ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

জৈন্তাপুরে বিজিবির ওপর হামলা করে গরু ছিনতাই, ২ বিজিবি সদস্য আহত

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
জৈন্তাপুরে বিজিবির ওপর হামলা করে গরু ছিনতাই, ২ বিজিবি সদস্য আহত
জৈন্তাপুর সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলা সীমান্তে বিজিবি টহল দলের ওপর হামলা করে জব্দ করা চোরাই গরু ছিনিয়ে নিয়েছে চোরাকারবারীরা। এতে দুজন বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধীনস্থ জৈন্তাপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ১২৮৭-৮৮ মেইন পিলারের মধ্যবর্তী নিজপাট ইউনিয়নের টিপরাখলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

আহত বিজিবি সদস্যরা হলেন- মো. হারুনুর রশিদ (৩৫) ও মো. জমশেদ হোসেন (২৯)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জৈন্তাপুর উপজেলার (১২৮৬/ ২২৮৭/ ১২৮৯/ ১২৯০, ১২৯১/ ১২৯২/ ১২৯৪) ঘিলাতৈল, ফুলবাড়ী, তলাল, টিপরাখলা, করিমটিলা, কমলাবাড়ী, গোয়াবাড়ী ও বাইরাখেল সীমান্তে দিয়ে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন লাইন ম্যানেজের মাধ্যমে বা সিজার চুক্তির মাধ্যমে চোরাকারবারী দলের সক্রীয় সদস্যরা জৈন্তাপুর বাজারে ভারতীয় গরু-মহিষ ঢুকান।  শনিবার (১৫ মার্চ) আনুমানিক রাত ১০টায় টিপরাখলা সীমান্তে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু ঢুকানোর খবর পেয়ে বিজিবি টহল দল অবস্থান করে অবৈধভাবে আসা ভারতীয় ৬টি গরু আটক করতে সক্ষম হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক চোরাকারবারিরা বিজিবি টহল দলের সদস্যদের কাছ থেকে ভারতীয় গরুগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে চোরাকারবারিরা বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতি ও ইট-পাথর নিক্ষেপ করে ১টি গরু রেখে বাকিগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিজিবির দুজন সদস্যকে গুরুতর আহত অবস্থায় জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর বিওপির দায়িত্বরত ক্যাম্প কমান্ডারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চোরাকারবারিদের হামলায় টহল দলের দুজন বিজিবি সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসেছেন।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, হামলার বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে এখনও কোনো মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেহেদী/

বেহাল রাস্তা মেরামতে অনীহা শাবিপ্রবি ও সিসিকের

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
বেহাল রাস্তা মেরামতে অনীহা শাবিপ্রবি ও সিসিকের
শাবিপ্রবির গোল চত্বর থেকে ছাত্রহলে যাওয়ার রাস্তাটির বেহাল দশা। ছবি: খবরের কাগজ

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অভ্যন্তরীণ রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে ছাত্রহল এবং ছাত্রীহলে যাওয়ার জন্য মাত্র একটি করে রাস্তা রয়েছে। 

গোল চত্বর থেকে শাহপরাণ হল পর্যন্ত রাস্তায় পাকা সড়কের অস্তিত্ব বোঝা গেলেও সৈয়দ মুজতবা আলী হলে যাওয়ার রাস্তায় পাকা সড়ক ভেঙে মাটিতেও তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। আসছে বর্ষায় এসব গর্তে পানি জমে মরণ ফাঁদে পরিণত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে নতুন ছাত্রহল, ছাত্রীহল, শিক্ষা ভবন, প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও নতুন এসব ভবনে যাওয়ার মতো নেই চলাচল উপযোগী রাস্তা। প্রশাসন থেকেও মেরামতের জন্য নেওয়া হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এটা সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) দায়িত্ব। অন্যদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) জানায়, এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। দুই প্রতিষ্ঠানের অনীহার কারণে দিন দিন আরও দুরবস্থার দিকে যাচ্ছে সড়কগুলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে ছাত্রহলে যাওয়ার রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে একটু অসাবধানতায় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। চলতে গিয়ে এসব গর্তে হোঁচট খাওয়া রোজকার ঘটনা। কয়েক দিন পরেই আসছে বর্ষা। বৃষ্টির পানিতে তখন ভোগান্তির পরিমাণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুনায়েদ আহমদ বলেন, ‘গোল চত্বর থেকে ছেলেদের হলের রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে নিজে চলাচল না করলে বোঝা যাবে না। বিশেষ করে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের রাস্তার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। রাস্তায় গর্ত একেকটা ছোট খালের মতো হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। আমরা আশা করি, সেসব কাজের পাশাপাশি খুব দ্রুততার সঙ্গে রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিশামনি সিনহা বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার সময় ঝাঁকুনিতে অসুস্থ হয়ে যাই। অন্যদিকে তৃতীয় হল নির্মাণের দুই বছর হতে চললেও এখনো পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। এর ফলে অটোরিকশার চালকরা সেদিকে যেতে চান না। তাই প্রশাসনের উচিত, যাতায়াতের এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া।’

মেরামতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের রাস্তা মেরামতের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। আমাদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে লিখিতভাবে কয়েকবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে পদক্ষেপ নিলে আশা করি দ্রুত মেরামত হবে।’ 

এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের নয়। আইনগতভাবে এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ। তবুও আমরা এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর পর্যন্ত রাস্তা ঠিক করে দিয়েছি। এখন পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় করতে পারছি না। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা আছে সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি রাস্তাগুলোও মেরামত করে দেওয়ার।’ 

বিয়ের রঙ মুছে গেল হালদার স্রোতে

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৯ এএম
বিয়ের রঙ মুছে গেল হালদার স্রোতে
নুরুদ্দীন মঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত

নতুন জীবনের শুরুতে যেন এক নির্মম পরিসমাপ্তি। সদ্য বিবাহিত দুবাই প্রবাসী নুরুদ্দীন মঞ্জু হঠাৎই বিদায় নিলেন এই পৃথিবী থেকে। সুখের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিল মাত্র কয়েকদিন আগে, কিন্তু হালদার স্রোতে তা ডুবে গেল চিরতরে।

গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) ছিল মঞ্জুর ওয়ালিমা, আনন্দ-উৎসব আর অতিথি আপ্যায়নে মুখর ছিল বাড়ি। কিন্তু মাত্র দুই দিন পর, (বুধবার ১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ক্রিকেট খেলা দেখে ফেরার পথে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বন্ধু তাজ উদ্দিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে ফিরছিলেন মঞ্জু। পথে সিদ্ধাশ্রম ঘাটে বাঁশের সাঁকো পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজনেই পড়ে যান হালদা নদীতে।

তাজ উদ্দিন কোনোরকমে সাঁতরে উঠলেও মঞ্জু স্রোতে তলিয়ে যান। স্থানীয়দের চেষ্টায় দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা পর, রাত তিনটার দিকে নদী থেকে উদ্ধার করা হয় তার নিথর দেহ।

নিহত মঞ্জু চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সুয়াবিল পাঁচপুকুরিয়া চন্দ্রঘোনা এলাকার আব্দুল ইসলামের ছেলে। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও ভদ্রচরিত্রের অধিকারী হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত ছিলেন তিনি। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

তাওফিক/

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন, পুলিশের হেফাজতে ৪ জন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০১ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৯ এএম
চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন, পুলিশের হেফাজতে ৪ জন
ছবি: খবরের কাগজ

পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ নির্মাণের জেরে হুমকির শিকার চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

 বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ।

আটকরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইনউদ্দিন আহাম্মদ পিয়াস, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আল আমিন ওরফে তমাল, গড়পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন ও কর্মী মীর মারুফ।

 এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হাসান খানকে প্রধান করে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তাদের আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

 এর আগে দুর্বৃত্তরা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ঘোষের বাজারে মানবেন্দ্র ঘোষের গ্রামের বাড়ির একটি ঘরে আগুন দেয়।

পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানা গেছে, রাত তিনটার দিকে বাড়ির দক্ষিণ পাশে থাকা টিনশেড ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিস এসে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ঘরের সবকিছু পুড়ে যায়।

 মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, 'পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমি বাঘের একটি মোটিফ নির্মাণ করেছিলাম। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয় যে, আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখাবয়ব তৈরি করেছি। এর পর থেকেই আমি ফেসবুকে হুমকি পেতে থাকি। পরে মঙ্গলবার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। আর সেই রাতেই আমার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।'

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার পর পরই পুলিশ ফোর্সসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

আসাদ/মেহেদী/

দুদকের অভিযান: রেজিস্ট্রার অফিসে মিলেছে অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৬ এএম
দুদকের অভিযান: রেজিস্ট্রার অফিসে মিলেছে অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা
চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দলিল রেজিস্ট্রেশন, নকল তোলাসহ অন্যান্য কাজে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি এবং ঘুষ দাবিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয় খতিয়ে দেখেছে দুদক টিম। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে দুদক জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর কর্মকর্তারা এই অভিযান চালান।

অভিযানের বিষয়ে দুদক জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে মিশন চাকমা নামে একজন জেলা রেজিস্ট্রার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী, প্রধান সহকারী মিলে অবৈধ টাকা-পয়সা লেনদেন করা এবং চাকরির পদোন্নতি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সন্দ্বীপে কিছু নকলনবিশের নিয়োগ নিয়ে একটা অনিয়ম হয়েছে। আমরা তাদের কাছে কাগজপত্র চেয়েছি। আবার কিছু রেকর্ডপত্র পেয়েছি। সবমিলিয়ে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এখানকার (চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার অফিস) কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ওই কর্মচারীদের ব্যক্তিগত নথি তলব করেছি। তাদের নামে কোনো অবৈধ সম্পদ আছে কি না, তা দুদক খতিয়ে দেখবে।’

চলন্ত বাসে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, চালক-হেলপার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩২ এএম
চলন্ত বাসে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে এক কিশোরীকে (১৪) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলায় ওই বাসের চালক মো. লোকমান ও সহকারী মো. হানিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও পুলিশ।

ভুক্তভোগী কিশোরী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মো. লোকমান ওরফে তারেক (২৬)  সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর পুরান ঘর এলাকার আইয়ুবের বাড়ির মো. শামসুল ইসলামের ছেলে।অপরদিকে বাসের হেলপার মো. হানিফ (৩৬) লোহাগাড়া উপজেলার মাতবর পাড়ার মাতবর বাড়ির হাফিজ আহম্মদের ছেলে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কক্সবাজার থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে আসছিল ওই কিশোরী। বাসটি নগরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আসার পর ওই কিশোরীকে বাসের ভেতর আটকে রাখা হয়। পরে সেখানে চালক, তার সহকারী ও বাসের সুপারভাইজার মোবারক হোসেন তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই কিশোরী বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়। চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হলেও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।  গ্রেপ্তার দুই আসামি ঘটনার সঙ্গে বাসের সুপারভাইজার জড়িত বলে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে।

মেহেদী/