
গাজীপুর মহানগরীর জাঝর এলাকায় ছিনতাইকারীর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে এক পুলিশ সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানার কনস্টেবল-৫২২ মোস্তফা কামাল গুরুতর জখম হলে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলো- গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার জাঝর উত্তর পাড়া এলাকার মনিরুজ্জামান মনির (২৮), একই থানার উত্তর খাইলকুর এলাকার জাহিদ মন্ডল বাবু (৩০) এবং দক্ষিণ খাইলকুর এলাকার নূরা (৩৭)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৫ গ্রাম হেরোইন, একটি ছোরা (ডেগার) উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার মনিরের বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন থানায় মাদকসহ বেশ কয়েকটি ধারায় ১২টি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার তিন মাদক কারবারি। ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানার ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পাশ্চিম জাঝর এর জনৈক আবুল কাশেমের বাড়ির পূর্ব পাশে বাউন্ডারি করা প্লটের ভেতর পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন করতেছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী মনিরুজ্জামান ওরফে মনির পালানোর চেষ্টাকালে কনস্টেবল মোস্তফা কামাল তাকে ধরে ফেলে। পরে মনিরসহ তার সহযোগীরা ধস্তাধস্তি করে। একপর্যায়ে আসামি মনিরুজ্জামান মনিরের হাতে থাকা ছোরা জাতীয় ডেগার দিয়ে কনস্টেবল মোস্তফাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে মোস্তফা কামালের বাম কানে এবং পেটের বাম পাশে গুরুতর জখম হয়। তার পরেও মোস্তফা কামাল আসামি মনিরকে ধরে রাখে।
পরবর্তী সময়ে তার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স দ্রুত এগিয়ে গিয়ে মনিরকে গ্রেপ্তার করে। পরে মোস্তফা কামালকে উদ্ধার করে দ্রুত গাছা থানার তায়রুন্নেছা মেমোরিয়াল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পুলিশ সদস্যের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোস্তফা কামাল অপারেশন সম্পন্ন হয় এবং বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, পরবর্তী সময়ে গাছা থানা পুলিশ, এপিবিএন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামি জাহিদ মন্ডল বাবু এবং নূরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা, সরকারি কর্মচারীকে কর্তব্য পালনে বাধা প্রদানের নিমিত্তে আক্রমণ ও অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন উদ্ধারের জন্য পৃথক পৃথক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
পলাশ প্রধান/মাহফুজ