ঢাকা ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
English
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মী খুন, পাহাড়ি তরুণী গুলিবিদ্ধ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মী খুন, পাহাড়ি তরুণী গুলিবিদ্ধ

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পাহাড়ি এক তরুণী।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ইউপিডিএফ কর্মীর নাম, সুবি ত্রিপুরা (৩৫)। তিনি মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা বাসনা ত্রিপুরার ছেলে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ পাহাড়ি নারী নিহত সুবি ত্রিপুরার বোন তারাবতী ত্রিপুরা (২০)। 
 
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সভাপতি সন্তু লারমাকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে ইউপিডিএফ। বুধবার দুপুরে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।

বিবৃতিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, 'বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শক্তি ত্রিপুরা ও কম্বল ত্রিপুরার নেতৃত্বে জেএসএস সন্তু গ্রুপের ১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাইন্দংয়ের হেডম্যান পাড়ায় সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউপিডিএফ সদস্য সুবি ত্রিপুরা নিহত হন। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে তারাবতী ত্রিপুরা কপালে জখম হয়ে আহত হন।'

মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'ঘটনাস্থল অতি দুর্গম হওয়ায় এখনো মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।'

দিদারুল রাজু/জোবাইদা/

গাইবান্ধায় ২০ মণ পিরানহা মাছ জব্দ, মালিককে জরিমানা

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
গাইবান্ধায় ২০ মণ পিরানহা মাছ জব্দ, মালিককে জরিমানা
ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২০ মণ নিষিদ্ধ ঘোষিত পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পুকুর মালিক আইয়ুব আলীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলার  গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলপুকুরিয়া এলাকার একটি পুকুরে সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত জাল ফেলে এসব মাছ জব্দ করা হয়। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন  উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এবং গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে ফুলপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মাছ চাষি আইয়ুব আলী তার পুকুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত পিরানহা মাছ চাষ করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকালে আইয়ুব আলীর পুকুরে জাল ফেলে প্রায় ২০ মণ মাছ উত্তোলন করা হয়। পরে সেগুলো জব্দ করা হয়। স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি মাছ ১৫০ টাকা হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। এ হিসেবে ২০ মন মাছের দাম দাঁড়ায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। জব্দ করা এসব পিরানহা মাছ উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা, হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, পিরানহা মাছ রাক্ষুসে স্বভাবের। এই মাছ অন্যান্য দেশি মাছের জন্য ক্ষতিকর। এই মাছ দেশীয় জাতের মাছকে খেয়ে ফেলে। তাই পুকুর থেকে এসব মাছ উত্তোলন করে বিতরণ করা হয়। এ ধরনের মাছ মানুষ খেলে কোনো ক্ষতি নেই। তবে এটি দেশে চাষ করা নিষিদ্ধ।

রফিক/মেহেদী/

কাউখালীতে পিকআপ-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
কাউখালীতে পিকআপ-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬
দুর্ঘটনার শিকার সিএনজি। ছবি: খবরের কাগজ

রাঙ্গামাটির কাউখালীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। 

নিহতরা হলেন- নুর নাহার (৪০), আবু তোবাব (৫০) ও মাহবুবুর রহমান বাচ্চুর (৫০), মিনু মারমা (৩৫), জয়নাল আবেদীন (৬০), ও সিএনজি চালক ইজাজুল (২৫)। তাদের মধ্যে নিহত নুর নাহার বেগমের ৮ মাসের একটি সন্তান রয়েছে।

মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায়।

রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের রাণীরহাট বাজার থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম থ-১১-৯১৭৩ নম্বরের যাত্রীবাহী সিনজি অটোরিকশাকে মুখোমুখি চাপা দেয় বিপরীত দিক থেকে আসা কাঠবোঝাই-চট্টমেট্রো-ন -১১-৬৪৯২ নম্বরের পিকআপ। এতে মুহুর্তেই দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজির তিন যাত্রী দুর্ঘটনাস্থলে মারা যান। 
 
তাৎক্ষণিকভাবে পথচারী ও স্থানীয়রা সিএনজির চালক ইজাজুল এবং আহত মিনু মারমা ও জয়নাল আবেদীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তাদের মৃত্যুা হয়। এসময় ঘটনাস্থলে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে কাউখালীর বেতবুনিয়া ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে দুর্ঘটনার পরপরই পিকআপ চালক ও সহকারী পালিয়ে যায়। পরে দুর্ঘটনার শিকার সিএনজি অটোরিকশা ও পিকআপটি উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় বেতবুনিয়া ফাঁড়ির পুলিশ । 

নিহতদের মধ্যে নুর নাহার কাউখালী উপজেলার পশ্চিম মনাইটেক ও মিনু মারমা কাউখালীর বেতবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া আবু তোরাব চট্টগ্রামের রাউজান চৌধুরী পাড়া, মাহমুদুর রহমান বাচ্চু চট্টগ্রাম হাটহাজারীর ছাত্তারঘাট, মো. জয়নাল আবেদীন চট্টগ্রামের রাউজানের সুলতানপুর ও সিএনজি চালক ইজাজুল চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী এলাকার বাসিন্দা।  

এ দুর্ঘটনার জন্য কেউ কেউ দুষছেন সড়কের বাঁক-কে, কেউ বা চালকের অদক্ষতাকে। তবে দুর্ঘটনা বন্ধে সড়কটির বাঁককে সোজা ও প্রশস্ত করার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।   

নুর নাহারের মোবাইল ফোনে নুর নাহারের মৃত্যুর খবর পেয়ে বেতবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ছুটে এসেছেন তার স্বামী আব্দুর রহিম (৪৫)। বললেন-সকালে আমি কাজে গিয়েছি। আমার স্ত্রী রাণীরহাট বাজারে এসেছিল। সিএনজি করে বাজার নিয়ে ফিরছিল। সাড়ে দশটার দিকে তার ফোন থেকে কেউ একজন জানায় তার মৃত্যুর খবর। আমার ৮ মাসের দুধের বাচ্চার এখন কী হবে? আমার সংসারের কী হবে? আমার তিন সন্তানকে কে দেখবে? কার কাছে বিচার চাইব?

নিহত নুর নাহারের ভগ্নিপতি স্থানীয় বাসিন্দা মো. বেলাল বলেন- নুর নাহারের পরিবার গরীব। মামলা মোকদ্দমা করে পারবে না। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো সড়ক দুর্ঘটনায় প্রানহানী না ঘটে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। 

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন- সড়কটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও সরু। গেল ১৬ এপ্রিল ভোরে ঢাকা থে‌কে রাঙ্গামাটিগামী রবি এক্সপ্রেসের সেন্টমার্টিন হুন্দাই এসি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে। এই ঘটনায় চালকসহ ৫ জন যাত্রী আহত হন। আজ আবার ৬ জনের মৃত্যু হলো। সড়কটির বাঁক সোজা ও প্রশস্ত করা খুবই জরুরি। নইলে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হতে থাকবে।

শনিবার ঘটনাস্থল ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিছুটা ঢালু দুর্ঘটনা স্থলটিতে মূলত একাধিক বাঁক রয়েছে। বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি আগ থেকেই দৃষ্টিগোচর হয় না। ফলে দ্রতগতিতে চালাতে গিয়ে যানবাহন মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আবার মূল সড়ক থেকে ছিটকে সড়কের প্রান্তের নালায় ও খাদে পড়ার ঘটনাও ঘটছে। দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানটিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা রোধে বাড়তি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন- ঘটনাস্থলেই সিএনজির তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে নেওয়া হলে সিএনজি চালকসহ আরও তিন জন মারা গেছেন। সব মিলিয়ে ওই দুর্ঘটনায় সিএনজির চালক ও যাত্রীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটির মর্গে নিয়েছে। আইনী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতির শিকার কারো পক্ষ থেকে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়া না গেলে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করবে।

রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহপদুল ইসলাম বলেন- দুর্ঘটনার পর আমরা আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি। পিকআপ চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন করা হবে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী যেই হোক তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সড়কটিতে যানবাহনের চাপ বেশি। রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ছাড়াও বিপুল পরিমাণ যানবাহন চলাচল করে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি আমরা বিবেচনায় রাখছি।


জিয়াউর রহমান জুয়েল/মাহফুজ 

 

চুয়াডাঙ্গায় টানা ৫ দিনের তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০১ পিএম
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় টানা ৫ দিনের তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন
অস্বাভাবিক গরমে আখের রসের চাহিদা বেড়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গায় টানা কয়েকদিন ধরে চলছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ছে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের ওপরও।
 
টানা পাঁচদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে তীব্র তাপপ্রবাহ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।

তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গায় মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকায় গরমের তীব্রতা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনও একই অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শুক্রবার ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রখর রোদ ও দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। জীবিকার তাগিদে রোদ উপেক্ষা করে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে ভ্যানচালক কবির বলেন, গরমে হাঁসফাঁস লাগছে। কিন্তু ভ্যান না চালালে বাসা-পরিবার চালাব কীভাবে? রোদে থাকলে শরীরের পানি শুকিয়ে যায়। 

দিনমজুর সুজন জানান, কাজ বন্ধ রাখলে আয় হবে না। আবার কাজে গেলেও মনে হয় শরীর আগুনে পুড়ছে। দুপুরের পর কাজ করা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। তবুও পেটের দায়ে নামতে হচ্ছে।

কুলি হামিদ বলেন, স্টেশনে মাল টানতে হচ্ছে। এত গরম যে, ৫ মিনিট কাজ করলে মনে হয় সারা শরীর আগুন হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পরপরই বিশ্রাম নিতে হয়।

পথচারী শাহীন বলেন, দুপুরে রাস্তায় চলাই যায় না। কয়েক মিনিট হাঁটলেই শরীর ঘেমে ভিজে যায়, মাথা ঘুরে। কিন্তু প্রয়োজনে বের হতেই হয়। এমন গরম আগে কবে লাগছে মনে পড়ে না।

এই অস্বাভাবিক আবহাওয়ায় শুধু নিম্নবিত্ত নয়, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। হাসপাতালগুলোতে হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা ও ঘামজনিত সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানা গেছে।

মিজানুর রহমান/মাহফুজ

 

সাঈদী পুত্রের হাত ধরে ১৫ সনাতন ধর্মাবলম্বীর জামায়াতে যোগদান

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম
সাঈদী পুত্রের হাত ধরে ১৫ সনাতন ধর্মাবলম্বীর জামায়াতে যোগদান
ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পুত্র, জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী হাত ধরে পিরোজপুরে সনাতন সম্প্রদায়েরর ১৫ জন ব্যক্তি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ উপলক্ষে শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী পিরোজপুর সদর উপজেলার হুলারহাট, পিটিআই, খালিশাখালী, রায়েরকাঠি এবং মরিচাল এলাকায় জামায়াত ইসলামীর পক্ষে গণসংযোগ করেন এবং মাসুদ সাঈদীর আহ্বানে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অসংখ্য মানুষ তার হাতে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করেন।

মাসুদ সাঈদীর হাতে জামায়াতের সহযোগী সদস্য ফরম পূরণকারী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা হলেন পিরোজপুর সদর উপজেলার কুন্ড সাহা, বিশ্বজিৎ সাহা, জয় সাহা, সমিরণ দাস, উত্তম কুন্ড, নিতাই কুন্ড, অচিন কুন্ড, সুনীল দাস, বানেশ্বর গ্রামের কৃষ্ণ রায়, কৃষ্ণ কুমার মাঝি, শিকারপুর এলাকার সুকান্ত মিস্ত্রী, কদমতলা এলাকার রতন কুমার শীল, পালপাড়া এলাকার নিতাই মন্ডল, সুকুমার রায়, মনিন্দ্র লাল সাহা, রাজারহাট এলাকার জয়দেব মিত্র।

গণসংযোগকালে মাসুদ সাঈদী বলেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলাই এখন আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে হলে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে আগে। সেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য দেশবাসীকে এখন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে। যে স্বপ্ন নিয়ে লাখো মানুষ প্রাণ দিয়েছিল, সেই স্বপ্ন পূরণে আমরা কতটা সফল? বৈষম্য এখনো রয়েছে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে এবং ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে। দুর্নীতি আমাদের সমাজ জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। 

সমাজ থেকে চাঁদাবাজি, লুটপাট, দুর্নীতি দূর করে একটি শোষণ, বৈষম্যহীন নীতি ও ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আমাদের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। ৫ আগস্টের বিজয় আমাদের পথ দেখিয়েছে। এখন প্রয়োজন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে সেই পথ ধরে এগিয়ে গিয়ে একটি প্রকৃত বৈষম্যহীন কল্যাণময় বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বিজয়কে অর্থবহ করতে হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন একটি দেশ রেখে যেতে হবে, যেখানে তারা গৌরবের সঙ্গে বলতে পারবে-আমরা আমাদের স্বাধীনতা এবং বিজয়ের প্রকৃত অর্থ বুঝতে পেরেছি এবং সেটিকে রক্ষা করতে পেরেছি।

গণসংযোগকালে পিরোজপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, পৌর আমীর মাওলানা ইসহাক আলী ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের সভাপতি সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মো. হাসিবুল ইসলাম হাসান/মাহফুজ 

 

ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে তাজরিন (১১) ও জান্নাতুন (৯) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের কিসমত ভৈষা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- তাজরিন ভৈষা গ্রামের আব্দুল হাকিমের মেয়ে এবং জান্নাতুন একই গ্রামের মো. জহুরুল হকের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় তারা। তারা। শিশু দুটি সাঁতার জানত না। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'স্থানীয়ভাবে জানা গেছে,
নিহত শিশুরা সাঁতার জানত না। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।'

এ দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নবীন/মেহেদী/