ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেল। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারে থেকেও সিলেটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় আসামি করা হয়েছে ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেলকে। গত রবিবার মহানগর কৃষক দলের ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক আলী আরশাদ খাঁন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল বন্ধুদের নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলেন ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেল। ওই দিন রাতে সিলেট নগরীর উপশহর এলাকায় মোটরসাইকেল পার্কিং করা কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির জেরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা দিপুর হামলায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজিজুল হক আজিজসহ তিনজন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত হন আজিজ।
এ ঘটনায় দিপুর বাসায় হামলা করতে গিয়ে এলাকাবাসীর ধাওয়ার শিকার হন স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তাদের ফেলে যাওয়া ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন এলাকাবাসী। পরে এ ঘটনায় গত ১৩ এপ্রিল সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়। মামলার বাদী মহানগর কৃষক দলের ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক আলী আরশাদ খাঁন। মামলায় তিনি ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করেন। এ মামলার ৭ নম্বর আসামি করা হয় রেজা রুবেলকে।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, ১ থেকে ৯ নম্বর আসামি অন্যদের ককটেল সরবরাহ করেন। পরে তারা সবাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। মামলায় রেজা রুবেলকে যুবলীগ নেতা দেখানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে রেজা রুবেল বলেন, ‘ঘটনার চার দিন আগে থেকে আমি কক্সবাজার অবস্থান করছিলাম। সিলেটের বাইরে থাকা সত্ত্বেও মামলায় আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমি ব্যক্তি বিশেষের আক্রোশের শিকার। মামলায় নাম ঢুকিয়ে হয়রানির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাই।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, ‘১১ এপ্রিল রাতের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা রয়েছে। তবে বাদী কাকে আসামি দিচ্ছেন, তাৎক্ষণিক সেটা যাচাইয়ের সুযোগ থাকে না। তবে নিরপরাধ কাউকে আসামি করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে আজিজুল হক আজিজ বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে সাংবাদিক রেজা রুবেলকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেল সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য এবং বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের বিভাগীয় কমিটির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক। তিনি স্থানীয় দৈনিক শ্যামল সিলেট ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন এশিয়ান টেলিভিশনের সিলেটের ক্যামেরাপারসন হিসেবে কাজ করছেন।