ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

খুমেকে ওষুধ সংকটে রোগীদের ভোগান্তি

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫০ এএম
খুমেকে ওষুধ সংকটে রোগীদের ভোগান্তি
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওষুধ সরবরাহ কেন্দ্র থেকে কিছু রোগী ওষুধ নিচ্ছেন। ছবি: খবরের কাগজ

সময়মতো দরপত্র আহ্বান ও অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) ৭৭ ধরনের জরুরি ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে এসে ওষুধ না পেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বাধ্য হয়ে তাদের বাইরের ফার্মেসি থেকে উচ্চমূল্যে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। এরই মধ্যে ৪৫ ধরনের ওষুধের মজুতও শেষের পথে। 

সেবাপ্রত্যাশীরা বলছেন, বাইরে থেকে বেশি দামে ওষুধ কিনতে হলে হাসপাতালে এসে লাভ কী? অনেকের অভিযোগ, সরবরাহ করা ওষুধও অনেক সময় বাইরে থেকে কিনতে বাধ্য করা হয়। তারা এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫ আগস্ট-পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিতিশীল সময়ে হাসপাতালের অনেক পরিচালক স্বল্প সময়ের মধ্যে বদলি ও অবসরে গেছেন। তাই যথাসময়ে ওষুধের দরপত্র আহ্বান করা যায়নি। সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে সব ধরনের ওষুধের সরবরাহ থাকবে।

খুমেক হাসপাতালের মেডিসিন স্টোরকিপার অশোক কুমার হালদার জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতি অর্থবছরে নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রায় ১২২ ধরনের ওষুধ সংগ্রহ করে। ওই ওষুধ রোগীদের মধ্যে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ৫ আগস্টের পর খুমেক হাসপাতালে পরপর কয়েকজন পরিচালকের বদলি ও অবসরজনিত কারণে সময়মতো দরপত্র আহ্বান করা যায়নি। ফলে হাসপাতালের মেডিসিন স্টোরে প্রায় ৭৭ ধরনের ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। বাকি ৪৫ ধরনের ওষুধের মজুতও শেষের পথে।

জানা যায়, হাসপাতাল থেকে প্রায় সব ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহের কথা থাকলেও বর্তমানে ২২ ধরনের ট্যাবলেট, চার ধরনের ক্যাপসুল, ৩৫ ধরনের ইনজেকশন, নরমাল স্যালাইন, ১৩ ধরনের চোখের ড্রপ ও অন্যান্য তিন ধরনের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে জীবনরক্ষাকারী ও অধিক প্রয়োজনীয় ওষুধও রয়েছে। ফলে এসব ওষুধ রোগীদের অতিরিক্ত দামে বাইরের ফার্মেসি থেকে সংগ্রহ করতে হয়। 

মেডিসিন স্টোর জানিয়েছে, হাসপাতালে ট্যাবলেট এসিক্লোফেনাক ১০০ মিলিগ্রাম, অ্যামলোডিপিন ৫ মিলিগ্রাম, অ্যাটেনোলল ৫০ মিলিগ্রাম, অ্যাসপিরিন ৭৫ মিলিগ্রাম, ক্যাপসুল অ্যামোক্সিসিলিন ৫০০ মিলিগ্রাম, ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মিলিগ্রাম, ইনজেকশন অ্যাড্রিনালিন ১ মিলিগ্রাম, অ্যামিকাসিন ১০০ মিলিগ্রাম, নরমাল স্যালাইন ১০০০ মিলিগ্রাম, চোখের ড্রপ কার্বক্সিমিথাইল সোডিয়াম ১%, ডমপেরিডন ৫ মিলিগ্রামসহ ৭৭ ধরনের ওষুধের সরবরাহ নেই। ফলে ওয়ার্ডগুলো থেকে এসব ওষুধের চাহিদা দিলেও তা সরবরাহ করা যাচ্ছে না। 

ইয়াসিন হাওলাদার (৪২) নামে হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগী বলেন, ‘পাঁচ দিন ধরে এখানে ভর্তি আছি। কয়েকটি গ্যাসের বড়ি ছাড়া এখান থেকে আর কোনো ওষুধ দেয়নি। সব ওষুধই বাইরে থেকে কিনতে হয়।’

মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা লাকি বেগমও বললেন একই কথা। হাসপাতালের সবকিছু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় জানিয়ে ৩৮ বছর বয়সী এই নারী বলেন, ‘হাজার হাজার টাকা খরচ করে যদি বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে হয়, তা হলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে লাভ কী। এখানে প্রতি পদে পদে সিন্ডিকেট। রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ কেনা, সবকিছুই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে করতে হয়।’ 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে যখন জীবনরক্ষাকারী ওষুধের ঘাটতি রয়েছে, ঠিক এই সময় প্রায় ১৪ লাখ টাকার ‘অপ্রয়োজনীয়’ ওষুধ ও ট্যাবলেট মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি খুমেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ড মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ওই আট ওষুধের তালিকা করে। স্বল্পমেয়াদি ওই ওষুধগুলো হলো- ফেনোবারবিটাল ৬০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট, মিডাজোলাম হাইড্রোক্লোরাইড ১৫ মিলিগ্রাম ইনজেকশন, জেনটমাইসিন ২ মিলিগ্রাম ইনজেকশন, জি-এড্রোনালিন ও কলেরা স্যালাইন ৫০০ মিলিগ্রাম ইনজেকশন। 

হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোস্তফা কামাল বলেন, হার্টের চিকিৎসায় কার্যকরী ইনজেকশন এনোক্সাপারিন ৬০ মিলিগ্রাম ও ৮০ মিলিগ্রামের চাহিদা দেওয়া হলেও প্রতিবছর ৪০ মিলিগ্রামের ইনজেকশন কেনা হয়। গত বছরের কেনা প্রায় সাড়ে ৭০০ এনোক্সাপারিন ৪০ মিলিগ্রামের দামি ইনজেকশন স্টোরে পড়ে আছে। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশে হাসপাতালে সরবরাহ থাকলেও সেই ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে রোগীকে বাধ্য করা হয়। এতে রোগীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহসীন আলী ফরাজী বলেন, ‘৫ আগস্ট-পরবর্তী অস্থিতিশীল অবস্থায় হাসপাতালের কয়েকজন পরিচালক পরপর বদলি ও অবসরে গেছেন। এ কারণে তারা সময়মতো ওষুধ কিনতে দরপত্র আহ্বান করতে পারেননি। তবে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্রুত দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু করছি। বর্তমানে ওগুলো মূল্যায়ন পর্যায়ে রয়েছে। অর্থ বরাদ্দসাপেক্ষে আগামী দুই মাসের মধ্যে সব ধরনের ওষুধ সংগ্রহ করা যাবে। তখন রোগীদের আর কোনো সমস্যা হবে না।’

নাফনদী থেকে ২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয় গেছে আরাকান আর্মি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৬ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৭ পিএম
নাফনদী থেকে ২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয় গেছে আরাকান আর্মি
নাফ নদী। ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফের হোয়াইক্যং নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় মায়ানমার জলসীমা অতিক্রমকালে দুই জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি।

বুধবার (২৩ এপ্রিল)  দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃত জেলেরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোস্টে সংলগ্ন বালুখালী এলাকার বাসিন্দার এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে বাদশা আলম (৪৫) ও একই এলাকার রশিদ আহমেদ ছেলে আবুল কালাম (৪০)।

এ বিষয়ে উখিয়া ব্যাটালিয়ন ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘হোয়াইক্যং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা সীমান্ত পিলার-১৮ থেকে দক্ষিণ-পূর্বে আনুমানিক তিন কিলোমিটার ভিতরে নাফ নদীতে বগার দ্বীপ নামক এলাকায় মাছ শিকারে করতে গিয়ে মায়ানমার জলসীমানা অতিক্রম করলে দুই জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেন আরাকান আর্মি।’

তিনি বলেন, ‘হোয়াইক্যং নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে জেলেদের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি অমান্য করে নাফনদীতে মাছ শিকারে যায় জেলেরা।’

হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া এলাকার বাসিন্দার মোহাম্মদ মানিক জানান, ‘সকালে নাফনদীতে মাছ শিকারে গেলে মায়ানমার জলসীমানা অতিক্রম করলে আরাকান আর্মি দুইজন স্থানীয় জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। দুই জনে আমার চাচাতো ভাই।’ 

শাহীন/সুমন/

লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা, ১৪ লাখ টাকা লুট

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২০ পিএম
লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা, ১৪ লাখ টাকা লুট
লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় পুলিশের উপস্থিতির মাঝেই হেলমেটধারি সশস্ত্র ডাকাত দলের হামলায় টোল আদায়কারী তিন কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় লুট হয়ে গেছে অন্তত ১৪ লাখ টাকা, যা ছিল দুই দিনের টোল আদায়ের অর্থ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লালমনিরহাট অংশে অবস্থিত টোলপ্লাজায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা কনস্ট্রাকশনের পার্টনার এবং রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমূল আলম নাজু জানান, প্রায় ২০-২৫টি মোটরসাইকেলযোগে হেলমেট পরিহিত সশস্ত্র ডাকাতদল হঠাৎ করে হামলা চালায় এবং টোলপ্লাজায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে ক্যাশ বাক্সে থাকা টাকা নিয়ে যায়।

হামলায় আহত তিন কর্মচারী- সুরুজ মিয়া (৪০), মুসলিম মিয়া (৩৭) ও জুয়েল ইসলাম (২৮) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নাজমুল আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার সময় মাত্র ২০ ফুট দূরে এসআই রওশন আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল টিম উপস্থিত ছিল, কিন্তু তারা কোনো প্রতিরোধ করেনি। বরং হামলার পর পুলিশ অফিসার রক্তের দাগ পানি দিয়ে ধুয়ে দেন, যা সন্দেহজনক ও রহস্যজনক।’

তিনি জানান, ডাকাতি ও পুলিশের রহস্যজনক নীরবতার বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লালমনিরহাট সদর থানায় একটি ডাকাতি মামলা করা হয়েছে।

টোলপ্লাজার ম্যানেজার দাউদ আলী সরদার বলেন, ‘পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা না থাকলে ডাকাতরা এত সহজে লুটপাট করে পালিয়ে যেতে পারত না।’ তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানান, এতে ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের গোপন সখ্যতা রয়েছে বলে স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন চলছে।

ঘটনা নিয়ে টহলদলের এসআই রওশন আলী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছাতে পারিনি, ডাকাতরা দ্রুত হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেছে।’

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘আমি নিজেই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি। তদন্ত চলছে। পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আরেক পার্টনার নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিবউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সেলিম/তাওফিক/ 

নাটোরে বোর্ড বই তৈরির কারখানা সিলগালা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪১ এএম
নাটোরে বোর্ড বই তৈরির কারখানা সিলগালা
নাটোরে বোর্ড বই তৈরির কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলবাতা এলাকায় বোর্ড বই তৈরির একটি কারখানাকে নকল কারখানা সন্দেহে সিলগালা করেছে যৌথবাহিনী।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এই সিলগালা করা হয়।

প্রশাসনের দাবি মালিক যদি ওই বই ছাপানোর প্রয়োজনীয় বৈধ ডকুমেন্ট দেখাতে পারে তবে সিলগালা প্রত্যাহার করা হবে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার আর জানান জানান, বুধবার দুপুর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।

ওই সময় তারা মাদ্রাসা বোর্ডের বিপুল পরিমাণ  বোর্ড বই উদ্ধার করেন। এরপর কারখানাটি সিলগালা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার আরও জানান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর তথ্যের ভিত্তিতে হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলবাতা বাজারে ক্ষণিকালয় নামে একটি বাড়িতে ওই অভিযান চালনা করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাড়ির মালিক কয়েকটি কক্ষ ভাড়া দেন। তবে প্রেসের মালিক আব্দুল হালিমকে সেখানে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। কারখানা মালিক ওই বই ছাপানোর অনুমতি আছে এমন দাবি করার পর তাকে ডকুমেন্ট দেখাতে বলা হয়েছে। ডকুমেন্ট দেখানোর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কামাল মৃধা/সুমন/

পোষা সাপের কামড়ে প্রাণ গেল সাপুড়ের

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২২ এএম
পোষা সাপের কামড়ে প্রাণ গেল সাপুড়ের
সাপ ধরছেন সাপুড়ে শাকিল

দিনাজপুর খানসামায় নিজ বাড়িতেই পোষা সাপের কামড়ে শাকিল ইসলাম (৩১) নামে এক সাপুড়ের মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের গারপাড়া পেশার মেম্বারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাপুড়ে শাকিল ইসলাম ওই এলাকার ফরমাজ আলীর বড় ছেলে।

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাকিল মাহান (গুনিকের) পাশাপাশি বিভিন্ন সাপ নিয়ে খেলা করতেন। রমজান মাসের কয়েকদিন আগে তিন এই গোমা (গোখরা) সাপটি ধরে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে তার পোষা সেই সাপটি তাকে কামড় দেয়। প্রথমে শাকিল বিষয়টি কাউকে জানাননি, নিজে নিজে সাপটির বিষ নামানোর চেষ্টা করেন। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে অন্য আরেক গুনিকের কাছে নিয়ে যায়। সেই গুনিকেও সাপের বিষ নামাতে পারে না পরে শাকিল খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

পরে মৃত শাকিলকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে পরিবারের ধারণামতে তার জীবন ফিরে আসবে এ বিশ্বাসে রাতে আবারও গুনিক ও ওঝা নিয়ে ঝাড়ফুঁক করা হয়। এ ঘটনা দেখতে এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় লাগে। অবশেষে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে তার জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

আরও জানা গেছে, এর আগেও তাকে ঐ সাপটি কামড় দিয়েছিল, তখন কিছু হয়নি। কিন্তু এদিন সেই সাপের কামড়েই তার মৃত্যু হয়েছে। উৎসুক জনতা সাপটিকে মেরে ফেলে দিয়েছে।

খামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক চৌধুরী বলেন, আমি শাকিলকে দীর্ঘদিন থেকে জানতাম মাহানগিরি (গুনিক) করে। আমি তার মাধ্যমে মৌমাছির চাকও কেটে নিয়েছিলাম। বিভিন্ন সময়ে তাকে সাপ নিয়ে খেলা করতে দেখা যেত।

এ বিষয়ে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক বলেন, আপনার মাধ্যমে জানলাম সাপের কামড়ে একজন মারা গেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।

সুলতান/মেহেদী/

হাটহাজারীতে নিশীথে পাহাড় কাটা, অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৪ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২০ এএম
হাটহাজারীতে নিশীথে পাহাড় কাটা, অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গভীর রাতে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গভীর রাতে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে একজনকে আটক করে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে দক্ষিণ পাহাড়তলীর নন্দীরহাট এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল এ অভিযানে অংশ নেয়।

ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে ধরা হয় মো. নোমান সিদ্দিকী নামে এক ব্যক্তিকে, যিনি এক্সকেভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে পাহাড় কাটছিলেন। নোমান নোয়াখালীর চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা। 

ইউএনও বলেন, ‘আটক ব্যক্তি দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় তাকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মিত মামলা করবে।’ 

ইউএনও জানান, অভিযানে ধরা পড়া ব্যক্তি ছাড়াও পাহাড় কাটার পেছনে থাকা মূল হোতারা আগেই পালিয়ে যায়। 

এর আগে চট্টগ্রামের একটি পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ পাহাড়তলীর মাহমুদাবাদ এলাকায় গত দুই মাস ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে আসছে। আলী (র.) দরগাহর আশপাশে খননযন্ত্র দিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা ও বিভিন্ন স্থানে ভরাটের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই মাটি। এতে পাহাড়ের একটি বড় অংশ প্রায় বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিন রাতভর ৮-১০টি ড্রাম ট্রাকে করে প্রতি ট্রাক মাটি ২৪০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। কবরস্থান, বাড়িঘর বা নির্মাণাধীন স্থানে এসব মাটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

এই সিন্ডিকেটে জড়িতদের তালিকায় রয়েছে এনাম সওদাগর, নেজাম উদ্দিন, শাহনেওয়াজ, ফোরকান, কাশেম সওদাগরসহ ১৪-১৫ জন। এ ছাড়া ‘মাটি মনসুর’ নামেও একজনের বিরুদ্ধে বড় পরিসরে মাটি ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে।

তাওফিক/