ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

শিবচরে নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে ক্লিনিক মালিক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম
শিবচরে নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে ক্লিনিক মালিক গ্রেপ্তার
ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় শিবচরের ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মাদারীপুরের শিবচরে নিজের ক্লিনিকের নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় শিবচরের ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে শিবচরের বাহাদুরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

আপেল মাহমুদ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকার মৃত চানমিয়া শিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্সকে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদ কুপ্রস্তাব দিত। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ওই নার্স হাসপাতালে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তার গতিরোধ করে আপেল মাহমুদ। এরপর জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যায়।সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তাকে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে ২৫ ডিসেম্বর তাকে শিবচর এনে একটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ভুয়া বিয়ের নথি তৈরি করে ওই নার্সকে ছেড়ে দেয় আপেল মাহমুদ।’

এ ঘটনার পর গত ৩০ ডিসেম্বর নার্সের পরিবার শিবচর থানায় মামলা করতে গেলে থানায় মামলা না নেওয়ায় মাদারীপুর আদালতের দ্বারস্থ হয় ভুক্তভোগী পরিবার। আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শিবচর থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়।

এ ঘটনার পর আপেল মাহমুদ পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে শিবচর থানার এসআই রেনুকা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আপেলকে গ্রেপ্তার করে।

শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ বলেন, ‘ধর্ষণ মামলার আসামি আপেল মাহমুদের নামে এর আগেও শিশু ধর্ষণ চেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক নার্সকে ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

রফিকুল ইসলাম/সুমন/

ইটনায় ‘সমন্বয়কের’ চাপে ওসি বদলি, পুনর্বহালের দাবিতে থানা ঘেরাও

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
ইটনায় ‘সমন্বয়কের’ চাপে ওসি বদলি, পুনর্বহালের দাবিতে থানা ঘেরাও
ছবি : খবরের কাগজ

কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মি‌ছিল ও থানা ঘেরাও করেছে স্থানীয় লোকজন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে এ কর্মসূ‌চিতে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। 

দুপুরে ইটনা মধ্যবাজার থেকে বিক্ষোভ মি‌ছিল‌টি শুরু হয়। পরে থানা ঘেরাও করেন নেতা-কর্মীরা। সেখানে আধাঘণ্টা ঘেরাও কর্মসূ‌চি চলে। সেখান থেকে মি‌ছিল‌টি উপজেলা প‌রিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান করে। 

বেলা ২টার দিকে মু‌ক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে সমাবেশ অনু‌ষ্ঠিত হয়।

ইটনার বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ বিক্ষোভ অনু‌ষ্ঠিত হলেও এতে উপজেলা বিএন‌পি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ বে‌শি ছিল।

সেখা‌নে বক্তব্য রাখেন, ইটনা উপজেলা বিএন‌পির সভাপ‌তি এসএম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সি‌দ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, জয়‌সি‌দ্ধি ইউপি চেয়ারম্যান ম‌নি‌র উদ্দিন, ইটনা উপজেলা বিএন‌পির যুগ্ম সম্পাদক পলাশ রহমান ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজাদুর রহমান সুমন।

জানা গেছে, সম্প্রতি ওসি ও স্থানীয় এক ‘সমন্বয়কের’ ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ইটনা থানার ওসি মনোয়ার হোসেনকে বদলি করেন পুলিশ সুপার। ওই ফোনালাপে সমন্বয়কের কাছে ওসি পাবলিককে জিলাপি খাওয়ানোর আবদার করতে শোনা যায়।

বিক্ষোভকারীদের অ‌ভিযোগ, ‘আওয়ামী লীগ ও এর দোসরদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন ও ষড়যন্ত্রে ও‌সিকে বদলি করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে প‌রি‌চিত ছাত্রলীগ করা ক‌থিত এক সমম্বয়কের ষড়যন্ত্র ও প‌রিক‌ল্পিত ফোনালাপের অ‌ডিও সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস করে ও‌সিকে বদ‌লি ক‌রা হয়। তাকে দ্রুতপুনর্বহাল করতে হবে।

ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল উদ্দিন বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ওসি হিসেবে ইটনা থানায় যোগ দেন মনোয়ার হোসেন। এর পর থেকে তিনি নানা অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে তৎপর হন। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেন। এসব কারণে আওয়ামী লীগের লোকজন কথিত সমন্বয়ক শান্তর মাধ্যমে ওসিকে সরানোর ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। ওসির ফোনালাপের অডিও ফাঁস করা এই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।’

জয়সিদ্ধি ইউপি চেয়ারম্যান ম‌নির উদ্দিন বলেন, ‘১২৮ বস্তা ভিজিএফের চাল উদ্ধারের ঘটনায় গত ২০ মার্চ রাতে ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আদিলুজ্জামান ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেন। তার এই গ্রেপ্তারের পর আওয়ামী দোসররা ইটনা থানার ওসি মো. মনোয়ার হোসেনকে সরাতে নানাভাবে তৎপর হয়ে ওঠে। এই তৎপরতার অংশ হিসেবে সমন্বয়ক দাবিদার আফজাল হোসেন শান্ত নিজে থেকে ওসি মনোয়ার হোসেনকে ফোন করে কলরেকর্ড ফাঁসের নাটক সাজান। আমরা ইটনা থানায় এই ওসির পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।’

এ প্রসঙ্গে ওসি মনোয়ার বলেন, ‘সরকারি চাকরি বদলির চাকরি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বদলির আদেশ দিয়েছেন, সে অনুযায়ী আমি দায়িত্ব হস্তান্তর করেছি। আমি ইটনাতে থাকা অবস্থায় চেষ্টা করেছি মানুষকে সেবা দিতে। কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হইনি।’

তাসলিমা আক্তার/অমিয়/

রংপুরে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
রংপুরে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতি বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতি বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে জড়ো হতে থাকেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বরে গিয়ে জমায়েত হয়।সেখানে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।

এ সময় রংপুরের ইমেজ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রিট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, আইইটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রংপুরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

তাদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো-

হাইকোর্টের রায়ে অবৈধভাবে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি পাওয়া ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের রায় বাতিল করতে হবে। সেইসঙ্গে পদবি পরিবর্তন ও মামলার সংশ্লিষ্টদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে।

ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করে উন্নতমানের চার বছর মেয়াদি কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে তা সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিচু পদে নিয়োগ বন্ধ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবলকে নিষিদ্ধ করে পরিচালক, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন পদে কারিগরি শিক্ষিত জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

পৃথক ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা ও কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

টেকনিকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।

পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রমিজ আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলার আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ ও অন্যান্য সমন্বয়কদের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফারহান নাজিব বলেন, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, না মানলে আমরা পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনে যাব। রংপুরে যত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে সবাই একসঙ্গে এই আন্দোলন গড়ে তুলেছি। এই ক্ষোভ আমাদের দীর্ঘদিনের। 

রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জান্নাতুল বলেন, ‘ যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হয় ততক্ষণ রাজপথে থাকব আমরা।’ 

সেলিম/পপি/

নরসিংদীতে মিলের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
নরসিংদীতে মিলের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র
ছবি: খবরের কাগজ

এককালের প্রমত্ত ব্রহ্মপুত্র নদ আজ দখলে-দূষণে জীর্ণ-সংকীর্ণ। কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য আর মানুষের ব্যবহৃত মলমূত্র দিনের পর দিন একে দূষিত করে চলেছে। অথচ এসব দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুধু দায়সারা ভূমিকা পালন করছে।

পরিবেশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি মিলগুলোর পরিবেশ দূষণের দায়কে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন। তবে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে দূষণকারীদের সম্পর্কে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নরসিংদীতে বয়ে যাওয়া নদ-নদীর মধ্যে সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নদটি যেন এখন দূষণকারীদের জীবিকা নির্বাহের উপায় হয়ে উঠেছে। এই নদের পাড়ে অবস্থিত কারখানাগুলো এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) রাখলেও তারাই আবার মিলের বিষাক্ত তরল বর্জ্য নদে ফেলছে। প্রতিবাদ করেও কোনো ফল হয়নি। এমনটাই জানালেন পাড়ের বাসিন্দারা।

এই জেলায় আছে সুতা প্রসেসিং মিল, ডাইং মিল, কাপড় রঙের কারখানা, জিগার মেশিন, স্পিনিং মিল, গার্মেন্টসসহ বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এসব কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত তরল বর্জ্য পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে পড়ছে। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এই নদের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষজন। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

শিলমান্দী ইউনিয়নের গনেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হাসান শুভ বলেন, ‘নদটির ওই পাড়ে কুড়েরপাড় এলাকা; সেখানে কাপড় রং করায় নদটি মৃতপ্রায়। আমরা ছোটবেলায় এই নদীতে গোসল করতাম, মাছ ধরতাম; এখন দূষণের কারণে এর পাড়ে দাঁড়িয়ে কথা বলা যায় না। আমরা স্থানীয়ভাবে অনেক প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাইনি।’

সরেজমিনে শিলমান্দী ইউনিয়নের কুড়েরপার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইভা ডাইং নামে একটি মিল থেকে বর্জ্য এসে পড়ছে নদের পানিতে। সাংবাদিক হিসেবে ভিডিও করতে দেখে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে দেয়। মিলগেটে গিয়ে খোঁজ করলে ইভা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের ইটিপি ইনচার্জ জানান, তারা নদ দূষণ করেন না। সাংবাদিকরা ভুল দেখছেন।

ইটিপি ইনচার্জ মো. রেজাউল জানালেন, মিল মালিকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তিনি মিলে সপ্তাহে এক দিন আসেন। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সর্ম্পক রেখে তারা এ এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা দূষণ করি না, সামনে গিয়ে দেখেন, সরাসরি বর্জ্য ফেলছে অনেকে। এসময় এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল, ওই এলাকার ফাতেমা ডাইংসহ ব্রহ্মপুত্রের তীরে গড়ে ওঠা মিলগুলো থেকে পানির স্রোতের মতো বর্জ্য এসে নদীতে পড়ছে। কিন্তু এ নিয়ে এসব মিলের কেউ কথা বলতে রাজি হলেন না। 

নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, আমি গত জুলাইয়ে যোগদান করেই পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পরিদর্শন করেছি। নদের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহের কিছুই নেই। নেই স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ। তিনি জানান, তীরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বর্জ্য শোধন করে নদে পানি ছাড়ে।

কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে তার কথার কোনো মিল পাওয়া গেল না। অনেকটা দায়সারা কথা বললেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা। এ সময় তিনি দাবি করেন, নরসিংদীতে ১২৯টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ১১৮টি প্রতিষ্ঠানের পানি শোধন করার ইটিপি রয়েছে। তবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানালেন। কিন্তু এর পরও কী করে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি দূষিত হচ্ছে তার কোনো জবাব তার কথায় পাওয়া গেল না।

সিরাজগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
সিরাজগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণ  করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই কিশোর এবং অজ্ঞাত এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কিশোর পলাতক রয়েছেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের অভিযোগ এনে ছাত্রীর বাবা মামলা করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী সলঙ্গা থানার আলোক দিয়ার গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে পাঁচলিয়া বদরুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। একই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী গত ১৩ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে পাঁচলিয়া বাজার সংলগ্ন জহুরুলের মার্কেটে নিয়ে যায় এবং মার্কেটের ভিতরের একটি কক্ষে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অতিরক্ত রক্ত ক্ষরণে ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 

শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রীর পরিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সুস্থ আছেন।’

সিরাজুল/তাওফিক/ 

টাঙ্গাইলে ১৫তম আর্মি মেডিকেল কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
টাঙ্গাইলে ১৫তম আর্মি মেডিকেল কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠিত
ঘাটাইল শহিদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে আর্মি মেডিকেল কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক। ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল শহিদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে আর্মি মেডিকেল কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) আর্মি মেডিকেল কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী মো. রশীদ-উন-নবী এমফিল, এমপিএইচ আর্মি মেডিকেল কোরের ১৫তম ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হন এবং সালাম নেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মাসীহুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোয়াচ্ছেক আহমদ এফসিপিএস, ডিডিভি, কর্নেল মো. আব্দুস সামাদ আল আজাদ ডিএফএম, এমসিপিএস, প্যারেড কমান্ডার আসাদুজ্জামান অনিক এএমসি।

অনুষ্ঠানে কমান্ড্যান্ট, আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি ছাড়াও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, অন্যান্য অফিসার, জেসিও, অন্য পদবির সেনাসদস্য এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

জুয়েল/পপি/