ঢাকা ১৪ বৈশাখ ১৪৩২, রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
English
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

ফরিদপুরে পুকুরে ভাসছিল কৃষকের মরদেহ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
ফরিদপুরে পুকুরে ভাসছিল কৃষকের মরদেহ
কৃষক মুক্তার হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুর শহরের কমলাপুরে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মুক্তার হোসেন (৫৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে শহরের ডিআইবি বটতলার সরদারপাড়া সড়কের বদরের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

তিনি একই এলাকার মৃত আব্দুর রাশেদ শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়রা সকালে পুকুরে ভাসতে দেখে মুক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে এবং পুলিশে খবর দেন। 

তবে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, মুক্তার আগে থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং তার হার্টে তিনটি রিং পড়ানো ছিল। সকালে নিজের জমিতে কাজ করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সঞ্জিব/পপি/

ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয় দক্ষিণাঞ্চলের ২০ জেলা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম
দক্ষিণাঞ্চলের ২০ জেলা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন
প্রতীকী ছবি

‘ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিড’ বিপর্যয়ে শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২০ জেলা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিড ফেল করলে এ সমস্যা শুরু হয়। পরে প্রায় একই সময় আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে বিশাল এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।

তবে দ্রুত বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী ও কর্মীরা ‘অপারেশন ব্ল্যাকআউট’ পদ্ধতিতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে কয়েকটি ছোট উৎপাদন ইউনিট চালু করেন। ফলে প্রায় ২ ঘণ্টা পর রাত ৮টা থেকে বিভিন্ন স্থানে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হয়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, বিদ্যুতের ন্যাশনাল গ্রিড ফেল করার কারণে দক্ষিণাঞ্চলে কুষ্টিয়া জেলা বাদে প্রায় সব এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। আমিনবাজার গ্রিড লাইনে এ সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, কোথাও গ্রিড ফেল করলে তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সময় লাগে। তবে রাতের মধ্যেই সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার কথা।

মাকসুদ রহমান/এমএ/

সিলেট সীমান্তে ৬ কোটি টাকার  চোরাই পণ্য জব্দ

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
সিলেট সীমান্তে ৬ কোটি টাকার  চোরাই পণ্য জব্দ
জব্দ করা চোরাই পণ্য। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ছয় কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি ৪৮ সিলেট ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর মো. নূরুল হুদার নেতৃত্বে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় লেহেঙ্গা, স্কিন শাইন ক্রিম, স্কিন ব্রাইট ক্রিম, রূপ জি ক্রিম, জিলেট ব্লেড, চিনি, ফিয়ামা সাবান, পন্ডস ব্রাইট বিউটি ফেসওয়াশ, কিটক্যাট চকলেট, ফুচকা, শুঁটকি ও পান জব্দ করা হয়েছে। এসব মালামালের আনুমানিক মূল্য ছয় কোটি টাকা।

এ ব্যাপারে বিজিবি ৪৮ সিলেট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সিলেট সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ চোরাই মালামাল জব্দ করা হয়। 

দাউদকান্দিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম
দাউদকান্দিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহত কাইয়ুম মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

দাউদকান্দি উপজেলার চক্রতলা কলনীপাড়া গ্রামে স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কোলাহলের জেরে কাইয়ুম মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) গভীর রাতে দাউদকান্দি উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলী কলনীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. কাইয়ুম মিয়া উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের জালাল উদ্দীন মিয়ার পুত্র। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়ির পাশে বসবাস করতেন। 

নিহতের বাবা জালাল উদ্দীন ও ছোট ভাই সুজন জানান, দীর্ঘ ১১ বছর আগে চক্রতলা কলনীপাড়া গ্রামের মৃত নূরু মিয়ার মেয়ে আখি আক্তারের সঙ্গে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। 

বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। ঝগড়ার কারণে ছেলের সুখের কথা চিন্তা করে বাবা জালাল উদ্দিন কাইয়ুম মিয়ার সংসার ভিন্ন করে দেন। তখন থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন কাইয়ুম। 

এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখে না বাবা ও ভাইয়েরা। তবে মাঝেমধ্যে খবর পেতেন স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হলে কাইয়ূমের স্ত্রীর বড়ভাই তাজুল ইসলাম ও মামা শ্বশুর আবুল হোসেন প্রায়ই কাইয়ুমকে মারধর করত। 

কাইয়ুমের বাবা বলেন, শুক্রবার রাত ২টার দিকে আমার বড় মেয়ে ফোন করে আমাকে জানায় আমার ছেলে কাইয়ুম নাকি ফাঁসি দিয়ে মারা গেছে। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার ছেলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। গলায় কোনো ফাঁসির চিহ্ন দেখতে পাই নি। আমরা নিশ্চিত স্ত্রী ও তার ভাই, মামা মিলে আমার ছেলেকে খুন করে ফাঁসি দেওয়ার নাটক সাজাচ্ছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার ও ফাঁসি চাই।

ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের অভিযুক্ত স্ত্রী আঁখি বেগম, তার বড়ভাই তাজুল ইসলাম ও মামা আবুল হোসেনকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, কাইয়ূম মারা যাওয়ার পর থেকে তারা ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। 

দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, শনিবার ভোরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিকভাবে সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে নিহতের গলায় কোনো ফাঁসির দাগ না থাকায় ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহ প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জেনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

লিটন সরকার বাদল/মাহফুজ

 

একই রশিতে ঝুলছিল মা ও শিশুর মরদেহ

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
একই রশিতে ঝুলছিল মা ও শিশুর মরদেহ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও শিশু ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নদীয়াবাদ গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

নিহতরা হচ্ছেন নবীয়াবাদ গ্রামের প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৬) ও তাদের একমাত্র ছেলে আব্দুল্লাহ (৩)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ বছর আগে আব্দুল মতিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে রাবেয়া বেগমের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তিন বছর বয়সী আব্দুল্লাহ একমাত্র পুত্র সন্তান তাদের। আব্দুল মতিন এক বছর আগে প্রবাস থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসে কয়েকমাস থেকে চলে যান। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতের কোনো এক সময় রাবেয়া বেগম তার বসত ঘরের পাশে থাকা ছোট্ট একটি ঘরের কাঠের তীরের সঙ্গে একই রশিতে মা ও ছেলে আত্মহত্যা করেন। শনিবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে উঠে রাবেয়া বেগমের শ্বশুর আলী আকবর মা ও ছেলের মরদেহ ঝুলতে দেখেন। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাদের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

জহির শান্ত/মাহফুজ

গাইবান্ধায় ২০ মণ পিরানহা মাছ জব্দ, মালিককে জরিমানা

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
গাইবান্ধায় ২০ মণ পিরানহা মাছ জব্দ, মালিককে জরিমানা
ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২০ মণ নিষিদ্ধ ঘোষিত পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পুকুর মালিক আইয়ুব আলীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলার  গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলপুকুরিয়া এলাকার একটি পুকুরে সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত জাল ফেলে এসব মাছ জব্দ করা হয়। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন  উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এবং গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে ফুলপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মাছ চাষি আইয়ুব আলী তার পুকুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত পিরানহা মাছ চাষ করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকালে আইয়ুব আলীর পুকুরে জাল ফেলে প্রায় ২০ মণ মাছ উত্তোলন করা হয়। পরে সেগুলো জব্দ করা হয়। স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি মাছ ১৫০ টাকা হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। এ হিসেবে ২০ মন মাছের দাম দাঁড়ায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। জব্দ করা এসব পিরানহা মাছ উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা, হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, পিরানহা মাছ রাক্ষুসে স্বভাবের। এই মাছ অন্যান্য দেশি মাছের জন্য ক্ষতিকর। এই মাছ দেশীয় জাতের মাছকে খেয়ে ফেলে। তাই পুকুর থেকে এসব মাছ উত্তোলন করে বিতরণ করা হয়। এ ধরনের মাছ মানুষ খেলে কোনো ক্ষতি নেই। তবে এটি দেশে চাষ করা নিষিদ্ধ।

রফিক/মেহেদী/