ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

বখাটের অত্যাচারে চিরকুট লিখে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪১ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৪ এএম
বখাটের অত্যাচারে চিরকুট লিখে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ছবি : খবরের কাগজ

"আমি আমার নিজের ইচ্ছায় কিছু করিনি, আমাকে বাধ্য করা হয়েছে। ওই ছেলের জন্য ওর পরিবারের জন্য আমার জীবন থেকে মনে হয় সব সুখ সাতি (শান্তি) চলে (গেছে)"- এভাবেই চিরকুট লিখে রেখে আত্মহত্যা করেছেন এক শিক্ষার্থী। নিহত শিক্ষার্থীকে পথে-ঘাটে ইভটিজিংসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠিয়ে  ব্ল্যাকমেইল করায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামে খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত শিক্ষার্থী নাজনিন জাহান কুমকুম (১৪) ওই বাড়ির নজরুল খানের মেয়ে এবং পূর্ব কালাইয়া হাসান সিদ্দিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত কিশোর রিয়াদুল ইসলাম তৌসিফ (১৬) একই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও শৌলা গ্রামের রিয়াজ চৌকিদারের ছেলে। 

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নিহত কিশোরীকে পথে-ঘাটে ইভটিজিং করে আসছিল প্রতিবেশী কিশোর তৌসিফ। বিষয়টি তারা তৌসিফের চাচা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল শুক্রবার নিহত কিশোরী ও তার এক সহপাঠী কিশোরের একসঙ্গে তোলা একটি ছবির সঙ্গে নোংরা মন্তব্য লিখে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় অভিযুক্ত তৌসিফ। এর পর খাতায় একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন কুমকুম। 

পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। প্রথমে পরিবার নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত করাতে চায়নি। তাই বিষয়টিকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনাজনিত অপমৃত্যু বলে স্থানীয়দের ও পুলিশকে জানায়। মরদেহ হাসপাতাল থেকেই বাড়িতে নিয়ে রাতে দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল পরিবার। তখন স্থানীয়রা মরদেহের গলায় ফাঁসের মতো চিহ্ন দেখতে পায়। অন্যদিকে, মেয়ের রুমে খাতায় লেখা চিরকুটের সন্ধান পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করে পরিবার। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ নিহত শিক্ষার্থীর বাড়িতে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানায় পুলিশ। 

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, 'একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় এক কিশোরের ইভটিজিংয়ের কারণে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে ধারণা পরিবারের। এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি ভুক্তভোগী পরিবার। তবুও অভিযোগের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে।' 

মশিউর মিলন/জোবাইদা/

মশিউর মিলন/জোবাইদা/ 

বাগেরহাটে মামলা নিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের বিরোধ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
বাগেরহাটে মামলা নিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের বিরোধ

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বাগেরহাটের আদালত এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বৈষম্যবিরোধীদের কয়েকজন গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনার আট মাস পর গত ৮ এপ্রিল বাগেরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মো. মিরাজ শেখ ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ২০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এ মামলাকে কেন্দ্র করে বাগেরহাটে বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে। 

এদিকে মামলায় দেওয়া তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বাগেরহাটের আহ্বায়ক এস এম সাদ্দাদ। তিনি বলেছেন, ‘মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে মামলা করা হলে জুলাই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।’ 

সামিউল নামে মামলার এক সাক্ষী বলেছেন, তিনি কিছুই জানেন না। আগের মামলাটি হালকা করার জন্য এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে মিরাজকে বাদী বানিয়ে একটি পক্ষ মামলা করিয়েছে। 

বৈষম্যবিরোধীদের আরেকটি অংশ প্রশ্ন তুলেছে আহ্বায়কের ভূমিকা নিয়ে। এ মামলার আগে আদালত চত্বরের ঘটনায় আরও দুটি মামলা হয়; যেগুলোর তদন্ত চলছে। তবে সেই মামলা দুটি বৈষম্যবিরোধীদের কেউ করেনি।

মিরাজের করা মামলায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বাগেরহাট পুরাতন বাজার মোড় থেকে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে আদালত এলাকায় আসেন। ১ নম্বর আসামি বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের হুকুমে ২ নম্বর আসামি তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান (৩৮) ও ৪ নম্বর আসামি ইন্সপেক্টর (ডিবি) মো. মাসুদ রানা (৩৫) প্রকাশ্যে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে জনসাধারণের ওপর গুলি চালান। ৬ নম্বর আসামি বাগেরহাট সদর থানার তৎকালীন ওসি নিজে মিছিলের ওপর বোমা নিক্ষেপ করেন। ২১, ৩১, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর আসামি মিছিলে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। ১৫ নম্বর আসামি মিছিলের ওপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করেন। ১ ও ৩ নম্বর আসামি সাবেক এমপি মীর শওকত আলী বাদশা (৬৫) সাধারণ জনতাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য পুলিশকে গুলি-বোমা বর্ষণের নির্দেশ দেন। 

এভাবে মামলায় উল্লেখ করা হলেও আহ্বায়ক সাদ্দাম বলেন, ‘ওই দিন বাগেরহাটের ওসিসহ অনেকেই আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তারা সহযোগিতা না করলে ওই দিন আমাদের অনেকে শহিদ হয়ে যেতেন। সব মিলিয়ে পুলিশের ভূমিকা আমাদের পক্ষেই ছিল। মামলায় গুলি করেছে, বোমা মেরেছে এসব বিষয় বলা হয়েছে। কিন্তু এরকম কিছু হয়নি। ভুল তথ্য দিয়ে মামলা করা হলে আমাদের সংগঠনেরই বদনাম হয়।’ ঘটনার দিন হামলায় সাদ্দামেরও হাত ভেঙে যায়।

মামলার সাক্ষী সামিউল বলেন, ‘আমাকে সাক্ষী করা হয়েছে। কিন্তু আমি জানি না। আমাকে ছাত্রলীগ কুপিয়ে আহত করে। পুলিশ গিয়ে রক্ষা করে। তা না হলে বাঁচাই যেত না। ৯ জন আমাকে কুপিয়ে জখম করে অথচ সেই ৯ জনের কারও নাম মামলায় নেই।’

বাগেরহাটের কয়েকটি সূত্র জানায়, তৎকালীন দুই পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। রাজনৈতিক নেতাদের বাইরে ওই মামলায় সেই দুই কর্মকর্তার একজনের অনুসারীদের আসামি করা হয়েছে। অন্য কর্মকর্তা বা তার অনুসারী কাউকে আসামি করা হয়নি। 

এ বিষয়ে মামলার বাদী মিরাজ শেখকে ওই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খবরের কাগজকে তিনি জানান, ৪ নম্বরে সেই পুলিশ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। কিন্তু এজাহারে তার নাম নেই। মিরাজকে তা জানালে তিনি বলেন, ৩০ নম্বর আসামি পর্যন্ত একটু খুঁজে দেখেন। তার নাম আছে। কিন্তু ৬৭ নম্বর পর্যন্ত খুঁজেও তার নাম পাওয়া যায়নি। পরে মিরাজ বলেন, হয়তো ভুল হয়েছে। তার নাম দেওয়ার সুযোগ এখনো আছে। কম্পিউটার কম্পোজ যেখানে করেছি, তারা আমাকে যেভাবে পরামর্শ দিয়েছে, সেভাবেই মামলার ড্রাফট করা হয়েছে। তারাই সব লিখে দিয়েছে। তারা বলেছেন, ওই ধরনের বিষয় উল্লেখ না করলে মামলা টিকবে না। আমি এর আগে মামলা করিনি, প্রথম তাই ভুল হতে পারে।’ 

মামলার বাদী মিরাজ শেখ মামলা-সংক্রান্ত ব্যাপারে একেকবার একেকজনকে একেক রকমের তথ্য দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তিনি ১০ এপ্রিল ফেসবুক লাইভে এসে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর যে বিষয়টি বলেছেন, খবরের কাগজের কাছে আসা ভিডিওতে সে রকম কিছু পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তার পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলা সদস্যসচিব নওরীন। তিনি বলেছেন, ‘ওই ভিডিওটি এডিট করা’।

১০ এপ্রিল লাইভটি শেয়ার করে নওরীন লিখেছেন, ‘জেলার আহ্বায়ক যখন নিজেই আওয়ামীপন্থি হয়ে মামলাবাণিজ্য চালায়।’ 
এরপর এ ঘটনায় রাতে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় মিরাজ সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও আহ্বায়কের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার জন্য আহ্বায়ক এস এম সাদ্দাম মিরাজকে বহিষ্কার করেন। বহিষ্কার নোটিশে মিরাজকে তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ‘সদস্য’ বলে উল্লেখ করেছেন। 

এই নোটিশটি ফেসবুকে পোস্ট করে নওরীন লিখেছেন, ‘যে আহ্বায়ক জানেনই না তার কমিটির লোক কোন পদে আছেন; সদস্য না সংগঠক? যে আহ্বায়কের নামে এত বড় একটা অভিযোগ এল, জিডি পর্যন্ত হলো। তার সঠিক তদন্ত না হয়ে সেই আহ্বায়ক একক ক্ষমতা বলে কীভাবে একজন সংগঠককে বহিষ্কার করেন? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কমিটিকে একটি সার্কাস গ্রুপে পরিণত করা হয়েছে। বারংবার সেন্ট্রালের দৃষ্টিআকর্ষণ করেও এই আহ্বায়কের বিরুদ্ধে, অসংখ্য অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনো ধরনের তদন্ত হয়নি।’

তবে নওরীনের ৫ আগস্টের আগের আন্দোলনে সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তারা বলেছেন, নওরীনের পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে জুলাই আন্দোলনে তার দৃশ্যমান কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। নওরীনের ফেসবুক ঘেঁটেও ৩১ জুলাই পর্যন্ত তেমন কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি বা ৫ আগস্ট পর্যন্ত তার কোনো ছবিও দেখা যায়নি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর পর ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওতে মিছিলের সামনে তাকে দেখা গেছে। জেলা আহ্বায়ক সাদ্দাম বলেন, ‘কোথাও নওরীনকে (সদস্যসচিব) দেখিনি। আর কে দেখেছে তাকেও এ পর্যন্ত খুঁজেও পাওয়া যায়নি। আমাকে নওরীন কয়েকবার বলেছেন, আপনি অন্তত বলবেন আপনি আমাকে আন্দোলনে দেখেছেন।’

এ বিষয়ে নওরীন বলেন, ‘৫ তারিখের আগে দেয়াল লিখনের ফান্ডিং থেকে সব আমি করেছি। রিফর্ম বাংলাদেশ নামে একটা গ্রুপ করা হয়। সেই গ্রুপটির অ্যাডমিন আমি। ৪ তারিখ আমি ছিলাম না। তবে ছিলাম না বললে ভুল হবে। আমি ছিলাম। যারা আন্দোলন করছিল তাদের জন্য যে দোকান থেকে পানি কিনে নিয়েছি, যে দোকানে পানি রাখছি, মারামারি শুরুর সময় আমি যে দোকানে লুকিয়েছিলাম তারা সাক্ষী দেবেন। ৪ তারিখে আন্দোলন করছিল জামায়াত-শিবিরের লোকজন। ফেসবুক খুলে দেখে আমি সেখানে যাই। আমাকে দেখে বলছিল, ধর ধর ওমুকের নাতি, তখন আমি পালিয়ে একটা দোকানে আশ্রয় নিই। সেই দোকানদারও সাক্ষী দেবেন। সাংবাদিকদের ক্যামেরা ফুটেজে আমি নেই। আমি গেছি আন্দোলন করতে। ছবি তুলতে তো যাইনি। প্রেসক্লাবেও আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সে জন্য আমি আমার সাক্ষী রেডি করে রাখছি। এরকম প্রশ্ন করলে আন্দোলনকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে তোলা হবে।’

কলেজছাত্রীর এডিট করা নগ্ন ছবি ছড়ানোয় যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২২ পিএম
কলেজছাত্রীর এডিট করা নগ্ন ছবি ছড়ানোয় যুবক গ্রেপ্তার
মনোয়ার হোসেন মুন্না। ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে কলেজছাত্রীর এডিট করা নগ্ন ছবি ছড়ানোর দায়ে মনোয়ার হোসেন মুন্না (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে র‍্যাব-৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ আল-রাজেক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মুন্না ঝলমলিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা।

র‌্যাব জানায়, রাজশাহী সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত এক ছাত্রী সম্প্রতি ওই যুবকের বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৩ সালের ১১ জুলাই মুন্না ইমেইলের মাধ্যমে ছাত্রীর কাছে তার একটি এডিট করা নগ্ন ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন। পরে বিভিন্ন নামে একাধিক মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ওই ছাত্রীর ছবি পাঠাতে থাকেন তিনি। 

এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে দেন ছাত্রীর পরিচিতদের কাছে। ঘটনার পর র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

এনায়েত করিম/পপি/

ফরিদপুরে স্ত্রীর শিলের আঘাতে কৃষকদল নেতার মৃত্যু

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম
ফরিদপুরে স্ত্রীর শিলের আঘাতে কৃষকদল নেতার মৃত্যু
কৃষকদল নেতা ওবায়দুর রহমান মুন্সি। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্ত্রীর শিলের আঘাতে ওবায়দুর রহমান মুন্সি (৫৫) নামে উপজেলা কৃষকদল নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোর রাতের দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওবায়দুর রহমান মুন্সি উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল খালেক মুন্সির (ডক সাহেব) ছেলে।

নিহতের ভাই সিরাজুল হক বলেন, ‘ওবায়দুরের সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে দীর্ঘদিন যাবৎ তার স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূর বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার রাতে তার স্ত্রী পাথরের শিল দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম ও পুত্রবধূ মাসকারা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম স্বীকার করেছেন যে, সে নিজেই তার স্বামীকে পাথরের শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

সঞ্জিব দাস/সুমন/ 

জামালপুরে মাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
জামালপুরে মাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

জামালপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মা মঞ্জিলা বেগম জিরা (৬৫) কে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার চর নাওভাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে দুপুরে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১৫ এপ্রিল সকালে জামালপুর পৌর শহরের চন্দ্রা এলাকায় নিজ বাড়িতে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মা মঞ্জিলা বেগম জিরাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার বড় ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু। এ সময় গাছ ব্যবসায়ী ফরিদ মণ্ডলকেও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। ঘটনার পরের দিন নিহতের ছোট ছেলে
জীবন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামিকে গ্রেপ্তারে জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে আজ ভোরে ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার নাওভাঙ্গা চর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

নিহত মঞ্জিলা বেগম জিরা নিজের চোখের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাতে কম্পপুর এলাকার গাছ ব্যবসায়ী ফরিদ মণ্ডলের কাছে ১৬ হাজার টাকায় নিজ বাড়ির তিনটি গাছ বিক্রি করেন এবং অগ্রীম ৯ হাজার টাকা বুঝে নেন। গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ফরিদ মণ্ডল (৪৫) ও তার লোকজন গাছ কাটতে আসলে বড় ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৪০) বাধা দেন। মঞ্জু তার মাকে বলে আরও বেশি দামে গাছ বিক্রি করা যাবে কিন্তু এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফরিদ মণ্ডলকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে মঞ্জু। এ সময় ছেলেকে বাধা দিলে মাকেও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। পরে বাড়িতে লোকজন আসতে দেখে মঞ্জু পালিয়ে যান এবং স্থানীয়রা আহত গাছ ব্যবসায়ী ফরিদ মণ্ডলকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পরের দিন (১৬ এপ্রিল) নিহতের ছোট ছেলে জীবন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আসিফ/মেহেদী/

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদে হামলার প্রতিবাদে সাভারে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৭ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদে হামলার প্রতিবাদে সাভারে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদে হামলার প্রতিবাদে সাভারে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঘাচং এলাকায় একটি মসজিদে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মুসল্লিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাভারে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদিস।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার কাঁইচাবাড়ি এলাকায় সংগঠনটির নিজস্ব জমঈয়ত ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সংগঠনটির মহাসচিব শাইখ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী, সিনিয়র যুগ্ম সেক্রেটারি জেনারেল শাইখ হারুন হুসাইন এবং স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. আহমাদুল্লাহ ত্রিশালী বলেন, ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদিস দেশের সবচেয়ে বড় আহলুল হাদিস সংগঠন, যার সঙ্গে প্রায় ৪ কোটি মানুষ যুক্ত। তারা শিরকমুক্ত তাওহীদের দাওয়াত ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং বেদাতমুক্ত ইবাদতের শিক্ষা দিচ্ছে। এই সঠিক দাওয়াতের ফলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আল বাইতুল মামুর সালাফী জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি কিছু উগ্রবাদী ব্যক্তির উসকানিমূলক বক্তব্যে সেখানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। মুসল্লিদের ওপরও নির্মম হামলা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে একটি বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত, এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে একটি ধর্মীয় স্থাপনায় নিয়মিত নামাজ আদায় করা সত্ত্বেও কেন এ ধরনের হামলা চালানো হল, সেটি ভাবনার বিষয়। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনুন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদের পুনর্নির্মাণ ও নামাজ আদায়ের সুযোগ নিশ্চিত করুন।’

তিনি প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘দেশের কোথাও যেন আর কোনো ধর্মীয় স্থাপনায় এ ধরনের হামলার ঘটনা না ঘটে।’

ইমতিয়াজ / তাওফিক