ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

মিথ্যা পরিচয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন আরসা নেতা আতাউল্লাহ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম
মিথ্যা পরিচয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন আরসা নেতা আতাউল্লাহ
আরসা নেতা আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি। ছবি: সংগৃহীত

মিথ্যা পরিচয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসন এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) নেতা আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি। চট্টগ্রামের মাছ ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি সেখানে বসবাস করছিলেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক টানে কথা বলায় তিনি যে রোহিঙ্গা নাগরিক, স্থানীয়রা তা বুঝতে পারেননি। গত সোমবার (১৭ মার্চ) গভীর রাতে র‍্যাব আতাউল্লাহকে ওই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, চার মাস আগে আতাউল্লাহ ভূমিপল্লীতে এসে প্রথমে ভবনের তিনতলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। অন্য একজন ব্যক্তি এসে বাড়ির মালিক হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে কথা বলেন। 

তিনি জানান, তার এক আত্মীয় নতুন বাসা ভাড়া নিতে চান। তিনি চট্টগ্রামের মাছ ব্যবসায়ী। হুমায়ুন কবির ওই ব্যক্তির পরিচয়ে বিশ্বাস করে তাকে বাসা ভাড়া দেন। কিছুদিন পর বাড়ির মালিক আতাউল্লাহর কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) চাইলে তিনি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। দেড় মাস পর জানান, ছোট ফ্ল্যাটে তার কষ্ট হচ্ছে, তাই তিনি আটতলায় বড় ফ্ল্যাটে উঠতে চান। পরবর্তী সময়ে আতাউল্লাহর স্ত্রী, সন্তান ও ভাইকে নিয়ে আটতলায় ২০ হাজার টাকা ভাড়ার একটি ফ্ল্যাটে উঠে বসবাস শুরু করেন। 

ওই ফ্ল্যাটের মালিক ইতালিপ্রবাসী। তার অবর্তমানে কেয়ারটেকার আতাউল্লাহকে বাসা ভাড়া দেন। গত ১৭ মার্চ রাত ৩টার দিকে র‍্যাব ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে আতাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। ওই বাড়ির বাসিন্দারা জানান, আতাউল্লাহ সাধারণ জীবনযাপন করতেন। অনেকে তাকে অসুস্থ মনে করতেন। লাঠির ওপর ভর দিয়ে চলাফেরা করতেন। আবার কখনো অন্যের সাহায্য নিয়ে হাঁটতেন।

গ্রেপ্তারের পর আতাউল্লাহ ও তার পাঁচ অনুসারীকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘র‍্যাবের দায়ের করা মামলায় তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।’

আতাউল্লাহ যেভাবে আলোচনায় আসেন

২০১৭ সালে প্রথম আলোচনায় আসেন আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি। ওই বছরের ২৫ আগস্টের পর মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ওপর হামলার দায় স্বীকার করে তিনি অনলাইনে পরিচয় দেন। ওই হামলায় বিজিপির ৭১ জন সদস্য নিহত হন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়। সেখানেই তিনি নিজেকে আরসার প্রধান বলে দাবি করেন। 

বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আতাউল্লাহ পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়। পরে তারা সৌদি আরবের মক্কায় বসবাস শুরু করেন। আতাউল্লাহ মক্কা ও রিয়াদে ইসলামি শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং শিক্ষকতা করেন। ২০১২ সালে মায়ানমারের রাখাইনে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু হলে তিনি সৌদি আরব ত্যাগ করে রোহিঙ্গা প্রতিরোধ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৩ সালে তিনি আরসার প্রধান হন।

২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) জানায়, আতাউল্লাহ পাকিস্তানে তালেবানের অধীনে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং লিবিয়াতেও সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকতে পারেন। তার নেতৃত্বে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর মায়ানমারের পুলিশ পোস্টে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বড় ধরনের হামলার পর মায়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালায়। এতে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

২০২৩ সালে আরসার শীর্ষ নেতা নূর কামাল ওরফে সমিউদ্দিনের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিব্বুল্লাহকে হত্যা করার নির্দেশও আতাউল্লাহ দিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পের এক বৈঠকে মুহিব্বুল্লাহ হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ১২ জনের একটি দল তার কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে। মুহিব্বুল্লাহ রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পক্ষে ছিলেন। 

র‍্যাবের ভাষ্যে, এ কারণে মুহিব্বুল্লাহর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল আরসা। এ ছাড়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা (স্কোয়াড্রন লিডার) রিজওয়ান রুশদী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আতাউল্লাহ।

মাহফুজ/

হাটহাজারীতে বসত ঘরের সীমানা সংক্রান্ত বিরোধে খুন

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৪ পিএম
হাটহাজারীতে বসত ঘরের সীমানা সংক্রান্ত বিরোধে খুন
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বসত ঘরের সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শফিউল আলম (৬৪) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকালের দিকে উপজেলার ২নং ধলই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ তিতাগাজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত শফিউল আলমের পুত্র রবিউল আলম (১৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকালে শফিউল আলম তার সন্তান রবিউলসহ নিয়ে নিজ ঘরের কাজ করছিলেন। এ সময় একই বাড়ির মো. সেলিম ও তার পুত্র সজিব উদ্দিন হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র (দা) দিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যান। পরে লোকজন ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাবরিন কবির শফিউলকে মৃত ঘোষণা করেন এবং রবিউল আলমের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চমেক মর্গে পাঠান।

এলাকার ইউপি সদস্য মো. মহিন উদ্দিন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে ওই ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যের দায়িত্ব পালন করে আসছি। কখনো উভয় পক্ষের কোনো রকম অভিযোগ পাইনি। হঠাৎ কী কারণে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো বুঝে আসছে না। তারা সম্পর্কে আপন চাচাতো-জেঠাতো ভাই।’ নিহতের পরিবার থানায় মামলা করবে বলেও জানান তিনি।

হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো.তারেক আজিজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। অপরাধী যেই হোক দ্রুত সমযের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ ইতোমধ্যে পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

তাওফিক/ 

জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলাকে ঘিরে পসরা সাজাচ্ছেন দোকানিরা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলাকে ঘিরে পসরা সাজাচ্ছেন দোকানিরা
জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলাকে ঘিরে পসরা সাজাচ্ছেন দোকানিরা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের জব্বারের বলীখেলাকে ঘিরে দুইদিন আগে থেকেই কিছু কিছু দোকানি পসরা সাজাতে শুরু করেছেন। বাকিরা আছেন অপেক্ষায়। তবে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে অন্যান্য বছরের মতো আগেভাগে মেলা জমে ওঠেনি। তবুও আশা-নির্ভরতায় ফুটপাত আর সড়কের একপাশে সীমিত পরিসরে দোকান সাজাতে শুরু করেছেন অনেক দোকানি।

তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হবে ২৫ এপ্রিল বিকেলে। আর বৈশাখী মেলা চলবে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। দেশের নানা প্রান্ত থেকে পণ্যের ঝাঁপি নিয়ে দোকানিরা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে আসতে শুরু করেছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সিনেমা প্যালেস থেকে শুরু করে কে সি দে রোডের দুই পাশে বসেছে বাঁশ-বেত, মাটি ও নানান হস্তশিল্পের পসরা। তবে সড়কে দোকান বসানো নিষেধ থাকায় স্থান সংকটে ভোগছেন দোকানিরা। লালদিঘি পাড় থেকে আন্দরকিল্লা পর্যন্ত কিছু দোকান গড়ে উঠলেও, লালদিঘি ময়দানের পাশে এখনো কাউকে বসতে দেওয়া হয়নি।

গাজীপুর থেকে আসা মৃৎপণ্য বিক্রেতা রহিম উদ্দিন জানান, তিনদিন আগে এসেছি মালামাল নিয়ে। ফুলদানি আর শো পিছ এনেছি, কিন্তু পুলিশের বারবার সতর্কতায় ঠিকমতো বসতে পারছি না।

একই অভিযোগ ঢাকার শাহবাগ থেকে আসা বিক্রেতা আহমদ আলীরও। তিনি বলেন, ‘পুলিশ দোকান গুটাতে বলছে, কিন্তু আমাদের জন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থাও নেই।’

এদিকে, মেলা প্রাঙ্গণে এসেছেন আগ্রহী ক্রেতারাও। অক্সিজেন এলাকা থেকে আসা গৃহবধূ ফাহমিদা আখতার বলেন, ‘প্রতি বছর মেলার জন্য অপেক্ষা করি। এবার মানুষের ভিড় বাড়ার আগেই প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র কিনে ফেলার চেষ্টা করছি।’

শান্তা চৌধুরী নামে আরেক গৃহবধূ বলেন, ‘বলীখেলার চেয়ে মেলার আকর্ষণ বেশি। এখান থেকেই সারাবছরের ছোটখাটো দরকারি জিনিস কিনে নিই।’
আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল জানান, চলমান এসএসসি পরীক্ষা ও অন্যান্য পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার পুলিশ সড়কে দোকান বসাতে দিচ্ছে না। তবে ২৪ এপ্রিল থেকে দোকান বসার অনুমতি মিলবে। কাউকে ফেরত যেতে হবে না, আমরা সবাইকে সহায়তা করব।

এদিকে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নির্দেশনা অনুযায়ী, এবারের মেলায় সড়কের উপর কোনো ধরনের দোকান বসানো যাবে না। এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারা বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ফুটপাত ও সড়কের একপাশে সীমিত পরিসরে বসে পড়েছেন।

মেলায় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন রয়েছে তৎপর। তবে ব্যবসায়ীদের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকা এবং আগেভাগে দোকান বসতে না পারায় এবার মেলার আগাম আমেজ কিছুটা স্তিমিত বলেই মনে করছেন অনেকেই।

তবে আয়োজন ঘিরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠবে পুরনো চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা- এমন প্রত্যাশা সকলের।

তাওফিক/ 

নাফনদী থেকে ২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয় গেছে আরাকান আর্মি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৬ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৭ পিএম
নাফনদী থেকে ২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয় গেছে আরাকান আর্মি
নাফ নদী। ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফের হোয়াইক্যং নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় মায়ানমার জলসীমা অতিক্রমকালে দুই জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি।

বুধবার (২৩ এপ্রিল)  দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃত জেলেরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোস্টে সংলগ্ন বালুখালী এলাকার বাসিন্দার এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে বাদশা আলম (৪৫) ও একই এলাকার রশিদ আহমেদ ছেলে আবুল কালাম (৪০)।

এ বিষয়ে উখিয়া ব্যাটালিয়ন ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘হোয়াইক্যং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা সীমান্ত পিলার-১৮ থেকে দক্ষিণ-পূর্বে আনুমানিক তিন কিলোমিটার ভিতরে নাফ নদীতে বগার দ্বীপ নামক এলাকায় মাছ শিকারে করতে গিয়ে মায়ানমার জলসীমানা অতিক্রম করলে দুই জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেন আরাকান আর্মি।’

তিনি বলেন, ‘হোয়াইক্যং নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে জেলেদের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি অমান্য করে নাফনদীতে মাছ শিকারে যায় জেলেরা।’

হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া এলাকার বাসিন্দার মোহাম্মদ মানিক জানান, ‘সকালে নাফনদীতে মাছ শিকারে গেলে মায়ানমার জলসীমানা অতিক্রম করলে আরাকান আর্মি দুইজন স্থানীয় জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। দুই জনে আমার চাচাতো ভাই।’ 

শাহীন/সুমন/

লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা, ১৪ লাখ টাকা লুট

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২২ পিএম
লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা, ১৪ লাখ টাকা লুট
লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় পুলিশের উপস্থিতির মাঝেই হেলমেটধারী সশস্ত্র ডাকাত দলের হামলায় টোল আদায়কারী তিন কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় লুট হয়ে গেছে অন্তত ১৪ লাখ টাকা, যা ছিল দুই দিনের টোল আদায়ের অর্থ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লালমনিরহাট অংশে অবস্থিত টোলপ্লাজায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা কনস্ট্রাকশনের পার্টনার এবং রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু জানান, প্রায় ২০-২৫টি মোটরসাইকেলযোগে হেলমেট পরিহিত সশস্ত্র ডাকাত দল হঠাৎ করে হামলা চালায় এবং টোলপ্লাজায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে ক্যাশবাক্সে থাকা টাকা নিয়ে যায়।

হামলায় আহত তিন কর্মচারী- সুরুজ মিয়া (৪০), মুসলিম মিয়া (৩৭) ও জুয়েল ইসলাম (২৮)কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নাজমুল আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার সময় মাত্র ২০ ফুট দূরে এসআই রওশন আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল টিম উপস্থিত ছিল। কিন্তু তারা কোনো প্রতিরোধ করেনি। বরং হামলার পর পুলিশ অফিসার রক্তের দাগ পানি দিয়ে ধুয়ে দেন, যা সন্দেহ ও রহস্যজনক।’

তিনি জানান, ডাকাতি ও পুলিশের রহস্যজনক নীরবতার বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লালমনিরহাট সদর থানায় একটি ডাকাতি মামলা করা হয়েছে।

টোলপ্লাজার ম্যানেজার দাউদ আলী সরদার বলেন, ‘পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা না থাকলে ডাকাতরা এত সহজে লুটপাট করে পালিয়ে যেতে পারত না।’ তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানান, এতে ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের গোপন সখ্য রয়েছে বলে স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন চলছে।

ঘটনা নিয়ে টহল দলের এসআই রওশন আলী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছাতে পারিনি, ডাকাতরা দ্রুত হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেছে।’

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘আমি নিজেই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি। তদন্ত চলছে। পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আরেক পার্টনার নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিবউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সেলিম/তাওফিক/ 

নাটোরে বোর্ড বই তৈরির কারখানা সিলগালা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪১ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
নাটোরে বোর্ড বই তৈরির কারখানা সিলগালা
নাটোরে বোর্ড বই তৈরির কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলবাতা এলাকায় বোর্ড বই তৈরির একটি কারখানাকে নকল কারখানা সন্দেহে সিলগালা করেছে যৌথ বাহিনী।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এই সিলগালা করা হয়।

প্রশাসনের দাবি, মালিক যদি ওই বই ছাপানোর প্রয়োজনীয় বৈধ ডকুমেন্ট দেখাতে পারে তবে সিলগালা প্রত্যাহার করা হবে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার জানান জানান, বুধবার দুপুরের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।

ওই সময় তারা মাদ্রাসা বোর্ডের বিপুল পরিমাণ  বোর্ড বই উদ্ধার করেন। এর পর কারখানাটি সিলগালা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার আরও জানান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলবাতা বাজারে ক্ষণিকালয় নামে একটি বাড়িতে ওই অভিযান চালানো হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাড়ির মালিক কয়েকটি কক্ষ ভাড়া দেন। তবে প্রেসের মালিক আব্দুল হালিমকে সেখানে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। কারখানা মালিক ওই বই ছাপানোর অনুমতি আছে এমন দাবি করার পর তাকে ডকুমেন্ট দেখাতে বলা হয়েছে। ডকুমেন্ট দেখানোর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কামাল মৃধা/সুমন/