ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

হামলার শিকার সাংবাদিক সজীব

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:২১ পিএম
হামলার শিকার সাংবাদিক সজীব
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে হামলার প্রতিবাদ জানান স্থানীয়রা। ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লার কালীরবাজার ইউনিয়নের ধনুয়াখলা গ্রামে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন সিএনএন বাংলা টিভির নিজস্ব প্রতিনিধি আবুল হাসনাত সজীব ও তার সহকর্মী মো. মাজারুল ইসলাম।

সম্প্রতি ৮-১০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন সজীব। পরে স্থানীয়রা আহতদের কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

 

সাংবাদিক সজীবের অভিযোগ,  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিহতকারী ছাত্রলীগ নেতা আশিক, আমেরিকা প্রবাসী সজীব ও মনু মিয়ার ছেলে জনি এই হামলার নেতৃত্ব দেন। 

তিনি আরও জানান, কুমিল্লা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রেজাউল কাইয়ুম আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছেন, যা তিনি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলেন।

এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত হয়নি। এক মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে এই হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। 

চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখা শ্রমিকদের এখনো নেই ভূমির অধিকার

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখা শ্রমিকদের এখনো নেই ভূমির অধিকার
একডো আয়োজিত সিলেটের সাংবাদিকদের সঙ্গে এডভোকেসি সভায় চা শ্রমিক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। ছবি: খবরের কাগজ

‘সারা দেশে রয়েছে ১৬৮টি চা বাগান, এর মধ্যে ১৩৪টি চা বাগান আছে সিলেট বিভাগের মধ্যে। প্রায় পৌনে দুইশ বছর ধরে নামমাত্র মজুরি নিয়ে চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখলেও এখন পর্যন্ত ভূমির অধিকার নেই চা শ্রমিকদের। চা বাগান গড়ার শুরু থেকেই চাষ উপযোগী জমি তৈরি করেছেন এই চা শ্রমিকরা। তারপরও নিজেদের তৈরি করা ভূমিতেই ভূমিহীন হয়ে আছেন চা শ্রমিকরা। র্দীঘবছর যাবত শোষিত এই চা জনগোষ্ঠী এখনো লড়ছেন দারিদ্র্যতার সঙ্গে। তাই ভূমি অধিকারের মতো রাষ্ট্রীয় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার দাবি তারা বিভিন্ন সময় তুললেও এই দাবি আদায়ে কখনো জোরালো ভূমিকা গ্রহণ করেতে পারেননি চা শ্রমিকরা।’ 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো) আয়োজিত সিলেটের সাংবাদিকদের সঙ্গে এডভোকেসি সভায় এসব কথা বলেন চা শ্রমিক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। 

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশের যৌথ সহযোগিতায় ‘লিডারশিপ ডেভলপমেন্ট অব টি লেবার ওমেন ওয়ার্কার অন দেয়ার রাইটস’ শিরোনামে নারী চা-শ্রমিকদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশ এবং তাদেরকে অধিকার সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে একডো। এই প্রকল্পের মাধ্যমেই বর্তমানে চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছে একডো। 

একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (কো-অর্ডিনেটর) ডা. আবু সালমান মো. সাইফুল ইসলাম। 

এই এডভোকেসি সভায় সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) ও সিলেট উইমেনস জার্নালিস্ট ক্লাবের নেতারা ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। 

সভায় বক্তারা বলেন, চা শ্রমিকদের ভূমির মালিকানা দিতে গেলে রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ সরকারি খাস জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চা বাগান গড়ে তুলেন। তাই লিজ নেওয়া জমির মালিকানা কাউকে হস্তান্তর করার নিয়ম নেই। চা জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকারের জন্য রাষ্ট্রকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। কিন্তু দেশে বিভিন্ন সময় সরকার বদল হলেও চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার নিয়ে কখনোই কোনো সরকার উদ্যোগ নেয়নি। তাই এখনও সর্বক্ষেত্রে চা শ্রমিক জনগোষ্ঠী বৈষম্যের শিকার। 

মূলত কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা নিবন্ধিত কোম্পানি চা বাগান করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে খাস জমি ইজারা নেন। জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে ইজারা গ্রহীতা ইজারার চুক্তি নামা ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ সুবিধাও গ্রহণ করতে পারেন। তবে ইজারাদাররা বাগানের ভূমি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সাবলিজ বিক্রয়, দান বা বাটোয়ায়ারা করার এক্তিয়ার রাখেন না। এমন কিছু করলে ইজারা বাতিল হওয়ার নিয়ম আছে। এছাড়াও চা শ্রমিকদের বসবাসের জন্য ঘর করে দেওয়ারও নিয়ম আছে। বর্তমানে এই নিয়মেই বাগান কর্তৃপক্ষ চলছেন। চা বাগানের ভিতর তৈরা করা ঘরগুলোতেই চা শ্রমিকরা থাকছেন। তবে এসব ঘরের মালিকানা তাদের নেই। যুগযুগ ধরে প্রতিটি চা শ্রমিক পরিবার থেকে কেউ না কেউ বাগানে কাজ করার সুবাদেই এসব ঘরে বসবাস করছেন চা শ্রমিকরা। 

সভায় উপস্থিত চা শ্রমিক সুমি নায়েক বলেন, যুগ যুগ ধরে আমাদের পূর্বসুরীরা এই চা বাগান গড়ে তুলেছেন। এই পরম্পরায় আমরাও কাজ করছি চা বাগানে। তারপরও আমরা ভূমিহীন। প্রতি ঘরের একজন করে বাগানে কাজ করে তাই আমরা ঘরে থাকতে পারি। আমাদের কি ভূমির মালিক হওয়ার কোনো অধিকার নাই? 

শাকিলা ববি/মাহফুজ

 

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগ পার

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগ পার
নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী। ছবি: সংগৃহীত

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট ২ আসনের সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগ পার হলো আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল)। ১৩ বছর পূর্বে ১৭ এপ্রিল রাতে ঢাকা থেকে নিজের গাড়িচালকসহ নিখোঁজ হন তিনি। এই ১৩ বছরেও সাবেক এই সংসদ সদস্যের নিখোঁজ হওয়ার রহস্য উদঘাটন হয়নি। তিনি ফিরে আসবেন বলে এখনও আশায় আছেন তার পরিবারের সদস্য ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তিনি নিখোঁজের পর থেকে বিএনপি অভিযোগ করছে তৎকালীন আওয়ামী সরকার তাকে ‘গুম’ করে রেখেছে। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরও কোনো খোঁজ মেলেনি ইলিয়াস আলীর।

ইলিয়াস আলীর পরিবার ও জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ইলিয়াসের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। তৎকালীন বিশ্বনাথ বালাগঞ্জ (বর্তমান বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর নিয়ে গঠিত সিলেট-২) আসনের এমপি ছিলেন তিনি। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে গাড়িতে করে নিজের বনানীর বাসা থেকে বের হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন গাড়িচালক আনসার আলী। রাত ১২টার পর মহাখালী থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ইলিয়াস আলীর প্রাইভেটকার উদ্ধার করে পুলিশ। তখন গাড়িতে ছিলেন না ইলিয়াস ও তার গাড়িচালক। বনানী থানার তৎকালীন এসআই সাইদুর রহমান সে সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মধ্যরাতে ইলিয়াস আলীর প্রাইভেট কারটি মহাখালী সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়ির ভেতরে পাওয়া চালক আনসারের মোবাইল ফোন সূত্রে জানা যায়, গাড়িটি ইলিয়াস আলীর।

বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই সিলেট বিএনপি নেতারা নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি করে আসছেন। ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রতিবছরই প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন সিলেট জেলা বিএনপির নেতারা। বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও প্রতিবাদ কর্মসূচি করবে সিলেট জেলা বিএনপি। ইলিয়াস আলী ও তার গাড়ি চালককে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সিলেট জেলা বিএনপি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মাহবুব আলম এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট মানববন্ধন ও বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান।

এই দুই কর্মসূচিতে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকলস্তরের নেতা-কর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

চবির ৫ শিক্ষার্থীসহ খাগড়াছড়িতে ৬ জনকে অপহরণ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
চবির ৫ শিক্ষার্থীসহ খাগড়াছড়িতে ৬ জনকে অপহরণ
অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী। ছবি: খবরের কাগজ

অস্ত্রের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণের অভিযোগ ওঠেছে প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইডেট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) বিরুদ্ধে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা ও মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা এবং শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো। তারা সকলেই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তবে অপহৃত অটোরিকশা চালকের পরিচয় জানা যায়নি।

এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অপহৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। 

ফেসবুকে পাওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ওই পাঁচ শিক্ষার্থী বিঝু উৎসব উপলক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে বেড়াতে যায়। বিঝু শেষে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার উদ্দেশে বাঘাইছড়ি থেকে দিঘীনালা হয়ে খাগড়াছড়ি সদরে আসে। ওইদিন চট্টগ্রামগামী বাসের টিকিট না পাওয়ার কারণে তারা পাঁচজন খাগড়াছড়ি শহরের অদূরে কুকিছড়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন। বুধবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে কুকিছড়া থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে খাগড়াছড়ি সদরে আসার পথে গিরিফুল এলাকায় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অটোরিকশার চালকসহ ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। 

বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ৬ আগস্ট রাঙ্গামাটি সদর থেকে ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তিনদিন পর মুক্তি দিয়েছিল।

তবে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইউপিডিএফ। প্রসিত খীসার ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে ইউপিডিএফের কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা নেই।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল বাতেন মৃধা জানান, ‘ঘটনাটি আমরাও শুনেছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি সত্য বলে ধারণা করছি আমরা। এ বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। যদিও এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ তৎপর।’

দিদারুল আলম রাজু/মাহফুজ

 

চট্টগ্রাম থেকে উড়বে হজের ১৭ ফ্লাইট, শুরু ৩ মে

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
চট্টগ্রাম থেকে উড়বে হজের ১৭ ফ্লাইট, শুরু ৩ মে
কাবা ঘর ঘিরে তাওয়াফ করছেন হাজিরা। ছবি: সংগৃহীত

চলতি মৌসুমে হজযাত্রীদের নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে চট্টগ্রাম থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট রওনা দেবে আগামী ৩ মে। হাজীদের সহযোগিতা ও সেবা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি খবরের কাগজকে বলেন, হজযাত্রাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিবছর হজ ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের একটা টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হবে। এবারও হজযাত্রা চালু হবার একসপ্তাহ আগে টাস্কফোর্স গঠিত হবে। পরে সেখান থেকে কয়েকটা উপকমিটি গঠন করা হয়, বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য। বিমান বাংলাদেশ আমাদের একটা শিডিউল দিয়ে দেয়। আমরা সে মোতাবেক তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব। 

জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে এবার মোট ১৭টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এরমধ্যে ১৪টি ফ্লাইট যাবে জেদ্দায় ও বাকি তিনটি যাবে মদিনায়। চট্টগ্রাম থেকে এ বছর প্রায় ৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবারও এককভাবে দায়িত্ব পালন করছে। আগামী ৩ মে বিকাল ৫টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ মদিনার উদ্দেশে চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে। বিমানটিতে ৪১৯ জন হজযাত্রী চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।   

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) চট্টগ্রাম জোনের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার হজযাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম মনে হচ্ছে। কারণ গতবছর নারী-পুরুষ মিলে চট্টগ্রাম থেকে ৮ হাজার নারী-পুরুষ হজে গিয়েছিলেন। এবার প্রায় ৭ হাজার ১০০ যাত্রী হজে অংশ নিতে সৌদি আরব যাচ্ছেন। আমরাও যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি কোন ধরনের সমস্যা হবে না। 

উল্লেখ্য গতবছর (২০২৪ সালে) হজযাত্রী পরিবহনে চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরবে সরাসরি ২২টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। এরমধ্যে ২০টি যায় জেদ্দায়, দুটি যায় মদিনায়। ওই বছর হজ পালনের জন্য যায় ৮ হাজার হজ যাত্রী। অপরদিকে ২০২৩ সালে হজযাত্রীদের জন্য চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরবে সরাসরি ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে বাংলাদেশ বিমান। সেসময় চট্টগ্রাম থেকে ১০ হাজার হজ যাত্রী চট্টগ্রাম থেকে হজ পালন করতে যান। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ হাজার।

তারেক মাহমুদ/মাহফুজ

নবীনগরে বিধবাকে গণধর্ষণ, ছড়ানো হয় অশালীন ভিডিও

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
নবীনগরে বিধবাকে গণধর্ষণ, ছড়ানো হয় অশালীন ভিডিও
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক বিধবা নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে স্তব্ধতা, আর শিউরে উঠেছে মানবিকতা। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর সাহস করে মামলা করতেই উল্টো তাকে খুনের হুমকি, সামাজিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা ও বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল রাতে নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা নয়া পাড়ায় একা থাকার সুযোগে ওই বিধবা নারীর ঘরে হানা দেয় স্থানীয় তিন দুর্বৃত্ত-মুসা মিয়া, কামাল মিয়া ও হৃদয় মিয়া। তারা মিলে নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। নারীর চিৎকারে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষ, তবে এর আগেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

পরবর্তী সময়ে আহত অবস্থায় ওই নারীকে ভর্তি করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে। তারপর ১০ এপ্রিল সকল ভয়-লজ্জা জয় করে ভুক্তভোগী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত নবীনগর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়, মামলা করার পর শুরু হয় হুমকি-ধমকি আর ভয়ভীতি। ভুক্তভোগী নারীর কণ্ঠে কাঁপা স্বর, ‘আমাকে এবং আমার ছেলেকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমরা এখন জীবন বাঁচাতে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি’।

আশ্চর্যজনকভাবে, মামলার পরদিনই অভিযুক্ত মুসা মিয়ার পরিবার ‘মানববন্ধন’ নামক এক নাটক মঞ্চস্থ করে-যেখানে ভুক্তভোগী নারীর বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় বক্তব্য দেওয়া হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় একটি বিভ্রান্তিকর ভিডিও, যাতে দেখা যায় এক নগ্ন পুরুষ ভুক্তভোগীর ঘরে অবস্থান করছেন এবং এক নারী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সেই দৃশ্য ধারণ করছেন।

তবে ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, ধর্ষণের শিকার নারী আতঙ্কিত অবস্থায় সবার কাছে আকুতি জানাচ্ছেন-‘আমাকে বাঁচান।’

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

খান জাহান আলী চৌধুরী/মাহফুজ