কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক। ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল শহিদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে আর্মি মেডিকেল কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) আর্মি মেডিকেল কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী মো. রশীদ-উন-নবী এমফিল, এমপিএইচ আর্মি মেডিকেল কোরের ১৫তম ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হন এবং সালাম নেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মাসীহুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোয়াচ্ছেক আহমদ এফসিপিএস, ডিডিভি, কর্নেল মো. আব্দুস সামাদ আল আজাদ ডিএফএম, এমসিপিএস, প্যারেড কমান্ডার আসাদুজ্জামান অনিক এএমসি।

অনুষ্ঠানে কমান্ড্যান্ট, আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি ছাড়াও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, অন্যান্য অফিসার, জেসিও, অন্য পদবির সেনাসদস্য এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

জুয়েল/পপি/

রাঙামাটিতে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ, গ্রেপ্তার ৩ শিক্ষক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০০ পিএম
রাঙামাটিতে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ, গ্রেপ্তার ৩ শিক্ষক
ছবি: খবরের কাগজ

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের অভিযোগে ৩ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাজেক থানায় মামলা করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে এ নকল সরবরাহ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বাঘাইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রূপায়ণ চাকমা, সহকারী শিক্ষিকা নুর আয়শা বেগম এবং মাচালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিন্টু চাকমা।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার ওই তিন শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করে সাজেক থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।

রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি পাঠান মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান ও সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কানন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে ওই তিন শিক্ষককে নকল সরবরাহের সময় হাতেনাতে ধরেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার। পরে তাদের সাজেক থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে আইনিব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি।

সাজেক থানার ওসি কানন সরকার জানান, আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

জিয়াউর রহমান/সুমন/