
ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সহযোগিতায় নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে। সামনে চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নগরের কাজীর দেউরি কাঁচাবাজারের সামনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সার্বক্ষণিক সহযোগিতা থাকবে। পাশাপাশি ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটি বাস্তবায়নে এবং প্লাস্টিক ও পলিথিনের ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবে এই উদ্যোগ। সামনে ক্লিন বাংলাদেশ সংগঠনকে নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে।’
নগরীর জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিকদূষণ রোধে ক্লিন বাংলাদেশ এই উদ্যোগটি নিয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় রমজান উপলক্ষে ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার’ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাঁচাবাজারের পর এবার কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে চতুর্থ নতুন বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিয়ে বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী- ছোলা, খেজুর, চিড়া, আলু, পেঁয়াজ, ডিম ইত্যাদি সংগ্রহ করতে পারবেন।
ক্লিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি বলেন, “শহরকে প্লাস্টিক ও পলিথিন নিয়ে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ক্লিন বাংলাদেশ এভাবে নগরীর প্রত্যেকটা পয়েন্টে চালু রাখার চেষ্টা থাকবে। আমরা চেয়েছি সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান দিতে- যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তা একসঙ্গে করা যায়। তাই ‘প্লাস্টিক আনুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিন’ এই ধারণা নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটি শুধু প্লাস্টিকদূষণ রোধ করবে না, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রমজানের সময়ে সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।”
প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার প্রোগ্রামটি পরিচালনা করছেন ক্লিন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিসাত। তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই পরিবর্তন হবে আমাদের লাল-সবুজের বাংলাদেশ। এই প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নারের মাধ্যমে শুরু হোক পরিবর্তন ও সচেতনতা। যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ও পলিথিন না ফেলে জমা দিয়ে নিতে পারছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, যা মানুষকে একদিকে যেভাবে সচেতন করা হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখছে। রমজান মাসজুড়ে প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।’