ঢাকা ৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোলে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোলে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ছবি : খবরের কাগজ

ভারতে দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে আজ বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দু-দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
 
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগমীকাল রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, ভারতীয় পেট্রাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন থেকে পত্র দিয়ে জানিয়েছে, ভারতে দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আজ আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রবিবার পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।

ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা উৎসবটি ‘হোলি’ নামে পরিচিত। অশুভ শক্তির বিনাশ হিসেবে ‘হোলি উৎসব’ হয়ে থাকে। এই উৎসবের কারণে আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঅ্যান্ডএফ মালিক, কর্মচারী, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাকচালকরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যান। ফলে আজ এ বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হবে না।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া ও বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নজরুল ইসলাম/জোবাইদা/

আগুনে পুড়ল ৪৫ হাজার মুরগি, ১২ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
আগুনে পুড়ল ৪৫ হাজার মুরগি, ১২ কোটি টাকার ক্ষতি
ছবি: খবরের কাগজ

যশোরে আফিল মুরগি ফার্মে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শেডে থাকা প্রায় ৪৫ হাজার মুরগী মারা গেছে। 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে ফার্মটির একটি শেডে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। বিকেল ৪টার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

যশোর ও মনিরামপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করেন। তবে এরমধ্যে শেডে থাকা প্রায় ৪৫ হাজার মুরগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মুরগি ও মেশিনারিজ সরঞ্জামে প্রায় ১২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ফার্ম কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন। তবে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনও নিরূপণ হয়নি বলে জানিয়েছেন যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ। 

আফিল মুরগি ফার্মের ব্যবস্থাপক মফিজ উদ্দিন জানান, দুপুর ২টার দিকে আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এরমধ্যে অগ্নিকাণ্ডে ফার্মটির একটি শেড সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৪৫ হাজার মুরগি ছিল। সব মুরগি আগুনে পুড়ে মারা গেছে। এছাড়া শেডের ভেতরে থাকা সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং মুরগি প্রসেসিং-এর স্বয়ংক্রিয় মেশিনও সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি টাকা হবে।

যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ জানান, খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গেছিলাম। যশোর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এবং মনিরামপুর থেকে আরও দুটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ফার্মটির কর্মচারীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। আমরা অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটাও খুঁজছি। তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এইচ আর তুহিন/মাহফুজ

 

টঙ্গীতে ২ শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম
টঙ্গীতে ২ শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
বাড়ির সামনে উৎসুক মানুষের ভিড়। ছবি: খবরের কাগজ

গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের করা প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে শিশুদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার আরিচপুর রূপবানের টেক এলাকার জনৈক সানোয়ার মিয়ার ৮তলা বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মরদেহ দুটি  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্জারামপুর থানার তাতুয়াকান্দি গ্রামের আব্দুল বাতেন মিয়ার দুই সন্তান ৬ বছর বয়সী মালিহা ও চার বছর বয়সী আব্দুল্লাহর।

আব্দুল বাতেন টঙ্গীর রূপবানের টেকের এলাকার জনৈক আনোয়ার মিয়ার আট তলা ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাস করতেন।

নিহত দুই শিশুর স্বজনরা জানান, শিশু দুইটি সহোদর ভাই-বোন। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাড়িতে থাকা শিশুদের বাবা, মা ও দাদীরা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান। এরপর মা সালেহা বেগম ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। দাদী উপর তলার ফ্ল্যাটে বেড়াতে এবং বাবা শিশুদের ঘরে রেখে বাইরে যান। কিছু সময় পর মা ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান এবং শিশুদের রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে দেখতে পান। তার চিৎকারে দাদী উপর তলা থেকে নেমে এসে ছেলেকে খবর দেন। পরে তার চিৎকারে আসপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের করা প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে শিশুদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পূ্র্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।

পলাশ প্রধান/এমএ/

সন্তান বিক্রি করে মোবাইল-নুপুর-জুতা কিনলেন মা, উদ্ধার করল পুলিশ

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
সন্তান বিক্রি করে মোবাইল-নুপুর-জুতা কিনলেন মা, উদ্ধার করল পুলিশ
সন্তান বিক্রি করে দেওয়া মা লাবনী আক্তার লিজা। ছবি: খবরের কাগজ

স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে ৪ মাসের শিশু সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে নাকের নথ, পায়ের নুপুর, মোবাইল ফোন ও জুতা কিনেন লাবনী আক্তার লিজা নামে এক মা। তবে এখন তিনি অনুতপ্ত।

সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটে টাঙ্গাইলের মধুপু্র পৌর শহরের পুন্ডুরা সেওড়াতলা এলাকায়। ঘটনাটি এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লাবনীর স্বামী রবিউল ইসলাম মধুপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে শিশুটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।

এরপর রাতভর অভিযান চালিয়ে শিশুটি উদ্ধারের পর শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।

শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলা পৌর শহরের পুন্ডুরা শেওড়াতলা এলাকার আজম আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে গোপালপুর উপজেলার বলাটা গ্রামের লিটন মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তার লিজার ২ বছর আগে বিয়ে হয়। এরআগে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রবিউলের অসচ্ছলতায় তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এরমধ্যেই গত ৪ মাস আগে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। 

লাবনীর স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, তামিমের জন্মের পর থেকে সংসারে শান্তি নেমে আসে। অল্প কয়েক দিন আগে লাবনী আমার ছেলে তামিমকে নিয়ে লাবনীর বোনের বাড়ি ভূঞাপুরে যায়। কয়েকদিন পর বাড়ি আসতে বললে লাবনী দুর্ব্যবহার করে। আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তার কয়েকদিন পর আবার ফোন করে বলি তামিমের দাদা অসুস্থ। ছেলেকে নিয়ে আসো। সে তামিমকে দেখতে চাচ্ছে। লাবনী তাতেও ফিরে আসেনি। 

তিনি আরও বলেন, অনেক যোগাযোগের পর গত বৃহস্পতিবার লাবনী সন্তান বিক্রি করে ফেলার খবর দেয়। পরে কৌশলে লাবনীকে ভূঞাপুর থেকে পাকুটিয়ায় ডেকে এনে ধরে বাড়ি নিয়ে আসি। এ সময় সে শিশু তামিমকে বিক্রি করার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে শিশুটি উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফেরত এনে দেয়।

শিশু তামিমের মা লাবনী আক্তার লিজা বলেন, আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি মনির নামের একজনের সহযোগিতায় গত ১০ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের এক লোকের কাছে ৪০ হাজার টাকায় তামিমকে বিক্রি করি। ওই টাকা দিয়ে মোবাইল, পায়ের নূপুর ও নাকের নথ কিনছি। এটা আমার ভুল হয়েছে। নিজ সন্তানকে বিক্রি আমি অনুতপ্ত। 

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল কবীর বলেন, গত বৃহস্পতিবার লাবনী নামের এক মা তার ৪ মাসের সন্তানকে বিক্রি করেছে বলে আমাদের জানায় তার স্বামী। পরে ওসি তদন্ত রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে রবিউল ও তার স্ত্রী লাবনী কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জুয়েল রানা/মাহফুজ 

 

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে গেল ২৭৩ মেট্রিক টন আলু

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে গেল ২৭৩ মেট্রিক টন আলু
ট্রাকে করে নেপালে যাচ্ছে আলু। ছবি: খবরের কাগজ

দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা দিয়ে পাট, জুসসহ বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি আলুও রপ্তানি হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে এ স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে আলু রপ্তানি হয়ে আসছে। আবারো নতুন করে এ বন্দর দিয়ে ২৭৩ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে। 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভারতের ফুলবাড়ি হয়ে কয়েকটি ট্রাকে মোট ২৭৩ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে। এর আগে সপ্তাহে (১০ এপ্রিল) বন্দরটি দিয়ে ১৪৭ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়। এ নিয়ে ৪ হাজার ৪৯৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হলো।

পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভালো মানের আলু সংগ্রহ করে পরীক্ষা নিরিক্ষার করে নেপালে রপ্তানি করা হচ্ছে। থিংকস টু সাপ্লাই, হুসেন এন্টারপ্রাইজ, স্বাধীন এন্টারপ্রাইজ ও ক্যারোস এগ্রো কনসার্ন অব এম আর জে এন গ্রুপসহ বেশ কিছু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আলু নেপালে রপ্তানি করছে। এভাবে আলু নিয়মিত রপ্তানি হতে থাকলে বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন ও দেশের কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের আলুর দাম পাবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। 

এবিষয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাদেশের আলু নেপালে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা নিয়মিত আলু নেপালে রপ্তানি করছি। এতে আমরা কৃষক, ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হচ্ছি সরকারও রাজস্ব পাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে ক্যারোস এগ্রো কনসার্ন অব এম আর জে এন গ্রুপের মালিক কে এম নাজমুল হাসান বলেন, আমরা বিভিন্ন এলাকা থেকে ভালো মানের আলু সংগ্রহ করে নেপালের রপ্তানি করি। আমরা যদি ভাল মানের আলু নেপালে রপ্তানি করতে পারি তাহলে আমরা সবাই লাভবান হব। তাই আলুর কোয়ালিটি নিশ্চিত করা প্রথম ধাপ। এছাড়া আমরা আগে ২০% ইনসেফটি পেতাম সরকারের পক্ষ থেকে, সেটা এখন ১০% এ নেমে এসেছে। এটা যদি সরকার বাড়াতো তাহলে আমরা অনেক লাভবান হতাম। 

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আলুগুলো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ট্রাকযোগে আসলে আমরা আলুগুলো আগে পরীক্ষা নিরীক্ষা করি, পরে বন্দর হয়ে ভারত হয়ে নেপালে যাচ্ছে আলু। এভাবে যদি প্রতি বছরে আলু রপ্তানি হয় তাহলে কৃষল, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই লাভবান হবে। 

বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন পণ্য আমদানি ও রপ্তানি হয়। নতুন পণ্য হিসেবে আলু রপ্তানি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছে তেমনি সরকারও রাজস্ব পাচ্ছে।

মো. রনি মিয়াজী/মাহফুজ 

ভালুকায় মাইক্রোবাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
ভালুকায় মাইক্রোবাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
দুর্ঘটনার শিকার মাইক্রোবাস ও সিএনজি। ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের ভালুকায় মাইক্রোবাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও তিনজন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তারা। এর আগে এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গোয়ারী বালিকা মাদ্রাসা সামনের ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- একই উপজেলার পূর্ব ভালুকা মণ্ডলপাড়া এলাকার মো. আজগর আলীর ছেলে মো. লাল মিয়া (৩২) ও ভালুকা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যত আলীর স্ত্রী রোকেয়া আক্তার (৪৮)। নিহত লাল মিয়া পূর্ব ভালুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ছিলেন।

আহতরা হলেন- নিহত লাল মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা বেগম, লাল মিয়ার মামি জ্যোৎস্না আরা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক রোমান মিয়া।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুল হুদা খান বলেন, লাল মিয়া তার এক অসুস্থ খালাকে দেখতে অটোরিকশায় করে পাশের উপজেলার শ্রীপুরে যাচ্ছিলেন। সকাল ৯টার দিকে গোয়ারী বালিকা মাদ্রাসা সামনের ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে ভালুকাগামী একটি হায়েস মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ডান পাশে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা চালকসহ যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে চিকিৎসক লাল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত রোকেয়া আক্তার, তাসলিমা বেগম, লাল মিয়ার মামি জ্যোৎস্না আরা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক রোমান মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে দুপুরে রোকেয়া আক্তারের মৃত্যু হয়।

ওসি বলেন, মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

কামরুজ্জামান মিন্টু/মাহফুজ