ঢাকা ১২ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

ভালুকায় মসজিদে ইফতারে প্রতিদিনই বিরিয়ানি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
ভালুকায় মসজিদে ইফতারে প্রতিদিনই বিরিয়ানি
মোহাম্মদ আলী মণ্ডল বাইতুন নূর জামে মসজিদে ইফতার করার জন্য সারি বেঁধে বসেছেন রোজাদাররা। ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের আমতলী এলাকার মোহাম্মদ আলী মণ্ডল বাইতুন নূর জামে মসজিদ। প্রতিদিন ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে আসতে থাকেন বিভিন্ন বয়সী শত শত রোজাদার। আসে শিশুরাও। সবাই বসেন পাশাপাশি। সৃষ্টি হয় সম্প্রীতির এক পরিবেশ। মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে সবাই একসঙ্গে খাওয়া শুরু করেন। তবে ইফতারে ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি দেওয়া হয় না। এগুলোর পরিবর্তে দেওয়া হয় বিরিয়ানি। কোনোদিন গরুর, কোনোদিন খাসির ও কোনোদিন মুরগির বিরিয়ানি দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে সালাদ। আর শুরুতে শরবত তো থাকেই।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করতেই এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। এলাকার লোকজন নিজ উদ্যোগে সামর্থ্য অনুযায়ী মসজিদে টাকা দেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা ইফতার আয়োজনের জন্য টাকা পাঠান। সবার এমন সাহায্য-সহযোগিতায় ইফতারের সময়টুকু মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে।

আমতলী এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘ইফতারে সাধারণত ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু , বেগুনি, চপ ইত্যাদি দেওয়া হয়। তবে অনেকে এগুলো খেতে চান না। তাই ইফতারে এগুলোর পরিবর্তে রোজাদারদের বিনামূল্যে বিরিয়ানি দেওয়া হচ্ছে।’

জাহিদুর রহমান নামে আরেকজন বলেন, ‘ইফতারের আগ মুহূর্তে প্রতিদিন দুই শতাধিক মানুষ মসজিদে আসেন। সবাই এক কাতারে বসে খাওয়া-দাওয়া করেন। মসজিদে জায়গা না পেলে সামনের মাঠে বসে ইফতার করেন। অনেকে সঙ্গে শিশু নিয়ে আসেন।’

মসজিদে প্রতিদিন ইফতার করেন রিকশাচালক আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘রিকশা চালিয়ে ঠিকমতো পরিবারের ভরণপোষণ করতে পারি না। ইচ্ছে থাকলেও মাসে একবার বিরিয়ানি খাওয়া হয় না। এই মসজিদে বিনামূল্যে প্রতিদিন বিরিয়ানি দেওয়া হয়। তাই সারা দিন রোজা রেখে মসজিদে চলে আসি।’

মসজিদের ইমাম মুফতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখানে ধনী-গরিবের কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই একসঙ্গে ইফতার করেন। এমন দৃশ্য দেখতেও ভালো লাগে। প্রতিবছর রমজানে এভাবেই ইফতার আয়োজন করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলী মণ্ডল বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অপরিচিত বহু মানুষ মসজিদে ইফতার করতে বসেন। এ ছাড়া ইফতারের সময় হলে মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়া লোকজনকে ডেকে এনে খাওয়ানো হয়। কেউ কাউকে চেনেন না। অথচ পাশাপাশি বসে ইফতার করছেন। সবার পরিচয় একটাই, তারা সবাই রোজাদার মুসল্লি। প্রতিবছর এরকম ইফতার আয়োজন করা হবে।’

পালিয়ে দেশে ফিরলেন আরাকান আর্মির হাতে আটক ২ জেলে

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১০ এএম
পালিয়ে দেশে ফিরলেন আরাকান আর্মির হাতে আটক ২ জেলে
ছবি: খবরের কাগজ

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের নাফনদী থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্টী আরাকান আর্মির হাতে আটক দুই বাংলাদেশি জেলে একদিন পর পালিয়ে এসেছেন। জেলেদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

অপহরণের একদিন পর বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে ও রাতে আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তারা। 

টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার নাফনদীতে মাছ শিকারের সময় বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ওই দুই জেলেকে আটক করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।  

জেলেরা হলেন টেকনাফের হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোস্ট সংলগ্ন বালুখালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাকিমের ছেলে বাদশা আলম (৪৫) ও একই এলাকার রশিদ আহমেদ ছেলে আবুল কালাম (৪০)। 

হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা আটক জেলের বাদশা আলমের জেঠাতো ভাই মোহাম্মদ মানিক জানান, আরাকান আর্মি আটক দুই বাংলাদেশি জেলেকে নির্মম ভাবে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে। দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উখিয়া একটি এনজিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। চিকিৎসা পরবর্তীতে বাড়িতে চলে আসেন। 

উখিয়া ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, হোয়াইক্যং সীমান্ত চৌকির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার-১৮ থেকে দক্ষিণ পূর্বে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার নাফ নদীতে বগার দ্বীপ নামক এলাকার নাফনদীতে মাছ শিকারে গিয়ে মিয়ানমার পানিসীমা অতিক্রম করলে দুইজন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে আরাকান আর্মি। পরবর্তীতে দুই জনে একদিন ফেরত এসেছে এমন সংবাদে পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, হোয়াইক্যং নাফনদী সীমান্ত দিয়ে জেলেদের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি অমান্য করে নাফনদীতে মাছ শিকারে যায় জেলেরা।

শাহীন/সিফাত/

অপহরণের ৯ দিন পর মুক্তি মিলল চবির পাঁচ শিক্ষার্থীর

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
অপহরণের ৯ দিন পর মুক্তি মিলল চবির পাঁচ শিক্ষার্থীর
অবশেষে মুক্তি মিলেছে খাগড়াছড়ি থেকে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পাঁচ শিক্ষার্থীর। ছবি: সংগৃহীত

অপহরণের নয় দিন পর অবশেষে মুক্তি মিলেছে খাগড়াছড়ি থেকে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পাঁচ শিক্ষার্থীর।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সহযোগী ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপণ ত্রিপুরা।

এর আগে মঙ্গলবার রাত থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে খবর চাউর হলেও তা নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, অপহৃতদের পরিবার কিংবা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অপহৃতদের মুক্তির দাবি করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৬ এপ্রিল সকাল আনুমানিক সাড়ে ছয়টায় খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে পিসিপি সদস্য রিশন চাকমাসহ তার চার সহপাঠীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে আপামর সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রগতিশীল ব্যক্তি, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তোলে। অবশেষে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়ে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় তাদের মুক্তি দেয়।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘অপহৃতদের মুক্তির বিষয়টি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিবৃতির মাধ্যমে জেনেছি। তবে যেহেতু পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সেহেতু মুক্তির খবরটি সত্য হতে পারে।’

তবে কোথায়, কবে, কীভাবে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

এদিকে অপহরণের পর থেকেই এ ঘটনার জন্য প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করে আসছিল পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। যদিও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইউপিডিএফ।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে অপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও অপহৃতদের কারো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অপহৃতদের পরিবারের সদস্য ও অভিভাবকদের সব মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে। তারা কোথায়, কীভাবে আছেন সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই কারো কাছে।

অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কাউকে সুনির্দিষ্ট করে দায়ী করা না হলেও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপণ ত্রিপুরা অভিযোগ করে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাদের অপহরণ করা হয়েছিল। অপহৃতদের মধ্যে রিশান চাকমা আমাদের পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য। মূলত তাকে টার্গেট করে একসঙ্গে থাকায় অন্যদেরও অপহরণ করে। এবং এটি স্পষ্ট যে, প্রসিত খীসার ইউপিডিএফই এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত।’

মুক্তি পাওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন, রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বটতলা এলাকার মৈত্রীময় চাকমা, বরকল উপজেলার চাইল্যাতুলি এলাকার দিব্যি চাকমা, জুরাছড়ি উপজেলার জামেরছড়ি এলাকার রিশন চাকমা, বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সতীশপাড়া এলাকার অলড্রিন ত্রিপুরা এবং আলীকদম উপজেলার রেংপু পাড়া পোয়ামুহুরী এলাকার লংঙি ম্রো। এরা সকলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এবারের বৈসাবির ছুটিতে অন্য চার বন্ধু মিলে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বটতলা এলাকার মৈত্রীময় চাকমার বাড়িতে বেড়াতে যান। বৈসাবি উৎসব শেষে গত ১৫ এপ্রিল তারা বাঘাইছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি আসেন এবং ওই রাতে খাগড়াছড়ি সদরের কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপন করেন। পরদিন ১৬ এপ্রিল ভোরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে অটোরিকশা চালকসহ তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায় পাহাড়ি কয়েকজন অস্ত্রধারী।

দিদারুল আলম রাজু/এমএ/

শিবচরে জঙ্গলের পাশ থেকে যুবকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
শিবচরে জঙ্গলের পাশ থেকে যুবকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার
নিহত কামরুল হাসান

মাদারীপুরের শিবচরে জঙ্গলের পাশ থেকে কামরুল হাসান (২৩) নামে এক যুবকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের প্রেম ব্রিজ নামক এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত কামরুল হাসান পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বিকে নগর ইউনিয়নের সরদারকান্দি গ্রামের দাদন চোকদারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিবচর থানা পুলিশের একটি দল মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠায়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ চলছে।

রফিকুল/মেহেদী/

রাঙামাটিতে টিসিবি পণ্য পাচারকালে সেনাবাহিনীর হাতে জব্দ

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম
রাঙামাটিতে টিসিবি পণ্য পাচারকালে সেনাবাহিনীর হাতে জব্দ
কাপ্তাই থানা। ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য অবৈধভাবে পাচার হওয়ার সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করেছে সেনাবাহিনী।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কাপ্তাই জেটিঘাট এলাকায় কাপ্তাই সেনা জোনের (অটল ছাপান্ন) সেনারা এসব মালমাল জব্দ করেন।

সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ ফারুকের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সেনাবহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যান।

জব্দ এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ২০৮ লিটার সয়াবিন তেল, ২৫০ কেজি মসুর ডাল ও ১০০ কেজি চিনি। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো রুহুল আমিন। মূলত বিলাইছড়ি উপজেলার কেংড়াছড়ি থেকে চোরাইভাবে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পণ্যগুলো ইঞ্জিন চালিত বোটে কাপ্তাই জেটিঘাটে নিয়ে আসা হয় বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ জানান, টিসিবি পণ্যগুলো সেনাবাহিনী কাপ্তাই থানায় হস্তান্তর করেছে। পরে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এসব মালামাল হস্তান্তর করা হয়েছে।

জিয়াউর/তাওফিক/ 

সীতাকুণ্ডে ট্রাকের চাপায় ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম
সীতাকুণ্ডে ট্রাকের চাপায় ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু
নিহত ইঞ্জিনিয়ার মো. সোলাইমান

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রয়েল সিমেন্ট কারখানায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মো. সোলাইমান (৩০) নামে এক ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন।

বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কুমিরা রয়েল সিমেন্ট ও রড তৈরি কারখানা কেএসআরএম ফ্যাক্টরির ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইঞ্জিনিয়ার ভাটিয়ারির উত্তর বাজার যমুনা ব্যাংকের পাশে নজির সওদাগরের বাড়ির জহুর আলমের ছেলে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, একই মালিকানাধীন রয়েল সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ও রড তৈরি কারখানা কেএসআরএম পাশাপাশি অবস্থিত। ইঞ্জিনিয়ার সোলাইমান রয়েল সিমেন্টে চাকরি করলেও কেএসআরএম স্টিল ও রয়েল সিমেন্টের মাঝখানে একটি পাওয়ার প্লান্ট চেক করতে যান। ফেরার পথে কারখানার ভেতর রড বোঝাই একটি ট্রাক স্কেল করে আসার সময় চালকের অসাবধানতাবশত পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিনি ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় রাতেই নিহতের বড় ভাই মো. জাফর ইকবাল বাদী হয়ে উপজেলার লালানগর গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে ট্রাকচালক নুর নবীর (২৮ বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রয়েল সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ও রড তৈরির কারখানা একই গেট দিয়ে পাশাপাশি অবস্থিত। যিনি মারা গেছেন, তিনি রয়েল সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটেছে কেএসআরএম রডের কারখানার স্কেলে রডবোঝাই গাড়িচাপা পড়ে। এ ঘটনায় ওই চালকের বিরুদ্ধে নিহতের বড় ভাই মামলা করেছেন।

মেহেদী/