
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা শুক্রবার (১৪ মার্চ) ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে শৈলকুপা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক মুদি দোকানির বিরুদ্ধে।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি অভিযোগের বরাত দিয়ে জানান, গত ৩ মার্চ উপজেলার দেবতলা গ্রামের আহতাফ কাজীর ছেলে রিপন কাজী ওই স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করে। এ সময় স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। রিপন কাজী এর আগেও ওই স্কুলছাত্রীকে একইভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানাতে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
ভিকটিমের অভিভাবকরা বলেন, ‘লোকলজ্জার ভয়ে শিশুটিকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে শুক্রবার শৈলকুপা থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’
শৈলকুপা থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) শাকিল আহমেদ বলেন, ‘অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) অমিত কুমার বর্মন বলেন, ‘এটি একটি স্পর্শকাতর অভিযোগ। বিষয়টি আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেবে।’
রূপগঞ্জে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মো. ইব্রাহিম ওরফে মন্টু (৫৫) নামে এক মুদি দোকানির বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রূপগঞ্জ রূপসী বাগানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত মন্টু পলাতক রয়েছে। ঘটনার দিন রাত পৌনে ২টার দিকে ওই শিশুকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। শনিবার (১৫ মার্চ) তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা রয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা একজন দিনমজুর এবং মা একটি কারখানায় কাজ করেন। শিশুটির বাবা জানান, রূপগঞ্জের রূপসী বাগানবাড়ি এলাকায় একটি বাসায় থাকেন তারা। তাদের বাসার পাশেই একটি মুদি দোকান রয়েছে। ওই দোকানির নাম ইব্রাহিম (৫৫)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে খেলতে খেলতে দোকানের সামনে যায় শিশুটি। তখন ওই মুদি দোকানি তাকে দোকানের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিকেলে বাসায় এলে শিশুটি সবকিছু খুলে বলে। পরে দোকানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তখন আমরা রূপগঞ্জ থানায় যাই। থানার মাধ্যমে রাতে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।’
রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে শিশুটিকে স্বজনরা থানায় নিয়ে আসেন। পরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাৎক্ষণিক আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাই। বর্তমান শিশুটি হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি রয়েছে। শনিবার হয়তো শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মাহফুজ/